শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আগুনের তীব্র তাপে আজও মুড়ি ভাজছেন যসোতা রানীরা

আগুনের তীব্র দাহতাপেই ৪০ বছর ধরে মুড়ি ভাজেন সনাতন ধর্মাবলম্বী আন্না রানীরা। ভোলার ইলিশা মহাসড়কের পাশেই ২ নম্বর ইলিশা ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে সোনাঢুগি গ্রামটি। ৪০ বছর ধরে এই গ্রামেরই বাসিন্দা যুগল তেলি, সংকর তেলি,বিউটি রানি, সিতা রানী ও আন্না রানী মুড়ি ভাজার কাজ করছেন। এক সময় গাজিপুরের বাসিন্দা ছিলেন তারা কিন্তু মেঘনার কড়াল গ্রাসে তাদের আদিবাস স্থান বিলীন হয়ে যায়। পরে তাদের মাথা গোজার ঠাঁই হয় সোনাঢুগি গাঁয়ে। সোনাঢুগি আসার আগ থেকেই মুড়ি ভাজার কাজ শুরু করেন তারা। জীবিকা নির্বাহ করেন মুড়ি ভাজা আয়ের টাকায় ।

৫০ বছর আগে যসোতা রানীর স্বামী মারা যায়। ৭০ বছর বয়সি এই বিধবা বলেন, একমাত্র ছেলে শঙ্করকে নিয়ে শুরু করি মুড়ি ভাজার কাজ। আজও জলছি আগুনের তাপে । চিতার আগুনের আগে মুড়ি ভাজার আগুন শেষ হবার নয়। কারণ মুড়ি ভাজার চুলার আগুন জ্বলা বন্ধ হলে বন্ধ হয়ে যাবে তাদের আয় রোজগারের পথ। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হলেও তাদের হাতে ভাজা মুড়ির কদর এখনো ভোলায় বেশ সমাদৃত। বিশেষ করে পবিত্র রমজানে ইফতারের অন্যতম খাবার মুড়ি। আর এই মুড়ির প্রকৃত ঘ্রাণ ও অতুলনীয় স্বাধ গ্রহন করতে হাতে ভাজা মুড়ির কোনো জুড়ি নেই । যদিও হাতে ভাজা মোটা চালের মুড়ি মেশিনে তৈরি মুড়ির চেয়ে দামে দ্বিগুণ তবে স্বাধেও দ্বিগুণ।

মুড়ির ব্যবসায়ী যুগল তেলি বলেন, এখন রমজান শুরু হয়েছে রমজানে আমাদের তৈরি করা মুড়ির বেশ চাহিদা থাকে। আমরা বছরের এই একমাসকে আমাদের ব্যাবসায়িক সিজন হিসেবে ধরি। কারণ বাজারে এখন সস্তা দামে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি মুড়ির বেশ সয়লাভ। তবে রমজান মাসে ওই মুড়ির চাহিদা কম থাকে আমাদের মুড়ি বেশি চলে।

তিনি আরও বলেন, এখন আর আগের মতো ভালো নেই মুড়ির ব্যবসা, চালের দাম বাড়ছে, লাকড়ির দাম বাড়ছে।

যুগল তেলি বলেন, ৪০ বছর ধরে মুড়ির ভাজার কাজ করি। আর এই কাজে আমাকে সহায়তা করছেন আমার স্ত্রী আন্না রানী।

আন্না রানী বলেন, মুড়ি বিক্রি করা আয় দিয়ে ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ছেলেকে বিয়ে দিয়েছি। ঘর করেছি। আমরা ভালোই আছি। তবে বয়স হয়েছে এখন আর আগুনের তাপদাহ সহ্য করতে পারছেন না তিনি। তাই দুই বেলা খাবার দিয়ে দেড়শ টাকা মজুরিতে একজন নারী শ্রমিককে যুক্ত করেছেন আন্না রানী ।

তবে সাড়া দিনে দুই বেলা খাইয়ে দেড়শো টাকা মজুরি পেয়ে সন্তোস প্রকাশ করেন শ্রমিক বিউটি রানী। কারণ বিউটি রানীর স্বামী কোন কাজ-কর্ম করতে পারেন না। বিউটি রানীর আয়ের উপর চলে তার সংসার।

ছোলাবুট ও মুড়ি গ্রাম বাংলায় ইফতারের প্রধান দুটি উপাদান। রোজার সময় হাটবাজারে ছোলা ভাজা পাওয়া গেলেও বাড়িতে বাড়িতে মুড়ি ভাজার রেওয়াজ এখনো রয়েছে। ইলিশার সোনাঢুগি গ্রামের যুগল তেলির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাপদাহ গরমকে উপেক্ষা করে মাটির তৈরি চুলায় চলছে মুড়ি ভাজার কাজ। এরা অবশ্য বানিজ্যিক ভাবেই মুড়ি ভাজার কাজ করছেন। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরেই মুড়ির ব্যাবসা করছেন তারা।

এই এলাকার সর্বজন পরিচিত ব্যক্তি আলহাজ্ব শিরাজ মিয়া বলেন, বাড়িতে ভাজা মুড়ির স্বাদই আলাদা। শুধু রোজায় নয় সারাবছর খাওয়ার জন্য মুড়ি ভাজা হয়। তবে এ সময় মুড়ির চাহিদা বেড়ে যায়। এখনো গ্রামের মানুষ এই মুড়ি বেশ পছন্দ করেন।

মুড়ি ব্যাবসায়ী সংকর জানান, আমি ছোট বেলা থেকেই দেখি মা মুড়ি ভাজেন। মুড়ি ভেজে অন্য মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পাঠাতে হয়। এখনো মুড়ি ভাজার বিক্রির কাজই করি আমরা। রোজায় মুড়ি বেশি বিক্রি হয় তাই বেশি মুড়ি ভাজতে হয়। এ জন্য মুড়ি ভাজতে পারা পটু নারীদের এ সময় কদর বেড়ে যায়। তাদের মজুরি দিতাম ১৫০ টাকা এখন ২০০ টাকা দিতে হয়।

মুড়ি ভাজার কাজ জীবিকা নির্বাহ করেন স্বামীহারা নারী সিতা রানী। ৪০ বছর ধরে মুড়ি ভাজার কাজ করলেও ১৫ বছর ধরে ভাজছেন অন্যের মুড়ি। ১ কেজি চালের মুড়ি ভাজতে ৮ থেকে ১০ টাকা মজুরি নেন বলে জানান তিনি।

সিতা রানী বলেন , ‘সারা বছর মুড়ি ভাজার প্রয়োজন না পড়লেও অনেকেই রোজার সময় মুড়ি ভাজার জন্য আমাদের কাছে আসেন। লবণ, চাল,লাকড়ি সবই তাদের আমি শুধু ভাজার সরঞ্জাম দিয়ে ভাজি আর এই রোজগারের উপর চলে আমার সংসার। আমার এখানে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মুড়ি ভাজার জন্য মানুষ আসেন।’

তাদের দাবি, সরকারি কোনো সহায়তা পাচ্ছে না তারা। সরকারি সহায়তায় তাদের আধুনিক প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম দিয়ে মুড়ি ভাজতে সহায়তা করলে অগ্নিদাহ থেকে মুক্তি পেতেন তারা।

এসআইএইচ

 

Header Ad

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশিদের জন্য ভিসা ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরব গেলেই বিদেশিরা ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় সৌদি আরবে আগতরা এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম ও ই-ভিসাসহ সব ভিসাধারী ব্যক্তিরা এ সুযোগ পাবেন। এছাড়া ওমরাহ পালনের অনুমতি ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের জন্য ‘নুসুক’ অ্যাপ ব্যবহার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এদিকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের জীবনমান সহজ করবে। তাদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে এর মাধ্যমে। বিশেষ করে কখন তারা কোন বিধান পালন করবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা হবে।

নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

নিহত জাওহার আমিন লাদেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে আরও এক কলেজছাত্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন প্রাণ হারালেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ এ চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়

নিহত জাওহার বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যায় তিন ভাই। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হন তারা। পথে বড়াইগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামাতো ভাই আকিব হাসান (১৫) ও খায়রুল বাশার ছাগির (১৭) মারা যায়। বুধবার রাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেক ভাই জাওহারের মৃত্যু হয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন মামাতো-ফুফাতো ভাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনই মারা গেছেন।

জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপরই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রটি এর আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কয়েকশ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ঢাবি শিক্ষার্থী ও তিনজন পরীক্ষার্থী।

ডিবি জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে বসে এ পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করতেন তারা। পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো উত্তরপত্র।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাবি শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন (২৬) ও সুজন চন্দ্র রায় (২৫) এবং পরীক্ষার্থী মনিষ গাইন (৩৯), পংকজ গাইন (৩০) ও লাভলী মণ্ডল (৩০)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ জেলার সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এ পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা করে সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, কীভাবে এবং কখন তার মোবাইলে উত্তরপত্র এসেছে। মাদারীপুরে গ্রেপ্তার হওয়া পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই জামিনে বের হয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তের জন্য মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলমের অনুরোধে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ তদন্তে নামে।

মাঠে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জ্যোতির্ময় গাইন ও সুজন চন্দ্রকে। তারা দুজনেই ঢাবির জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তারা গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, পরীক্ষার আগেই তারা প্রশ্ন সমাধানের জন্য পেয়েছেন। এ প্রশ্ন সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যোতির্ময় গাইনের চাচা অসিম গাইনের মাধ্যমে।

প্রশ্ন প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের দিয়ে প্রশ্ন সমাধান করান অসিম। এ প্রস্তাবে জ্যোতির্ময় ও সুজনসহ সাতজন ঢাবির জগন্নাথ হলের জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুরতা ভবনের ২২৪ রুমে বসে তারা প্রশ্নের সমাধান করে পাঠান। অসিম তার ভাতিজা জ্যোতির্ময় গাইনকে প্রশ্ন সামাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, তিনি পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাস আগেই পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। বিশেষ করে যাদের চাকরির বয়স শেষের পথে, এমন পরীক্ষার্থীদের টার্গেট করতেন। তাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি করতেন।

পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন অসিম গাইন। তাদের সমাধান করে দেওয়া প্রশ্নের মধ্যে ৭২ থেকে ৭৫টিই মিলেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, আমাদের তদন্তে এখন পর্যন্ত যে প্রমাণ পেয়েছি, তাতে এ চক্রের হোতা অসিম গাইন। তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। তিনি আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন। তিনি অল্পদিনে কয়েকশ’ কোটি টাকা আয় করেছেন। এ টাকা দিয়ে তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকা অসিমের মানবপাচার, হুন্ডি ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা রয়েছে। যেখানে তিনি প্রশ্ন ফাঁস করে আয় করা টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করলে কীভাবে প্রশ্নগুলো পান, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারব।

এ ঘটনায় দুজনকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যারা প্রশ্নের সমাধান করেছেন, আদালতে তারাও স্বীকার করেছেন। যারা প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাও স্বীকার করেছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ জানানো হবে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তে নেমে যা যা পেয়েছি সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এরপর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষা বাতিল করবেন না-কি বহাল রাখবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে আরও ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ
বৃষ্টি কবে হবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এফডিসিতে ইউটিউবার প্রবেশ নিষিদ্ধ চাইলেন অঞ্জনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, ক্ষোভে বাসে আগুন দিল শিক্ষার্থীরা
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী
অনুমতি মিললে ঈদের আগেই গরু আমদানি সম্ভব: ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
আবারও ঢাকাই সিনেমায় কলকাতার পাওলি দাম
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগ নেতাসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়