মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বস্ত্র প্রকৌশল বিদ্যার আদ্যোপান্ত

বৃহৎ পরিসরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জিডিপিতে অবদান বৃদ্ধি, রপ্তানি খাতকে সমৃদ্ধশালী করা থেকে শুরু করে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসারে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখা খাত হলো তৈরি পোশাক শিল্প। স্বাধীনতার সাত বছরের মধ্যে একদম শূন্য থেকে শুরু করে পোশাক খাত বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে করেছে সমৃদ্ধ। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের তথ্য মতে পোশাক শিল্পের শ্রমিক সংখ্যা ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। ইপিবির সবর্শেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এর ফলে চীনের পরেই পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেইড ইন বাংলাদেশ ট্যাগ যুক্ত লাল সবুজের বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে বস্ত্র শিল্পের ইতিহাস
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘রিয়াজ গার্মেন্টস’। এর কর্ণধার পুরান ঢাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথম ফ্রান্সে ১০ হাজার শার্ট রপ্তানি করে রিয়াজ গার্মেন্টস। মূলত রিয়াজ গার্মেন্টস প্রথম পোশাক রপ্তানি করলেও শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস হিসেবে বাংলাদেশে বিজিএমইএ বরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয় ‘দেশ গার্মেন্টস’ যা ১৯৮০ সালের দিকে যাত্রা শুরু করে।

বস্ত্র প্রকৌশল বিদ্যা কী
বস্ত্র প্রকৌশল বিদ্যা বা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং আসলে ক্ষুদ্র তন্তু থেকে কাপড় বানানোর উপযোগী সুতা তৈরি করা থেকে শুরু করে বস্ত্র তৈরি নানা ধাপের সমন্বিত রূপ। এর মধ্যে কাপড়ের মান উন্নয়নে কেমিক্যালের নানা ব্যবহার, পোশাক কারখানার শত রকমের মেশিন ব্যবহারসহ আরও অনেক কিছু রয়েছে। আমরা যে পোশাক পরি তা নিয়ে বিভিন্ন রকমের গবেষণা, নতুন ধরনের কাপড় উদ্ভাবন, নিত্য নতুন ধরনের কাপড় তৈরিসহ আরও অনেক কিছুই করেন একজন বস্ত্র প্রকৌশলী।

বস্ত্র প্রকৌশল বিদ্যা কেন পড়ব
দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশ যে শিল্পখাতের দখলে সেই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেলে, কেন নয়? বাংলাদেশে ছোট বড় মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশি টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এই সমস্ত ইন্ডাস্ট্রির জন্য এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি দক্ষ বস্ত্র প্রকৌশলীর ঘাটতি রয়েছে।

কোথায় পড়ানো হয়
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৭টি সরকারি টেক্সটাইল কলেজ, একটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৮টি ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান, ৪২টি সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটসহ বেশ কিছু স্বনামধন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টেক্সটাইল শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

কী পড়ানো হয়
টেক্সটাইলে নন-ডিপার্টমেন্টাল সাবজেক্ট পদার্থ, রসায়ন, ইংরেজি, গণিত, সমাজবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স, পলিমার সায়েন্স, সিএসসি, ইইই, মেকানিক্যাল ও টেক্সটাইল বেজড্ ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং, ইয়ার্ন, ফেব্রিক, অ্যাপারেল, ওয়েট প্রসেসিং এর মতো বিভিন্ন বিষয়গুলো পড়ানো হয়। বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করতে বাংলাদেশে মোটামুটি প্রায় সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ১৬০+ ক্রেডিট এর বিভিন্ন সাবজেক্ট এর সমন্বয়ে গঠিত কোর্স সম্পন্ন করতে হয়।

উচ্চ শিক্ষার সুযোগ
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করার পর চাইলে দেশে বা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বুটেক্স, ডুয়েট, মাভাবিপ্রবি, নিটারসহ অনান্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও দেশের বাইরে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, চীন, তুরস্ক, মালেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে টেক্সটাইল বা টেক্সটাইল রিলেটেড বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের বিস্তৃত সুযোগ রয়েছে।

চাকরির ক্ষেত্র
বস্ত্র প্রকৌশলীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি দুই ধরনের চাকরি রয়েছে বাংলাদেশে। বেসরকারি বা বাংলাদেশের সব থেকে বড় চাকরির বাজার বস্ত্র খাতে রয়েছে ছোট বড় মিলিয়ে ১০ হাজারের অধিক বস্ত্র কারখানা, যেখানে যোগ্যতা ও পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে, অফিসার, সিনিয়র অফিসার, প্রোডাকশন ম্যানেজার, জিএম, ইডি এর মতো পদে জবের সুযোগ। এ ছাড়াও ফ্যাক্টরিতে কয়েক বছর জবের পর অনেকে বায়িং হাউজে মার্চেন্ডাইজিং এ জয়েনের সুযোগ পান। ডেকাথলন, ইউনিক্লো, এইচঅ্যান্ডএম সহ অনেক স্বনামধন্য বায়িং হাউজ ফ্রেশারদের (সদ্য পাস করা ইঞ্জিনিয়ার) মার্চেন্ডাইজিং এ নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

সরকারি চাকরির সুযোগ
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন, বস্ত্র পরিদপ্তর, পাট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটসহ আরও বিভিন্ন সেক্টর।

সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হলো, বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে অনেক চাকরির সার্কুলারে বর্তমানে উল্লেখ করেই দেওয়া হয় শুধুমাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য। অর্থাৎ বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকেও চাকরি করা যাবে। বিসিএস নিয়েও যদি কারো স্বপ্ন থাকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্যে রয়েছে সেই সুযোগও। দেশীয় ও বিদেশি বিভিন্ন টেক্সটাইল ব্র্যান্ডে একজন টেক্সটাইল ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা সর্বাধিক সমাদৃত হবে। মেডিকেল টেক্সটাইল, জিও টেক্সটাইল, স্পেস টেক্সটাইল থেকে শুরু করে নানান রকম সেক্টরেও রয়েছে কাজ করার বিশাল সুযোগ। এত বড় একটি সেক্টরে যুক্ত হবার জন্যে হলেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ালেখা করা উচিত।

এসএন

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলেন ড. ইউনূস

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলেন ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেল জয়ী ড. ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন চেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ কোম্পানির তিন শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এই আবেদন করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে এই মামলায় আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন।

গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন তিনি।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়।

অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা এখন স্যামসাং

অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা এখন স্যামসাং। ছবি: সংগৃহীত

আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের স্মার্টফোন রপ্তানি ১০ শতাংশ কমেছে। যা চলতি বছরের শুরুতে অ্যাপলের জন্য বড় ধাক্কা। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষ ফোন নির্মাতার স্থানও হারিয়েছে। এ স্থান দখলে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (আইডিসি) রবিবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী স্যামসাং স্মার্টফোনের বিপণন গত বছরের তুলনায় ৭.৮% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ৯৪ লাখে। তাদের মার্কেট শেয়ারের পরিমাণ ২০.৮%।

২০২৩ সালের শেষ চার মাসে রীতিমতো সুবাতাস বইছিল অ্যাপল স্মার্টফোনের পালে। ওই বছরের ডিসেম্বরে স্যামসাংকে হারিয়ে শীর্ষ ফোন বিক্রেতা হয় তারা। বর্তমানে ১৭.৩% মার্কেট শেয়ার নিয়ে তারা নেমে গেছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এদিকে, বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও একটু শক্ত করে নিয়েছে শাওমি ও হুয়াওয়ের মতো কোম্পানিগুলো।

এ বছরের প্রথম চার মাসে মার্কেটে ১৪.১% শেয়ার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে চীনের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি। দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ২০২৪-এর শুরুতে বাজারে আনে তাদের সর্বশেষ ফ্ল্যাগশিপ এস-২৪ সিরিজ। একই সময়ের মধ্যে এই সিরিজের ছয় কোটি ফোন বিপণন হয় বিশ্বজুড়ে।

বাজারে আসার প্রথম তিন সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী এস-২৪ সিরিজের বিক্রি তার পূর্বসুরী ২৩ সিরিজের তুলনায় ৮% বেশি ছিল। আইডিসি জানায়, এ বছরের প্রথম চতুর্থাংশে অ্যাপল বিপণন করে পাঁচ কোটি ইউনিট ফোন। অথচ গত বছর একই সময়ে তারা বিশ্বজুড়ে সাড়ে পাঁচ কোটি ইউনিট ফোন সরবরাহ করেছিল।

২০২২-এর শেষ চতুর্থাংশের তুলনায় ২০২৩ সালে চীনে অ্যাপল স্মার্টফোনের সরবরাহ কমে ২.১%।

চীন অ্যাপল ফোনের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। কিন্তু কিছু চীনা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। চীনা অ্যাপ ব্যবহারে মার্কিন সরকারের কড়াকড়ি আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় শি জিন পিং প্রশাসন।

খতনার সময় শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেললেন হাজাম, ঢামেকে প্রতিস্থাপন

খতনার সময় শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেললেন হাজাম। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ১১ বছর বয়সী শিশুর সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে লিঙ্গের অংশ কেটে ফেলেছেন হাজাম (খতনাকারী)।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ওই ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। ১১ বছর বয়সী ওই শিশুর নাম জাহিদ হাসান নির্জন। উপজেলাটির রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামের প্রয়াত আইয়ুব আলীর ছেলে নির্জন।

জানা গেছে, গত রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতন চর-আলগী গ্রামের খতনাকারী আকবর আলী শিশুটি নির্জনের সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। রক্তক্ষরণ শুরু হলে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। সেখানে শিশুটির লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভুক্তভোগী শিশু নির্জনের চাচাত বোনের স্বামী শাফায়েত হোসেন বলেন, খতনা করার সময় আমি নির্জনকে ধরে বসেছিলাম। প্রথমবার নির্জনের লিঙ্গের আগার চামড়া কাটার পর খতনা হয়নি বলে দ্বিতীয়বার তার লিঙ্গ কাটতে গিয়ে বেশ কিছু অংশ কেটে ফেলে দেন হাজাম। এ ভুল করার পরও হাজামের অনুশোচনা হয়নি। বরং তিনি উল্টো বলেন, তিনি এটা ঠিক করতে পারবেন।

শিশুটির খতনাকারী আকবর আলী বলেন, আমি ৩৫ বছর ধরে এ কাজ করি। নানা-দাদাদের কাছ থেকে শিখেছি। আমার চাচা-চাচাতো ভাইসহ অনেকে এ পেশায় জড়িত। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। কীভাবে কী হয়ে গেল আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।

ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলেন ড. ইউনূস
অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা এখন স্যামসাং
খতনার সময় শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেললেন হাজাম, ঢামেকে প্রতিস্থাপন
ধর্ষণ মামলা: আওয়ামী লীগ থেকে বড় মনিকে অব্যাহতি
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১৩
নাবিক সাব্বিরের মুক্তির খবরে পরিবার ও স্বজনদের মাঝে বইছে খুশির বন্যা!
উপজেলা নির্বাচন: বিরামপুর ও ঘোড়াঘাটে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
নওগাঁয় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিএনপির ৯ নেতাকর্মী কারাগারে
প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ১৮৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
ইরানের হামলার পর কমলো তেলের দাম
হিলি স্থলবন্দরে টানা বন্ধের পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
মুস্তাফিজের আইপিএলে খেলার ছুটি বাড়াল বিসিবি
নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা
৫৪ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, তিন বিভাগে বৃষ্টির আভাস
‘একীভূত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বাকি সিদ্ধান্ত পরে’
ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ নাথান কিয়েলি
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম: ওবায়দুল কাদের
গোবিন্দগঞ্জে অটোচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রামে ২টি বস্তিতে আগুন, পুড়ল ২০০ ঘর
পার্পল ক্যাপের লড়াইয়ে মুস্তাফিজের অবস্থান এখন কোথায়?