মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইতিহাস বিকৃতির জনক বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

 

দেশের ইতিহাস বিকৃতির জনক বিএনপি ইতিহাসের ফুটনোট জিয়াউর রহমানকে নায়ক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে একথা বলেন।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ নাকি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই ইতিহাস বিকৃতি করেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার এ অভিযোগ চরম অসত্য, ভিত্তিহীন ও পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতি করে না বরং প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরে বলেই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যার নেতৃত্বে বাঙালি জাতির হাজার বছরের আরাধ্য যে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আসে, সেই বঙ্গবন্ধু বিএনপির শাসনামলে হয়ে যায় এক নিষিদ্ধ নাম। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলা স্লোগানকে বিএনপি নিষিদ্ধ করে দেয়,বন্ধ করে দেয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার।

গণমাধ্যম থেকে পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালানো হয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃতির ঘৃণ্য চর্চা বিএনপি আবারও শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা তাদের চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও দণ্ডপ্রাপ্ত, পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বানানোর মতো ঘৃণ্য অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির হাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইতিহাস কিছুই নিরাপদ নয় বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস চলে তার নিজস্ব গতিতে। এ চির সত্য বিএনপি নেতারা হয়তো জানে না, হাতের তালু দিয়ে যেমন সূর্যকে ঢাকা যায় না, তেমনি স্বাধীনতার ইতিহাসও আজ স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল বলে মনে করেন তিনি।

বর্তমান প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস আজ জানতে পারছে, যারা ইতিহাসের পায়ে শিকল পরিয়েছিল, আজ তাদের স্বরুপ উন্মোচিত হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাইতো বিএনপি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, শুরু করেছে পুরোনো খেলা, চর্চা করছে অগণতান্ত্রিক পথ, কিন্তু জনগণ এখন সজাগ।

স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ বিনষ্টের অপচেষ্টা করলে বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণ ঠিকই গর্জে উঠবে বলে বিশ্বাস করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সময় নাকি শেষ হয়ে এসেছে - মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সময় শেষ হয়ে আসেনি, সময় শেষ হয়ে এসেছে বিএনপির অপরাজনীতির।

তিনি বলেন, জনগণের আস্থায় এখন আর বিএনপি নেই, জনগণ এখন আর বিশ্বাস করে না হাঁটুভাঙা, পরাশ্রয়ী বিএনপি এ দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারবে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, সাম্প্রতিক কালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপিকে জনগণের প্রত্যাখ্যান এবং তাদের আন্দোলনের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে গেছে।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা কী পেলাম? স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সুরে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির অর্ধশতক পর যারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কী পেলাম, প্রকৃতপক্ষে তারাই স্বাধীনতাকে হৃদয়ে ধারণ করে না, চেতনায় ধারণ করে না, সে প্রশ্নই এখন চলে আসে?

ওবায়দুল কাদের দুঃখ প্রকাশ করে আবারও বলেন, যারা এদেশে দীর্ঘদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তারা যখন বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছরে কী পেলাম তখন আসলে এটাই প্রতীয়মান হয় তারা এদেশের মানুষের কল্যাণে কিছুই করেনি, তাই তারা দেশের কোনো ভালো অর্জন দেখতে পায় না।

এসএম/এসএন

আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি পাচ্ছে ৫০ প্রতিষ্ঠান

ছবি: সংগৃহীত

বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারিভাবে আরও এক লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৫০টি প্রতিষ্ঠান অনুমতি পাচ্ছে।

এ প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে সিদ্ধ চাল ৯১ হাজার টন এবং আতপ চাল ৩৩ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ১৫ মে'র মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে।

বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ মার্চ বেসরকারিভাবে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছিল সরকার।

পাপ মোচনে যমুনা নদীতে স্নান করতে পুণ্যার্থীদের ঢল

পাপ মোচনে যমুনা নদীতে স্নান করতে পুণ্যার্থীদের ঢল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

“হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ করো” এই মন্ত্র উচ্চারণে পাপ-শাপ মোচনে মহাষ্টমীতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে গঙ্গা স্নান করতে হাজারো পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। স্নান করতে এসে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে প্রতিবার বছরের ন্যায় এবারও যমুনা নদীর পাড়ে ৩০০ বছরের পুরোনো শ্রী শ্রী কালী মন্দিরের সরাতলা প্রাঙ্গণে পুণ্যস্নান উৎসব এবং মেলার আয়োজন করেছেন উপজেলার খানুরবাড়ী, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও গোবিন্দাসী গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন।

এদিকে, যমুনা নদীতে গঙ্গা স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে মেলায় মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন ধরনের খাবার, বাশঁ-বেতের আসবাবপত্র, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা, পুতুল, ঘোড়া, ট্রাক গাড়ি, হাঁড়ি-পাতিল, মাছের দোকান, চিড়া-মুড়ি, দইসহ দোকানিরা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে।

পাপ মোচনে যমুনা নদীতে স্নান করতে পুণ্যার্থীদের ঢল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকেই দলে দলে পূণ্যস্নানে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গোপালপুর, কালিহাতী, ঘাটাইল, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার নানা বয়সী হাজারো ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা যমুনা নদীর পাড়ে আসছেন।

এ সময় তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে বিভিন্ন মানত ও দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন। সব মিলিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতেছিল সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন। তাছাড়া একে-অপরের সঙ্গে সৌজন্যেতা বিনিময় করে তারা।

স্নান করতে আসা সন্ধা রানী দাস, সুজন দাস, সুদীপ পালসহ আরও অনেকেই জানান- নদীতে নতুন জলে পুণ্যস্নান করেছি ও পূজা দিয়েছি। মহাষ্টমীতে এখানে স্থানীয় লোকজনসহ দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ মেলা দেখতে আসছে। ফলে যমুনায় স্নান তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে পুণ্যার্থীরা স্নান করছে তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য।

পাপ মোচনে যমুনা নদীতে স্নান করতে পুণ্যার্থীদের ঢল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

 

পুরো‌হিত পিন্টু গোস্বামী জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো যমুনা নদীর পাড়ে ৩০০ বছরের পুরোনো শ্রী শ্রী কালী মন্দিরে পুণ্যস্নান উৎসব এবং মেলার আয়োজন করেছে আয়োজক কমিটি। পাপ‌-শাপ মোচনের আশায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্নান করে। এখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থী ও ভক্তরা আসে। ফলে হাজারো ভক্তের ঢল নামে এই নদীতে।

পুণ্যস্নান ও মেলার আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচনের আশায় যমুনা নদীতে স্নান করতে এসেছেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় স্নান উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।

তিনি আরও বলেন- মনের বসনা ও মানত পূরণে ভোর থে‌কে পুণ্যার্থী ও ভক্তরা স্নান ঘাটে পূজা অচর্না কর‌তে আসে। আগতদের জন‌্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ প্রসা‌দের ব্যবস্থা করা হয়। স্না‌নোৎস‌বে পর্যাপ্ত সংখ্যক পু‌লিশ সদস্য দা‌য়িত্ব পালন ক‌রে‌ছেন পুণ্যার্থী ও ভক্ত‌দের নিরাপত্তার জন্য। 

অপরদিকে, স্নান উৎসবকে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে জানতে চাইলে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ ব‌লেন- নিরাপত্তা নি‌শ্চি‌তে স্নান উৎসবে পু‌লিশ সদস‌্য মোতা‌য়েন করা হ‌য়েছে। জেলা পু‌লিশের রিজার্ভ ফোর্স, থানা পু‌লিশ ও নৌ পু‌লি‌শের সদস‌্যরা আইনশৃঙ্খলা কা‌জে নি‌য়ো‌জিত র‌য়েছে‌। শান্তিপূর্ণভাবে স্নান উৎসব শেষ হয়।

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ঘোষণা তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, আপনাদের দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি- একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ও সব ধরনের নজরদারির বাইরে আমরা এখানে প্রমোট করতে চাই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যম আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজপোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। অনলাইন মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন, নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার যে নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) জন্য। অর্থাৎ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন—এটা করা দরকার।

তিনি বলেন, আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তবে, একইসাথে আমি মনে করি, এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস (সীমাহীন)। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে।

আলী আরাফাত বলেন, যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য। আর অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আবারও বলব, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য। আর অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক—সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন কেউ অনলাইন নিউজপোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি। আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেব, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না।

এ সময়ে ওনাব সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ, খোকন কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি পাচ্ছে ৫০ প্রতিষ্ঠান
পাপ মোচনে যমুনা নদীতে স্নান করতে পুণ্যার্থীদের ঢল
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ঘোষণা তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
'ডিগবাজি' এখন ব্র্যান্ড হয়ে গেছে: জায়েদ খান
নেতানিয়াহু এ যুগের হিটলার, তার চেয়েও ভয়ংকর: ওবায়দুল কাদের
ঘুম বঞ্চিত দেশের তালিকায় শীর্ষে জাপান, পরের অবস্থানে ভারত ও সৌদি আরব
সাগরে ভাসমান নৌকায় মিলল ২০ পচা-গলা লাশ
নওগাঁয় প্রকাশ্যে ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম; ভিডিও ভাইরাল
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ৩৯ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে নিহতদের পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ টাকা, আহতরা ৩
এই গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন,আর কী খাবেন না
উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপির
ঈদের পরই লিটারে ১০ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু, কোন বিভাগে কত ফি?
ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ল
ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
মিলছে না দর্শক, ৪ দিনেই হল থেকে নামলো ঈদের তিন সিনেমা!
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলেন ড. ইউনূস
অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা এখন স্যামসাং
খতনার সময় শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেললেন হাজাম, ঢামেকে প্রতিস্থাপন