অস্কারে মনোনয়ন পেলেন যারা

২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩২ পিএম


অস্কারে মনোনয়ন পেলেন যারা

৯৫তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি)। একাডেমির স্যামুয়েল গোল্ডউইন থিয়েটারে মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ অভিনেতা রিজ আহমেদ ও আমেরিকান অভিনেত্রী অ্যালিসন উইলিয়ামস।

এবার অস্কারে হলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘এভরিথিং এভরিহোয়ার অল অ্যাট ওয়ানস’; সেরা সিনেমা, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেত্রীসহ মোট ১১ বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে তুমুল হইচই ফেলে দিয়েছে সিনেমাটি। অস্কার মনোনয়নের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে জার্মান ভাষার সিনেমা ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ ও ডার্ক কমেডি ঘরানার সিনেমা ‘দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন’।

সেরা গান বিভাগে ভারতীয় আলোচিত সিনেমা ‘আরআরআর’ এর গান ‘নাটু নাটু’ মনোনয়ন পেয়েছে। ভারত থেকে এবার অস্কারে তথ্যচিত্র ফিচার চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারস’।

আগামী ১২ মার্চ হলিউডের ডলবি থিয়েটারে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে ৯৫তম অস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন জিমি কিমেল।
একনজরে মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা-

সেরা চলচ্চিত্র

‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ (জার্মানি), ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’, ‘দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন’, ‘এলভিস’, ‘এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স’, ‘দ্য ফেবলম্যানস’, ‘টার এবং টপ গান: ম্যাভেরিক’, ‘ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস ও উইমেন টকিং’।

সেরা অভিনেতা

অস্টিন বাটলার (এলভিস), কলিন ফ্যারেল (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), ব্রেন্ডন ফ্রেজার (দ্য হোয়েল), পল মেসকাল (আফটারসান) ও বিল নাই (লিভিং)।

সেরা অভিনেত্রী

কেট ব্ল্যানচেট (টার), আনা দে আরমাস (ব্লন্ড), আন্ড্রেয়া রাইজবরো (টু লেসলি), মিশেল উইলিয়ামস (দ্য ফেবলম্যানস) ও মিশেল ইও (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)।

সেরা পরিচালক

মার্টিন ম্যাকডোনা (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), ড্যানিয়েল কোয়ান ও ড্যানিয়েল শাইনার্ট (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স), স্টিভেন স্পিলবার্গ (দ্য ফেবলম্যানস), টড ফিল্ড (টার) ও রুবেন অস্টলান্ড (ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস)।

সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা

ব্রেন্ডন গ্লিসন (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), ব্যারি কিওগ্যান (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), কে হুই কোয়ান (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স), জুড হার্শ (দ্য ফেবলম্যানস) ও ব্রায়ান টাইরি হেনরি (কজওয়ে)।

সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী

অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট (ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার), হং চাও (দ্য হোয়েল), কেরি কন্ডন (দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন), জেমি লি কার্টিস (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স) ও স্টেফানি সু (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স)।

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য

এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স (ড্যানিয়েল কোয়ান ও ড্যানিয়েল শাইনার্ট), দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন (মার্টিন ম্যাকডোনা), দ্য ফেবলম্যানস (স্টিভেন স্পিলবার্গ ও টনি কাশনার), টার (টড ফিল্ড) ও ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস (রুবেন অস্টলান্ড)।

সেরা রূপান্তরিত চিত্রনাট্য

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, গ্লাস ওনিয়ন: অ্যা নাইভস আউট মিস্টোরি, লিভিং, টপ গান: ম্যাভেরিক ও উইমেন টকিং (সারাহ পলি)।

সেরা অ্যানিমেটেড ছবি

গিয়ের্মো দেল তোরো’স পিনোকিও (নেটফ্লিক্স), মারসেল দ্য শেল উইথ শুজ অন (এ২৪), পুস ইন বুটস: দ্য লাস্ট উইশ (ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশন), দ্য সি বিস্ট (নেটফ্লিক্স) ও টার্নিং রেড (ডিজনি)।

সেরা চিত্রগ্রহণ

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (জেমস ফ্রেন্ড), বার্দো, ফলস ক্রনিকল অব অ্যা হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস (দারিউস কন্ডজি), এলভিস (ম্যান্ডি ওয়াকার), এম্পায়ার অব লাইট (রজার ডিকিন্স) ও টার (ফ্লোরিয়ান হফমেইস্টার)।

সেরা পোশাক পরিকল্পনা

ব্যাবিলন (ম্যারি জোফরেস), ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার (রুথ কার্টার), এলভিস (ক্যাথেরিন মার্টিন), এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স (শির্লে কুরাতা) ও মিসেস হ্যারিস গোজ টু প্যারিস (জেনি বিভ্যান)।

সেরা প্রামাণ্যচিত্র

অল দ্যাট ব্রিদস, অল দ্য বিউটি অ্যান্ড দ্য ব্লাডশেড, ফায়ার অব লাভ, নাভালনি ও অ্যা হাউস মেড অব স্পিন্টার্স।

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র

দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স, হাউল আউট, হাউ ডু ইউ মেজার অ্যা ইয়ার?, দ্য মার্থা মিচেল ইফেক্ট ও স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট।

সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (জার্মানি), আর্জেন্টিনা ১৯৮৫ (আর্জেন্টিনা), ক্লোজ (বেলজিয়াম), ইও (পোল্যান্ড) ও দ্য কোয়ায়েট গার্ল (আয়ারল্যান্ড)।

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড ছবি

দ্য বয়, দ্য মোল, দ্য ফক্স অ্যান্ড দ্য হর্স; দ্য ফ্লাইং সেইলর, আইস মার্চেন্টস, মাই ডিয়ার অব ডিকস এবং অ্যান অস্ট্রিচ টোল্ড মি দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ফেক অ্যান্ড আই থিংক আই বিলিভ ইট।

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

অ্যান আইরিশ গুডবাই, ইভালু, লে পিউপিল, নাইট রাইড ও দ্য রেড স্যুটকেস।

সেরা সম্পাদনা

দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন (মিকেল ই.জি. নিয়েলসেন), এলভিস (ম্যাট ভিলা ও জনাথন রেডমন্ড), এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স (পল রজার্স), টার (মনিকা উইলি) ও টপ গান: ম্যাভেরিক (এডি হ্যামিল্টন)।

সেরা রূপসজ্জা ও চুলসজ্জা

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, দ্য ব্যাটম্যান, ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার, এলভিস ও দ্য হোয়েল।

সেরা মৌলিক সুর

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (ভলকার বার্টেলমান), ব্যাবিলন (জাস্টিন হারউইৎজ), দ্য বানশিজ অব ইনিশেরিন (কার্টার বারওয়েল), এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স (সান লুক্স) ও দ্য ফেবলম্যানস (জন উইলিয়ামস)।

সেরা মৌলিক গান

হোল্ড মাই হ্যান্ড (টপ গান: ম্যাভেরিক; কথা, সুর-সংগীত, লেডি গাগা ও ব্লাড পপ), নাটু নাটু (আরআরআর; সুরকার ও সংগীত পরিচালক এমএম কিরাবাণী, গীতিকবি চন্দ্রবোস), লিফট মি আপ (ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার; সুর ও সংগীত রিয়ানা, টেমস, রায়ান কুগলার, লুদবিগ ইওরানসন, কথা টেমস ও রায়ান কুগলার), অ্যাপ্লজ (টেল ইট লাইক অ্যা ওম্যান, কণ্ঠ, সুর ও সংগীত ডায়েন ওয়ারেন), ডেভিড বায়ার্ন ও মিৎসকি, কথা লিখেছেন রায়ান লট ও ডেভিড বায়ার্ন), দিস ইজ অ্যা লাইফ (এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স, সুর-সংগীত রায়ান লট।

সেরা শিল্প নির্দেশনা

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (ক্রিস্টিয়ান এম. গোল্ডবেক ও আর্নেস্টাইন হিপার), অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার (ডিলান কোল ও বেন প্রক্টর এবং ভ্যানেসা কোল), ব্যাবিলন (ফ্লোরেন্সিয়া মার্টিন ও অ্যান্থনি কারলিনো), এলভিস (ক্যাথেরিন মার্টিন ও কারেন মারফি এবং বেভ ডুন) ও দ্য ফেবলম্যানস (রিক কার্টার ও কারেন ও’হারা)।

সেরা শব্দ

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার, দ্য ব্যাটম্যান, এলভিস ও টপ গান: ম্যাভেরিক।

সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার, দ্য ব্যাটম্যান, ক্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার ও টপ গান: ম্যাভেরিক।

এএম/এমএমএ/

 


বিভাগ : বিনোদন



এবার দেশের সকল ইউএনওকে বদলির নির্দেশ

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৩ এএম


এবার দেশের সকল ইউএনওকে বদলির নির্দেশ
ফাইল ছবি

দেশের সকল ওসিকে বদলির নির্দেশের পর এবার দেশের সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) বদলির নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এ নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

গতকাল ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনাটি পাঠান।

চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্ত সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বর্তমান কর্মস্থলে ১ বছরের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলি করতে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে এ নির্দেশনা দেয় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে।

চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায়/অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।


ঢাকাপ্রকাশ-এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০১ এএম


ঢাকাপ্রকাশ-এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগান ধারণ করে ঢাকাপ্রকাশ-এর এবারের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উদযাপিত হয়েছে। রাজধানীর ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার-এর নিজ কার্যালয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই ঢাকাপ্রকাশ-এর ভবনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি উৎসবে আগতদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।

বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক

 

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেক কেটে ঢাকাপ্রকাশ-এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহাদৎ জামান সাইফ। এ সময় অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকাপ্রকাশ-এর সাংবাদিক ও কলাকুশলীরা।

কেক কেটে ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

 

কেক কাটার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহাদৎ জামান সাইফ বলেন, ঢাকাপ্রকাশ তার দ্বিতীয় বছর অতিক্রম করল। দুইটি বছর গণমাধ্যমের জন্য বড় কিছু নয়। কিন্তু এই দুই বছরে বোঝা যায়; এই মাধ্যমটির সম্ভাবনা কতটুকু। এই অল্প সময়েই ঢাকাপ্রকাশকে পাঠকরা যতটা গ্রহণ করেছে তা সত্যি অভাবনীয়। ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যম পাঠকদের ভালোবাসায় সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

এসময় ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশের জন্মদিন। সাফল্যের দুই বছর অতিক্রম করে ৩য় বর্ষে পা রাখল তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যমটি। মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টালটি বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাঠকদের মাঝে ইতিধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে ঢাকাপ্রকাশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি আরও বলেন, দুই বছর সময়টি কম হলেও আমরা পাঠকদের কাছে এই অল্প সময়ের মধ্যে যে জায়গা করে নিয়েছি তা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। আমাদের এই অর্জনের পেছনে পাঠকদের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তাদের গ্রহণযোগ্যতাই আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ। তারাই আমাদের শক্তি, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। পাঠকদের এই ভালোবাসাই ঢাকাপ্রকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে।

কর্ম ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা

 

বর্ষপূর্তিতে ঢাকাপ্রকাশের মফস্বল বিভাগের জাহিদুল ইসলাম তার অনুভতি ব্যক্ত করে জানান, নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ঢাকাপ্রকাশ তরুণ নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে সাজানো হয়েছে এই পরিবার। ঢাকাপ্রকাশ অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় স্থান দখল করে নিয়েছে। এর জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও কাঠামোগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

স্পোর্টস বিভাগের আশিক মোহাম্মদ রিয়াদ বলেন, সাফল্যের দুটি বছর শেষ করলাম আমরা। এবার সামনে এসেছে নতুন সম্ভাবনার দিন। ঢাকাপ্রকাশ পরিবার আরও সামনে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

জন্মদিনে নতুন রূপে সেজেছে ঢাকাপ্রকাশ

 

কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের ক্যাম্পাস বিভাগের একরামুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশ তার ২ বছরের সাফল্যমাখা সময় অতিক্রম করে তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। গণমাধ্যমে সত্যতা ও সচ্ছ্বতা বিদ্যমান রাখা সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকাপ্রকাশ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে তার নিজস্ব গতিতে। পাঠকদের ভালোবাসায় পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চাই আমরা।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাকাপ্রকাশের বিনোদন বিভাগের আরিফ হাসান বলেন, ঢাকা প্রকাশ এগিয়ে যাক অদম্য গতিতে। ছুটে চলুক সত্যের সন্ধানে। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা

 

ঢাকাপ্রকাশের ওয়েব ডেভেলপার পার্থদেব জানান, প্রতিদিনই আমরা পাঠকদের মন্তব্য বিশ্লেষণ করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের ওয়েবসাইটকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাঠকদের বিভিন্ন মতামতের উপর ভিত্তি করে ঢাকাপ্রকাশকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে।

এদিকে সারাদেশ থেকে প্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শোবিজ অঙ্গণের অনেকের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-কে।


ইসি’র শোকজের জবাব দিলেন সাকিব

০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৫ এএম


ইসি’র শোকজের জবাব দিলেন সাকিব
ছবি: সংগৃহীত

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার বিরুদ্ধে করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা শোকজের জবাব দিয়েছেন । শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে শোকজের ব্যাখ্যা দেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সাকিব আল হাসান বলেন, সব কিছু সব সময় ক্যামেরাতে বলা সম্ভব না। দেখুন আমি তো গতকালই বললাম প্রথমবার আমি ইলেকশনে অংশগ্রহণ করতেছি। স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি আমার হতে পারে, আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। যখন আমি সব নিয়ম কানুন জানব, পড়ব, বুঝব, তারপর যদি হয় তখন আমার দোষ হতে পারে। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে এটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত একটা বিষয়। নেক্সট টাইম যাতে এমন না হয় সে বিষয়ে আমি খেয়াল রাখব।

সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম জানান, ২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় লোকজন জমা হয়। সেখানে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি রাখেননি। সুতরাং এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেন। তাকে আজ শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

অনুসরণ করুন