শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চিত্রাপাড়ের জোৎস্নায়

ফয়সালকে আজ সকালেই ধরে আনা হয়েছে। মেজর শওকতের রুমে এনে রাখা হয়েছে। মেজর শওকত তখন ঘুম থেকে নাস্তা করছিলেন। কয়েকজন সেনা তাকে মেজরের সামনে নিয়ে দাড় করায়। মেজর শওকত তার দিকে একবার তাকান। তারপর আবার খাওয়ায় মনোযোগ দেন। খাওয়া শেষ করে তিনি ফয়সালের দিকে তাকান। যদিও তিনি বাংলা মোটামুটি জানেন, ফয়সালে সাথে মেজর শওকতের কথাবার্তা হলো ইংরেজিতে।
’তোমার নাম?’
’ফয়সাল।’
’শুধু ফয়সাল? পদবী-টদবী কিছু নেই?’
’যুদ্ধ শুরুর আগে মনে ছিল। এখন সেটা বলার প্রয়োজন মনে করছি না।’
’কেন?’
’জানিনা।’
’মিলিটারী দেখে ভয় পেয়েছো?”
একথা বলেই মেজর শওকত হাসতে থাকেন। ’তোমাদের বাঙালিদের বিচি খুব ছোট হয়। অল্পতেই ভয় পাও। প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে। এই যে তুমি আমার সামনে দাড়িয়ে আছো, তোমার পা ভয়ে কাঁপছে। দ্যাখো, প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলো না। তোমাকে কিছু করবো না। তোমাকে মারার জন্য আনা হয়নি। অন্তত যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবো এ গ্যারান্টি দিচ্ছি। মেজর শওকত যা বলে তা থেকে নড়চড় হয় না। তাছাড়া তোমার ইয়ে পরিস্কার করার মতো কেউ নেই এখানে।’ বলেই আবার জোরে জোরে হাসতে থাকেন মেজর শওকত।
’তুমি জানো তোমাকে কেন আনা হয়েছে?’
’না।’
তুমি আমার দোভাষীর কাজ করবে। যাদের ধরে আনা হবে তাদের কথা বুঝিয়ে বলবে। মাসে মোটা বেতন পাবে। খাওয়া দাওয়া পাবে। আরও একটা কাজ করতে হবে মাঝে মধ্যে। আমাকে একটা করে ফ্রেশ মেয়ে দিতে হবে প্রতি রাতের জন্য। এর জন্য আলাদা বকশিশ পাবে। আমার পরে চাইলে তুমিও ওর সাথে কাটাতে পারো। আদারওয়াইজ তুমি এখন আমাদেরই লোক। দালালরা যাদের ধরে আনছে তারা ফ্রেশ না। অনেকে তো পাগল টাগলও সাপ্লাই দিচ্ছে। আমি অত খারাপ রুচির মানুষ না। আমার আরও ফ্রেশ দরকার। আমি নিজেও খুব ফ্রেশ মানুষ। আমার সাথে থাকলেই বুঝতে পারবে।’

’এখন বলো তুমি রাজী? যদিও এ প্রশ্ন তোমাকে করা অর্থহীন। কারণ তুমি রাজী না হলেও কাজ করতেই হবে। তোমার পরিবার আমাদের বন্দুকের নলের সামনে দাড়িয়ে। কোনো রকম গাঁইগুই করবে না।’
’আমি দোভাষীর কাজ করতে রাজী। কিন্তু ঐ মেয়ের ব্যাপার থেকে বাদ দিতে হবে।’

আচ্ছা এখন যাও। পরে দেখা যাবে। ফয়সাল মেজরের সামনে থেকে বেরিয়ে আসে। তাকে অন্য একটি রুমে নেওয়া হয়। এখানেই তার থাকার জায়গা করা হয়েছে। এটা একটা স্কুল ঘর। তাকে যে রুমে রাখা হয়েছে সেটি ক্লাস নাইনের বিজ্ঞান বিভাগের রুম। ফয়সাল এই ক্লাসেই ক্লাস করেছে। ফয়সালের গ্রামের নাম চিত্রাপুর। গ্রামের পাশ দিয়ে চিত্রা নদী বয়ে গেছে। নদীর নাম থেকেই গ্রামের নাম। ফয়সালের বাড়ি চিত্রা নদীর পাড়ে। এই স্কুলের নাম চিত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলের হেডমাষ্টার সাধু নারায়ণ বাবুকে গ্রামের ঢোকার দিনই স্কুলেই গুলি করে মেরেছে। সেই সাথে স্কুলের হেডপন্ডিতকেও মেরেছে। ছাত্রছাত্রী ছিল না অনেক আগে থেকেই। কয়েকজন পুরাতন শিক্ষক আবেগ প্রবণ হয়ে স্কুলে এসে সময় কাটাতেন। হেডমাষ্টারের এ বছরই অবসর নেওয়ার কথা ছিল। অনেকেই বলেছিল ওপার চলে যেতে। হেডমাষ্টার সাহবের এক কথা, নিজের দেশ রেখে সে কোথাও যাবে না। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই রুমের সাথে। ওর ঘনিষ্ট বন্ধু মিজান,শহীদ,শাবু আর হিরেনের মধ্যে কেবল মিজান এখনো গ্রামেই আছে। বাকিরা মুক্তিযুদ্ধে গেছে। ফয়সালেরও কিছুদিনের মধ্যেই যাওয়ার কথা। মাঝে অসুস্থ হওয়ায় যাওয়া হয়নি। ওকে দিয়ে পাকিস্তানীদের খবরাখবর সংগ্রহ করার কথা ছিল। এর মধ্যেই ওকে ধরে আনে। ফয়সাল দোভাষির কাজ করে যেতে লাগলো। যাদের ধরে এনে ক্যাম্পে নির্যাতন করা হতো তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। এটা ছিল ফয়সালের জন্য জঘণ্য মানসিক নির্যাতন। একটা কাটারি মতো ধারালো অস্ত্র নিয়ে একজন দাড়িয়ে থাকতো। মেজরের ইশারা পেলেই একটা লোহার বাক্সে হাত ঢুকিয়ে এক কোপে কেটে ফেলা হতো। সেই সময় বন্দী যে তীব্র গগন বিদারী চিৎকার দিতো সেই চিৎকার দিন-রাত ফয়সালের কানে বাজতো। ওর ধারণা ওকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্যই এটা করতো। ওর সামনেই গ্রাম থেকে মেয়েদের এনে নির্যাতন করা হতো। ফয়সালের কিছুই করার ছিল না। গোপনে পালানোর সুযোগ খুঁজছিল। সেদিন রাতে ফয়সালকে ডেকে পাঠালো মেজর।

’হ্যালো ইয়ং ম্যান। হাউ আর ইউ?’
ফয়সাল কিছু না বলে চুপ করে থাকলো।
’তুমি শুধু প্রতিদিন মেয়েদের সাথে আমি কি করি সেটা দ্যাখো। আজ নিজেও আমার সাথে থাকতে হবে। তুমি স্বেচ্ছায় থাকবে না জানি। কিন্তু তোমাকে থাকতে হবে। কিছু না করো দেখবে। বসে বসে দেখবে। মজা পাবে। আর না হলে কি হবে সেটাও জানো। তোমার হাতের আঙুলগুলো নিশ্চয়ই হারাতে চাও না। ফয়সাল চুপ করে থাকে। ও বোঝার চেষ্টা করছে ঠিক কি ঘটতে যাচ্ছে। খারাপ কিছু যে ঘটছে সেটা বুঝতে পারছে কিন্তু সেটা কি সেটা বুঝতে পারছে না। কিন্তু কতটা খারাপ তা বুঝতে পারলো একটু পরে। ওরা ফয়সালের বোন অরুকে ধরে এনেছে। অরুকে চেনা যাচ্ছে না। মনে হয় মারধর করেছে। ভালোভাবে তাকাতেও পারছে না। মুখ ফুলে আছে। ফয়সালের দিকে তাকাতেই চমকে ওঠে। তারপর মুখ নামিযে নেয়। ডুকরে কেঁদে ওঠে। সেই কান্নার শব্দ বের হয় না। ফয়সালের মুখের অবস্থা দেখেই মেজর বলে উঠলো, আমি জানি তুমি কি ভাবছো? কিন্তু তুমি কিছুই করতে পারবে না। আমি তোমাকে দোভাষির কাজ ছাড়াও একটা দায়িত্ব দিয়েছিলাম কিন্তু তুমি তা পালন করোনি। বলতে পারো তার শাস্তিস্বরুপ তোমার বোনকে এখানে আনা হয়েছে। এতদিন যাদের রেপ করেছি তাদের আর কেউ পাশে ছিল না। আমি দেখতে চাইছি যদি তারা সামনে থাকে তখন কি অনুভূতি হয়। বলেই মেজর হাসতে থাকে। তখন তাকে হায়েনার মতো দেখায়। ফয়সাল একদলা থু থু ফেলে। থু থু ফেলে লাভ নেই মিষ্টার ফয়সাল। তার আগে আমরা একসাথে ড্রিংকস করবো। সেই মদের গ্লাস সার্ভ করবে তুমি। আপত্তি আছে? ফয়সাল আপত্তি করে না। আপত্তি করার সুযোগও নেই। ফয়সাল মদের গ্লাস আনতে চলে যায়। এটাই সুযোগ অরুকে বাঁচানোর। তারপর মেজরের সাথে ড্রিংকস করতে বসে। মদ খাওয়া শেষে শেষ হলে দু’জন সৈনিককে ফয়সালকে চেয়ারে বেঁধে ফেলতে নির্দেশ দেয় মেজর। ওরা ফয়সালকে বেঁধে দেয়। অরুকে ছেড়ে ওরা বাইরে বেরিয়ে যায়। মেজর অরুর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।

’মেজর শওকত?’
ফয়সালের ডাকে চমকে ওঠে মেজর। ঘুরে তাকায়। ফয়সাল হাসতে থাকে। মেজর অবাক চোখে ফয়সালের দিকে তাকিয়ে থাকে।
’শোনো মেজর। তুমি চাইলেও আমার বোনের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। শুধু অরুর না, তুমি কোনোদিন কোনো মেয়েকেই ছুঁতে পারবে না। কারণ একটু আগে তোমাদের জন্য যে মদের গ্লাস এনেছিলাম তার ভেতর বিষ মেশানো ছিল। আমাকে ধরে আনার দিনই আমি সাথে এনেছিলাম তোমাকে খাওয়াবো বলে। কিন্তু এতদিন সুযোগ পাইনি। আজ যখন আমার হাতে মদ খেতে চাইলে তখনই সেটা কাজে লাগিয়েছি। একেবারে মোক্ষম সময়! কি বলো? বাইরে সবাই ইতিমধ্যেই বিষের যন্ত্রণায় ছটফট করার কথা। মেজর কিছু একটা বলতে গিয়ে টেবিলের ওপর পরে যায়।’
বাইরে তখন রাত নেমেছে। কিন্তু ওদের পথ চলতে অসুবিধা হয় না। কারণ বাইরে আজ আকাশ ভেঙে জোৎস্না নেমেছে। চিত্রার পাড় দিয়ে দু’জন হেঁটে চলেছে। সেই জোৎস্নায় সমুদ্র ভেঙে দুই ভাইবোন বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়।

শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক, পাবনা

 

ডিএসএস/

 





Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, দিয়েছে দেশে ফেরার সুযোগ

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের জন্য এক বছরের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। ‘সেলফ ভলান্টারি রিটার্ন’ বা স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের জেল বা বিচারের মুখোমুখি না হয়েই নিজ নিজ দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন তারা।

শুক্রবার (১৬ মে) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

এই কর্মসূচির মেয়াদ শুরু হবে চলতি বছরের ১৯ মে থেকে এবং তা চলবে আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। অভিবাসীদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত জরিমানা দিতে হতে পারে। তবে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, তাদের থেকে কোনো জরিমানা নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র বিশেষ পাসের জন্য ২০ রিঙ্গিত ফি প্রদান করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এর আগে যারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে নিবন্ধন করেছিলেন কিন্তু মালয়েশিয়া ত্যাগ করেননি, তারা নতুন করে এই কর্মসূচির আওতায় পড়বেন না।

এশিয়ার ২০টি দেশের আঞ্চলিক সংগঠন 'ক্যারাম এশিয়া'র তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসী অবস্থান করছেন। তবে এই সংখ্যাটি সুনির্দিষ্ট নয়। বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও দেশটির দূতাবাসের শ্রম বিভাগ ধারণা করছে, এই সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে। তবে বাংলাদেশি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও প্রবাসী ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেড় থেকে দুই লাখ বাংলাদেশি অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ বিমানবন্দর, পুলিশ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক দশকে মালয়েশিয়া থেকে ৮০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন। এছাড়া, গত ছয় মাসে প্রায় আড়াই হাজার অভিবাসী ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশের ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) জানায়, ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়কালে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে গিয়েছেন। তবে নানা অনিয়ম ও সমস্যার কারণে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ রয়েছে। এই বাজারটি পুনরায় চালুর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

সম্প্রতি তিনি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনায় শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত করা এবং অভিবাসীদের কল্যাণে একযোগে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সময়মতো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বৈধ প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

ঈদের ছুটি সমন্বয়ে শনিবার খোলা থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দাপ্তরিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি সমন্বয়ের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) এবং পরবর্তী শনিবার (২৪ মে) দেশের সব ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। ফলে সাপ্তাহিক ছুটি থাকা সত্ত্বেও এদিনগুলোতে চলবে স্বাভাবিক দাপ্তরিক, আর্থিক ও শিক্ষা কার্যক্রম।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ দীর্ঘ ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় সরকার ৬ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৭ ও ২৪ মে, দুটি শনিবার অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত শনিবারগুলোতে খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এসব দিনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলোতে স্বাভাবিকভাবে জমা-উত্তোলন, চেক নিষ্পত্তি, অনলাইন লেনদেনসহ সব কার্যক্রম চলবে। একইসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র জানিয়েছে, শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন চলবে।

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত—১৭ ও ২৪ মে খোলা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন এড়াতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এসব দিনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার কথা জানিয়েছে।

সরকারের এ উদ্যোগের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা কার্যক্রমে স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

‘বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায়’- এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে পেরেছি, কিন্তু তাদের অর্থব্যবস্থা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।”

শুক্রবার (১৬ মে) কুমিল্লায় ‘জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে’ আহত, শহীদ ও বীর সন্তানদের সম্মানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসনাত বলেন, “কুমিল্লার অনেক উপজেলায় সব দলের রাজনীতি আওয়ামী লীগের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। এমনকি বিএনপির রাজনীতিও চলছে তাদের টাকায়।”

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তারা জামিন পায় কিভাবে? এর পেছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছে তা জাতির সামনে প্রকাশ করুন।”

তিনি আরও বলেন, “আপনি (আসিফ নজরুল) বলছেন, আপনাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না—তাহলে তা জাতির সামনে তুলে ধরুন। বিচার হয়নি, দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল হয়নি—এটাও আপনার ব্যর্থতা।”

এনসিপি নেতা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যদি মনে করে খুনিদের বিচার ও আওয়ামী লীগের বিচার অপেক্ষা সংস্কার বড় বিষয়, তাহলে তারা ভুল করছে। বিচার হবে, সংস্কার হবে, তার পরেই হবে নির্বাচন।”

তিনি মানবিক করিডোর ও ১৪ দল প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান। বলেন, “আমরা কোনো পরাশক্তির আধিপত্য চাই না। ভারতের, পিন্ডির বা মার্কিন আধিপত্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষাই আমাদের অঙ্গীকার।”

কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের আয়োজন করা এ সমাবেশে বিএনপি, এনসিপি, খেলাফতে মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা অংশ নেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ফেস দ্য পিপলের সম্পাদক সাইফুর রহমান সাগর, বিএনপি নেতা আশিকুর রহমান ওয়াসিম, এনসিপি নেতা রিফাত রশিদ, নাভিদ নওরোজ শাহ, এবি পার্টির জিএম গোলাম সামদানী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরাফ ভূঁইয়া।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, দিয়েছে দেশে ফেরার সুযোগ
ঈদের ছুটি সমন্বয়ে শনিবার খোলা থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দাপ্তরিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায় : হাসনাত আব্দুল্লাহ
সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১ হাজার ৬৬২ জন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার
নেপালকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ
বোতল নিক্ষেপকারী শিক্ষার্থীকে বাসায় দাওয়াত দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ
পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই করে বিক্রি, ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ
প্রোটিয়াদের উড়িয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ডিবি কার্যালয়ে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ও সাম্য হত্যার তদন্ত করে লাভ নেই: ফারুক
শাহজালালে ৭১ আরোহীসহ নিরাপদে অবতরণ করল চাকা খুলে পড়া বিমান
শ্রীনগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই
উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ল চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে বিমান
গত ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে : মির্জা আব্বাস
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগ থানা ঘেরাও, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম