শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

মুজিব ও রাষ্ট্রন্নেছা

একাত্তরের জুলাই মাস। নওয়াপাড়ার হিন্দুদের বাড়িগুলো এখন রাজাকারদের দখলে। ওদের চক্ষুলজ্জা ও ভয়- আর অবশিষ্ট নেই। এখন মুক্তিকামী মুসলমান বাড়িগুলোর উপরও শ্যেনদৃষ্টি ফেলা শুরু করেছে। স্বাধীনতাকামী সকলেই আজ শংকিত ও বিপদগ্রস্থ। যেসব বাড়ি থেকে দু’একজন মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে তাদের আজ মহাতংক। সেই মহাতংক বিরাজ করছে প্রফেসর আরজের বিশাল বাড়িটিতেও। প্রফেসরের বড়ভাই মিরাজ টের পান, ক্রমান্বয়ে পাকি দালালদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ও বর্বরোচিত আচরণ বেড়েই যাচ্ছে। যে কোন মূহুর্তে অকাজ-কুকাজ তারা ঘটিয়ে ফেলতে পারে! সেই দুর্ভাবনায় আল্লাহ আল্লাহ করে কেটে যাচ্ছে তাঁদের দিন। টানা দেড় মাস যাবত আরজও নেত্রকোণা কলেজ থেকে বাড়ি আসার সুযোগ পাননি।

১৬ জুলাই ভোরবেলা। মিরাজের ঘর আলো করে ভূমিষ্ট হলো এক পুত্রসন্তান। আতংক, বেদনা ও শংকার মাঝেও সবার হৃদয়ে দোলা দিলো নতুন আনন্দের। কারণ, এ শিশুই হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশে এই পরিবারের প্রথম সন্তান। সকলেরই ভাবনা- ছেলেটির সুন্দর নাম রেখে আকীকা সম্পন্ন করা। কিন্তু আরজ ছাড়া যথার্থ নামটি রাখবে কে?
ডেকে আনা হলো আরজের বাল্যবন্ধু জব্বারকে। যেতে হবে নেত্রকোণায়। আরজকে দেখেও আসবে, আবার সন্তান জন্মের খবরটিও দিয়ে আসবে। প্রসূতি সিরাজুন্নেছা এ সুযোগে আরজের কাছে চিঠি লিখতে শুরু করেন-
প্রিয় ভাইসাব,
আসসালামু আলাইকুম! আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। জেনে খুশী হবেন যে, আল্লাহর রহমতে আমাদের ঘর আলো করে আরো একজন পুত্রসন্তান জন্মগ্রহন করেছে। ও দেখতে একেবারে আমার শ্বশুরবাবার মতো। আপনাকে না পেয়ে পুরো আনন্দ থেকে আমরা বঞ্চিত। শ্বাশুড়িমা’র চাপে আপনার ভাই আগের নামগুলোর সাথে মিলিয়ে ওর নাম রেখেছেন- নূরুল ইসলাম। জানিনা এ নাম আপনার পছন্দ হবে কিনা। কিন্তু আমরা এখনো অপেক্ষায়, বরাবরের মতো আপনার কাছ থেকে সুন্দর একটি নাম পাবার আশায়। এপ্রিলে আপনি রাজ্জাকের মেয়েটির নাম ‘রাষ্ট্রন্নেছা’ রাখাতে ধারণা হচ্ছে- বাড়িতে থাকলে হয়তো এ নামটিও অন্যরকম রাখতেন।
আরেকটি কথা। প্রায়শই আপনার পাঠানো লোকজন আমাদের বাড়িতে অবস্থান করে। তারপর ছদ্মবেশে ভারতের দিকে চলে যায়। গ্রামের দু’একজন এবং জহরগাঁও ও কাঁটাখালির কিছু ভিক্ষুক- তালাশী নজরে এসব খেয়াল করে। মেহমানদেরকে নিয়ে নানান প্রশ্ন করে। আপনি এসব বিষয়ে আরো সতর্ক থাকবেন। দেশের অবস্থা ভয়াবহ! সবসময় দুঃশ্চিন্তায় থাকি। সময়-সুযোগে বাড়িতে আসবেন। জয় বাংলা! ইতি-
আপনারই ভাবী,
সিরাজুন্নেছা
১৯-০৭-৭১


জব্বার দুপুরের ট্রেনেই নেত্রকোণায় যাত্রা শুরু করবেন। পাজামার উপর তিনি পড়েছেন শর্ট-পাঞ্জাবী। অভ্যাস না থাকলেও- নিরাপত্তার স্বার্থে মাথায় লাগিয়েছেন জিন্নাহ টুপি। তারপরেও চিঠিটিকে পাঞ্জাবির পকেটের বদলে আন্ডারওয়্যারের গুপ্ত পকেটে পুরে নিয়েছেন। কারণ, ইদানীং চিঠিপত্র চেক করেও পাকিবাহিনী বহু লোকজনকে হত্যা করছে। আল্লাহ আল্লাহ জঁপে গোধূলি লগ্নে তিনি পৌঁছে যান- নেত্রকোণা কলেজের প্রফেসর’স মেসে।
জব্বারকে দেখেই আরজ আনন্দে লাফিয়ে উঠেন। যার সাথে তাঁর আবাল্যকালের সখ্যতা। বাড়ির সাথে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যম ওই। বাড়ির সবকিছু এখনো অক্ষত জেনে- আরজ আল্লাহর কাছে শোকর গোজার করতে থাকেন। জব্বার আন্ডারওয়্যারের গুপ্তপকেট থেকে চিঠিটি বের করে আরজের হাতে ধরিয়ে দেন। চিঠির প্রথমাংশ পড়ে আনন্দে লাফিয়ে উঠলেও, দ্বিতীয়াংশ পড়ে চিন্তিত হয়ে বলতে থাকেন- জব্বার, আমাদের বাড়িতে লোকজন গেলে- কারা খোঁজ-খবর নেয়? কারা জিজ্ঞাসাবাদ করে?
- প্রথমত, তোমার প্রতিবেশীরা; দ্বিতীয়ত, জহরগাঁও ও কাঁটাখালির দু’তিনটি ভিখারিণী। এরা সামিদ-আনছর মেম্বারের গোয়েন্দা। নেপথ্যে শান্তি-কমিটির চেয়ারম্যান সেতাব আলী। এখন হিসাবটা মিলাও।
আরজ ভেবে দেখেন- ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে তরুণ-যুবারা মেঘালয়ের ইউথ-ক্যাম্পে যেতে পেরেছে। নিজেই তো কয়েকবার অনেককে মেঘালয়ে পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু ২৯ এপ্রিল দুর্গাপুরে পাকি মিলিটারিরা আস্তানা গাড়ার পরে রাজাকারদের মতিগতি বদলে যায়! ফলে ভারতে যাওয়া ঝুঁকিবহুল হয়ে দাঁড়ায় দূরবর্তী তরুণ-যুবাদের জন্য। তাদেরই জন্যে আশ্রয়, খাবারের ব্যবস্থা এবং রাস্তাঘাটের দিকনির্দেশনামূলক সহায়তা করে যাচ্ছিলেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বাড়ির উপর নজরদারীর খবরে ভীষণ দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ তিনি! যারা গোয়েন্দাগিরি করাচ্ছে- তারা স্বাধীনতা-বিরোধী এবং পুরনো শত্রু! এমতাবস্থায় সিদ্ধান্তে পৌঁছেন- বিকল্প হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়ের জন্যে তিনি দেবেন তাঁর ঘনিষ্টজনদের ঠিকানা। নৈশভোজের পর আরজ জব্বারকে বলেন, শোন, আমাদের বাড়িতে যেহেতু গোয়েন্দাগিরি চলছে, তাই আমরা এবং আশ্রয়প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা- উভয়ই এখন প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যে! তাই বলে আমাদের কাজ বন্ধ রাখলে চলবে না। এখন থেকে কেউ আশ্রয় খুঁজলে- আমি তাদেরকে জয়নাল, আমোদালী, আবুল মেম্বার, সাবেদ মোড়ল, আশুবাবু, ফজলু তালুকদার এবং তোর বাড়ির ঠিকানা দেবো। কারণ, তোমরা সকলেই আশ্রয়প্রার্থীদেরকে নিশ্চিত সহযোগিতা করবে।
- প্রফেসর, তোমার বিশ্বাসের কেউই অমর্যাদা করবেনা। তুমি ভাবীর চিঠির উত্তর লিখে রাখো। আমি সকালের ট্রেনেই রওনা দেবো।
আরজ প্যাডটি নিয়ে লিখতে শুরু করেন-
শ্রদ্ধেয়া ভাবী,
আসসালামু আলাইকুম! বিভীষিকাময় দুঃসময়ে আমাদের আরেকটি বাবার জন্ম হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত, কলেজ ত্যাগ করা শিক্ষকদের পক্ষে অসম্ভব। নাহলে আমি জব্বারের সাথেই চলে আসতাম। মা এবং ভাইকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন। আমি আপনাদেরকে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত! শত্রুরা কখন কী করে বসে- সে দুঃশ্চিন্তা আমার যায়না! ভাইকে বলবেন সাবধানে থাকতে। বিশেষ করে রাতে ওনাকে অন্য বাড়িতে ঘুমাতে বলবেন। লোকজন পাঠানোর ব্যাপারে আমাকে সতর্ক করার জন্যে আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। আমাদের বাড়ির বিকল্প হিসেবে জব্বারকে কিছু পরামর্শ দিয়ে দিয়েছি। আশাকরি আর কোন সমস্যা হবেনা।
ভাবী, আপনাদের নবাগত সন্তানের নাম- ভাই ‘নূরুল ইসলাম’ রেখেছেন, তা খুবই সুন্দর। আগের নামগুলোর সাথে এটির চমত্কার মিল! আবার, এটাও সত্যি বলেছেন যে, আমি বাড়িতে থাকলে এ নামটিই অন্যরকম হতে পারতো। ধন্যবাদ জানাচ্ছি- এবারও আমাকে একটি নাম রাখার দায়িত্ব দেয়ার জন্যে। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রে, বাঙালির চরম দুঃসময়ে, যে নামটি রাখা যুক্তিযুক্ত, তার কারণ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করছি-

পাকিস্তান শাসনামলের শুরু থেকে শেষাবধি যে রাজনীতিবিদ বাঙালির মনের কথাটি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করতে পেরেছেন- তিনি হচ্ছেন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালির দুর্দিনের কান্ডারি, পথের দিশা, শান্তি, প্রগতি ও মুক্তির অগ্রদূত। তিনি ধাপে ধাপে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনে, চৌষট্টির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে, চেষট্টির ছয়দফা প্রনয়ণে, ঊনসত্তুরের গণ-অভ্যুত্থানে, সত্তুরের নির্বাচনের মহাবিজয়ে এবং মার্চে মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনায় এবং স্বাধীন ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রের ঘোষনায়- যে সাহসিকতা, বিচক্ষণতা, অবিচলতা, অসাম্প্রদায়িকতা, ন্যায়পরায়ণতা, আপোসহীনতা, আত্মত্যাগ, অধিকারবোধ ও জাতীয়তাবোধের জন্ম দিয়ে সাত কোটি বাঙালিকে যেভাবে জাগিয়ে তুলেছেন- বিশ্বে তা নজীরবিহীন!
সমকালীন রাজনীতিকদের চিন্তার বিরুদ্ধ স্রোতে থেকেই- তিনি স্বপ্ন দেখেছেন বাংলাদেশের। তিনি আপামর মানুষের প্রিয়নেতা। বাঙালির মুক্তির জন্যে যিনি জীবন-যৌবনের মূল্যবান একযুগ কাটিয়ে দিয়েছেন কারাগারের প্রকোষ্টে। তিনি রাজনীতির কবি। যার ডাকে স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তির জন্যে- যুদ্ধ করি লাখে লাখে!
রাজনীতি যার কাছে ‘বাঙালি’ আর ‘বাংলাদেশ’, দর্শন যার বিশ্বজনীন নৈতিকতা আর মানবতা, হৃদয় যার কুসুম-কোমল, চেহারা যার দীপ্তিময়, ভালবাসায় যিনি অকপট, ভাষণে যিনি যাদুকর, তিনি আমাদের জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান!
তিনি এখনো অজানা কারাগারের প্রকোষ্টে। জীবন তাঁর অনিশ্চিত! তাঁর আদর্শ, চেতনা, আর শুভ নাম ধরে রাখতে হবে বাংলার ঘরে ঘরে। এক মুজিবকে ওরা কারাগারে পুড়েছে, কিন্তু লক্ষ মুজিব আজ বাংলার ঘরে ঘরে। ‘মুজিব’ এক অবিনাশী নাম! তাই, আমি বাংলাদেশে জন্ম নেয়া- এই সন্তানের নাম রাখলাম ‘মুজিব’। এরাই যুগে যুগে বাঁচিয়ে রাখবে বঙ্গবন্ধুকে, বাংলাদেশকে।

আশাকরি নামটি শুনে খুশী হবেন। এই নাম রাখার বিষয়টি সবাইকে বুঝিয়ে বলবেন। তাতেই আমার চিন্তা-ভাবনা সার্থকতা পাবে। আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করে ও দোয়া চেয়ে ইতি টানলাম। জয় বাংলা!
সালামের সংগে,
আরজ আলী
২১/৭/১৯৭১

 

ডিএসএস/ 

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫

চক্রের পাঁচজন গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে বসে ‘জেট রোবোটিক’ নামে একটি অ্যাপস ও নিজস্ব এজেন্টের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়িত্ব নিতেন কুমিল্লার শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। ২০২০ সাল থেকে তিনি দুবাইয়ে থাকেন। গত তিন থেকে সাড়ে তিন মাসে জেট রোবোটিক অ্যাপসের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার সমমূল্যের রেমিট্যান্স ব্লক করেছেন মামুন।

তবে তিনি ঠিকই চাহিদা অনুযায়ী গন্তব্যে টাকা পাঠিয়েছেন। এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রামের মোবাইল ব্যাংকিং ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ তাসমিয়া অ্যাসোসিয়েটসকে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৮টি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট সিমে আগে থেকেই সমপরিমাণ বা বেশি অনলাইনে টাকা সংগ্রহ করে রাখা হয়। এরপর সংগ্রহ করা টাকা এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপের ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে অর্থ পাঠিয়ে দিয়ে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্রটি বলে দাবি করেছে সিআইডি।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হুন্ডির কাজে ব্যবহৃত মুঠোফোন, সিমকার্ড ল্যাপটপ ও ২৮ লাখ ৫১ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি বলছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রায় এক মাস ধরে অনুসন্ধান করে এই চক্রের সন্ধান পায়। এই চক্রের কারণে রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল দেশ। অনেকের অবৈধ উপার্জনের টাকা এই চক্রের মাধ্যমে বৈধ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মালিবাগে নিজ কার্যালয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নাসির আহমেদ (৬২), ফজলে রাব্বি সুমন (৩২), মো. কামরুজ্জামান (৩৩), খায়রুল ইসলাম (৩৪) ও জহির উদ্দিন (৩৭)। তাদের মধ্যে নাসির ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের মালিক। ফজলে রাব্বি ও মো. কামরুজ্জামান ডিস্ট্রিবিউশন হাউজে কাজ করেন। আর পরের দুজন দুবাই থেকে শহিদুলের পাঠানো প্রবাসীদের আত্মীয়স্বজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিতেন।

সিআইডির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই চক্র দুই ভাগে হুন্ডির কাজ পরিচালনা করে। দুবাইয়ে থাকা চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা সংগ্রহ করেন। আর দেশে থাকা চক্রের সদস্যরা ওই প্রবাসীর দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এতে প্রবাসীদের মাধ্যমে যে রেমিট্যান্স আসত, সেটা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের কালোটাকার মালিকেরা এই চক্রের মাধ্যমে তাদের অবৈধ উপার্জন বৈধ করছেন। আর এই পুরো কাজটি পরিচালিত হতো জেট রোবোটিকস অ্যাপের মাধ্যমে।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান আরও বলেন, চক্রের সঙ্গে এমএফএস কোম্পানির চট্টগ্রামের তাসনিমা অ্যাসোসিয়েট নামের একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের লোকজন জড়িত। তাদের কাছ থেকে কম লেনদেন হয় এমন এমএফএস এজেন্ট অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করতেন চক্রের সদস্যরা। বিনিময়ে ডিস্ট্রিবিউশন হাউজের লোকজন হুন্ডির লাভের টাকার একটি ভাগ পেতেন।

সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া। ছবি: সংগৃহীত 

 

মোহাম্মদ আলী বলেন, এই চক্রের মূলহোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে মামুন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দুবাই বসবাস করেন। মালয়েশিয়ান একটি সফটওয়্যার কোম্পানির মাধ্যমে অ্যাপটি তৈরি করে দুবাই বসে শহিদুল হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই অ্যাপের সঙ্গে একটি এমএফএস কোম্পানির ৪১টি অ্যাকাউন্ট নম্বরের সংযোগ ছিল। গত তিন মাসে ওই ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের প্রায় ১৫০টি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চক্রটি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী বলেন, একটি ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের অধীন প্রায় ১ হাজার ১০০ এজেন্ট থাকে। যেসব এজেন্ট অ্যাকাউন্টে লেনদেন কম হয়, সেই সব অ্যাকাউন্ট হুন্ডির কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে এমএফএস কোম্পানির নজরদারির ঘাটতি রয়েছে।

নতুন নতুন অ্যাপসের মাধ্যমে কৌশলে এ ধরনের ডিজিটাল হুন্ডি কার্যক্রম চলতে পারে উল্লেখ করে সিআইডি প্রধান বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমরোধে সিআইডিসহ সব দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানকে ইন্টেলিজেন্স, মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে।

তিন মাস ধরে অস্বাভাবিক লেনদেন, রেমিট্যান্স ব্লক হলো অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক টের পেল না? তাদের তো একটা শক্তিশালী মনিটরিং সেল আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কি-না জানতে চাইলে সিআইডিপ্রধান বলেন, ব্যর্থতা বলবো না, সার্ভিলেন্স সিস্টেমকে কতটা পেট্রলিং করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের পেট্রলিংয়ে এটা ধরতে পেরেছি। এর দায়িত্ব শুধু সিআইডি’র নয়, ডিবি, র‌্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংকেরও।

হুন্ডি তো আগেও হতো, এটাকে ডিজিটাল হুন্ডি বলছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ সিস্টেম আসলেই ডিজিটাল হুন্ডি। আগে ফোন করে বলে দিতো অমুকের টাকা অমুককে দিয়ে দাও। এটা ম্যানুয়াল সিস্টেমে। কিন্তু এখন এসবের দরকার নেই। ফোন বা লোকাল এজেন্ট অথবা ডিস্টিবিশন হাউজ দরকার পড়ে না। অ্যাপস যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেবে সেভাবে নম্বরে নম্বরে টাকা চলে যায়।

দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন, হাইজিন, বায়ু ও সীসা দূষণ বছরে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যুর কারণ। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে ঘরে ও বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ)’ নামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সিসা দূষণ বছরে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের অকালমৃত্যুর কারণ। এর ফলে বছরে ৫.২ বিলিয়ন দিন অসুস্থতায় অতিবাহিত হয়। এসব পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭.৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘরের এবং বাইরের বায়ুদূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮.৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

এতে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশদূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সিসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাষ্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সিসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ুদূষণ কমাতে পারে।

এছাড়া পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্র্যকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি যে, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।

বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ

নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ। ছবি: সংগৃহীত

যোহরের নামাজ চলাকালীন বরিশালে জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদে এসি বিস্ফোরণ হয়েছে। বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম সড়ক চকবাজার এলাকার জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদের দ্বিতীয় তলায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে দ্রুত আগুন আনে তারা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মুসল্লিদের দাবি, এসি বিস্ফোরণ মধ্য দিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের কথা নিশ্চিত না করলেও এসি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানিয়েছেন, বেলা দেড়টার দিকে মুসলিরা জোহরের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর তখন মসজিদের দোতলার একটি এসি চালুর জন্য মুয়াজ্জিন বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করতেই স্পার্ক করে। পরে তিনি সেটি তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেন। এরপর সবাই নামাজে দাঁড়ালে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকট শব্দ হয়। পরে পাশের ইমামের কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হলে দেখা যায় সেখানে এসির কাছাকাছি আগুন জ্বলছে। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস ও থানায় বিষয়টি জানানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন জানান, হতাহতের ঘটনা ছাড়াই স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুসলিরা নিরাপদে মসজিদ থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের চারটি ইউনিট অল্প সময়ের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। আগুনে ইমাম সাহেবের রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে কিছু বই ও আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বরিশাল সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন জানান, মুসল্লিদের তথ্যানুযায়ী একটি এসি থেকে বিকট শব্দ হওয়ার পরপরই আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তবে এসি থেকেই আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস পাশে থাকায় ব্যস্ততম এই ব্যবসায়িক এলাকাটিতে বড় ধরনের বিপদ ঘটেনি, অল্পতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।

রাস্তা সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশে কিছুটা বেগ পেতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, চকবাজারের সব রাস্তাগুলো সব সময় চালু রাখা উচিত, কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলো অপসারণের জন্য আমরা মসজিদ ও ব্যবসায়িক কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, চকবাজারের রাস্তা সরু হওয়ায় এখানে সব সময় যানজট লেগে থাকে, আর যেটুকু জায়গা খালি থাকে তা পার্কিং নয়তো হকরদের দখলে থাকে। এমনকি গোটা চকবাজারের ফুটপাতও দখলে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের পসরায়।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি) নাফিছুর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিক সারা দেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, এমনকি নামাজের সময় হওয়ায় মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরে থাকলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে
দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা
বাংলাদেশে আসছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম
চট্টগ্রামে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ৪ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৮৯ শতাংশই ফেল
ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
৮ বছর পর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা
‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা তুলব, এটুক অন্যায় করবোই’
প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা
পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
শিগগিরই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ