বাছুর ছাড়াই দুধ দিচ্ছে গাভি!
বাছুর প্রসব করেনি। অথচ মাত্র ২৫ মাস বয়সে দিনে চার লিটার করে দুধ দিতে শুরু করেছে! এলাকার অনেকে একে কবলি গাভি নামে ডাকছে। বকনাটি দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় জমাচ্ছে মালিকের বাড়িতে। কেউ কেউ মোটা অংকের টাকা দিয়ে শখ করে কিনে নিতে চাচ্ছেন।
তবে বকনাটির মালিক হায়দার আলী এটি বিক্রি করতে ইচ্ছুক নন। এটিকে তিনি ঘরের লক্ষ্মী ভাবছেন।
গাভির মালিক হায়দার আলী নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের একজন কৃষক।
তার বকনাটি এক মাসের বেশি সময় ধরে দুধ দিচ্ছে। এর দুধ খেলে অনেকের জটিল অসুখ সেরে যাচ্ছে বলে জানান। সেকারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরাও ভিড় করছেন দুধ নেওয়ার জন্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, হায়দারের স্ত্রী মদিনা খাতুন বকনাটির ওলান থেকে লাল রঙের একটি প্লাস্টিকের বালতিতে দুধ সংগ্রহ করছেন। এমন দৃশ্য দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকে উৎসুক লোকজন ওই বাড়িতে এসে জমায়েত হয়।
মদিনা জানান, তিনি প্রতিদিন দুধ পাচ্ছেন। জীবনে তিনি এ ধরনের গাভির কথা ভাবেননি।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মনোরঞ্জন ধর বলেন, ‘এমনটি হয়, তবে খুবই কম। আমার জীবনে এটি প্রথম দেখলাম। হরমোনের কারণে বকনা গরু থেকে দুধ আসতে পারে। এটা নিয়ে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এই দুধ পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত। যেকেউ খেতে পারেন।’
হায়দার আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি গাভি পালন করছেন। ৮০ হাজার টাকায় দুই বছর আগে একটি বিদেশি জাতের গাভি এই বাছুরটিসহ কিনে আনেন। পরে তার মেজো মেয়ে বাছুরটির নাম রাখেন ‘ময়না’।
এমএসপি