বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভ্রমণ ভিসায় বিদেশে নিয়ে নির্যাতন ও অর্থ আদায় করেন তারা

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) এক অভিযানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে অবৈধভাবে মানবপাচার চক্রের অন্যতম হোতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট জব্দ করে সংস্থাটি।

তাদের গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব বলছে, বিদেশগামী যাত্রীদের প্রথমে ভ্রমণ ভিসা দেয় এই চক্রটি, পরে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া হবে বলে জানায়। সেটি না দিয়ে যাত্রীদের বলে ভিসা এখন বন্ধ। এরপর ভ্রমণ ভিসায় বিদেশে পৌঁছানোর পর দালালরা ভিকটিমদের অজ্ঞাত স্থানে বন্দি করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে অর্থ আদায় করেন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

এর আগে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল সোমবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও রাজধানীর গুলশান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে মানবপাচার চক্রের এ সব সদস্যদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- তোফায়েল আহমেদ (২৮), মো. আক্তার হোসেন (৩৮), মো. আনিছুর রহমান (৩৬), মো. রাসেল (৩০)।

গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের কাছ থেকে ১৬টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক বই, ৪টি স্ট্যাম্প, ৫টি মোবাইল ফোন, ৪টি বিএমইটি কার্ড, ৪টি রেজিস্ট্রার উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-৩ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সদস্য। এই চক্রের মূল হোতা দুবাই প্রবাসী তোফায়েল আহমেদ ও বাংলাদেশে ওই চক্রের অন্যতম হোতা মো. আনিছুর রহমান ও মো. আক্তার হোসেন। এ ছাড়াও আসামি মো. রাসেল হচ্ছেন তাদের অন্যতম সহযোগী।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে ভিকটিম এবং তাদের অভিভাবকদের প্রলুব্ধ করেন। মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর খরচ বাবদ প্রাথমিকভাবে তারা ৪ হতে ৫ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন। এ ছাড়াও ইউরোপ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে পাঠানোর জন্য তারা ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, তাদের প্রলোভনে পড়ে ভিকটিম এবং তাদের অভিভাবকরা রাজি হলে প্রথমে তারা পাসপোর্ট এবং প্রাথমিক খরচ বাবদ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে থাকেন। তারপর ভিকটিম এবং অভিভাবকদের বিদেশ থেকে তাদের বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে ফোন দিয়ে তাদের আশ্বস্ত করে যে, আসামিদের মাধ্যমে বিদেশ গিয়ে তারা খুব ভাল আছে এবং অনেক অর্থ উপার্জন করে তারা তাদের ভাগ্য বদল করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ফোন পাওয়ার পর ভিকটিম এবং অভিভাবকরা আরও অধিক আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এ সব সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পরিবহন খরচ, ভিসা খরচ, মেডিকেল খরচ, বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি খরচের কথা বলে আসামিরা ধাপে ধাপে ভিকটিমদের থেকে টাকা আত্মসাৎ করতে থাকেন। অভিভাবকরা স্বপ্নে বিভোর থাকেন। ফলে এই সময়ে ভিকটিম আসামিদের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন না।

অন্যদিকে আসামিরা ফ্লাইটের পূর্বে ভিকটিমের পাসপোর্ট, ভিসা কিংবা টিকেট কোনো কিছুই হস্তান্তর করে না। আসামিদের চাহিদা মাফিক ভিকটিম এবং অভিভাবকদের থেকে অর্থ আদায় শেষ হলে আসামিরা একটি নির্দিষ্ট তারিখে কাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বিমান বন্দরে হাজির হতে বলেন। বিদেশে ফ্লাইটের দিন বিমান বন্দরে প্রবেশ গেটে ভিকটিমদের তাদের পাসপোর্ট, ভিসা এবং টিকেট হস্তান্তর করা হয়। বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পর ভিকটিম বুঝতে পারেন তাকে ভ্রমণ ভিসায় বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। তখন আসামিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা ছাড়া ভিকটিমের কিছুই করার থাকে না। আসামিরা তখন আশ্বস্ত করে বিদেশ যাওয়ার পর তাদের ওয়ার্কিং ভিসা করে দেওয়া হবে।

র‌্যাব জানায়, বিদেশে পৌঁছার পর দুবাই প্রবাসী জাহিদ ভিকটিমদের স্বাগত জানিয়ে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তারপর ভিকটিমের কাছ থেকে পাসপোর্ট ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারপর তাদের একটি সাজানো কোম্পানিতে চাকরি দেওয়া হয়। চার পাঁচ দিন পর ওই কোম্পানি থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, কোম্পানি আইনি জটিলতার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারপর জাহিদ ভিকটিমদের অজ্ঞাত স্থানে বন্দি করে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে অর্থ আদায় করেন।

র‌্যাব-৩ অধিনায়ক বলেন, আসামিদের ট্রাভেল এজেন্সি বা রিক্রুটিং এজেন্সি পরিচালনার কোনো লাইসেন্স নেই। তারা শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সিটি এক্সপ্রেস ট্রাভেল এজেন্সি নামে মানবপাচার ব্যবসা করে আসছে। স্বল্প সময়ে, বিনাশ্রমে অধিক লাভ বা অর্থ উপার্জনই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। ভিকটিমরা বিদেশ গিয়ে কোনো কাজ না পেয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার এবং আর্থিকভাবে সর্বশান্ত হলেও তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হয়।

তিনি বলেন, এই ধরনের অপরাধ থেকে দূরে থাকতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হবে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

কেএম/আরএ/

Header Ad

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। ছবি: সংগৃহীত

অবাধে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে অনুমতি ছাড়াই ঢুকতে পারলেও গত এক মাস যাবৎ সেখানে প্রবেশ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন।

তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য সকাল ১১টার দিকে অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, যদি কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।

প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় এমপিরাজ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সাত দিন ধারাবাহিক কর্মসূচির প্রথম দিনে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি, স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারাও সুযোগ পাচ্ছে না। মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের কারণে জিম্মি স্থানীয় জনগণ। প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় এমপিরাজ তৈরি হয়েছে, তাও ডামি এমপি। আজকে ডামি এমপির স্বজনদের দিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে এমপিরাজ।

রিজভী বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা বারবার বলেছেন, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন না। কিন্তু গণবিরোধী প্রধানমন্ত্রী গণবিরোধী প্রজেক্ট করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা গলাচিপা, বাউফলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছেন।

দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে জিয়াউর রহমান রেশনিং ব্যবস্থা তুলে নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ দেশের অর্থনীতিকে লুটতরাজ করে ভঙ্গুর করে ফেলেছে। মুখে স্বয়ংসম্পূর্ণের কথা বলে আবার রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। তাও সাধারণ মানুষ এর আওতায় নয়, আওয়ামী গোষ্ঠী এই রেশনিং কার্ডও দলীয়করণ করেছে।

জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি, স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তিনি বলেন, প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ডলারের দামে আমদানি করতে হচ্ছে। মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে পারছে না। আজকে সন্তান বিক্রি করে পেট চালাতে হচ্ছে।

রিজভী বলেন, ফরিদপুরে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে ২ হাজার কোটি টাকা..., সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই নাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছেন। এই আলাদীনের চেরাগ কই থেকে আসলো। কানাডা, দুবাই, মালয়েশিয়ায় এত বাড়ি-ঘরের মালিক কীভাবে হলেন? একসময় আজিমপুর কবরস্থানে যেতে হবে, সেটা তারা ভুলে গেছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চেয়েছেন বিএনপির কর্মসূচির দিন কেন আপনারা পাল্টা কর্মসূচি দেন? তিনি বললেন, বিএনপিকে মানসিকভাবে বাধা দেওয়ার জন্য আমরা পাল্টা কর্মসূচি দেই। এতেই প্রমাণ হয়, ওবায়দুল কাদেরের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলেন। উনি (ওবায়দুল কাদের) চাঁদাবাজ ও গুন্ডাদের গডফাদার।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোহন, হাজী মনির হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু প্রমুখ।

অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাউলো ফারনান্দ ফেরেস। ছবি: সংগৃহীত

অনুমতি মিললে ঈদের আগেই ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাউলো ফারনান্দ ফেরেস।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এ কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলের খামারগুলো রপ্তানির লক্ষ্যে প্রচুর পরিমাণ পশু প্রস্তুত করেছে। দীর্ঘদিন থেকে ব্রাজিল সারা বিশ্বে গোমাংস রপ্তানি করে আসছে। এর আগে বাংলাদেশে মাংস রপ্তানির আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে জীবন্ত পশুর বিশাল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিলে আগামী জুনের ভেতর জীবন্তু গরু আনা সম্ভব।

বক্তব্য রাখছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাউলো ফারনান্দ ফেরেস

এদিকে আগামী জুলাইয়ে জি টোয়েন্টি সম্মেলনের আগেই ব্রাজিলে দ্বিপাক্ষিক সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে খেলা, নিরাপত্তা, কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত। এছাড়া রাজধানী ঢাকাতে ব্রাজিলের ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকায় ব্রাজিলের ভিসা সেন্টার খোলার ব্যাপারে কাজ চলছে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান হতে পারে ভিসা সেন্টার।

ফেরেস বলেন, বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জুনে ব্রাজিল সফরের কথা রয়েছে। যদি সেটা হয় তাহলে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি তা হয়ত স্বাক্ষর হতে পারে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকেও গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত। বলেন, বিশ্বে অনেক সমস্যা থাকলেও রোহিঙ্গা সমস্যাকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবেনা। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই চলবে ব্রাজিল। ফলে আইপিএস কিংবা বিআরআই নিয়ে আপাতত ব্রাজিলের কোনো ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে চিঠি দুদকের
ভূমি মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নেবে ২৩৮ জন
জয়কে আজীবন বয়কট, ২ জনকে সাময়িক বহিষ্কার
বৃষ্টির আশায় নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলে পঁচা মাংস বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে’
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতি
তীব্র গরমে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের সময়মত ব্যবস্থা
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
বিশ্বজুড়ে চলমান যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়