বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইউজিসির নির্দেশনাকে অমান্য করে স্বপদে বহাল প্রক্টর!

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করেই দুই মেয়াদে পূর্ণকালীন দায়িত্ব শেষ হওয়ার পরেও প্রক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে পাশ কাটিয়ে তাকে দেওয়া হয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।ইউজিসির নির্দেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনকে অমান্য করে তাকে একাধিক দায়িত্বে রাখায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গত বছরের ২০ মার্চ ইউজিসি থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, '১০ বছরের অধিক বয়সের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গুরুত্বপূর্ণ পদে চুক্তিভিত্তিক, অতিরিক্ত দায়িত্ব বা চলতি দায়িত্বের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন/প্রবিধান অনুযায়ী স্থায়ী নিয়োগ প্রদান করার অনুরোধ করা হচ্ছে।' অভিযোগ উঠেছে এই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ড.উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে প্রক্টর হিসেবে দায়িত্বে রেখেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১ তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তক্রমে সে বছরের ১৮ জুলাই তারিখ থেকে তাকে দুই বছরের জন্য প্রক্টরের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।নির্ধারিত দুই বছর মেয়াদ শেষে ২০২০ সালের ১৮ জুলাই থেকে তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রক্টরের দায়িত্ব প্রদান করা হলে সেই দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালে ১৭ জুলাই।

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে গত বছরের ১৮ জুলাই থেকে চলতি দায়িত্ব হিসেবে পুনরায় তাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ইউজিসির নির্দেশনাকে অমান্য করে তাকে দায়িত্বে রাখায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একজনকে বারবার দায়িত্বে না রেখে নতুন কাউকে সুযোগ করে দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় আইনকে অমান্য করেই একই সাথে ডিন,প্রক্টর এবং বিভাগীয় প্রধানের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা হয়েছে তাকে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ড.উজ্জ্বল কুমার প্রধান একই সাথে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন, প্রক্টর ও ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০০৬ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের প্রথম সংবিধির দফা-১৭ (২) তে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল দায়িত্বের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করা যাইবে সেই সকল দায়িত্বের মধ্য হইতে একসঙ্গে একাধিক দায়িত্ব কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে প্রদান করা যাইবে না। আইনের সংবিধিতে সুস্পষ্টভাবে এটি বলা থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করেই তাকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ড.উজ্জ্বল কুমার প্রধানকে ডিন হিসেবে নিয়োগেও রয়েছে জ্যেষ্ঠতার ক্রম না মানার অভিযোগ।গত ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৯ তম সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনক্রমে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ পান প্রফেসর ড.উজ্জ্বল কুমার প্রধান।

বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬ এর ২২(৫) ধারায় বলা হয়েছে- 'ভাইস চ্যান্সেলর সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, প্রত্যেক অনুষদের জন্য উহার বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকদের মধ্য হইতে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে, পালাক্রমে দুই বৎসর মেয়াদের জন্য ডিন নিয়োগ করিবেন'। কিন্তু এই অনুষদে জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে সপ্তম অবস্থানে আছেন অধ্যাপক ড.উজ্জ্বল কুমার প্রধান। এখানেও আইনের সম্পূর্ণ ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মত দিয়েছেন একাধিক শিক্ষক।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী বলেন, একজন ব্যক্তিকে একইসাথে একাধিক দায়িত্ব না দিয়ে দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে বন্টন করা হলে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজের গতিশীলতা বাড়বে বলে আমি মনে করি।

তবে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তুহিনুর রহমান(তুহিন অবন্ত)বলেন যে পরিস্থিতিতে তাকে এই দায়িত্বগুলো দেওয়া হয়েছে তাতে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে আমার তা মনে হয়না।

ডিন নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুসরণ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কোনো যৌক্তিক কারণ থাকলে জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুসরণ না করা হতেই পারে। এটা আমি খুব বেশি অসামঞ্জস্য মনে করিনা'।

এ বিষয়ে প্রফেসর ড.উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন 'উপাচার্য স্যার বিধির মধ্যে থেকেই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এখানে কোনো বিধির লঙ্ঘন হয়েছে বলে আমি মনে করিনা।'

ডিন নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, 'সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তক্রমে আমাকে ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।'

উপাচার্য প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখরে বলেন, এখানে সিন্ডিকেট যা ভালো মনে করেন তাই। এখানে ভিসি একক ভাবে কিছু করেন না।ভিসি যা করেন সিন্ডিকেটে বিষয় গুলো উপস্থাপন করেন। সিন্ডিকেট চাইলে অনেক কিছু বাতিল করতে পারে।
এএজেড

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সামনে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে দুই ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকার সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি স্বপন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি কাজী সাদেকুর রহমান,কার্যকারী পরিষদের সদস্য রায়হান শামীম, কাজী রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। 


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- কয়েক দিনআগে ঔষধ ব্যবসায়ীর কোন অপরাধ না থাকলেও ঔষধ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। তাই দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ঔষধ ও কসমেটিক· আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করার হুমকি দেন বক্তারা।


মানববন্ধনে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, ঔষধ ব্যবসায়ীগণ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে থাকেন। বর্তমানে দেশে ঔষধ কোম্পানীর সংখ্যা অনেক হওয়ায় প্রতিনিয়ত সেই কোম্পানী গুলো নতুন নতুন আইটেমের ঔষধ তৈরী করে বাজারজাত করেছে। ঔষধ ব্যবসায়ীগণ অনেক সময় কোম্পানীর উক্ত প্রোডাক্টস বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে থাকেন। যার ফলশ্রুতিতে ঔষধ সামগ্রীর গুণগত মান অনুমোদন/অনুমোদনহীন অনেক ক্ষেত্রে বুঝে উঠতে পারেন না।


তিনি আরোও বলেন, চিকিৎসকগণ ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস্ যেমন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাদাচার, স্যাম্পু, সাবান, ফুডসাপ্লিমেন্টস, ভেষজ, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হার্বাল ও ইমপোর্ট আইটেম প্রভৃতি নিয়মিত ভাবে লিখে আসছেন। যেগুলি ডিজিডিএ কর্তৃক অনুমোদন নাই। যার বহু ব্যবস্থাপত্রের কপি ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক বরাবরে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক কোন কোম্পানী বা চিকিৎসকগণের ব্যাপারে কোন প্রকার পদক্ষেপ বাহন করেন নাই। প্রকাশ থাকে যে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধি যৌন উত্তেজক ও অবৈধ ঔষধ বাজারজাত করছেন যা আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা ঔষধ ব্যবসায়ীগণ নানা প্রতিকুল সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছি।


এদিকে এর প্রতিবাদে ৪ ঘন্টা বন্ধ রাখা হয় সকল ওষুধের দোকান।


এ প্রসঙ্গে নওগাঁ সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন কোন আইনে করেছেন কোন অপরাধের জন্য করেছেন এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে অফিসিয়াল ভাবে শেয়ার করেন নাই। আমরা জানতে পেরেছি যে অনুমদনবিহীন মেডিসিন রাখায় ঔষধ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এর বেশি কিছু জানি না।’


জেলায় ঔষধের দোকানপাট বন্ধ রোগীরা জরুরী ঔষধ কিনতে পারছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটার বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ক্ষমতা নেই যে বলবো ঔষধের দোকান খুলতে। আমরা শুধু এটুকু বুঝিয়ে বলতে পারি রোগীদের ঔষধ পেতে যেন কোনো সমস্যা না হয় মানবিক দিক থেকে দেখবেন। ’

টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রির অপরাধে মো. নূর নবী নামে এক মাংস ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইলে পৌর শহরের বটতলা বাজারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজ জানান, পঁচা মাংস বিক্রি করায় পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর ২৪ (১) ধারায় ওই মাংস ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও তার থেকে ৩৫ কেজি মাংস জব্দ করা হয়।

‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি

উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আবেগ-অনুভূতির কারণে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের সময় আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। এই ধাপে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল, নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ হয়েছে, মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ চলছে ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারিী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬- ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে। চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩-১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।

চতুর্থ ধাপের ৯টি উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিগুলো ব্যালট পেপারের ভোটগ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
তীব্র গরমে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন
রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু
প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন