শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চাঁপাই নবাবগঞ্জে ঐতিহ্যের সন্ধানে

গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ শাহ বঙ্গকে দিল্লির শাসন থেকে মুক্ত করে স্বাধীন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেন এবং রাজধানী গৌড় থেকে স্বাধীন বঙ্গের পরিচালনা আরম্ভ হয়। তিনি বঙ্গ জুড়ে অসংখ্য মসজিদ নির্মাণ করেন এবং জুম্মার খুৎবায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করান। তারই সময়ে এই অঞ্চলে ইসলামি শিক্ষার প্রচলন করা হয়।

১২২৭ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গের পাশাপাশি বিহার দখল করার যুদ্ধে তৃতীয় সুলতানি শাসক ইলতুতমিশের বাহিনীর হাতে গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যু ঘটলে বঙ্গের শাসন আবার দিল্লির অধীনে চলে যায়।

১২৮১ সালে বঙ্গের প্রশাসক নাসিরুদ্দিন বোঘরা খান আবার দিল্লির শাসন থেকে বঙ্গের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৩৪২ সালে পার্শ্ববর্তী সাতগাঁও এর প্রশাসক শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ গৌড়ের প্রশাসককে পরাজিত করে একটি বৃহত্তর এলাকাকে দিল্লির শাসন থেকে স্বাধীন করেন। তাকেই বলা হয় বঙ্গের সুলতানি আমলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বঙ্গের রাজধানী গৌড় থেকে সরিয়ে পন্ডুয়াতে নিয়ে যান। প্রায় এক শতাব্দী পর বঙ্গের শাসক সুলতান মাহমুদ শাহ রাজধানীকে আবার গৌড়ে ফিরিয়ে আনেন। ১৫৬৫ সাল পর্যন্ত সুলতানি আমল শেষ হয়ে গেলেও মোঘল আমলের গোড়ার দিক পর্যন্ত গৌড় বঙ্গের রাজধানী ছিল।

১৫২৬ সালে মির্জা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বা সম্রাট বাবরের মাধ্যমে আরম্ভ হয় মোঘল সাম্রাজ্য। এই সময়েই বঙ্গ আবার দিল্লির অন্তর্গত হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুন ১৫৩৫ সালে (আনুমানিক) গৌড়ে এলে কারুকাজসমৃদ্ধ অসংখ্য মসজিদ দেখে আপ্লুত হন এবং গৌড়কে জান্নাতাবাদ নামে আখ্যায়িত করেন।

সম্রাট হুমায়ুন শের শাহ সুরীর কাছে পরাজিত হলে দিল্লির শাসন প্রায় ২৫ বছরের জন্য থাকে সুরী বংশের হাতে। এই সময়কালে কোনো এক বছর গৌড়জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভয়ংকর প্লেগ। অসংখ্য নগরবাসী মৃত্যুবরণ করে, বাকি প্রায় সবাই পালিয়ে অন্যত্র সরে যায়। একই সঙ্গে কয়েকটি বড় বড় ভূমিকম্পের ফলে পদ্মা নদীর গতিপথেও কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। ১৫৫৫ সালে হুমায়ুন মোঘল সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেও গৌড় তার কৌশলগত এবং ভৌগলিক গুরুত্ব হারাতে থাকে। অবশেষে ১৫৬৫ সালে গৌড় থেকে চিরকালের জন্যই বঙ্গের রাজধানী সরিয়ে ফেলা হয়। ধীরে ধীরে একটি পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হয় এককালের সমৃদ্ধ ও জনবহুল নগরী গৌড়।

যতগুলো সুদৃশ্য মসজিদ দেখে সম্রাট হুমায়ুন গৌড়কে জান্নাতাবাদ নাম দিয়েছিলেন, তার মধ্যে নিশ্চয়ই আগের শতকে নির্মিত মসজিদগুলোর পাশাপাশি ১৩শ শতাব্দীতে গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ শাহ-এর নির্মিত মসজিদগুলোও ছিল। তবে গত কয়েক শতকে নানা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আর কালের পরিক্রমায় আজ সেগুলো প্রায় সবই হারিয়ে গেছে। সুলতানি আমলের ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত কিছু মসজিদ এবং মোঘল আমলে ১৭শ শতাব্দীর কিছু স্থাপনা প্রাচীন গৌড়ের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ সীমানায় এখনো দেখা যায়। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে সংস্কার করার কারণে এগুলো টিকে আছে। এমনই কয়েকটি স্থাপনা দেখার উদ্দেশ্যে আমরা গিয়েছিলাম প্রাচীন গৌড় নগরী, বা আজকের চাঁপাই নবাবগঞ্জ বেড়াতে।

ছোট সোনা মসজিদ
আমাদের ট্রিপের প্রথম স্থাপনা ছিল ছোট সোনা মসজিদ। চাঁপাই নবাবগঞ্জ শহর পার হয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমানা পোস্টের দিকে এগিয়ে গেলে সীমানা থেকে ৩ কিলোমিটার আগে মহাসড়কের ডানে পড়বে এই মসজিদ কমপ্লেক্স। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ’র শাসন আমলে ১৪৯৩-১৫১৯ সালের মধ্যে গৌড়ে প্রায় একই নকশায় দুটি মসজিদ গড়া হয়েছিল। বড়টি এখন ভারতের সীমানায় আর ছোটটি বাংলাদেশে। দুটি মসজিদেরই ছাদের গম্বুজগুলো স্বর্ণ দিয়ে মোড়া ছিল বলেই এগুলো সোনা মসজিদ নামে পরিচিত। আজ আর সেই স্বর্ণ নেই, তবে নামগুলো রয়েই গেছে।

ইট ও পাথরে নির্মিত আয়তক্ষেত্রাকার মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৮২ ফুট এবং পুব-পশ্চিমে প্রায় ৫২ ফুট। মূল কাঠামো পাথরে নির্মিত। এর উপরে ইটের স্তর। তার উপর আবার গ্র্যানাইট পাথরের স্তর। যে কারণে দেয়ালগুলো প্রায় ৬ ফুট প্রশস্ত। মসজিদের চার কোণে আরও মজবুত করার জন্য রয়েছে চওড়া অষ্টভূজাকার পিলার। ভেতরে দুই সারিতে চারটি করে মোট আটটি পাথরের পিলার। এগুলোর উপরেই খিলানের উপর নির্মাণ করা হয়েছে ছাদ। ভেতরে উত্তর পশ্চিম অংশে রয়েছে দ্বিতল রাজকীয় গ্যালারি, যার জন্য বাইরে থেকে প্রবেশের জন্য আছে ভিন্ন প্রবেশ পথ ও সিঁড়ি। সুলতানি আমলে নির্মিত বড় মসজিদ্গুলোর এটি ছিল এটি বিশেষত্ব। ওয়াক্তের নামাজের সময় ছাড়া অন্য কোনো সময়ে কেউ এলে তার নামাজ পড়ার জন্য পুরো মসজিদ না খুলে কেবল এই অংশ খুলে দেওয়া হতো। আর জুম্মার নামাজের সময় এই অংশটি নারীদের নামাজের জন্য নির্ধারিত থাকত।

ছাদে রয়েছে ৩ সারিতে মোট ১৫টি গম্বুজ। এর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণে ৬টি করে ১২টি হলো অর্ধবৃত্তাকার, আর মাঝের তিনটি চৌচালা। পুরো মসজিদের দেয়াল পাথরে মোড়া, এর মাঝে মাঝে রয়েছে খোদাই করা নকশা। কোথাও বা দেয়ালে ব্যবহৃত পাথর খোদাই করে করা হয়েছে নকশা, কোথাও বা বড় পাথরের নকশা করা স্ল্যাব দেয়ালে সেঁটে দেওয়া হয়েছে। দূর থেকে একেকটি স্ল্যাবে করা নকশাগুলো একইরকম মনে হলেও কাছে এলে তাদের ভিন্নতাগুলো স্পষ্টতই দেখা যায়।

নাফিসুর রহমান: ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপ কনসালটেন্ট।

এসএন

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, দিয়েছে দেশে ফেরার সুযোগ

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের জন্য এক বছরের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। ‘সেলফ ভলান্টারি রিটার্ন’ বা স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের জেল বা বিচারের মুখোমুখি না হয়েই নিজ নিজ দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন তারা।

শুক্রবার (১৬ মে) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

এই কর্মসূচির মেয়াদ শুরু হবে চলতি বছরের ১৯ মে থেকে এবং তা চলবে আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। অভিবাসীদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত জরিমানা দিতে হতে পারে। তবে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, তাদের থেকে কোনো জরিমানা নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র বিশেষ পাসের জন্য ২০ রিঙ্গিত ফি প্রদান করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এর আগে যারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে নিবন্ধন করেছিলেন কিন্তু মালয়েশিয়া ত্যাগ করেননি, তারা নতুন করে এই কর্মসূচির আওতায় পড়বেন না।

এশিয়ার ২০টি দেশের আঞ্চলিক সংগঠন 'ক্যারাম এশিয়া'র তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসী অবস্থান করছেন। তবে এই সংখ্যাটি সুনির্দিষ্ট নয়। বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও দেশটির দূতাবাসের শ্রম বিভাগ ধারণা করছে, এই সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে। তবে বাংলাদেশি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও প্রবাসী ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেড় থেকে দুই লাখ বাংলাদেশি অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ বিমানবন্দর, পুলিশ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক দশকে মালয়েশিয়া থেকে ৮০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন। এছাড়া, গত ছয় মাসে প্রায় আড়াই হাজার অভিবাসী ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশের ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) জানায়, ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়কালে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে গিয়েছেন। তবে নানা অনিয়ম ও সমস্যার কারণে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ রয়েছে। এই বাজারটি পুনরায় চালুর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

সম্প্রতি তিনি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনায় শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত করা এবং অভিবাসীদের কল্যাণে একযোগে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সময়মতো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বৈধ প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

ঈদের ছুটি সমন্বয়ে শনিবার খোলা থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দাপ্তরিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি সমন্বয়ের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) এবং পরবর্তী শনিবার (২৪ মে) দেশের সব ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। ফলে সাপ্তাহিক ছুটি থাকা সত্ত্বেও এদিনগুলোতে চলবে স্বাভাবিক দাপ্তরিক, আর্থিক ও শিক্ষা কার্যক্রম।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ দীর্ঘ ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় সরকার ৬ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৭ ও ২৪ মে, দুটি শনিবার অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত শনিবারগুলোতে খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এসব দিনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলোতে স্বাভাবিকভাবে জমা-উত্তোলন, চেক নিষ্পত্তি, অনলাইন লেনদেনসহ সব কার্যক্রম চলবে। একইসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র জানিয়েছে, শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন চলবে।

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত—১৭ ও ২৪ মে খোলা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন এড়াতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এসব দিনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার কথা জানিয়েছে।

সরকারের এ উদ্যোগের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা কার্যক্রমে স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

‘বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায়’- এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে পেরেছি, কিন্তু তাদের অর্থব্যবস্থা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।”

শুক্রবার (১৬ মে) কুমিল্লায় ‘জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে’ আহত, শহীদ ও বীর সন্তানদের সম্মানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসনাত বলেন, “কুমিল্লার অনেক উপজেলায় সব দলের রাজনীতি আওয়ামী লীগের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। এমনকি বিএনপির রাজনীতিও চলছে তাদের টাকায়।”

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তারা জামিন পায় কিভাবে? এর পেছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছে তা জাতির সামনে প্রকাশ করুন।”

তিনি আরও বলেন, “আপনি (আসিফ নজরুল) বলছেন, আপনাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না—তাহলে তা জাতির সামনে তুলে ধরুন। বিচার হয়নি, দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল হয়নি—এটাও আপনার ব্যর্থতা।”

এনসিপি নেতা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যদি মনে করে খুনিদের বিচার ও আওয়ামী লীগের বিচার অপেক্ষা সংস্কার বড় বিষয়, তাহলে তারা ভুল করছে। বিচার হবে, সংস্কার হবে, তার পরেই হবে নির্বাচন।”

তিনি মানবিক করিডোর ও ১৪ দল প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান। বলেন, “আমরা কোনো পরাশক্তির আধিপত্য চাই না। ভারতের, পিন্ডির বা মার্কিন আধিপত্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষাই আমাদের অঙ্গীকার।”

কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের আয়োজন করা এ সমাবেশে বিএনপি, এনসিপি, খেলাফতে মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা অংশ নেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ফেস দ্য পিপলের সম্পাদক সাইফুর রহমান সাগর, বিএনপি নেতা আশিকুর রহমান ওয়াসিম, এনসিপি নেতা রিফাত রশিদ, নাভিদ নওরোজ শাহ, এবি পার্টির জিএম গোলাম সামদানী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরাফ ভূঁইয়া।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, দিয়েছে দেশে ফেরার সুযোগ
ঈদের ছুটি সমন্বয়ে শনিবার খোলা থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দাপ্তরিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায় : হাসনাত আব্দুল্লাহ
সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১ হাজার ৬৬২ জন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার
নেপালকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ
বোতল নিক্ষেপকারী শিক্ষার্থীকে বাসায় দাওয়াত দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ
পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই করে বিক্রি, ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ
প্রোটিয়াদের উড়িয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ডিবি কার্যালয়ে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ও সাম্য হত্যার তদন্ত করে লাভ নেই: ফারুক
শাহজালালে ৭১ আরোহীসহ নিরাপদে অবতরণ করল চাকা খুলে পড়া বিমান
শ্রীনগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই
উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ল চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে বিমান
গত ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে : মির্জা আব্বাস
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগ থানা ঘেরাও, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম