মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

বীরাঙ্গনা মা

মিহির তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মেধাবী ছাত্র। সেদিনও বরাবরের মতো সন্ধ্যার পড়া শেষ করে রাত দশটায় ঘুমাতে যায়। সাথে মা মরিয়ম বেগম। নানা গল্পে মিহিরকে ঘুম পাড়িয়ে অপেক্ষা করে মিহিরের বাবার জন্য। রাত এগারোটায় মিহিরের বাবা গঞ্জের বাজার থেকে ফিরে। বিদ্যুতের আলোয় ঘুমন্ত মিহিরের মুখটা ঝলমল করছে। বাবা ওদিকটায় চেয়ে আর চোখ ফিরাতে পারে না। পুত্রের কপালে স্নেহের চুম্বন এঁকে বলে, বেঁচে থাকো বাবা।’ খাওয়া শেষে স্বামী-স্ত্রী গা এলিয়ে দেয় বিছানায়। রাতের কোনো একসময় বিশাদের ছায়া নেমে আসে সুখ-সংসারে। হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু হয় মিহিরের বাবার। ঘুমের মধ্যেই।

উপার্জনক্ষম স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা মরিয়ম। কী করবে- ভেবে পায় না। অবশেষে সেলাই মেশিন চালিয়েই সংসারের হাল ধরেন। মিহিরের পড়াশোনার খরচও চলে এভাবে। মায়ের শত কষ্টেও এতটুকু কষ্টের আচঁড় পড়েনি মিহিরের। কিন্তু মিহির বুঝতে পায় মায়ের কষ্টের পরিধি। মায়ের চোখে তাকিয়ে তার কচি মন কেঁদে ওঠে। ও স্বভাবজাতভাবেই মায়ের বাধ্যগত। পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী।

সময়ের পরিক্রমায় আজ মিহির প্রাচ্যের অক্সফোর্ড-খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তার চেতনাজুড়ে বড়ই তাড়া- পড়া শেষ করেই তাকে একটি চাকরি নিতে হবে, মায়ের কষ্ট ঘুচাতে হবে, মায়ের মুুখে হাসি ফুটাতে হবে, মায়ের সাধ পূর্ণ করতে হবে। হাজারো স্বপ্ন, হাজারো কল্পনার প্রজাপতি, রঙিন ডানা মেলে ওড়ে বেড়ায় মিহিরের হৃদয়রাজ্যে।
এরই মাঝে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। রাজপথ শ্লোগানে মুখরিত। পাকিস্তানি হায়েনাদের বুলেটে ঝাঁঝড়া হয় এদেশের শত যুবকের প্রাণ। কত মায়ের বুক খালি হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ। রাতের ঘন-অন্ধকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে হামলা হয়। অসংখ্য ঘুমন্ত ছাত্রের প্রাণ কেড়ে নেয় ঘাতকের বুলেট। সৌভাগ্যবশত সেদিন মিহির হলে ছিল না। মায়ের আহবানে ছুটে গিয়েছিল কলাবাগানের সেই ছোট্ট নীড়ে। পরদিন প্রত্যুষে ও খবরটা পায়। সূর্য ওঠার আগেই সোহেল আর নাফিজ চলে আসে মিহিরের বাসায়। উসকো-খুসকো চুল। পরনে লুঙ্গি। মিহির ঘুমঘুম চোখে দরজা খোলে হতবাক। ঢকঢক করে কয়েক গ্লাস পানি খেয়ে কেঁদে ফেলে সোহেল। বলে, ‘মনে হয় হলের কেহ আর বেঁচে নেই রে মিহির। আমরা দু’জন কোনোরকমে জীবন নিয়ে পালিয়ে এসেছি। পাকিস্তানি মিলিটারির গুলিতে নিহত হয়েছে সবাই।’ চিন্তার চিকন রেখা ফুটে ওঠে মিহিরের কপালে। মিহির বলে, ‘শুনেছি দক্ষিণ পাড়ার কয়েকজন যুবক ইন্ডিয়া যাবে। সেখান থেকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। চল, আমরাও তাদের সাথে যোগ দিই।’ সোহেলের চোখে তখনও বিভীষিকার দৃশ্য ভেসে বেড়াচ্ছে। সে কাঁপা কণ্ঠে বলে, ‘ঠিকই বলেছিস। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। চল, আজকেই আমরা ওদের সাথে যোগ দিব।’ মিহির বলল, ‘তোরা তো জানিস, আমার পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই। যাব, তবে মাকে কিছু জানতে দেয়া যাবে না। মা জানতে পারলে কিছুতেই আমাকে যেতে দিবেন না। মা ভীষণ কষ্ট পাবেন।’ গোপন আলোচনায় হঠাৎ মরিয়ম বেগমের উপস্থিতিতে তারা আশ্চর্য হয়। সকলেই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। মরিয়ম বেগম পাঁচটি এক হাজার টাকার নোট মিহিরের হাতে ধরিয়ে দেন। বলেন, ‘মিহির, তোমাদের সব কথাই আমি শুনেছি। না, আমি তোমাদের বাঁধা দেব না। এই টাকাটা রাখো। কাজে লাগবে।’ মরিয়ম বেগমের এহেন অনুপ্রেরণায় মিহির উত্তেজনায় কাঁপতে থাকে। বলে, ‘মা, যদি আর ফিরে না আসি? মরিয়ম বেগমের চোখ জলে ছলছল, তিনি আচঁল দিয়ে চোখ মুছে বলেন, ‘কত মায়ের বুক ইতিমধ্যে খালি হয়ে গেছে। তাঁদের যে অবস্থা, আমারও না হয় তাই-ই হবে।’

মায়ের দোয়া নিয়ে মিহির চলে যায় ইন্ডিয়া। সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে আসে। সঙ্গে আরো অনেকে। ২৭ অক্টোবর ১৯৭১ সাল। রাত দশটায় মায়ের সাথে খাবার খাচ্ছিল মিহির। কমান্ডারের ফোন- ‘আজ শেষ রাতে বড়বাজারে একটি জরুরি অপারেশনে যেতে হবে। তুমি এই অপারেশনের নেতৃত্ব দিবে। অপারেশন সাকসেসফুল হলে পাক বাহিনীর মনোবল একেবারে ভেঙ্গে পড়বে। জলদি চলে আসো।’
মিহিরের আর খাওয়া হয় না।

মরিয়ম বেগম বাঁধা দেননি বরং বন্দুক এগিয়ে দেন। বলেন, ‘আর ছাড় নয়, এবার রুখে দাঁড়াও।’
মায়ের কপালে চুমু দিয়ে মিহির চলে যায়। মরিয়ম বেগম সারা রাত না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেন। ফজরের নামায পড়ে তসবিহ হাতে বসেছিলেন। এমন সময় দরজায় আলতো টোকা। চমকে ওঠেন মরিয়ম বেগম। পাকিস্তানিরা আবার তার বাসায় হানা দেয়নি তো? তিনি আস্তে আস্তে দরজা খোলেন। মিহির, সোহেল আর নাফিস দাঁড়িয়ে। আনন্দে মিহিরের চোখ চিকচিক করে ওঠে। ‘মা, অপারেশন সাকসেসফুল।’

মরিয়ম বেগম দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন, বলেন, ‘এখনো অনেক পথ বাকি বাবা। তোমরা ক্ষুধার্ত, একটু বসো। খাবার দিচ্ছি।’
ঘরে খাবার বলতে কিছু নেই। মরিয়ম বেগম খুঁজে খুঁজে কিছু মুড়ি পেলেন। তা-ই খেতে দিলেন। মিহির এক মুঠ মুড়ি মুখে দিবে এমন সময় আবার দরজায় টোকা। সবাই দরজার দিকে তাকাল। চোখে মুখে ভয়। এই অসময়ে আবার কে এল?
মরিয়ম বেগম বললেন, তোমরা বসো। আমি দেখছি।
বন্দুক তাক করে ঘরে ঢুকল পাকিস্তানি বাহিনী। মিহিরের কপালে একজন বন্দুকের নল ঠেকিয়ে বলল, তুই কি মিহির? মিহির, সোহেল, নাফিসের চোখে চোখ রাখে। সবার চোখেই আতঙ্ক। মায়ের পানে তাকায় মিহির। মায়ের চোখে অশ্রু নয়, দেখেছে প্রতিশোধের আগুন। মিথ্যা নয় সত্য বলার সিদ্ধান্ত নেয় মিহির, ‘হ্যাঁ, আমি মিহির।’

বড়বাজার হত্যা কা-ের সন্দেহজনক আসামী হিসেবে মিহিরকে ধরে থানায় নিয়ে গেল পাকিস্তানি বাহিনী।
অমানসিক শারীরিক নির্যাতন চলে তার ওপর। পায়ে রশি বেঁধে মাথা নিচে ঝুলিয়ে রাখা হয়। নখের নিচে সুঁচ বিঁধানো হয়। অসহ্য অত্যাচারেও মিহির দৃঢ় কঠিন প্রতিজ্ঞ। গোপন তথ্য ফাঁস করেনি।

মরিয়ম বেগম তাকে দেখতে থানায় আসেন। একটি আধো-অন্ধকার প্রকোষ্টে শুয়ে আছে মিহির। গায়ে কাপড় বলতে একটি প্যান্ট। মায়ের ডাকে ঘাড় উচিয়ে দেখে। এক বিধবা মা খাবার হাতে দাঁড়িয়ে আছে ওপাশে। ওঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি নেই মিহিরের। পায়ের হাড় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অতি কষ্টে গ্রিল ধরে দাঁড়ায় মিহির। সারা শরীরের আঘাতের চিহ্ন। চোখের নিচে কালো দাগ। কপাল ফেটে রক্ত পড়ছে তখনও। যে ছেলের শরীরে এতটুকু আচঁড় পড়েনি কোনো দিন, সে ছেলের আজ ক্ষত-বিক্ষত অব¯’া দেখে মরিয়ম বেগমের মন কালবোশেখী ঝড় ওঠে। কিন্তু চোখে জল নেই। প্রতিশোধের আগুন ঝরছে চোখ থেকে। ছেলের কপালে হাত বুলিয়ে মরিয়ম বেগম জানতে চায়।
-ওরা তোমার কাছে কী জানতে চায় মিহির?
-ওই অপারেশনে কে কে ছিল? কে কমান্ডার ছিল? কোথায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প- জানতে চায় ওরা।
-তুমি কিছু বলোনি তো?
- মিহির ডানে-বামে মাথা ঝাঁকায়। না।
-তুমি কিছুই বলবে না। ওরা তোমাকে যতই মারুক। তুমি কিছুতেই মুখ খুলবে না। মরিয়ম বেগম মিহিরের পিঠে হাত বুলিয়ে জানতে চান-ওরা তোমাকে খেতে দেয় বাবা?
- দেয় মা, ওরা দিনে একবার খেতে দেয়। পেট ভরে না মা। মিহিরের দু’চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি গড়িয়ে পড়ে। মায়ের চোখে মুখে হাত বুলিয়ে মিহির আবার বলে, কতদিন হল তোমার হাতের পিঠা খাই না মা। তোমার হাতের পিঠা খেতে বড়ই ইচ্ছা করছে। খাওয়াবে মা?
-হে বাবা, খাওয়াব। আমি কালই তোমার জন্য পিঠা নিয়ে আসব। মরিয়ম বেগম শাড়ির আচল দিয়ে ছেলের চোখ মুছেন।

পরের দিন সকাল বেলা। মরিয়ম বেগম পিঠা ভর্তি বাটি নিয়ে দারোয়ানকে মিনতি করে, ‘শুধু একটা পিঠা আমার মিহিরকে খাইয়ে চলে আসব। আমাকে পাঁচ মিনিটের জন্য অনুমতি দিন। অনুগ্রহ করুন।’
-অল্প কিছুক্ষণ আগে ওরা মিহিরকে হাত বেঁধে নিয়ে গেছে। দারোয়ান গোঁফের ফাঁক গলে ফিসফিসিয়ে বলে।
-ওরা কোথায় নিয়ে গেছে মিহিরকে? দারোয়ানের কথায় মরিয়ম বেগম হতবিহবল হয়ে পড়েন।
-বড়বাজার বালুর মাঠে।
মরিয়ম বেগমের মন কেঁদে ওঠে অজানা সঙ্কায়। তিনি এক মুহূর্ত দেরি না করে বালুর মাঠের দিকে হাঁটা দেয়। পাক-বাহিনী মিহিরসহ বহু যুবককে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। মাঠের ওপাশ থেকে মরিয়ম বেগম স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন মিহিরকে। হঠাৎ করেই মুহুর্মুহু গুলির শব্দ। মুর্হূতেই ঝরে পরে বহু মিহিরের নিথর দেহ। মরিয়ম বেগম জ্ঞান হারায়। এক সময় জ্ঞান ফিরে আসে কিন্তু স্বাভাবিকতা ফিরে আসেনি।

মিহিরদের তাজা রক্তের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীন পতাকা এসেছে। কিন্তু মিহির ফিরে আসেনি। সেই থেকে মিহিরের মা মরিয়ম বেগম পাগল। তিনি এখনো শাড়ির আঁচলে পিঠা নিয়ে বসে থাকেন বধ্যভূমির গেটে। তাঁর বিশ্বাস, মিহির কোনোএকদিন পিঠা খাওয়ার বায়না নিয়ে ঠিকই ফিরে আসবে। মিহিরের নামানুসারে পাশের বাজারের নামকরণ করা হয়েছে মিহিরবাজার। এই বধ্যভূমির নামকরণ করা হয়েছে মিহিরবাজার বধ্যভূমি। বধ্যভূমিতে আগত লাখো জনতা আজও মরিয়ম বেগমকে দেখে মমতা ভরা চোখে। পরম শ্রদ্ধা ভরে তাকে ডাকে ‘বীরাঙ্গনা মা’ বলে।

 

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

বিতর্কিত তিন নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ-এ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গিয়েছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।’

 

Header Ad
Header Ad

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঈদের বিরতির পর ফের অবস্থান নিয়েছেন  ইশরাকের অনুসারীরা। 

ইশরাক হোসেন জানিয়েছেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম চলবে, জনগণের যাতে ভোগান্তি না হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি।

বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ এবং পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দেওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘তবে এভাবে ক্ষমতা প্রদর্শন করে নগর ভবন দখল করে দক্ষিণ ঢাকার দৈনন্দিন নাগরিক সেবায় বিঘ্ন ঘটানো দায়িত্বহীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর।’

বিজ্ঞপ্তিতে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের একজন নেতার থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ প্রত্যাশা করিনি। অবরোধের কারণে বিগত মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৩০-৪০ শতাংশ নাগরিক সেবা হ্রাস পেয়েছে। আমাদের অফিসাররা ওয়াসা অফিসে বসে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত না হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অংশীজনদের থেকে আমরা আরো দায়িত্বশীল এবং পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি।

 

Header Ad
Header Ad

এবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হামলা করেছে ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

এবার ইরানের রাজধানী তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে হামলা করেছে ইসরাইল। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে যে ইরানের রাজধানী তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সর্বশেষ ধাপে ইসরায়েল তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।

হামলার আগে দেশটি দাবি করেছিল, তেহরানের আকাশ পুরোপুরি তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। খবর আল-জাজিরা ও আনাদোলু এজেন্সির।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলের হাসপাতালে হামলা করেছে ইরান। যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইসরাইল ইরানের ‘বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে’ অবস্থান করছে। কেননা তেহরানের আকাশ এখন সম্পূর্ণ ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে।

ইরান-ইসরাইল সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে গত শুক্রবার। ইসরাইল একযোগে ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে ইরানও মিসাইল ও ড্রোন হামলা শুরু করে।

ছবি: সংগৃহীত

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ইরানের হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, ইরান বলছে, ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে, এবং ১,০০০-র বেশি মানুষ আহত।

এ সংঘাত ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত না হলে মধ্যপ্রাচ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত তিন নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
এবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হামলা করেছে ইসরায়েল
ঢাবিতে ভর্তির জন্য দুই শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়তা দিল নওগাঁ জেলা প্রশাসন
১০ সদস্যবিশিষ্ট ডাকসু নির্বাচন কমিশন গঠন
১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুতে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার টোল আদায়
পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান
সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দেশে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘রিমঝিম’
নগরভবনে সভা করলেন ইশরাক, পরিচয়ে লেখা ‘মাননীয় মেয়র’
রাতে নাক ডাকলে ডিভোর্স! সালমানের বিস্ফোরক মন্তব্য
ঈদযাত্রার সড়ক, রেল ও নৌ-পথে নিহত ৪২৭, আহত ১১৯৪
ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কারাগারেও ফাউল করছেন সালাম মুর্শেদী
পুলিশ খুঁজে পায়নি হাসিনাকে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ইরান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে নয়াদিল্লি
মোসাদ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান
স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই : অপু
বিএনপির এমপি মনোনয়ন পেতে লাগবে তিন যোগ্যতা
রামুতে বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩