বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। রবিবার (৫ মার্চ) দুপুর একটার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এদিকে এ সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গাণমাধ্যমকর্মীরা আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সায়েন্সল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এতে রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আহত শিক্ষার্থী পপুলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।

রাস্তা বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন নিউ মার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান করছেন। পুরো এলাকায় বন্ধ করে রেখেছেন তারা। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের পুলিশ কাজ করছে।

এ সময় সাইন্সল্যাব এলাকায় ধসে পাড়া ভবনের সংবাদ প্রকাশ করতে আসা সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের ভিডিও করতে গেলে তারা গণমাধ্যম কর্মীদের ক্যামেরা কেড়ে নেয় এবং কয়েকজনকে লাঞ্চিত করে। এ সময় পুলিশ তাদের রক্ষা করে।

প্রথমআলোর ক্যামেরাম্যান জাকারিয়া বলেন, তারা লাঠি সোটা হাতে নিয়ে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটাতে যাচ্ছে আর আমরা ভিডিও করলে দোষ?

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে আহত হন ঢাকাপ্রকাশ-এর স্টাফ রিপোর্টার মেহেদী হাসান খাজা।

জানতে চাইলে রমনা বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করেন। তাদের আন্দোলনের কারণে সাধারণ মানুষ যানজটের কবলে পড়ে এবং বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি কাাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।

ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিউমার্কেট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কেএম/এসএন

 

আজকের ইফতারের সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

বিরামপুরে জমজ সন্তানের একজন জন্ম নিলো এক পা নিয়ে

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে জমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। এদের মধ্যে এক নবজাতকের কেবল একটি পা রয়েছে । সেই পায়ে রয়েছে সাতটি আঙুল। নেই কোন মলদ্বার ও যৌনাঙ্গ।

বুধবার(২৭ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে পৌর শহরের মডার্ন হেলথ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। প্রসূতি তাসলিমা বেগমের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া গ্রামে। তাসলিমার স্বামী মাহফুজুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক।

মডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্র পাল বলেন, বুধবার বেলা তিনটার দিকে তাসলিমা বেগম নামে এক নারীকে তাঁর পরিবারের লোকজন সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিকেল ৪টার দিকে ক্লিনিকের চিকিৎসক ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (মা ও শিশুস্বাস্থ্য) তাহেরা খাতুন ওই নারীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন। প্রথমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। পরে দ্বিতীয় যে সন্তানের জন্ম হয়, তার একটি পা, মলদ্বার ও যৌনাঙ্গ নেই। এখন পর্যন্ত দুটি সন্তানই সুস্থ আছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাহেরা খাতুন বলেন, এ ধরনের শিশুর জন্ম সাধারণত জেনেটিক্যাল (জিনগত) সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে গর্ভকালে শরীরে ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি বা রুবেলা ভাইরাসের প্রভাবেও এটি হতে পারে। এ ছাড়া ভাইরাল ইনফেকশনের কারণেও এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ শিশুর জন্ম হতে পারে।

তাহেরা খাতুন আরো বলেন, এ ধরনের শিশু সাধারণত বাঁচে না। শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে শিশুর মা–বাবাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শিশুটির বাবা ভ্যানচালক মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমি গরিব মানুষ। ভ্যান চালিয়ে সংসারে চলে। যদি কোন দানশীল মানুষ আমাকে সাহায্য-সহযোগিতা করতো তাহলে শিশুটির চিকিৎসা করতে পারতাম।

দায়িত্ব নিয়েই বিএসএমএমইউ উপাচার্য বললেন ‘দুর্নীতি করবো না, প্রশ্রয়ও দেব না’

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। দায়িত্ব নিয়েই সবার উদ্দেশ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার কথাও বলেছেন এ কর্মকর্তা।

উপাচার্য বলেন, ‘আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।’

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন উপাচার্য এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করবো না। কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে আমাকে সহযোগিতা করবেন।’

দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার কাছে সবাই সমান। আমি কারও অন্যায় আবদার শুনবো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলে দিয়েছেন। আমার অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমি মনে করি- আপনারা সবাই খুবই ক্যাপাবল। বছরের পর বছর এখানে শ্রম দিয়ে আসছেন। সবাইকে জড়িয়ে ধরে এক সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমি প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাতে আসিনি, আমি আপনাদের বন্ধু হয়ে কাজ করতে চাই। আপনাদের পাশে থেকে সব সমস্যা সমাধান করব।’

চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে নতুন উপাচার্য বলেন, ‘অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই আমি সবচেয়ে খুশি হবো। অন্যকিছু দিয়ে আমাকে খুশি করা যাবে না। কেউ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে। যিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তিনিই দায়িত্ব নেবেন।’

দীন মোহাম্মদ আরো বলেন, ‘আমার রুমে এসে অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করা আমি পছন্দ করবো না। আপনারা সবাই অনেক কর্মঠ, কাজের মাধ্যমেই আপনাদের সঙ্গে আমার কথা হবে। অনুরোধ করবো- আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন। আমি আপনাদের মতোই একজন।’

প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলিম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এই চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়। তিনি পাকুন্দিয়া এলাকার মানুষের কাছে ‘ননী ডাক্তার’ নামে পরিচিত। অত্র অঞ্চলের সবাই তাকে ননী ডাক্তার হিসেবেই চেনে।

ময়মনসিংহে বাসচাপায় শিশুসহ নিহত ৩

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ত্রিশালের উজানপাড়ায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টার এদিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সকালে মাদানি সিএনজি পাম্প সংলগ্ন উজানপাড়ায় একটি বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এনামুল হকের দুই বছর বয়সী মেয়ে রুবায়া তাসনিম এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সিএনজিচালক শরিফুল ইসলাম (৩৩) মারা যান। এ ঘটনায় নিহত অপরজনের নাম জানা যায়নি।

আহতরা হলেন, রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মনি আক্তার (৪৫) ও একই গ্রামের শামীম আহমেদের স্ত্রী সাহিদা আক্তার (৪৫)। বাকি তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে জমজ সন্তানের একজন জন্ম নিলো এক পা নিয়ে
দায়িত্ব নিয়েই বিএসএমএমইউ উপাচার্য বললেন ‘দুর্নীতি করবো না, প্রশ্রয়ও দেব না’
ময়মনসিংহে বাসচাপায় শিশুসহ নিহত ৩
এপ্রিলে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির
টাকার বিছানায় ঘুমিয়ে ভাইরাল নেতা
অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা
দ্রুত ভিসা দিতে নতুন যেসব নির্দেশনা দিলো ইতা‌লি দূতাবাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উপেক্ষা ইসরায়েলের, গাজায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০
কুড়িগ্রামের পথে ভুটানের রাজা
বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : ম্যাথিউ মিলার
আজ ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল
আজ ঐতিহাসিক ‘বদর’ দিবস
নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
‘তুফান’ এ দুর্ধর্ষ লুকে শাকিব
আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড ২৭৭ রান করলো হায়দরাবাদ
নববর্ষ নিয়ে অপপ্রচার চালালে আইনি ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
আবারও হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
দেশে স্বাস্থ্যসেবায় ৫ বছরে ব্যয় বেড়েছে ৩ গুণ
নির্বিকার মন্ত্রীরা সীমান্তে রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছেন: ফখরুল