বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

যবিপ্রবি শিক্ষার্থী সিফাতকে খেলার মাঠ থেকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ

যবিপ্রবি শিক্ষার্থী সিফাতকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ। ছবি: সংগৃহীত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো: সিফাতুর রহমানকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পরিবার থেকে একাধিক বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পরও মামলা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার।

মো: সিফাতুর রহমান মাগুরা জেলার অন্তর্গত শ্রীপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: শফিকুর রহমানের পুত্র। সে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

সিফাতের বাবা জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার(৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ খেলাধুলা করার জন্য যায় সিফাতসহ তার ৪ বন্ধু। হঠাৎ জানতে পারি ডিবি পুলিশ ওদের তুলে নিয়ে গেছে। পুলিশ আমাকে বলে, মাঠে থাকা সিফাতসহ ৪ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিলে কলেজের দেয়ালে গ্রাফিতি করছিল এই জন্য তাদের ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। আমি ওদের ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে ওসি আমাকে জানায় আমাদের ওপর থেকে চাপ থাকার কারণে আমরা ছাড়তে পারছিনা। পরদিন বুধবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৫ টার দিকে মাগুরা সদর থানায় চালান করে দেয় এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মিথ্যা মামলা দেয়া হয় আমার ছেলেকে। ৪ জনের মধ্যে থেকে পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনকে ছেড়ে দেয় বলে জেনেছি। আমাদের মাগুরা শহরে সেইরকম কোনো সমস্যা বা আন্দোলন চলছিল না তাও কেন এইরকম কাজ করলো পুলিশ সেটা তারাই জানে!

সিফাতের আটকের বিষয়ে যবিপ্রবি প্রক্টর ড. মো: হাফিজ উদ্দিন বলেন, সিফাতকে ধরে আনার খবর আমি গতকাল বিকালে জানার পর আমি মাগুরা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করি। প্রস্তাব জানাই যে ধরেছেন ঠিক আছে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া যায় কি না। পরবর্তীতে মাগুরা অ্যাডিশনাল এসপি মোহাম্মদ তানভীরকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। এসপি সাহেব কে ফোন দিলে তিনি ৩০ মিনিট পর ফোন ব্যাক করে বলেন ওকে চালান দিয়ে দেয়া হয় বেশি বড় কোনো মামলা না তাকে ২ দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হবে।

মাগুরা সদর থানার ওসি গণমাধ্যমকে জানান, সিফাতকে একটি মামলায় আটক করা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করার কারণে তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে, তদন্ত চলমান রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ইন্টারনেট সেবায় বিভ্রাট, গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চাইল বিটিআরসি

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামীণফোনের ৪জি ইন্টারনেট সেবায় আকস্মিক বিভ্রাটের ঘটনায় মোবাইল অপারেটরটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী।

তিনি বলেন, “বুধবার প্রায় ৪০ মিনিট সময় ধরে গ্রামীণফোনের ৪জি ইন্টারনেট সেবায় বিভ্রাট দেখা যায়। এ কারণে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েন। এ বিষয়ে আমরা গ্রামীণফোনের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছি। আশা করছি, আজকের মধ্যেই তারা আমাদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাঠাবে।”

তবে ঠিক কোন কারিগরি ত্রুটির কারণে এই বিভ্রাট ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানায়নি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। তবে বিটিআরসি বলেছে, বিভ্রাটের উৎস, ব্যাপ্তি ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধে করণীয়—এসব বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

বিভ্রাটের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা ৪জি ইন্টারনেট সেবা পাননি। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ক ফোরামে অভিযোগ জানান।

Header Ad
Header Ad

পূর্ণদিবস ধর্মঘট ঘোষণা, ঢাবির একাডেমিক-প্রশাসনিক ভবনে তালা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ নামে একটি প্লাটফর্ম পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত অর্ধদিবস শোক পালনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে তারা এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ প্লাটফর্মে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও কয়েকটি বাম ছাত্রসংগঠনের সংশ্লিষ্টতা দেখা গেছে।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রথমে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে তালা দেওয়া হয়। পরে কলাভবন ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদেও তালা লাগানো হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিজ্ঞান অনুষদসহ অন্যান্য একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনেও তালা দেওয়া হবে।

এ সময় এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে ছাত্রদলের বিজয় একাত্তর হল শাখার দপ্তর সম্পাদক সাকিব বিশ্বাস বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চাই। আমরা তাদের বিরুদ্ধে এই কর্মসূচি পালন করছি।”

প্লাটফর্মটি শুক্রবার (১৬ মে) পূর্ণদিবস ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা শিক্ষার্থীদের সকল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

ধর্মঘট শেষে বিকেল ৫টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এবং প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

Header Ad
Header Ad

সান্ডা কী? এটি খাওয়া কি হারাম না হালাল, কী বলে ইসলাম

মরু প্রাণী- সান্ডা। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে একটি ঘটনা আর কেবল একটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে না। সাম্প্রতিক সময়ে এমনই এক আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে একটি মরু প্রাণী—সান্ডা। এটি নিয়ে তৈরি হয়েছে মিম, রম্যকথা ও নানা ধরনের ভিডিও কনটেন্ট। এরই ধারাবাহিকতায় অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে: সান্ডা কি খাওয়া হালাল, নাকি হারাম? ইসলাম কী বলে এ বিষয়ে? চলুন জেনেই এসব প্রশ্নের উত্তর।

সান্ডা কী?

সান্ডা মূলত একটি মরুভূমিতে বসবাসকারী প্রাণী। দেখতে অনেকটা গিরগিটির মতো হলেও আকারে বড় এবং শরীর পোক্ত। আরবি ভাষায় একে "দাব্ব (ضبّ)" বলা হয়। মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন মরু অঞ্চলে এই প্রাণীটি দেখা যায়। অনেক এলাকায় সান্ডাকে শক্তিবর্ধক বা যৌনউত্তেজক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর তেলও বিক্রি হয় আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য।

সান্ডা। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে সান্ডা খাওয়া হালাল নাকি হারাম?

ইসলামী শরিয়তের বিধান নির্ধারিত হয় মূলত কুরআন, হাদীস ও ফিকহবিদদের ব্যাখ্যার আলোকে। সান্ডা নিয়ে কুরআনে সরাসরি কিছু বলা না থাকলেও হাদীসে রয়েছে একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা।

রাসূল (সা.) এর জীবনের একটি ঘটনা:

সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে সান্ডা পরিবেশন করা হয়। তিনি তা খাননি। সাহাবারা জানতে চাইলেন- "ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি একে অপছন্দ করেন, নাকি এটি হারাম?" তিনি বললেন, "এটি আমার কওমের খাদ্য নয়, তাই আমি খাই না।" (সহিহ বুখারি: ৫৫৩৭, সহিহ মুসলিম: ১৯৪৪)। এরপর সাহাবাগণ তার সামনেই তা খেয়ে নেন, এবং তিনি এতে কোনো নিষেধ দেননি।

চার মাযহাবের দৃষ্টিভঙ্গি:

হানাফি- মাকরূহ তাহরিমি (না খাওয়াই ভালো), শাফেয়ি- হালাল, মালিকি- হালাল, হাম্বলি- হালাল। হানাফি মাযহাব অনুসারে, এটি একটি অরুচিকর প্রাণী হওয়ায় না খাওয়াই শ্রেয়। অন্য তিনটি মাযহাবের মতে, যেহেতু রাসূল (সা.) নিষেধ করেননি, বরং সাহাবারা খেয়েছেন, তাই এটি সম্পূর্ণ হালাল ও বৈধ।

সান্ডা তেল ও চিকিৎসা:

সান্ডা তেল অনেক আয়ুর্বেদিক ও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে যৌনস্বাস্থ্য বৃদ্ধির উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণার ঘাটতি রয়েছে। বাজারে যেসব তেল পাওয়া যায়, তার বিশুদ্ধতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত নয়।

তাহলে ইসলামে সান্ডা খাওয়া জায়েজ?

সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায়- কুরআনে সরাসরি নিষেধ নেই। রাসূল (সা.) নিজে খাননি, তবে খেতে নিষেধও করেননি। সাহাবীরা তার সামনেই খেয়েছেন। অধিকাংশ ফিকহ বিশারদ এটিকে হালাল মনে করেন। হানাফি মতে অপছন্দনীয় হলেও হারাম নয়। তবে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থাকলে কিংবা সন্দেহজনক উপায়ে প্রস্তুতকৃত তেল বা খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইন্টারনেট সেবায় বিভ্রাট, গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চাইল বিটিআরসি
পূর্ণদিবস ধর্মঘট ঘোষণা, ঢাবির একাডেমিক-প্রশাসনিক ভবনে তালা
সান্ডা কী? এটি খাওয়া কি হারাম না হালাল, কী বলে ইসলাম
টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির আভাস, হতে পারে শিলাবৃষ্টিও
সাম্যকে নিয়ে একটি গুপ্ত সংগঠন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : ছাত্রদল সভাপতি
টিকটকে লাইভ করার সময় তরুণীকে গুলি করে হত্যা
জুলাই থেকে ২০ শতাংশ কমছে ইন্টারনেটের দাম: ফয়েজ আহমদ
চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের আম সংগ্রহ উৎসবের উদ্বোধন
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সাবেক এমপি কাজিম উদ্দিন গ্রেপ্তার
কোনও অবস্থাতেই মোদীকে বিশ্বাস করা যাবে না: ইমরান খান
এসি মিলানকে কাঁদিয়ে ৫১ বছর পর শিরোপা জিতল বোলোগনা
সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল বিজিবি সদস্যের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ
অভিনেতা মিশাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, যা জানা গেল
দ্বিতীয় দিনেও রাজপথে জবি শিক্ষার্থীরা, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন
ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা রাবি শিক্ষক, ভিডিও ভাইরাল
ভারতের মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১০
রংপুরের পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কিশোর নিহত
উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপ, অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি