শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

শেষ কথা ২৩শে এপ্রিল...

-ত্রিদিব, আমার এনএবিসি যাওয়া হবে না।
-আহা, আপনি এখনই নেগেটিভ ভাবছেন কেন দাদা? যথেষ্ট সময় আছে। ডক্টর তো আপনাকে ফোনে বললেন, চলে যাইয়ে।

- আমি তো আমার শরীরটা বুঝি। গৌতম আমার খুব প্রিয় ছেলে, বিজনেস ক্লাস টিকিট পাঠাচ্ছে, সব ঠিক। কিন্তু অতটা পথ, প্রায় ১৮ ঘণ্টার ফ্লাইট, নাহ্, পারব না। তুমি বরং আমার বাংলাদেশের ভিসাটা করিয়ে দাও। আধঘণ্টার ফ্লাইট, 'বাংলাদেশ প্রতিদিন' থেকে বারবার বলছে, শুনলাম তোমরাও যাচ্ছ, তোমাদের সঙ্গে যাব।

- সে করিয়ে দিচ্ছি দাদা। আমেরিকার ভিসাটাও হয়ে থাকুক না!

- যা ভালো বোঝ, কর। শুধু শুধু ওদের একগাদা টাকা খরচ করাচ্ছ।

এক বছরের বাংলাদেশ ভিসা হয়ে এল। খুব খুশি। আমার চাপাচাপিতে ইউএস ভিসার ফর্ম পূরণ করতে এলেন আমার অফিসে। গত মাসের মাঝামাঝি। অনেকক্ষণ আড্ডা হলো। কিন্তু সেদিনই মনে হচ্ছিল, ওঁর শরীরে অস্বাচ্ছন্দ্য আছে, হাঁটাচলা করতে কষ্ট হচ্ছে।

গত বছর দুয়েক ধরে প্রায় রোজ সকালেই ফোনে কথা হতো। উনি করেছেন, আমি করতে ভুলে গেছি, অমনি প্রবল অভিমান, তুমি তো এখন অনেক বড় ব্যাপার ! আমাকেই তোমার খোঁজ নিতে হবে!

আবার এই ফোনালাপেই আমাদের মধ্যে চলত নানারকম খেলা! কখনো খাওয়া নিয়ে, কখনো লেখা নিয়ে, কখনো বাইরে যাওয়া নিয়ে, অসাধারণ সব 'গুল'। আমিও পালটা দিতাম, চলত সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি। কখনো গুল ধরা পড়লে খেপেও যেতেন। এই যেমন গত ডিসেম্বরে আমেরিকা থেকে কবি গৌতম দত্ত এসেছে। দেখা করবে।

- সমরেশদা, কাল বাড়ি আছেন তো? গৌতমকে নিয়ে যাচ্ছি। এনএবিসি নিয়ে আপনার একটা ভিডিও রেকর্ড করবে।

- কাল এস না, পরশু। আমি কল্যাণীতে একটা অনুষ্ঠানে যাচ্ছি কাল।

- কল্যাণীতে অনুষ্ঠান! জানি না তো।

- মানে! সব খবর তোমাকে জানাতে হবে নাকি? আমি কাল বাড়ি থাকছি না।

আমিও ছাড়ার বান্দা নই, সঙ্গে সঙ্গে দোয়েলকে ফোন। সে অবাক, কী বলছ কাকু? বাবা সবে অসুখ থেকে উঠল, এখন কোথায় যাবে? বাড়িতেই থাকবে।

ও দাদা, দোয়েল যে বলল, আপনি আছেন। গৌতম অল্প কটাদিনের জন্যে এসেছে।

কয়েক মুহূর্ত নিশ্চুপ। তারপর বোম ফাটল, মেয়েরা কি আমার ঘেঁটি ধরে বসে আছে, অ্যাঁ? তুমি ওদের দিয়ে ভেরিফাই করাও কেন? ভেরি ব্যাড। আমি বলেছি, কাল দেখা করব না, ব্যাস। পরশু আসতে হবে।

কী আশ্চর্য! একদিন পরে যখন গেলাম, সে অন্য মানুষ। ছাড়তেই চান না। কত পুরোনো স্মৃতি। ২০০৯ সাল। তখন গৌতমের বিরাট জিপ ছিল। সেই গাড়ির মাথায় বইমেলার বই তুলে সঙ্গে আরেক গৌতমদা (ফিল্ম ডিরেক্টর) কে নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে নিউ জার্সি যাত্রা... সুনীলদা, স্বাতী বউদিকে নিয়ে গভীর রাত অব্দি আড্ডা... পুরোনো কথা আর ফুরোচ্ছে না। সমরেশদা বলছেন, তোমার মনে আছে ত্রিদিব, গৌতমের বাড়ির সামনের বনে হরিণের দল ...ওদের চোখগুলো সোনার ফুলের মতো জ্বলছিল। তারপর মুষলধারে বৃষ্টি নামল।

সমরেশদা, নিউ জার্সির সেই রাতের কাণ্ডটা ভুলে গেলেন? গৌতম বলল, আপনাদের থাকার জন্যে ওরা মোটেল ভাড়া করেছিল। ডিনারের পরে আপনাদের নিয়ে মোটেলে এলাম। তখন রাত প্রায় ১২টা, উইকএন্ড। চাবি নিলাম রিসেপশন থেকে। তারপর যেই আপনি একটা ঘরে চাবি দিয়ে তালা খুলেছেন, অমনি ভেতর থেকে ---

হ্যাঁ, ওরেব্বাপস! সাত ফুটিয়া একটা ব্ল্যাক বেরিয়ে এল। পরনে শর্ট প্যান্ট, পেছনে ওর বান্ধবী। এই মারে তো সেই মারে! তুমি শেষে ওকে বুঝিয়ে --- নইলে কপালে দুঃখ ছিল!

দোষটা পুরো ম্যানেজারের দাদা। মেলা কমিটি রুম বুক করে রেখেছিল। আসছি না দেখে ব্যাটা অন্য ফ্লাইং কাস্টমারদের দিয়ে দিয়েছে। ভেবেছে আমরা আসব না।

১০ মিনিটের জন্যে দেখা করবেন বলেছিলেন, কিন্তু আর ছাড়তেই চান না। শেষমেশ একরকম জোর করে আমরা যখন বেরিয়ে এলাম, রাত ১১ টা।

অথচ এই সমরেশ মজুমদারই আমায় দিনের পর দিন ঘুরিয়েছেন। অনীশ (দেব) দাকে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর সঙ্গে গেছি। তখনো বলেছেন, 'দ্যাখো, আমি ত্রিদিবকে নতুন বই দিতে পারব না। পুরোনো বই দেব। ও বেচতে পারবে না। তখন ও আমায় দেখে পালিয়ে বেড়াবে। মাঝখান থেকে সুন্দর সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাবে। এইটা আমি চাই না।' অনীশদা জোর দিয়ে বলেছেন, আপনি দিয়েই দেখুন না!

কী ম্যাজিক ঘটল, জানি না। এই মানুষটাই আবার এর বছর তিনেকের মধ্যে সুনীলদা, শীর্ষেন্দুদা, সুচিত্রাদিকে ফোন করে বলেছেন, আমাদের প্রকাশনাকে বই দিতে। গভীর ভালোবাসা, অপার স্নেহ। বাইরেটা শক্ত নারকেলের মতো, ভেতরে কুলকুল করে বইছে মধুর রস। সুনীলদার মতো সকলের সঙ্গে মিশতে পারতেন না, কিন্তু ওঁর ভালোবাসার ছোট বৃত্তে যারা একবার স্থান পেয়েছে, তারা সেই চুম্বক আকর্ষণ থেকে বেরোতে পারেনি।

আমি যে বই সমরেশ মজুমদারের কাছে চেয়েছি, পেয়েছি। ধারাবাহিক সিরিজ লিখছেন, কলিকাতায় নবকুমার, দাউ দাউ আগুন, বা স্বপ্নেই এমন হয়, সোনার শিকল... এমনকী বৃহৎ প্রকাশকের কাছ থেকে তুলে দিয়ে দিলেন ' গল্পসমগ্র ' সিরিজ। কোভিডের সময়ে সরাসরি পাণ্ডুলিপি থেকে লিখে দিলেন দু-দুটো বই। কেন যে এত বিশ্বাস করতেন, কে জানে! শুধু আমাকে কেন, চুমকি, আমাদের দুই মেয়ে ... সবাইকেই। কিন্তু বাইরে খোঁচাতে ছাড়তেন না, যত বইই তোমায় দিই, রয়ালটি তোমার ফিক্সড, সে বাড়বে না!

সমরেশদার হাত ধরেই প্রথম আমার আমেরিকা, কানাডা যাওয়া। 'চলো, দেখবে, ওদেশে কত বাঙালি বাংলা বইয়ের জন্য মুখিয়ে আছে।' কিন্তু দাদা, ফ্লাইটের ভাড়া? কোত্থেকে পাব? 'আরে দাঁড়াও, সে ব্যবস্থা করছি।' করলেনও। তারপর গিয়ে উঠলাম, দাদার রক্তের সম্পর্কহীন বাংলাদেশি কন্যা শ্যামার বাড়ি। দু-দুবার। তার ওখানে একসাথে দিনের পর দিন, রান্নাবান্না করে খাওয়া, উহ, এখন মনে হয়, সব স্বপ্ন। সেখানেও কত ঘটনা, কাহিনি।

কোথায় না কোথায় গেছি দাদার সঙ্গে। ঢাকা, পুরুলিয়ার ভালোপাহাড় থেকে ডুয়ার্সের চা-বাগান, শিলচর থেকে শিলিগুড়ি, গৌহাটি, দিল্লি,ব্যাঙ্গালোর, লখনৌ। আরেকটা বিচিত্র ব্যাপার, ধীরা বউদি আর দুই মেয়ে দোয়েল, পরমা, তারাও আমায় ভারি ভরসা করতেন। বউদি একবার ফোন করে বললেন, আপনার দাদা কী পড়েন জানি না, আমায় কিন্তু কিশোর ভারতী প্রতি মাসে পাঠাবেন।

সিওপিডি, এই রোগটা অনেক দিন ধরেই দাদাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। যে মানুষটা চেন স্মোকার ছিলেন, রোজ সন্ধেয় যাঁর পানীয় লাগত, সব ছেড়ে দিয়েছিলেন বেশ কয়েক বছর। কিন্তু বছর দুয়েক আগে সম্পূর্ণ সুস্থ ধীরা বউদির আকস্মিক চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না। একটু একটু করে মানসিক অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। প্রায়ই ফোনে বলতেন, ভদ্রমহিলা আমায় ডুবিয়ে দিয়ে গেছেন। আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না।

বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন দাদা। কিন্তু অসম্ভব মনের জোর, ফিরে এসেছেন, আবার লিখতে শুরু করেছেন। একবার তো বাংলা অক্ষরই ভুলে গিয়েছিলেন! নতুন করে অ আ ক খ প্র্যাকটিস করে লেখায় ফিরলেন। ভাবা যায়!

আমার সঙ্গে শেষ কথা হয় ২৩ এপ্রিল, রবিবার। ২৪ শে এপ্রিল ফোন করতে ভুলে গেছি। ২৫শে এপ্রিল। ব্রেকফাস্ট টেবিলে চুমকি বলল, কী গো, কাল তো সমরেশদাকে কল করোনি। আজ একবার কর। বলতে বলতে ফোন বেজে উঠল, দোয়েল। 'কাকু, বাবার মনে হয়, ফের কিছু হয়েছে। কী রকম করছেন। আমি অ্যাপোলোতে নিয়ে যাচ্ছি।'

ব্যস, তারপর... তার আর পর নেই, নেই কোনো ঠিকানা!

বোঝাতেও পারব না, আমার মনের মধ্যে এখনো কী চলেছে। সব ' বিগ জিরো। '

ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়: প্রকাশক, পত্রভারতী

এসএন

 

আজকের ইফতারের সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্ট মার্টিন

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের একটি ‘সামরিক নৌযান’ দেখা গেছে। ওপারের বিস্ফোরণের শব্দ কেঁপে উঠছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপ।

স্থানীয়রা বলছেন, শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে ১টি যুদ্ধজাহাজ দেখা যায়। এটি সকাল থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত দেখা যায়। পরে তা অন্যত্র সরে গেছে। আর তখন থেকেই শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকট শব্দে সেন্ট মার্টিনের বাড়িঘর পর্যন্ত কাঁপছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, গোলাগুলি বা মর্টারশেলের তেমন বিস্ফোরণের শব্দ বৃহস্পতিবার থেকে একটু কমেছে। তবে শুক্রবার ৩ টার দিকে পর পর কয়েকটি শব্দ শোনা গেছে। সকালে নাফনদীর ওপারে যুদ্ধজাহাজ দেখা গিয়েছিল পরে তা চলে গেছে।

শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, গতকাল (২৮ মার্চ) থেকে গোলাগুলির ও মর্টারশেলের বিস্ফোরণ কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে। সকাল থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত নাফনদীর ওপারে মিয়ানমারের একটি যুদ্ধজাহাজ দেখা গেছে। এটি চলে যাওয়ার পর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ বেড়েছে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. এনামুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হয়েছিল। জুমার নামাজের পর আবারও গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা গেছে। এখনও থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, গত কয়েকদিন একটানা হ্নীলা ও মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কিছুটা কমলেও এখন দুপুরের পর আবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে।

রাতেই ঢাকাসহ ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা

ফাইল ছবি

দেশের ৯টি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিনেও দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই সময়ে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আগামীকাল শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

পরদিন রোববার (৩১ মার্চ) একই সময় পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়েও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্যদিকে, আগামী সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

রাস্তা থেকে ৩০০ ফুট খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১০

ছবি: সংগৃহীত

শ্রীনগর-জম্মু মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি যান খাদে পড়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত দেড়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং গাড়িটি রামবান জেলার ‘ব্যাটারি চেশমা’ নামক স্থানে ৩০০ ফুট একটি খাদে পড়ে যায়।

হতাহতরা অভিবাসী শ্রমিক এবং তারা শ্রীনগরে যাচ্ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে, মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা এবং পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

হতাহতের এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। নিহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, রামবনে দুর্ভাগ্যজনক সড়ক দুর্ঘটনার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত, যাতে মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছে। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি জেলা প্রশাসক ও ডিভি কম-কে নির্দেশ জারি করেছি, নিয়ম অনুসারে ক্ষতিগ্রস্তদের আত্মীয়দের সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকায় যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) নিচে খাদে পড়ে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর বিবিসি’র।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিম্পোপো রাজ্যে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে সেতুর ওপর দিয়ে নিচে পড়ে যায়। এরপর মাটিতে পড়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

সর্বশেষ সংবাদ

গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সেন্ট মার্টিন
রাতেই ঢাকাসহ ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আশঙ্কা
রাস্তা থেকে ৩০০ ফুট খাদে পড়ল গাড়ি, নিহত ১০
চট্টগ্রামে জুতা কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
বিএনপি ইফতার পার্টি করে মিথ্যাচার চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে লরি-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
সন্তানের মুখ দেখার আগেই ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার
আগুনে পুড়লো ‘ভূঞাপুর থানা’ মার্কেটের ৪ দোকান
পছন্দের শীর্ষে ভারতীয় নায়ক-নায়িকাদের নামে দেশে তৈরি পোশাক
‘জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ
সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড
বাতিঘরের শ্যুটিংয়ে হিমাচলে শিরোনামহীন ব্যান্ড
যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখুন এ সব
গাজায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি