মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সামনে নতুন দিন

বটতলী হাটের শেষ প্রান্ত। নদীপাড়ের হাট। বেশ খাড়া নদীর পাড়। খরস্রোতা ধানিয়া নদী। এখানেই হায়েনারা ঘাঁটি গেড়েছে। সারি সারি তাঁবু। নদীর পাড়সহ বটতলী হাঁটের আশপাশটা এখন ওদের দখলে। পাক হায়েনাগুলো এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করছে। হায়েনাদের এক কর্তা দাঁড়িয়ে। মোটা আর পাকানো গোঁফ। ইয়া লম্বা আর দশাসই চেহারা। পিঠে উদ্যত সঙ্গীন। বেয়নেট চকচক করে ওঠছে। কোমরে রিভলবার গোঁজা। চোখদুটি লাল টকটকে হয়ে ওঠেছে।

অনেকদিন ধরে একটা টিকটিকি জ্বালাচ্ছে ওদের। সব খবর চলে যাচ্ছে মুক্তিদের কাছে। বহু কষ্টে ধরা হয়েছে টিকটিকিটাকে। সামনে দাঁড়িয়ে এক কিশোর। ঢোলা হাফ প্যান্ট পড়া। ছেঁড়া গেঞ্জি। হালকা পাতলা গড়ন। কালো কাপড় দিয়ে চোখ বাঁধা। পিছমোড়া করে হাত বাঁধা। যে রাজাকাররা তাকে ধরে এনেছিল তারা সামনেই। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে যখন বিচ্ছুটাকে অত্যাচার করবে তখন এই রাজাকাররা নিশ্চয় পৈশাচিক আনন্দ লাভ করবে। গোটা এলাকা চষে তারপর এই টিকটিকিটাকে ধরা হয়েছে। বিচ্ছু দলের নেতা। হায়েনা কর্তার বাজখাঁই আওয়াজ ভেসে আসল। পরিস্কার বাংলায়। হায়েনা নেতা ইশারা করতেই বিচ্ছুটার মুখের কালো কাপড় আর হাতের বাঁধন খুলে দিলো একজন। জেরা শুরু হলো।- কী নাম?- দিনু- কোন ক্লাসে পড়িস?  ক্লাস নাইনে। তুই নাকি একটা বিচ্ছু? আমি দিনু। কিন্তু তুইতো একটা বিচ্ছু। শুধু বিচ্ছু না, বিচ্ছু দলের নেতা। একটা টিকটিকি। আমি দিনু। আচ্ছা, আচ্ছা, তুই ই তাহলে সেই ঘুম হারাম করা বিচ্ছু দলের নেতা? তুই নাকি আমাদের সব খবরাখবর মুক্তি বাহিনিকে পৌঁছে দিস? হ‘ ঠিকই হুনছেন।  কেন?  আমরা আমাগো দেশটারে বাঁচাইবার চাই। তাই? এই দেশের মানুষ থাকব না, শুধু মাটি থাকব। বুঝছস? আমরা আমাগো দেশটারে বাঁচামুই।  মুক্তিবাহিনির খবর বল। ওরা কোথায় আছে? জানি না। আলবৎ জানিস। বল। জানি না। কেন জানিস না? মুক্তিরা বাতাসের বেগে চলে। এই এখাে তো একটু পর হয়তো ওখানে। এত্তটুকু মাসুম বাচ্চা! এই ছোঁড়া তুই যুদ্ধে আইলি ক্যান? আপনেরা আমাগো যুদ্ধে নামাইছেন। তুইতো দেখি আসলেই একটা বিচ্ছু। স্যার ওর পাছায় বুটজোড়া দিয়া একটা লাথি কষাইয়া দেন না ক্যান? বলে রাজাকার শামসু এগিয়ে এসে দিনুর গালে প্রচন্ড জোরে চড় মারে। বিশ্বাসঘাতক! রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার! দেশের সঙ্গে বেঈমান ঘৃণা আর রাগে একদলা থুথু ছিটিয়ে দেয় দিনু। শামসু রাজাকারের মুখে। রাইফেল দিয়ে দিনুর মাথায আঘাত করতে যায় রাজাকার শামসু।  ‘স্টপ, ইয়ে রাজাকার শামসু!। বাঁজখাই গলা ভেসে আসে হায়েনার। অবাক হয়ে যায় শামসু।  স্যার আপনেও আমারে রাজাকার কইলেন। স্যার এই বিচ্ছুডারে বিশ্বাস কইরেন না। ওরে বিশ্বাস করলে আমাগো শ্যাষ কইরা দিবো। শুট হিম স্যার, শুট হিম।  নো, ওর কাছ থেকে অনেক কথা বের হবে। শামসু রাজাকার!  ক্যাপ্টেন সাব, আমারে আবারও রাজাকার বললেন। রাজাকারকেতো রাজাকারই বলব। তোমরা আমাদের সাহায্যকারী সেইজন্যইতো তোমরা রাজাকার। পোকা খাওয়া দাঁত বের করে হেহে করে হাসতে থাকে রাজাকার শামসু। কী মনে করে হায়েনা এগিয়ে এসে দিনুর চোখের কালো কাপড় খুলে ফেলে। পাঁচ মিনিট সময় দিলাম। এরপর মুখ না খুললে গুলি করে মেরে এই ধানিয়া নদীতে ফেলে দেবো। কোথায় ভেসে যাবি সেটাও বলতে পারবি না। 

হোলস্টার থেকে রিভলবার বের করে হায়েনাটা। তাক করে দিনুর দিকে। ঠোঁটে নিষ্ঠুর হাসি। বাঙালী মেরে ভুট্টোকে খুশি করবে। দিনু ঘাড় ঘুরিয়ে নদীর দিকে তাকায়। ধানিয়া নদী। বেশ খরস্রোতা। তাই কেউ এটি সাঁতরিয়ে পার হবার সাহস করে না। করণীয় ঠিক করে ফেলে দিনু। দেশকে বাঁচাতে হলে তার আরও কিছুদিন বাঁচতে হবে। না হলে বাংলার মাটি থেকে এই সব হানাদের তাড়ানো যাবে না। ঝট কওে একটানে রিভলবারটা কেড়ে নেয় সে। তারপর সেই অবস্থায় উল্টো ডিগবাজী খেয়ে লাফিয়ে পড়ে নদীতে। এরকম বহুবার ডিগবাজী খেয়েছে সে। বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে। গ্রামের দুরন্ত কিশোরবেলা তার এভাবেই কাটছিল। ‘হায়! হায়! কী হলো বলে রাজাকার শামসু চেঁচিয়ে ওঠে। ক্যাপ্টেন সাব, বিচ্ছুটা পালিয়ে গেল! বিচ্ছুটা পালিয়ে গেল!’ বিস্ময়ে হতবাক হায়েনা ক্যাপ্টেনের বুঝতে খানিকটা সময় লাগে। কিংকর্তব্যবিমূঢ়। নিচে তাকায়। গভীর পানি। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। বেমালুম গায়েব। ‘ফায়ার! ফায়ার! গগনবিদারী চিৎকারটা দেয় হায়েনাদের সর্দার। বৃথাই পানি লক্ষ্য করে গভীর আক্রোশে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে হায়েনারা। তারপর হায়েনা কর্তা ঘুরে ঠাস্ করে চড় কসায় রাজাকার শামসুর গালে। চড় খেয়ে বড় বড় চোখ করে হায়েনা কর্তার দিকে তাকিয়ে থাকে রাজকার শামসু। তার কী দোষ? বুঝতে পারল না শামসু। মাটিতে বুটজোড়া দিয়ে লাথি মারতে লাগল হায়েনাদের বালুচ ক্যাপ্টেন।

নদীর ওপাড়ে পৌঁছে নদীর পাড়েই গা এলিয়ে দেয় দিনু। কোনদিন এই ধানুয়া নদী সাঁতরে পার হওয়ার সাহস করেনি। আজ সেটা করল। ভয়ডর মন থেকে উবে গেছে যেন। লম্বা ঘাসের আড়াল। ঘন ঘন শ্বাস নিতে থাকে দিনু। শরীরে ওপর বেশ ধকল গেছে। তিনদিন ধরে কিছু খেতে দেয়নি ওকে। নদীটা পার হয়ে এ পাড়ে আসতে পেরেছে সেটাই অবাক করার ব্যাপার। আহা! বেঁচে থাকাটা কত আনন্দের! কত আবেগের! বিপদে যে বেঁচে যায় কেবল সেই-ই বুঝতে পারে। ওপরে সুনীল আকাশ। সাদা মেঘের দল সারি সারি চলে যাচ্ছে। এই যে সুন্দর দেশটাকে বাঁচাতে হবে।  কিন্তু শরীরটা অসাড় হয়ে আসছে। চোখ ঝাঁপসা হয়ে আসছে। জ্ঞান হারাল সে। একটা ছনের কুটীর। কে যেন মাথায় পানি ঢালছে।  হঠাৎ একজন চেঁচিয়ে ওঠল, চাচী জ্ঞান ফিরছে, জ্ঞান ফিরছে। চাচী সম্বোধন করা সেই মহিলা চিনির শরবত এগিয়ে ধরল। ঢকঢক করে শরবত পান করল দিনু। কয়েক মিনিটে শরীরটা যেন শক্তি পেতে শুরু করল। সব অচেনা মুখ। অচেনা হলেও কেমন যেন মায়াময়। সকালে খেতে খেতে কথা হলে বাড়ির কর্তা আর কর্ত্রীর সাথে। দিনু ডাকে চাচা আর চাচি। বাজান, তোমার যেই কয়দিন খুশি এহানে থাকতে পারো- ডিমভাজিটা এগিয়ে দিতে দিতে বলল চাচী। আমাগো কোন ছেলেপুলে নাই। তুমি থাকলে আমাগো কোন অসুবিধা নাই। গৃহকর্ত্রীর সরল কথায় মনটা ভাল হয়ে গেল দিনুর।

দুদিনেই গ্রামটা অনেক পরিচিত হয়ে গেল দিনুর। গ্রামের নাম পলাশপুর। ধানিয়া নদীর এই পাড়ে যে এত সুন্দর একটা গ্রাম আছে সেটা অজানাই ছিল দিনুর কাছে। চারদিকে ফসলের ক্ষেত। সবুজ আর সবুজ। সরু মেঠোপথ। দুরে দুরে সব বাড়িঘর। এখানকার মানুষগুলোকে খুব আপন মনে হয়। সবাই দিনুর সাহসের তারিফ করে। গ্রামের একপাশে একটা বাঁশঝাড়। এখানে এসে বসে দিনু। সামনের ফসলের ক্ষেত। একটু পর পর বাতাস দোলা দিয়ে যাচ্ছে। দিনুর চোখেমুখে বাতাসের ঝাঁপটা এসে লাগছে। দিনু ভাবতে থাকে। এই যে সুন্দর গ্রাম। গ্রামের মানুষজন- এসব কিছু হায়েনারা ধ্বংস করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ওদের ঠেকাতে হবে। না হলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবর এনে দিয়েছে। এখন যুদ্ধে যেতে হবে। দিনু শুনেছে এখান থেকে সীমান্ত খুব একটা বেশি দুরে না। পাশের দেশ ভারত নাকি মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং দিচ্ছে। সন্ধ্যে হতে থাকে। বাঁশঝাড়েই বসে থাকে দিনু। একটু রাত হলে সে ওঠে দাঁড়ায় এবং সামনের দিকে হাঁটতে থাকে। দিনুর বুকের গভীরে একটা নতুন সূর্য উদয় হয়েছে। 

 

 এইচ/৩৭ ব্যাংক কলোনি, সাভার

 

ডিএসএস/ 

বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় ফাহিম, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার একটি বালিকা মাদরাসায় এক যুবক এতিমদের মাঝে অনুদানের কথা বলে বোরকা পরে প্রবেশ করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) করটিয়ার রওজাতুল কুরআন বালিকা মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মাদরাসার কর্মীদের সন্দেহ হলে ওই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়া হয়।

আটক ওই যুবকের নাম ফাহিম (১৯)। তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভার ধুলেরচর এলাকার মো. ফরহাদ আলীর ছেলে।

এবিষয়ে মাদরাসার পরিচালক মাওলানা সিয়াম হোসেন জানান, হঠাৎ করে মাদরাসায় এতিম শিশুদের অনুদানের কথা বলে বোরকা পরে ওই ব্যক্তি প্রবেশ করে। তার কথাবার্তা শুনে অফিস স্টাফদের সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি মাদরাসার ইমামকে মোবাইলে জানালে তিনি কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে আসেন। ওই মহিলারা তার বোরকার হিজাব খোলার পর দেখেন সে মহিলা নয়, পুরুষ। একপর্যায়ে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে তাকে ধরে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে পুলিশের হেফাজতে তুলে দেয়া হয়।

টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক আরিফ রব্বানি বলেন, ঘটনার পরপরই ছেলেটিকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়েছিল সেটি যাচাই-বাছাই চলছে।

তাইওয়ানে কয়েক ঘন্টায় ৮০ বার ভূমিকম্প অনুভূত

ছবি: সংগৃহীত

তাইওয়ানে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ৮০ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এই কম্পন অনুভূত হয়। সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। খবর রয়টার্স ও এনডিটিভির।

চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলটির পূর্বের হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র। পূর্ব উপকূল ছাড়াও কেঁপে ওঠে রাজধানী তাইপে। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।

গত ৩ এপ্রিলও ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয় তাইওয়ানে। সেসময় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ওই ভূমিকম্পের পর শতাধিক আফটার শক হয় অঞ্চলটিতে। সেসময় ক্ষতিগ্রস্ত একটি হোটেল ভবন সোমবারের ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে। হুয়ালিয়েনের ফায়ার সার্ভিস বিভাগ জানিয়েছে, আগে থেকেই ভবনটি পরিত্যক্ত ছিল।

এবার ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা

ছবি: রয়টার্স

ইরাক থেকে সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এবার ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

অবশ্য এই হামলার জেরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনী ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দুটি পৃথক রকেট এবং বিস্ফোরক ড্রোন হামলার মুখোমুখি হয়েছে বলে ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র এবং মার্কিন কর্মকর্তারা সোমবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর থেকে তথা গত প্রায় তিন মাসের মধ্যে এটিই মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম কোনও হামলা।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, পশ্চিম ইরাকি প্রদেশ আনবারে মার্কিন সেনাদের আবাসস্থল আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটির কাছে দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ব্যাপক সতর্কতার কারণে ড্রোনগুলো শনাক্ত ও ভূপাতিত করা সম্ভব হয়।

এর আগে গত রোববার ইরাকের জুম্মার শহর থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির দিকে অন্তত পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়। মার্কিন ও ইরাকি কর্মকর্তাদের মতে, গত রোববার উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার রুমালিনের একটি ঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর অবস্থানের দিকে উত্তর ইরাক থেকে পাঁচটি রকেট ছোড়া হয়েছে।

হামলায় হতাহতের বা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রোববারের রকেট হামলাটি মার্কিন সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করে চালানো হয়েছে। এটিকে গত ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে প্রথম হামলা বলে মনে হচ্ছে।

এর আগে গত শনিবার ভোরে ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিশাল বিস্ফোরণে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর অন্তর্ভুক্ত ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত হয়। এর একদিন পরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ইরাকে এবং ইরাক থেকে সিরিয়ায় এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে একদিন আগেই ফিরে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন।

রয়টার্স বলছে, গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রায় প্রতিদিনই রকেট ও ড্রোন হামলা শুরু হয়। ইরাকে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত ইরান-সমর্থিত শিয়া মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি দল সেসময় এই হামলার দায় স্বীকার করে।

মূলত গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে মার্কিন সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তারা এই হামলা চালায়।

ইরাকি-জর্ডান সীমান্তে একটি ছোট ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার জেরে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের মারাত্মক প্রতিশোধমূলক বিমান হামলার পর ইরাকি কর্তৃপক্ষ এবং ইরানের চাপে জানুয়ারির শেষের দিকে এসব হামলা বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে ইরাকে আক্রমণ করে এবং দেশটির তৎকালীন শক্তিশালী নেতা সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটায়। এরপর ২০১১ সালে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়।

কিন্তু ২০১৪ সালে বাগদাদ সরকারের অনুরোধে ইসলামিক স্টেট বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করার জন্য দেশটিতে আবারও মার্কিন বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

বর্তমানে ইরাকে প্রায় ২৫০০ মার্কিন সৈন্য এবং পূর্ব সিরিয়ায় ৯০০ মার্কিন সৈন্য পরামর্শ ও সহায়তা মিশনে মোতায়েন রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় ফাহিম, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি
তাইওয়ানে কয়েক ঘন্টায় ৮০ বার ভূমিকম্প অনুভূত
এবার ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা
ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ
ঢাকাসহ ৪ অঞ্চলে ধেয়ে আসছে ঝড়
যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া !
কাতারের আমিরের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ
‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব’ গঠন করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
নওগাঁয় গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস পেলেন বনি আমিন ও সবুজ মাহমুদ সহ ১৫ সাংবাদিক
রাজধানীতে হিট স্ট্রোকে রিকশা চালকের মৃত্যু
আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করছে সরকার: ভূমিমন্ত্রী
সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
হিট স্ট্রোক হলে করণীয় কী?
ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম
বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত দুদকের
রাতে ঢাকায় ফিরেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে
আরও ৭২ ঘণ্টার তাপদাহের সতর্কতা জারি
সবাইকে নিয়ে হিট মোকাবিলা করতে চান হিট অফিসার
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মেয়র আতিকের কঠোর হুশিয়ারি