ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি) নির্বাচনে আবারও সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সাব-এডিটর মামুন ফরাজী। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আমাদের সময়ের আবুল হাসান হৃদয়।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আনজুমান আরা শিল্পী। যুগ্ম সম্পাদক পদে লাবিন রহমান, কোষাধ্যক্ষ কবীর আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ, দপ্তর সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ মামুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাজিম উদদৌলা সাদি, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারজানা জবা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শিবলী নোমানী, নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে কানিজ ফাতেমা লুনা নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন- হালিমা খাতুন, অপূর্ব ইব্রাহীম, নঈম মাশরেকী, মনসুর আহমদ, আরিফ আহমেদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান আহমেদ।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ সঙ্গে সারাহ কুকের একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি দেখা যায়।
ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সারাহ কুক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।
সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রিমিয়াম টিম বলে মনে করা হয়। জাতিসংঘের যেকোনো শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ এখন আলাদা সম্মানের জায়গা দখল করে আছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, এটি অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে সরকারের সব সংস্থাই দেশের স্বার্থের জন্য কাজ করে। সুযোগ খুঁজে বের করা এবং সহায়ক পরিবেশে কাজ করা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো বিষয়। একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।
দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝে মাঝে আমাদের তাই ভাবনা আসে কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনও কখনও সমস্যার তৈরি করে বলে তিনি জানান।
সরকারি কাজ সমন্বয়ের জন্য একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, অনেক বিষয় আছে যেটি আমরা শুরু করেছিলাম, কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়। কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি একটি সংস্থা দরকার যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।
নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, অভিপ্রায় হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা হঠাৎ করে বদলায় না। আজ একজন বন্ধু আছে, কিন্তু কাল সে বন্ধু নাও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র—সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আর সামরিক বাহিনী পররাষ্ট্রনীতির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবকিছু করছে।
মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে তাদের সঙ্গে আমরা যুক্ত আছি এবং সবকিছু করছি। মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন যে মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো। কারণ সবদেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধু রাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতাটি আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।
সামরিক বাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং আমরা এটি কখনও ভুলি না। আমরা সবসময় এটির জন্য তৈরি, তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।
বেশ কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। গত ২৮ মার্চ নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন এই গায়ক।
তখন থেকেই দেশের সংগীতপ্রেমী মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন কবে আসবেন। এবার অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে। রাত পোহালেই বাংলার মানুষের সামনে হাজির হবেন জনপ্রিয় এই গায়ক। রোববার (১৪ এপ্রিল) আতিফ আসলাম তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন তিনি ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশে আসছেন। ভক্তদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বসুন্ধরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) আতিফ আসলাম তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশে আসার তারিখটি। আর তখন থেকেই প্রিয় গায়কের পোস্টে অসংখ্য ভক্তের বন্দনা ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই যেন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন প্রিয় শিল্পীকে নিজ চোখে একবার দেখার জন্য। তার গানের জাদুতে ঈদের আবহ ভরে তুলবেন দেশের মাটিতে।
এর আগে আতিফ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, নিজের ছবি যুক্ত করে ছবির ওপরে লেখা, ‘বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই সংগীত ক্যারিয়ারের ২০ বছর পূর্ণ করবেন আতিফ আসলাম। সুরের জাদুকর আতিফ আসলামের জনপ্রিয়তা দেশ ছাড়িয়েছে। বলিউডেও তার খ্যাতি কম নয়।
ভারতীয় উপমহাদেশে অগণিত ভক্ত আছে তার। ২০০৫ সালে ‘জহর’ ছবির হিট গান ‘ওহ লামহে’ দিয়ে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলামের বলিউড জার্নি। পরবর্তী দেড় দশক মুম্বাইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গান দিয়ে মাতিয়েছেন ভারতবর্ষ।