শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিজয়বনের মুক্ত পাখি

চারিদিকে গুমোট পরিবেশ। সকাল থেকে আকাশে মেঘ জমে রয়েছে। বৃষ্টি হবে হবে করেও হচ্ছে না। ফলে গরম কমারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। জঙ্গলের ভেতর বসে দরদর করে ঘামছে মুক্তিসেনারা। দশ জনের ছোট্ট একটা দল। গাছের কয়েকটা ডাল কেটে একটা তাবু কোনোমতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বৃষ্টি একবার এসে পড়লে অতটুকু জায়গায় সবাই শান্তিমতো বসতে পারবে কি-না সন্দেহ আছে। তবুও সবাই বৃষ্টির দেখা চায়। গরম ক্রমশ অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে।

আকাশের কালো মেঘের মতো দেশের আকাশেও দুর্যোগের ঘনঘটা। হঠাৎ করেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা বাংলার মানুষের ওপর সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে। পুরো দেশটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে একেবারে ছারখার করে দিচ্ছে ওরা। ওদের বিরোধিতা করে এমন কোনো মানুষকেই জীবিত রাখবে না।

হাসানের পরিবারের কাউকেও জীবিত রাখা হয়নি। সে কোনোরকমে সেদিন চোখের জল সম্বল করে পালিয়ে এসেছিল। তারপর মুক্তিবাহিনীর সাথে ভিড়ে গেছে।
দশজনের এই দলটাতে হাসান বাদে বাকি সবাই ভারত থেকে যুদ্ধের জন্য ট্রেনিং নিয়ে এসেছে। হাসানকেও তারা সীমানা পেরিয়ে ওপারে যেতে বলেছিল। কিন্তু সে যেতে রাজি হয়নি; বলেছে, 'আমাকে আপনারা কেউ অস্ত্র চালানো শিখিয়ে দিলেই হবে।'
'ভারতে গেলে ঠিকমতো শিখতে পারবি। ওরা ভালো ট্রেনিং করায়।'
বলেছিল ক'দিনের ভেতর খুব কাছের বন্ধু হয়ে যাওয়া হৃদয়। কিন্তু হাসান বলে, 'আমাদের হাতে সময় খুব কম। আমি যুদ্ধ করতে চাই। পাকিস্তানি শুয়োর মারতে মারতে আমি শহিদ হতে চাই। ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে আবার ফিরে আসবো এত সময় কোথায়!'
হাসানের মনোভাব বুঝতে পেরেছিলেন দলের কমান্ডার। পরদিনই তিনি হাসানকে ট্রেনিং দিতে শুরু করেন। কমান্ডার যে শুধু তাকে অস্ত্র চালানোই শিখিয়ে দিলেন তাই নয়; কীভাবে অ্যামবুশ করতে হবে, গেরিলা আক্রমণ পরিচালনা করতে হবে কীভাবে- সবই শেখনো হয় হাসানকে। সে খুব দ্রুতই যুদ্ধের সমস্ত কলাকৌশল শিখে নেয় এবং দলের সেরা গেরিলা যোদ্ধায় পরিণত হয়।

 
বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে আরম্ভ করেছে।
হাসানের পোষা ময়না পাখিটা বৃষ্টি পড়তে দেখে ডাকাডাকি শুরু করেছে। সবাই তাবুর ভেতর প্রবেশ করলে হাসান খাঁচাটাকে নিয়ে তাবুর এক কোনায় ঝুলিয়ে দেয়। তারপর ময়নার চোখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে, 'বল তো, এই বৃষ্টি আমাদের জন্য সৌভাগ্য নাকি দুর্ভাগ্য বয়ে আনবে?'
ময়না কিছু বুঝতে না পেরে চুপ করে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। হাসান দলের বাকি সদস্যদের দিকে চেয়ে দেখে, তারা সবাই ওর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ও সবার কাছে চলে আসতে গেলে ময়না চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে, 'বিজয়...বিজয়...বিজয়...'
অবাক হয়ে যায় সবাই; হাসানও। কারণ, কথাটা মোটেও সে তাকে শেখায়নি।
হাসান ফিরে এসে মাটিতে বসে পড়ে। সবাই কোনোমতে গোল হয়ে বসার সুযোগ পেয়েছে। প্রথমে কথা বলে ওঠেন কমান্ডার।
'এই বৃষ্টিটার জন্য আমরা সারাদিন অপেক্ষায় রয়েছি। সন্ধ্যাও হয়ে এসেছে। হাসান ময়নাকে যে প্রশ্ন করেছে তার উত্তর আমি দিচ্ছি—এই বৃষ্টি আমাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে।'
কমান্ডারের চিন্তাধারা আগে থেকে অনুমান করা মুশকিল। তার কাজের ধরনই আলাদা। সামনে বসে থাকা বোকাসোকা জয়নাল প্রশ্ন করে, 'এতটা নিশ্চিত হচ্ছেন কীভাবে?'
কমান্ডার রহস্যময় হাসি হেসে বলেন, 'নিশ্চয়ই কারণ আছে। আজ রাতে আমরা নদী পেরিয়ে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করবো।'
'একে তো বৃষ্টির রাত—তার ওপর ঘুটঘুটে অন্ধকার। নদী পার হতে সুবিধাই হবে বটে।'
যোগ করে হাসান। তার বুদ্ধিমত্তা এবং দক্ষতার ওপর অগাধ ভরসা কমান্ডারের।
কমান্ডার বলেন, 'আমি এই অভিযানের নেতৃত্ব হাসানের ওপর দিলাম। তুমি পাঁচজনকে নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে নদী পার হয়ে যাও। অন্ধকার যখন একেবারে গাঢ় হয়ে আসবে তখনই আক্রমণে যাবে।'
দলের সদস্যরা একে অন্যের মুখের দিকে তাকায়। কমান্ডার বুঝতে পারেন সব।
'আমি বাকি তিনজনকে নিয়ে ক্যাম্প পাহারায় থাকছি। আল-বদর বাহিনী রাতে হামলা করতে পারে।'
বু্ক টানটান করে উঠে দাঁড়ায় হাসান। তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়ে সবাই। কমান্ডারের বুকের সঙ্গে বুক মেলায় সে। তারপর পাঁচ সঙ্গী নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ঘুটঘুটে রাতের অন্ধকারে।

 
কমান্ডার যেভাবে বলেছিলেন, আক্রমণ পর্যায়টা তেমন সহজ হয়নি। পাকিস্তানিরা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতই ছিল। হাসানের বাহিনী আক্রমণ শুরু করতেই ওপার থেকে তীব্র গুলিবর্ষণ শুরু হয়। তবে এই জল-কাঁদার ভেতর ওদের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যায় থাকা সত্ত্বেও পাক বাহিনী বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। সাতটা লাশ পেছনে ফেলে আস্তানা ছেড়ে পালিয়েছে ওরা। এদিকে হাসানের বুকেও বিদ্ধ হয়েছে গুলি। সেখান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে রক্তের ফোঁটা মিশে গিয়ে আশেপাশে লাল রঙের স্রোত তৈরি করেছে।
সহযোদ্ধারা ধরাধরি করে ক্যাম্পে নিয়ে এসেছে হাসানকে। এখনো বেঁচে আছে সে। কমান্ডার এগিয়ে এসে কান পাতেন বুকে। হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন টের পাওয়া যাচ্ছে। হাসান চোখ খুলে তাকায়। সহযোদ্ধাদের সবার চোখেমুখে কান্নার ছাপ। তারা জাতির একজন সাহসী সন্তানকে হারাতে যাচ্ছে।

হাসান তাকায় তার পোষা ময়নার দিকে। সে বড় ছুটাছুটি করছে। হয়ত মুক্তির আকুতি জানাচ্ছে হাসানের কাছে। হাসান ইশারায় বুঝিয়ে দেয় ময়নাকে ছেড়ে দিতে। ওর এখন মুক্তি প্রয়োজন। কমান্ডার এগিয়ে যান খাঁচার দিকে। কাঁপাকাঁপা হাতে খুলে দেন খাঁচার মুখ। ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে কালো মিশমিশে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় ময়না পাখিটা। সহযোদ্ধারা ময়নার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে হাসানের দিকে চেয়ে দেখে, তার বুকের ভেতর থেকেও প্রাণপাখিটা বেরিয়ে অন্ধকার রাতের বুকে মিলিয়ে গেছে।

 

 ডিএসএস/




এক গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ ‘বংশমর্যাদা’

কোটি টাকার গরু ‘রোজু’। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পুরোনো বাণিজ্যমেলা মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় দুদিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ মেলা। এতে নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয় সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা।

১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ ‘রোজু’ নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

কোটি টাকার গরু ‘রোজু’। ছবি: সংগৃহীত

 

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণী নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণী আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণীগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।

ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরেছে ৪০৭ প্রাণ

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি

এবারের ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৩৯৮ জন। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

আর বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭. দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে।

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত, ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়।

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, একজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুজন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।

শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কে কত ভোট পেলেন?

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পেয়েছেন ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)।

সহ-সভাপতি পদে ২৩১ ও ২৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়াও সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান ২৩৭, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ২৫৫, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো ২৯৬, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর ২৪৫, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ২৩৫ এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল ২৩১ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনী ফলাফল। ছবি: সংগৃহীত

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় অভিনেতা ডা. এজাজের (অভিনেতা ও চিকিৎসক এজাজুল ইসলাম) ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৫টায়।

উৎসবমুখর পরিবেশে ৪৭৫ জন শিল্পী ভোট দেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৭০ জন। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের এই নির্বাচনে ছয়জন স্বতন্ত্রসহ দুটি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

এক গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ ‘বংশমর্যাদা’
ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরেছে ৪০৭ প্রাণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কে কত ভোট পেলেন?
সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি
চাঁদপুরে চলন্ত লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের
গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ
ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যা জানালেন বেনজীর আহমেদ
স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ
টাঙ্গাইলে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন ছাত্রলীগ নেতা
চিন্তাও করিনি মাত্র ১৬ ভোটে হারবো: নিপুণ
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে মিশা-ডিপজল
২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০
পালিয়ে আসা ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী