সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফিরে দেখা ২০২১

ধকল সামলে অর্থনীতিতে ফিরেছে চাঙ্গাভাব

করোনা পরিস্থিতির আগে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে বিশ্বজুরে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে আঘাত আসে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বাংলাদেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে হঠাৎই দেশের জিডিপি নেমে আসে ৩ এর ঘরে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বাজেটে বিভিন্নখাতে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকা প্রণোদণা ঘোষণা করেন। উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে বরাদ্দ দেন ছয় লাখ কোটি টাকা। এতে অর্থনীতিতে ফিরে আসে চাঙ্গা ভাব। বাড়তে থাকে আমদানি-রফতানি। বছরের শেষ সময়ে বাংলাদেশ ভালো করছে বলে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফও প্রশংসা করছে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছার মর্যাদার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘও।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘সব খাতেই আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। রপ্তানি বাড়ছে, আমদানিও বাড়ছে। অর্থনীতি গতিশীল হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতি’র ভিত যথেষ্ট মজবুত রয়েছে। অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে, আশা করা হচ্ছে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে। 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণে বিশ্বব্যাংকও প্রশংসা করেছে। গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফার বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে। কোভিড মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

রাজস্ব আদায়: ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড পরিমাণ (১৬ শতাংশেরও বেশি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছিল এনবিআর।

বেড়েছে রফতানি ও আমদানি:

চলতি বছরের শুরু থেকেই চমক দেখাচ্ছে রফতানি আয়। রেমিট্যান্স নিম্নমুখী হওয়ার মধ্যে অর্থনীতিতে আশার আলো দেখাচ্ছে রফতানি আয়। পোশাক রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধির উপর ভর করে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।  অন্যদিকে,একক মাস হিসেবে সর্বশেষ নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ হাজার ৫৯২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

অন্যদিকে, নভেম্বর মাসে ৩৫৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার। সুতরাং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় গত মাসে রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক শুন্য ৪ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র বলছে, রপ্তানি আয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমদানি ব্যয়ও। রেকর্ডের পর রেকর্ড হচ্ছে। শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি হয়েছে দেশে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে পণ্য আমদানিতে এতো বেশি অর্থ ব্যয় হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ১ হাজার ৮৭২ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ১ হাজার ২৬৮ কোটি ৬৫ লাখ (১২.৬৮ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। সার্বিকভাবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৫১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ:

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিনিয়োগ বাড়াতে থাকায় দীর্ঘদিন পর বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ স্বাভাবিক ধারায় ফিরেছে। করোনার কারণে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে যে মন্দাভাব ছিল, তা কেটে যাচ্ছে। অক্টোবরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা গত ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যদিও গত বছরের অক্টোবরে ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।

প্রবাসী আয় রেমিট্যান্স:

করোনায় প্রায় মানুষ ঘরবন্দী হলেও প্রবাসীরা বেশি বেশি করে রেমিটেন্স পাঠাতে থাকেন দেশে। এ আয় ছিল অনেক ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু ছয় মাস ধরে প্রবাসী আয় টানা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র বলছে,চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের (জুলাই-নভেম্বর) প্রথম পাঁচ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৮৬০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৪৬৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার; যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের ৫৪ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৯৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয় পাঠানোর শীর্ষে থাকা ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, আরব আমিরাত, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, ইতালি ও বাহরাইন।

২০২১ সালে  রেমিট্যান্স এসেছে ২১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছর ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

নতুন দরিদ্রের ছাপ:

করোনার আগে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতো ২০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। আর হতদরিদ্র মানুষ ছিলো সাড়ে ১০ শতাংশ। তবে করোনায় লাখ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে, এর সরকারি হিসাব এখনো দিতে পারেনি বিবিএস। তবে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মতে, করোনাভাইরাসের ধাক্কায় দেশে দারিদ্র্যের হার পাঁচ বছর আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।

৩০ সেপ্টেম্বর ‘এক্সট্রিম পোভার্টি: দ্য চ্যালেঞ্জেস অব ইনক্লুশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ বছরের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী দেশে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ। ২০১৬ সালেও দারিদ্র্যের হার এমনই ছিল।

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সুপারিশ জাতিসংঘে অনুমোদন:

স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬ তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় ২৪ নভেম্বর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, এই ঐতিহাসিক অর্জনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার এক মহান মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের যে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন যাত্রা-এটি তারই একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী প্রস্তুতিকালীন সময় প্রদানের সুপারিশ করেছে।

অর্থনীতিবিদদের ভাবনা:

অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, গত বছরের চেয়ে ২১ সাল ভালো করছে। কৃষি পণ্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। সার্বিকভাবে অর্থনীতি সঠিক ধারাতেই আছে। তৃতীয় ঢেউকে সামাল দেয়া হচ্ছে। তবে জিনিসপত্রের দাম কমানো দরকার। সম্প্রতি প্রবাসী আয় কমে গেছে। তবে তুলনামূলক ভালো। তা বাড়াতে উদ্যোগী হতে হবে। অর্থনীতির স্বস্তির জায়গা হচ্ছে, আমদানির সঙ্গে রফতানিও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখন ঠিকঠাক বিনিয়োগ হলেই অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এ কথা ঠিক জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে। বিশ্বে বাড়ার কারণে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির কাউন্সিলে ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ায় ফল স্থগিত  

ছবিঃ সংগৃহীত

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৯ নম্বর খোলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে ভোটারের চেয়ে ভোট বেশি পড়ায় ফল স্থগিত করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল আউয়াল আরজু।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন। কিন্তু ভোট পড়েছে ৪৮৫টি। এতে শুরু হয় সমালোচনা। ভোট প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় ফল স্থগিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

আব্দুল আউয়াল আরজু বলেন, ‌‘ভোট গণনা শেষে ব্যালট বাক্সে ভোটারের চেয়ে ব্যালট বেশি পাওয়া যায়। এমন অসংগতি থাকায় ফল স্থগিত করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার খোলাহাটি ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আজাদ মণ্ডল। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী টিটুল। বিশেষ বক্তা ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বর্তমান আহ্বায়ক মো. মোস্তফা কামাল। সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময় পাওয়া যায় ৪৮৫ ভোট, যা ভোটারের চেয়ে ২৬টি বেশি। পরে ভোটের এমন অসংগতি দেখা দেওয়ায় কাউন্সিলের ফল স্থগিত করা হয়।

Header Ad
Header Ad

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার

দোলনা আক্তার । ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দোলনা আক্তারকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ গ্রামের দুলাল হোসেনের কন্যা।

পুলিশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দোলনা আক্তার আত্মগোপনে চলে যান এবং দীর্ঘদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে চালু হওয়া ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের মধ্যে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিজ গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, গত ৪ আগস্ট ফুলবাড়ীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দোলনা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হবে।

Header Ad
Header Ad

গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

ওমানের মাস্কটে ৮ম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের অবকাশে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওমানের মাস্কটে আয়োজিত অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের অবকাশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক।

বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উভয়পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বিশেষভাবে গঙ্গা পানি চুক্তির নবায়ন সংক্রান্ত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) স্থায়ী কমিটির বৈঠক আয়োজনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন এবং ভারতকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান।

বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা নিয়েও আলোচনা হয়। উভয়পক্ষ আশা প্রকাশ করেন যে, এই আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ প্রশস্ত হবে।

এদিকে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর এই প্রথমবার দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিজিবির মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এই সম্মেলনে অংশ নেবে।

বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে জয়শঙ্কর জানান, আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যেখানে বিমসটেকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপির কাউন্সিলে ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়ায় ফল স্থগিত  
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার
গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
মিঠাপুকুরে এক যুগেও চালু হয়নি ইকোপার্ক, শত কোটি টাকার প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ
মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হলেন শেখ আব্দুল রহমান আল হুদাইফি
মালিতে পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে পড়ে অন্তত ৪৮ জন নিহত
কেমন হলো টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি
‘হজযাত্রী প্রতি অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা বেশি নিয়ে আমরা ভাগ করে নেব’
হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি: অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণার পর খুলল ৬ জলকপাট
বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রির অভিযোগে দুটি স্টল বন্ধ
ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে পরিচয় করানোর নামে লাইভে এসে কাপড় বেচলেন পরীমণি
উত্তরপূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে
দেশকে কারা নেতৃত্ব দেবে তা বাছাই করার সময় এসেছে: তারেক রহমান
বিদ্রোহ থেকে সরে এলেও অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন না সাবিনারা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীদের সচিবালয়মুখী পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, জলকামান নিক্ষেপ
নির্বাচনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ব্যারিস্টার মামুনের
গান গাইতে গাইতেই মারা যেতে চান আশা ভোঁসলে
ইলন মাস্কের ইন্টারনেট বাংলাদেশে: সুবিধা কি, খরচ কত?  
ভারতের তামিলনাড়ুর শতবর্ষী ম্যাগাজিনে মোদির ব্যঙ্গচিত্র, ওয়েবসাইট ব্লক নিয়ে বিতর্ক
সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার