বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধান বীজ উৎপাদন করেই সফল উদ্যোক্তা বোরহান

২৩ বছর আগে ৫ হাজার টাকা বেতনে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন খুলনার ডুমুরিয়ার উলা গ্রামের বোরহান আলী। তিনি কাজ করতেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রড) ধান প্রজনন বিভাগে। কিন্তু কাজে যোগ দিয়ে বছর কয়েক পার হতেই ভেতরে ভেতরে পরিবর্তনের ডাক পেলেন। বুঝলেন এভাবে হবে না! এগোতে হলে ধান থেকে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন করা শিখতে হবে। ধীরে ধীরে গবেষক দলের সঙ্গে সরাসরি মাঠে গিয়ে ধানের বীজ উৎপাদনের কলাকৌশল শিখে নেন। পোক্ত হয়ে একসময় চাকরি ছেড়ে নিজেই বীজ উৎপাদন ও বিপণন শুরু করেন।

২০০১ সালে চাকরি ছেড়ে নিজের শ্রম ও মেধা দিয়ে ৫ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করে সেখান থেকে বীজ উৎপাদন করেন। প্রথমবারেই ভালো সাড়া পান বোরহান আলীর উৎপাদিত ধানের বীজ। তাতেই উৎপাদনকারী হিসেবে সফল উদ্যোক্তাদের একজন হয়ে ওঠেন তিনি। বর্তমানে তার অধীনেই কাজ করছেন সাতজন শ্রমিক। বছরে আয় প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

সফল উদ্যোক্তা হবেন, এমন কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে কর্মজীবন শুরু করেননি বোরহান। অনেকের মতো তারও শুরুটা জীবিকার তাগিদেই।

বোরহান আলী জানান, বীজ উৎপাদনের পর তা আমার নিজের বাড়িতে রেখে বেচতে শুরু করি। কৃষকও তার বীজ ব্যবহার করে ভালো ফলন পেতে শুরু করেন। এরমধ্যে ২০০৮ সালে জাতীয় বীজ বোর্ডের বীজ উইং থেকে উৎপাদনের নিবন্ধন নেন। সেবার ২৫ বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদনের জন্য ধানরোপণ করা হয়। তাতেও আসে সফলতা। এরপর নিজের জমি ২৫ বিঘাসহ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে বীজ উৎপাদন করতে থাকে। বর্তমানের ওই গ্রামে প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে ব্রিডার জাতের ধান রোপণের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে ধানের বীজ প্রক্রিয়া ও সংরক্ষণ করে রাখছেন।

উদ্যোক্তা বোরহান আলী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে ব্রিডার জাতের ধান কিনে বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে দুই কেজি ধান রোপণ করলে তা থেকে উৎপাদন হয় বিঘাপ্রতি ২২ মণ। বীজতলা তৈরি থেকে ধান মাড়াই পর্যন্ত বিঘাতে খরচ হয় ১০ হাজার টাকার মতো। এ ছাড়াও বীজ উৎপাদনের জন্য এলাকার চাষিদের কাছে থেকে মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে ধান কেনা হয়। নিয়মিত শ্রমিকের পাশাপাশি আমন ও বোরো মৌসুমে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে মৌসুমভিত্তিক শ্রমিকও এ কাজের জন্য রাখা হয়।

বর্তমানে ফলোবতী সিড লিমিটেড নামে প্যাকেটজাত বীজ বিক্রি করেন বোরহান। পাশাপাশি নিজেই গড়ে তুলেছেন বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। তাই এখন আর তার উৎপাদিত বীজ অন্য কোনো প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে নিতে হচ্ছে না। এ বীজ সংরক্ষণ ও সরবারহের জন্য ১০ কেজি করে প্যাকেটজাত করা হয়। প্যাকেট প্রস্তুতকরণে খরচ হয় ১২০ টাকা। তারপর সেগুলো পরিবহন করে নির্দিষ্ট বিক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্যাকেটপ্রতি ৬৫০ টাকা ভিত্তি, ৫২০ টাকা প্রত্যয়িত ও ৪৭০ টাকা মানঘোষিত বীজ বিক্রি করা হচ্ছে। যা প্রতি বছর আমন মৌসুমে ২৫ টন ও বোরো মৌসুমে ১৫ টন বীজ সংরক্ষণ ও বিক্রি করা হয়।

এ ব্যাপারে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্তি উপপরিচালক (শস্য) মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, বোরহান আলী চাকরিজীবী থেকে একজন সফল ব্যবসায়ী। এখানে ব্যক্তি উদ্যোগে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের বীজ উৎপাদনের তেমন কোনো নজির ছিল না। এরমধ্যে বোরহান বীজ উৎপাদনের পাশাপাশি নিজের উদ্যোগে বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও তৈরি করেছেন। একজন চাকরিজীবী থেকে ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার এ নজির সত্যিই অনন্য।

এসএন

Header Ad
Header Ad

চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস

ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি বছরেই নির্বাচন করাসহ ৭ বিষয়ে ঐকমত পোষন করেছে বিএনপি ও একসময়ের ‘জোটচ্যুত’ দল খেলাফত মজলিস। চলমান রাজনৈতিক অবস্থা আর আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় এই শীর্ষ দুই দল।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রায় দুই ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর দুই দলই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করাসহ সাতটি বিষয়ে একমত হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতির মাঠে চর্চা ইসলামিক দলগুলো নির্বাচনী মোর্চা। তারই প্রেক্ষাপটে গতকাল মঙ্গলবার বরিশালে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর বৃহত্তর ইসলামী জোট গঠনের আলোচনা আরও জোরদার হয়।

এমন পরিস্থিতিতে ২০ দলীয় জোটের সাবেক জোটসঙ্গী খেলাফত মজলিসের সঙ্গে দীর্ঘ বছর পর গুলশান চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠক শেষে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ এখনো অবশিষ্ট আছে। কোনো ইসলামী জোট নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখছে না তাদের দল।

এসময় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ডক্টর আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, জাতীয় ঐক্যে সুসংহত করতে আন্তঃদলীয় সংলাপ অব্যাহত থাকবে। সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য আছে তাদের।

 

Header Ad
Header Ad

৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত

রেস্তোরাঁ, ওষুধ, মোবাইল ফোন সেবা, ইন্টারনেট, মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এনবিআরের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ওষুধ শিল্পে ব্যবসায়িক পর্যায়ে ভ্যাট আগের মতো ২.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মোবাইল সিম/রিম কার্ড ও আইএসপি সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি, তিন, চার এবং পাঁচ-তারকা হোটেল ছাড়া অন্যান্য রেস্তোরাঁয় ভ্যাট তুলে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ, নিজস্ব ব্র্যান্ডের বাইরে পোশাক বিপণন, এবং নন-এসি হোটেল ও মিষ্টির দোকানে ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

কমানো ভ্যাটের সুবিধা
১. ওষুধের সহজলভ্যতা বাড়ানো।
২. রেস্তোরাঁর খাবার সুলভ রাখা।
৩. ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের গতি ধরে রাখা।
৪. গ্যারেজ ও পোশাক ব্যবসায়ীদের খরচ কমানো।

এর আগে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে ক্ষোভ দেখা দেয়। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ও জাতীয় নাগরিক কমিটি এই ভ্যাট বৃদ্ধির সমালোচনা করেছিল। এনবিআরের সাম্প্রতিক পদক্ষেপটি ব্যবসায়িক খরচ ও ভোক্তাদের ব্যয় কমাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক

ছবিঃ সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে আটক হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম। তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ আছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

তারেক আলমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আদালতে হাজির করতে যাচ্ছে।

অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাচার ভেঙে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, এমন অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থপাচারের অধিকতর অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে তিন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ টিমও কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার