পরিবহন শ্রমিকদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এদিন থেকে পরিবহন শ্রমিকদের টিকা দেওয়া শুরু হলো জানিয়ে ডা. শামসুল হক বলেন, আমরা এই পর্যন্ত ৯০০ জনের তালিকা পেয়েছি। টিকার কোনো সংকট নেই।
করোনার নতুন অমিক্রনের বিস্তার রোধে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
তবে এখন পর্যন্ত গণপরিবহনের কত শতাংশ শ্রমিক টিকা নিয়েছেন তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। এ প্রেক্ষাপটে এই খাতের যারা টিকা নেননি, তাদের অগ্রাধিকারের আওতায় এনে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার।
সড়ক পরিবহন খাতে শ্রমিক প্রায় ৭০ লাখ। এর মধ্যে শুধু যাত্রীবাহী বাসের শ্রমিকের সংখ্যা ১০ লাখের মতো।
টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে ধানসহ বিভিন্ন ফসল। নেমে গেছে সেচ পাম্পের পানির স্তর। তাই বৃষ্টির আশায় ও প্রশান্তির জন্য টাঙ্গাইলে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিস্কার) আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের উদ্যোগে নামাজের আয়োজন করা হয়। প্রায় ৫ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
বিশেষ এই নামাজে ইমামতি করেন- টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের খতিব, জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ইস্তিস্কার নামাজে অংশ নেয়া মাদরাসা শিক্ষক মাহবুব আলম বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। গরমের কারণে মানুষ ও প্রাণিকুল নাকাল হয়ে পড়েছে। সবার খুবই কষ্ট হচ্ছে। জমির আধাপাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে মোনাজাত করছি। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেবেন।
মুসল্লি কাদের মিয়া জানান, টানা কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে জীবিকা নির্বাহের জন্য বাইরে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া করা হয়।
জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ হাহাকার করছে। মহান আল্লাহ কোনো কারণে আমাদের ওপরে নারাজ হয়েছেন। এ কারণে বৃষ্টিবর্ষণ বন্ধ রেখেছেন। আজকে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বর্ষণের জন্য মুসল্লিদের নিয়ে নামাজ আদায় করা। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করেছি।
এদিকে, টাঙ্গাইল ছাড়াও জেলার মধুপুর, গোপালপুর, ঘাটাইল ও সখীপুরে বৃষ্টি ও শান্তি কামনায় বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়।
মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবায় মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান করছে।
সূচক অনুসারে, মার্চে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এছাড়া ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাউনলোডের গড় গতি ১০৫.৮৫ এমবিপিএস।
এদিকে, মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ। ৩১৩.৩০ এমবিপিএস গতি নিয়ে কাতার ১ নম্বরে, ২৯৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ নম্বরে এবং ২২৮.৬৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে কুয়েত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।
গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। দেশে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই এবার বৃষ্টির সম্ভ্যব্য সময় জানাল আবহাওয়া অফিস। বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার শেষের দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, তিন দিনের হিট অ্যালার্ট শেষে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী দুই দিন সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে এ সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।