রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের হত্যা মামলা-বাণিজ্য; পুলিশ থেকে ঘুষ নিচ্ছে পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে একটি হত্যাচেষ্টার মামলা বাণিজ্য থেকে রেহাই মিলছে না পুলিশ কর্মকর্তাদেরও। তাই মামলাটি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এই মামলার আসামি ছিলেন আইন ও সালিস কেন্দ্রের চেয়ারপারসন ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তাঁর নাম প্রত্যাহার করেন বাদী। সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন থেকে শুরু করে ৩৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা আসামি রয়েছেন। এর মধ্যে তিন পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মামলার আসামি থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে লাখ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।

শুধু এ ঘটনাই নয়, রাজধানীর আদাবর থানায় মামলা বাণিজ্য ও আসামিদের হয়রানির কারণে শাহিন পারভেজ নামের এক সাব-ইন্সপেক্টরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই তথ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী নিজেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

গত ১৭ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় মো. বাকের নামের এক ব্যক্তি তাঁর ছেলে আহাদুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলাটিতে ১৮০ জন আসামির মধ্যে ১ নম্বরে আছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদসহ ৩৬ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৬ নম্বর আসামি ইন্সপেক্টর পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী, ৩২ নম্বর আসামি সাব-ইন্সপেক্টর রাশেদুর রহমান এবং ৩৩ নম্বর আসামি সাব-ইন্সপেক্টর অনুপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তাঁদের অসামি করা হয়েছে। এখন মামলা থেকে নাম কেটে দেওয়ার কথা বলে এক থেকে দুই লাখ টাকা করে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক একটি দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা ও পুলিশ মিলে মামলা বাণিজ্যের সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তারা ইন্সপেক্টরদের কাছ থেকে দুই লাখ, সাব-ইন্সপেক্টরদের কাছ থেকে এক লাখ এবং এএসআইদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করছে। না দিলে তাঁদের আরো হত্যা মামলার আসামি করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

সাব-ইন্সপেক্টর রাশেদুর রহমান জানান, মামলায় উল্লেখিত ঘটনার ১১ দিন আগে তাঁকে রামপুরা থেকে ভাসানটেক থানায় বদলি করা হয়। ভাসানটেক রামপুরা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এবং এটা সম্ভব নয় যে তিনি রামপুরায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি করতে পারেন এবং একই সময়ে ভাসানটেকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তিনি মামলার নাম কাটাতে টাকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

একইভাবে ইন্সপেক্টর পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারীও চাঁদা দিতে রাজি নন। তিনি জানান, তাঁর কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে, অন্যথায় ভবিষ্যতে তাঁকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করার হুমকি দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা জানান, তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছে। না দিলে পাঁচটি হত্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

এসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৮ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইটের আঘাতে তিনি আহত হন। পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মামলার পর একজন সহকর্মী তাঁকে জানান, এক লাখ টাকা দিতে হবে, নতুবা হত্যা মামলায় জড়ানো হবে। তবে অনুপ নিজেকে অপরাধী মনে না করায় তিনি টাকা দেওয়ার পক্ষে নন।

মামলা দায়েরকারী মো. বাকের (৫২) বনশ্রীতে সবজি বিক্রি করতেন। তিনি একাধিকবার গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি মামলার আসামিদের চেনেন না। তিনি ছেলের আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন। ওই সময় জসিম নামের একজন আইনজীবী এবং আরো কয়েকজন ব্যক্তি এজাহার লিখে দেন এবং তাঁকে স্বাক্ষর করতে বলেন। পরে তিনি স্বাক্ষর করে দেন।

১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১০৯/৩৪ ধারায় খিলগাঁও থানায় মামলাটি দায়েরের পর থেকেই সমালোচনা শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার সাব-ইন্সপেক্টর ইমরান হোসেন রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বলেন, ‘বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা জড়িত কি না সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ কতজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা দেখে বলতে হবে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসামিদের কাছ থেকে কেউ টাকা চেয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। জানার কথাও না।’

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সম্প্রতি এই ধরনের অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত ৯ ডিসেম্বর তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের মামলা বাণিজ্যের কারণে এক এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের মামলা বাণিজ্যে পুলিশও জড়িত। আমার লোক (পুলিশ) যে সব ভালো তা বলব না। আমার কাছে যাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট রেঞ্জ থেকে ডিএমপিতে বদলি হয়ে আসা শাহিন পারভেজকে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় আদাবর থানায় দায়ের করা একটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পেয়ে মামলার এক আসামির কাছে টাকা দাবি করেন তিনি। ভুক্তভোগী বিষয়টি ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানালে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়।

Header Ad
Header Ad

ইলন মাস্কের ইন্টারনেট বাংলাদেশে: সুবিধা কি, খরচ কত?  

ছবিঃ সংগৃহীত

এই মুহূর্তে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের মহাকাশযান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। মূলত স্পেসএক্সের ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের মাধ্যমে এই সেবা দেয়া হবে।

১৩ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন।

প্রশ্ন হলো, স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে কী সুফল পাওয়া যাবে।

প্রযুক্তি খাতের ব্যক্তিরা বলছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা পাওয়া যাবে। ফলে ইন্টারনেট–সেবার ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচে যাবে। গ্রামে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংসহ ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ করতে পারবেন তরুণেরা। দুর্যোগের পর দ্রুত যোগাযোগ প্রতিস্থাপনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে স্টারলিংক।

বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ৬ ধরনের ইন্টারনেট দেখা যায়:

১. ডায়াল-আপ ইন্টারনেট
২. ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন বা ডিএসএল ইন্টারনেট
৩. স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
৪. ক্যাবল ইন্টারনেট
৫. ওয়ারলেস ইন্টারনেট
৬. সেলুলার ইন্টারনেট

বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলেই মানুষ ক্যাবল ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশে এখন যে ইন্টারনেট–সেবা দেওয়া হয়, তা সাবমেরিন কেব্‌লনির্ভর। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ এনে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) মানুষকে ইন্টারনেট–সেবা দেয়। ক্যাবল ইন্টারনেট সাধারণত সাবমেরিন ক্যাবল বা অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। তবে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কোনো তার ছাড়াই সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে সেবা দেয়া হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল বা গ্রামে যেখানে ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন করা কঠিন, সেখানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যেতে পারে।

স্টারলিংক ইন্টারনেট–সেবা দেয় স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। স্টারলিংকের মূল প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের ইন্টারনেট-সেবা জিওস্টেশনারি (ভূস্থির উপগ্রহ) থেকে আসে, যা ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার ওপর থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত হাজার হাজার স্যাটেলাইটের একটি সমষ্টি হচ্ছে স্টারলিংক, যা পুরো বিশ্বকেই উচ্চগতির ইন্টারনেট–সেবা দিতে পারে।

স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেটের গতি কেমন:

স্পিডটেস্ট প্রতিষ্ঠান উকলা অনুসারে, স্টারলিংক লিথুয়ানিয়ায় ২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৬০ এমবিপিএস ডাউনলোড গতি রেকর্ড করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৯১ এমবিপিএস, কানাডায় ৯৭ এমবিপিএস ও অস্ট্রেলিয়ায় ১২৪ এমবিপিএস পাওয়া গেছে। মেক্সিকোতে স্টারলিঙ্কের গতি রেকর্ড করা হয়েছে গড়ে ১০৫ দশমিক ৯১ এমবিপিএস।

স্টারলিংকের বড় সুবিধা হলো আড়িপাতার সুযোগ নাই। বিগত সরকারের আমলে আড়িপাতার শর্তের কারণে স্টারলিংক বাংলাদেশে বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছিলো।তারপরও তিন বছর ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করার আগ্রহ দেখাচ্ছে স্টারলিংক। নতুন সরকার কি আড়িপাতার ক্ষেত্রে ছাড় দেবে, নাকি স্টারলিংক শর্ত মেনে বাংলাদেশে আসবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

 

Header Ad
Header Ad

ভারতের তামিলনাড়ুর শতবর্ষী ম্যাগাজিনে মোদির ব্যঙ্গচিত্র, ওয়েবসাইট ব্লক নিয়ে বিতর্ক

কার্টুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত-পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় বসে থাকার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তামিলনাড়ুর শতবর্ষী ম্যাগাজিন ‘ভিকাতান’ (Vikatan) এক ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে বিতর্কের মুখে পড়েছে। ওই কার্টুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত-পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় বসে থাকার চিত্র আঁকা হয়। ব্যঙ্গচিত্রটি প্রকাশের পর ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানোর পরই ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বের অভিযোগ তুলছেন বিরোধী দলগুলো।

১৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ব্যঙ্গচিত্রটিতে দেখা যায়, ট্রাম্পের সামনে মোদির হাত-পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় বসে আছেন। এটি মূলত আমেরিকা থেকে ভারতীয় অভিবাসীদের হাতে হাতকড়া ও পায়ে বেড়ি পরিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনার প্রতিবাদে আঁকা হয়েছিল। কিন্তু এর পরিবর্তে মোদির আমেরিকা সফরের দৃশ্যকে ব্যঙ্গ করে তুলে ধরা হয়।

কার্টুনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর বিজেপির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি কে আন্নামালাই অভিযোগ করেন যে, এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চরম অবমাননাকর। তিনি প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগানের কাছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।

এরপর থেকেই ‘ভিকাতান’ ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটটি আর খোলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেন ওয়েবসাইটটি ব্লক করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে এবং বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উত্থাপন করা হবে।

ওয়েবসাইট বন্ধের ঘটনায় বিরোধী দলগুলো তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন এক টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘শতবর্ষী ভিকাতানের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়া খুবই দুঃখজনক। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য অশুভ সংকেত। এটি বিজেপির ফ্যাসিবাদী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ।’

ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা মানেই গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরা। শতবর্ষী ভিকাতানের ওয়েবসাইট বন্ধ করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি। আমরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব এবং ওয়েবসাইট পুনরায় চালুর দাবি জানাচ্ছি।’

তবে কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। তবে অভিযানে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক রোববার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের আওতাধীন সেন্টমার্টিন বিসিজি স্টেশনের সদস্যরা দ্বীপের পশ্চিম পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে নীলাচল রিসোর্ট সংলগ্ন সমুদ্রসৈকতের জিও ব্যাগের নিচে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা একটি কালো ব্যাগ থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা। সেন্টমার্টিনসহ উপকূলীয় এলাকায় মাদক পাচার রোধে কোস্টগার্ডের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইলন মাস্কের ইন্টারনেট বাংলাদেশে: সুবিধা কি, খরচ কত?  
ভারতের তামিলনাড়ুর শতবর্ষী ম্যাগাজিনে মোদির ব্যঙ্গচিত্র, ওয়েবসাইট ব্লক নিয়ে বিতর্ক
সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
শেখ হাসিনার পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি: রিজভী
আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা
পুলিশ নয় নাট্যকর্মীদের একটা অংশ উৎসবের বিরোধিতা করে: ফারুকী
পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল
গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ২৫ লাশ উদ্ধার  
সাকিব যেনো নিঃস্ব প্রাণ এক, একের পর এক হারাচ্ছেন সব
সাতক্ষীরায় পুলিশ কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার    
খরা মৌসুমে হঠাৎ ফুঁসে উঠেছে তিস্তা, শঙ্কায় কৃষকরা  
নয়াদিল্লিকে এফ-৩৫ দেবে যুক্তরাষ্ট্র, ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ  
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালকদের বিক্ষোভ  
দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা
আজ তিন দিনের সফরে কুয়েত যাচ্ছেন সেনাপ্রধান  
আ.লীগের শীর্ষ নেতারা ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন  
কুম্ভ মেলার ট্রেনে উঠতে গিয়ে দিল্লি স্টেশনে ১৮ জন নিহত
নওগাঁয় সাত দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা শুরু
দেব চৌধুরীর নাম মুহাম্মদ চৌধুরী
তরুণী সেজে ছাত্রলীগ নেতার ‘অসামাজিক’ কাজ, অবশেষে ধরা