শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

সাঁড়াশি অভিযানেও বন্ধ হয়নি ইয়াবা কারবার

বন্দুকযুদ্ধে প্রাণহানিতেও বন্ধ হয়নি ইয়াবা পাচার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান এখনো চলছে। বরং পাচারকারীরা নিত্য-নতুন কৌশলে কাজ করছে। সম্প্রতি ইয়াবার বেশ কিছু চালান ধরা পড়েছে যেখানে পাচারকারীরা লোক ভাড়া করে তাদের ইয়াবা গিলিয়ে বা পায়ুপথ দিয়ে শরীরের ভেতরে ঢুকিয়ে ইয়াবা পাচারের কাজ করেছে।

সংশ্লিষ্ট বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ৪ মে একযোগে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রায় ৪০০ মাদক কারবারি নিহত হন।

সে সময় গ্রেপ্তার হন ২ লক্ষাধিক মাদক কারবারি। কিন্তু তারপরও বন্ধ করা যায়নি মাদক ব্যবসা। অনেক মাদক কারবারি জেল থেকে বের হয়ে আবারও নতুন করে কৌশলে মাদকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বলেও সূত্র জানায়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে জানা যায়, ২০১৮ সালের মের পর থেকে থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পযর্ন্ত প্রায় শতাধিক মাদককারবারি নিহত হন।

গোয়েন্দা তথ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান মাদকাসক্তদের ৫৮ শতাংশ ইয়াবাসেবী। ইয়াবার কারবারের সঙ্গে কয়েক শ্রেণির মানুষ জড়িত। এরমধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদসহ অনেকেই আছেন!

ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছিল। সেই অভিযানে মাঠপর্যায়ের মাদক কারবারিরা ধরা পড়লেও বড় কারবারি কিংবা পৃষ্ঠপোষকেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। অভিযানকালে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও ওঠে।

অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নতুন করে ইয়াবা কারবারিদের নাম প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে মোট ২৫৫ ইয়াবা কারবারির তালিকা নিয়ে হইচই চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই তালিকায় উঠে এসেছে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ অনেকের নাম। তবে এটি এখনো ফাইনাল নয় ভেতরে ভেতরে ঘটনার তদন্ত চলছে।

বেশ কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে পেটের ভেতর ইয়াবা পাচারকালে রুবেল হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ইয়াবার বিষয়টি রুবেল তার স্ত্রীকে বলেন। এরপর তাকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে রুবেলের বিষয় নিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, তার পেট থেকে ইয়াবার প্যাকেটগুলো বের করার চেষ্টা চলছে। তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। আর কয়েকদিন পলিথিনসহ ইয়াবা পেটে থাকলে তিনি মারা যেতেন।

অসুস্থ রুবেল হোসেনের স্ত্রী সাহিদা বেগম বলেন, আট দিন আগে পেটের ভেতর করে পাচার করার জন্য ১৭ প্যাকেট ইয়াবা কুমিল্লা থেকে গিলে ফেলেন। যার মধ্যে ৪০টা করে ইয়াবা থাকে বলে তিনি জানান। পরে অসুস্থ হয়ে বাসায় চলে আসেন। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দুজন প্রতিবেশীর সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। এখনো তার চিকিৎসা চলছে।

সাহিদা বেগম আরও বলেন, আমার মতো কেউ যেন বিপদে না পড়ে। ইয়াবা আমার ঘর সংসার সব শেষ করে দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ইয়াবার পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশলে কাজ করে। রুবেলের মতো অসংখ্য মানুষ এমন কাজ করছে তবে তারা 'চুনোপুঁটি'। সরকারি বাহিনীর দাবি, মাদক কারবারিরা ইয়াবা গিলিয়ে বা পায়ুপথ দিয়ে শরীরের ভেতরে রেখে পাচারের কাজ করে। এজন্য মূলত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা যায় না। ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে সেবনকারী ও অন্যদের কাজে লাগিয়ে গোপনে কাজ করে। এজন্য তাদের নাম পাওয়া কষ্টকর হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, একাধিক পাচারে বাহক হিসেবে ব্যবহার হওয়া গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ঢাকায় চালান নিয়ে আসতে একেকটি ইয়াবা বড়ির জন্য অনেক টাকা করে দেওয়া হয়।

অবশ্য ইয়াবা পাচারের এমন সব বিভিন্ন কৌশল নিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, এই প্রক্রিয়ায় ইয়াবা পাচারের ব্যক্তির যেকোনো সময় মৃত্যুও হতে পারে। কারণ, মানুষের পাকস্থলিতে খাবার হজমের জন্য যে রস থাকে, সেটি ইয়াবা বড়িকেও গলিয়ে ফেলতে পারে। তা ছাড়া পলিথিনে মোড়ানো ইয়াবা পচে অনেকেরই মৃত্যু হতে পারে।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক সুদ্বীপ রঞ্জন বলেন, পেটের মধ্যে অতিরিক্ত ইয়াবা বা অন্যান্য মাদক জাতীয় যে কোনো জিনিস বেশি সময় ধরে থাকলে বা হজম না হলে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে ৯৮ শতাংশ। এভাবে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে এই প্রক্রিয়ায়। আর পায়ু পথ দিয়ে ক্রমাগত এগুলো বের করতে থাকলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।

তিনি আরও বলেন, ইয়াবা বড়ি কয়েকটা পেটের ভেতর গলে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত।

মাদকাসক্তদের মাঝে নব্বই এর দশকে জনপ্রিয় ড্রাগ ছিল হেরোইন। আর আশির দশকে ছিল ফেনসিডিল, যা নব্বই এর দশকেও বিদ্যমান ছিল। পরবর্তীতে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বাংলাদেশে ইয়াবা নামক একটি ট্যাবলেট নেশার উপকরণ হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাবিষয়ক সাময়িকীতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের হনোরারি মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল ইসলামের একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ওই প্রতিবেদনে জানা গেছে, বর্তমান মাদকাসক্তদের ৫৮ শতাংশ ইয়াবাসেবী। গবেষকরা বলছেন, যার অধিকাংশই অল্পবয়সী ছেলেমেয়ে। বিভিন্ন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যারা চিকিৎসার জন্য শরণাপন্ন হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই ইয়াবাসেবী। হেরোইন ও ফেনসিডিলের চল এখনো আছে। কিন্তু তা সীমিত পর্যায়ে। ইয়াবা, হেরোইন ও ফেনসিডিলের জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স বা শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা করেছে। এরপরও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে মাদকের চোরাচালান। সরকারি একটি পরিসংখ্যানের তথ্য মতে, শুধু কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা বড়ি উদ্ধার চার বছরের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

জানা গেছে, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২০১৯ সালে কক্সবাজারে ১ কোটি ৭৭ লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছিল। ২০২১ সালে যেখানে ২৪ কেজি আইস উদ্ধার হয়েছিল, গেল বছর সেখানে ১৯২ কেজি আইস উদ্ধার হয়েছে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে টেকনাফ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ১০১ মাদক কারবারি আত্মসমর্পণ করেন। আশা করা হয়েছিল, এর ফলে টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তে মাদক চোরাচালান কমবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটাই ঘটেছে। সম্প্রতি ওই মাদক কারবারিদের বিচারের রায় ঘোষিত হওয়ার পর তাদের আত্মসমর্পণ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদক ব্যবসার সর্বোচ্চ শাস্তি যেখানে মৃত্যুদণ্ড, সেখানে তাদের দেড় বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ৮৩ জনই পলাতক। পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ৪ ভাইসহ ১২ জন নিকটাত্মীয়। সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা তাদের এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি।

এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নতুন প্রকাশিত ২৫৫ ইয়াবা কারবারির তালিকা নিয়ে হইচই চলছে। তালিকায় উঠে এসেছে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ অনেকের নাম। মন্ত্রী বলেন, তালিকায় নাম থাকলেই যে ইয়াবা কারবারি হয়ে যাবে ‍বিষয়টি এমন না। সেই জন্য দ্রুত তালিকা যাচাই-বাছাই করে ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যদের। তা ছাড়া ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। তবে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও দমতে এগিয়ে আসতে হবে।

কেএম/এসএন

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে যাত্রীবাহী একটি বাস সেতু থেকে গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় সবাই মারা গেলেও অদ্ভুদভাবে একটি মেয়ে শিশু বেঁচে গেছে।

পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর পঁয়তাল্লিশ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য এই ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিবিসি বলছে, উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে বাসটি একটি ব্যারিয়ারে ধাক্কা দেওয়ার পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং পরে এটিতে আগুন ধরে যায়। যাত্রীরা সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পাবলিক ব্রডকাস্টার এসএবিসি জানিয়েছে, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথে একটি সেতু থেকে ছিটকে পড়ে।

উদ্ধার তৎপরতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিহত কয়েকজনের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।

পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং পরে তিনি ‘মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা’ জানান। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা আপনার সাথে আছে। আমরা এই ইস্টার উইকএন্ডে আমাদের রাস্তায় আরও বেশি লোক থাকায় আরও বেশি সতর্কতার সাথে সবসময় দায়িত্বশীল ভাবে ড্রাইভিং করার জন্য অনুরোধ করছি।’

অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার খারাপ সড়ক নিরাপত্তার রেকর্ড রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আগেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বকেয়া পরিশোধ ও আগামী এক মাসের মধ্যে ভাতা বৃদ্ধির আশ্বাসে কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা।

পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ঈদের আগে রেসিডেন্ট, নন-রেসিডেন্ট ও এফসিপিএস ট্রেইনিদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ করা হবে। সেইসঙ্গে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানানো হবে। ভাতা বাড়বে এই নিশ্চয়তা তিনি দিয়েছেন।

জাবির হোসেন বলেন, তার (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) আশ্বাসে আগামী এক মাসের জন্য আমাদের আন্দোলন স্থগিত করা হলো। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরাই একটি হাসপাতালের প্রাণ। তারা খেয়ে না খেয়ে হাসপাতালের রোগীদের সেবা করেন। আমি তাদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা বুঝে নিজেই ফাইল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, সিনিয়র চিকিৎসকরা রাউন্ড দিয়ে চলে গেলে এসব চিকিৎসকরাই রোগীদের নানারকম অসুবিধাগুলোর দেখভাল করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল নিয়ে যাওয়ার পর তিনি ফাইল গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি অতি দ্রুত দেশের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির সুরাহা করতে উদ্যোগ নেবেন বলেছেন।

ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ছয় মাস ধরে চলছে দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন। আর এতে অঞ্চলটিতে নিহতের মোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩২ হাজার ৫৫২ জনে। সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এই অঞ্চলে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ইসরায়েলকে নির্দেশও দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত।

তবে ইসরায়েলি সেনারা মত্ত অন্য কাজে। তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে পাওয়া নারীদের অন্তর্বাসের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে খেলা করছে। আর সেই কাজের ছবি এবং ভিডিও অনলাইনে পোস্টও করছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে পাওয়া নারীদের অন্তর্বাসের সাথে অশ্লীলভাবে নিজেদের খেলা করার ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করছে।

একটি ভিডিওতে, একজন ইসরায়েলি সৈন্যকে গাজার একটি ঘরে আর্মচেয়ারে বসে হাসতে দেখা যায়। তার এক হাতে বন্দুক এবং অন্য হাতে সাদা সাটিনের অন্তর্বাস ঝুলছে। তিনি মূলত পাশের সোফায় শুয়ে থাকা আরেক সেনার খোলা মুখের ওপর সেই অন্তর্বাস নাড়াচাড়া করছেন।

অন্য এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি এক সেনা ট্যাংকের ওপর বসে আছে। এসময় নারীদের একটি ম্যানিকুইনকে (পোশাকের দোকানের পুতুল) কালো ব্রা এবং হেলমেট পরিয়ে ধরে রেখে সেই সেনা বলছে, ‘আমি সুন্দর স্ত্রী পেয়েছি। গাজায় সম্পর্কে জড়িয়ে গেছি, সুন্দরী নারী।’

রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলি সৈন্যদের ধারণ করা অনেকগুলো ভিডিও ও ছবির মধ্যে এ দুটি ভিডিও রয়েছে। এ রকম বহু পোস্ট রয়েছে যেখানে ইসরায়েলি সৈন্যদের ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস, ম্যানিকুইনকে এবং কিছু ক্ষেত্রে দুটোই প্রদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে। অন্তর্বাসের এসব ছবি অনলাইনে দেখা হয়েছে কয়েক হাজারবার।

ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামে এ রকম আটটি পোস্টের সত্যতা যাচাই করেছে রয়টার্স। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, ‘এই ধরনের ছবি পোস্ট করা ফিলিস্তিনি নারীদের এবং সমস্ত নারীদের জন্য অবমাননাকর।’

সর্বশেষ সংবাদ

সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রী নিহত, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত
ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড
বাতিঘরের শ্যুটিংয়ে হিমাচলে শিরোনামহীন ব্যান্ড
যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখুন এ সব
গাজায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি
৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু আজ
ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে
দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা
বাংলাদেশে আসছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম
চট্টগ্রামে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪