ঢাবিতে চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ

০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৩ এএম


ঢাবিতে চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে প্যাথলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ টেকনিক্যাল অফিসারকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের একদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার হওয়া বেলাল সরকার নামে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বেলাল সরকার জানান, ওইদিন আব্দুস সোবহান অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গতকাল চিকিৎসাকেন্দ্রে এসেছিলেন। কাজে দেরির অভিযোগ তুলে তিনি চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মচারী রফিকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি করছিলেন। এই সময় তাদেরকে তিনি চলে যেতে বলেন।

এরপর তারা প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার কাছে বিচার দেন। পরে প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার কক্ষে দুই পক্ষকে ডেকে নেওয়া হয়। তিনি ঘটনাটি মিটমাট করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সংঘবদ্ধভাবে ৪০-৫০ জন এসে তাকে মারধর করে। তিনি আরও বলেন, ইউসুফ হারুন নামে একজন তাকে প্রথমে কলার চেপে ধরেন। তাকে ঘুসি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেয়।

আব্দুস সোবহান মানিক বলেন, আমি গুরুতর অসুস্থ। তাই ছুটির কাগজপত্রের জন্য মেডিকেলে যাই। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে দেখা হয়। আমরা গল্প করছিলাম। এরপর একটু কথা কাটাকাটি হলে বেলাল আমাকে ধাক্কা দেয়। আমরা তাকে আর কিছু করিনি। সে নিজেই নিজের শার্ট ছিঁড়ে আমাকে দোষী বানাচ্ছে।

এদিকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, সহকর্মী সোবহানকে মারধরের খবর পেয়ে অনেকে গতকাল দুপুরে চিকিৎসাকেন্দ্রে যান। আমরা পরে শান্ত করে নিয়ে আসি সবাইকে।

ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিজি বলেন, আমরা প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার রুমে যাই ঘটনায় ব্যবস্থায় নেওয়ার দাবি জানাতে। বেলাল সরকার মাফও চেয়েছে। এর মধ্যে বাইরে অন্যরা কী করেছে জানি না।

প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হাফেজা জামান এক গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, তাদের অভিযোগ পেলে আমি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাই। তারা হাসিমুখে রুম থেকে যায়। কিছুক্ষণ পর দলবল নিয়ে আমার রুমে এসে তাৎক্ষণিক বিচার দাবি করে। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। প্যাথলজি রুমে গিয়ে মেয়েদের বের করে বেলাল সরকারকে হেনস্তা করে। পরে প্রশাসনিক লোক এসে থামায়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আব্দুল মুহিত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে দুই পক্ষকে লিখিত দিতে বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. আব্দুল মুহিত বলেন, খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়েছি এবং প্রক্টর স্যারের নির্দেশ মোতাবেক তাদের দুইপক্ষকে লিখিত দিতে বলেছি।

এমএমএ/

 


বিভাগ : ক্যাম্পাস