মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩৬০০ কনস্টেবল নেবে বাংলাদেশ পুলিশ, আবেদন ফি ৪০ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ব্যাপক সমালোচিত হয় বাংলাদেশ পুুলিশ বাহিনী। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর পুলিশ বাহিনীও আত্মগোপনে চলে যায়। এর পর থেকে দেশে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি দেখা যায়। এবার এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে আবেদন শুরু হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

আগ্রহী প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ থাকতে হবে। আবেদনের জন্য বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তানদের জন্য বিদ্যমান কোটা অনুসৃত হবে।

শারীরিক যোগ্যতা

মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।
মেধা ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬।

যেভাবে আবেদন

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম পূরণের সহায়ক হিসেবে ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং ফরম পূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবেদন ফি

আবেদন ফরম পূরণ করার পর যোগ্য প্রার্থী একটি ইউজার আইডি পাবেন। ওই ইউজার আইডিতে আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা

১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

Header Ad

বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুনঃতদন্তের জন্য জাতীয় কমিশন গঠন কেন করা হবে না, সে বিষয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে সরকারের নিকট জানতে চান।

হাইকোর্ট একইসঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কেন, সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে রিট আবেদনকারীর নিকট এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানাতে।

এর একদিন আগে, সোমবার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন যে, বিডিআর বিদ্রোহের সময়কার এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত কার্যক্রম দ্রুতই শুরু হবে। তিনি বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত হবে এবং অবশ্যই সম্পন্ন করা হবে। এ লক্ষ্যে দ্রুতই একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।”

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। এই নৃশংস ঘটনার রেশ দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোড়ন তোলে।

এই ঘটনার পর, সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআর-এর নাম পরিবর্তন করে 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ' (বিজিবি) রাখা হয় এবং বাহিনীর পোশাকেও পরিবর্তন আনা হয়। বিদ্রোহের বিচার বিজিবির অভ্যন্তরীণ আদালতে সম্পন্ন হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলাটি প্রচলিত আদালতে বিচারাধীন হয়। ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনের মামলায় অনেক বিডিআর সদস্য আজও শাস্তি ভোগ করছেন।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর, হত্যা মামলায় ১৫২ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২৭৮ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট এই মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের রায় প্রদান করেন, যেখানে ১৩৯ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের পর, ২২৬ জন আসামি আপিল করেন। এছাড়া, হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস ও সাজা কমানোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষও আপিল করেছে। বর্তমানে এই আপিলগুলো শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

অন্যদিকে, ২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিচারকাজ শুরু হলেও পরে এই মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রাখা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ প্রথমে হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপনকেই প্রাধান্য দেয়ায় বিস্ফোরক মামলার বিচার কার্যক্রম ঝুলে যায়।

নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি আবারও উঠে এসেছে।

Header Ad

বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামাদের ঢল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাবলিগ ও কওমির শীর্ষ আলেমরা। তারা বলেছেন, গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দিল্লির মাওলানা সাদপন্থীদের আর ঢুকতে দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ নেতারা। তাবলিগ কওমি মাদরাসা ও দ্বীন রক্ষার্থে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ। মহাসম্মেলনে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা বক্তব্য দেন।

ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যায় আলেম–ওলামা জড়ো হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে এ সম্মেলন শুরু হয়। বেলা সোয়া ১টার দিকে সম্মেলন শেষ হয়।

সম্মেলনে আলেমরা বলছেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলিগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলিগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সম্মেলনে মাওলানা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, ওবায়দুল্লাহ ফারুক, রশিদুর রহমান, শায়খ জিয়াউদ্দিন, শায়খ সাজিদুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাহফুজুল হক, আবু তাহের নদভী, আরশাদ রহমানি, সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, আনোয়ারুল করীম, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি মনসুরুল হক, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত আছেন বলে জানিয়েছেন আলেমরা।

Header Ad

এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের দুয়ার। খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটক ও পর্যটনব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় পর্যটকরা পাহাড়ি এ জেলার সব পর্যটন স্থানের পাশাপাশি যেতে পারবেন সাজেকও। এতে করে দীর্ঘ একমাস পর এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ছাড়সহ নানান সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় গাড়ি চালকরা জানান, এটাই তাদের জীবিকা। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষকে পাহাড়ি সৌন্দর্য ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো তাদের কাছে বিশাল আনন্দের ব্যাপার। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ায় তারা বেশ আনন্দে আছেন।

হোটেল ও মোটেল মালিকরা বলছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় গত একমাসে খাগড়াছড়িতে পর্যটন খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। তবে এবার তা কাটিয়ে উঠতে চান তারা।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পর্যটনকে কেন্দ্র করে এখানকার জীবন-জীবিকা গড়ে ওঠেছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এ এলাকা আবারও পর্যটকদের উপস্থিতিতে সরব থাকবে।’

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনার কারণে গত ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর ও সাজেকে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত আরও ৩৩
মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা
আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বদলগাছিতে মাইক্রোবাস থেকে ককটেল নিক্ষেপ, ৬টি উদ্ধার
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ বন্ধ, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ৪০ হাজার কোটি ঋণ পরিশোধ