শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাশারের ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেল ১ লাখ ৩৭ হাজার বন্দী

ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিজয়ের পর বাশার আল-আসাদের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন লাখো বন্দী। বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখলের পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন।

বাশারের শাসনামলে কারাগারগুলো ছিল নির্মম নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক। এই কারাগারগুলো থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন হালা, যিনি ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কারাগারে তিনি নামের বদলে পরিচিত ছিলেন “১১০০” হিসেবে। কারাগারের দুঃসহ স্মৃতি তুলে ধরে হালা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, এটি সত্যি যে আমরা মুক্ত। এটি যেন আমার নতুন জন্ম।”

অপর এক বন্দী সাফি আল-ইয়াসিনের মুক্তি ছিল তাঁর জীবনের সেরা মুহূর্ত। আলেপ্পোর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি বলেন, “এটি যেন আমার জীবনের প্রথম দিন।” সাফি ২০১১ সালে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ৩১ বছরের সাজা পেয়েছিলেন এবং ১৪ বছর ধরে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বাশারের কারাগারগুলোতে বন্দীদের ব্যাপক নির্যাতন, অনাহার, এবং শারীরিক-মানসিক অত্যাচারের প্রমাণ রয়েছে। সাইদিনায়ার কুখ্যাত কারাগারকে “মানব কসাইখানা” হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।

মুক্তিপ্রাপ্তদের প্রত্যেকের জীবন যেন নতুন করে শুরু হলো। মাহের নামের আরেক বন্দী বলেন, “আমরা দরজা ভেঙে বেরিয়ে বিপ্লবীদের আলিঙ্গন করলাম, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় সিজদাহ করলাম।” বিদ্রোহীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মুক্তিপ্রাপ্তরা বলছেন, “আমরা যেন নতুন জীবনে ফিরে এসেছি।”

বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে সিরিয়া একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের দুঃসহ অভিজ্ঞতা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে এবং বাশার শাসনের নির্মম বাস্তবতা সামনে এনেছে।

Header Ad
Header Ad

৭ গোলের রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়ালের নাটকীয় জয়

ছবি: সংগৃহীত

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় পরাজয়ের ক্ষত এখনও তাজা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে সেলতা ভিগোর বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে তিন গোল করে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে সেলতা ভিগোকে ৫-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে, যা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।

ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে প্রতি-আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে অসাধারণ স্কিলের প্রদর্শনী শেষে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ৪৮তম মিনিটে দিয়াসের নিখুঁত পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

তবে ৮৩তম মিনিটে কামাভিঙ্গার একটি ভুল রিয়ালকে বিপদে ফেলে দেয়। ডি-বক্সের পাশে তার ব্যর্থ পাস থেকে বল পেয়ে যান পাবলো দুরান। এরপর তার পাস থেকে গোল করেন সেলতার ফরোয়ার্ড বাম্বা।

ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রাউল আসেন্সিওর ফাউলের কারণে পেনাল্টি পায় সেলতা ভিগো। সেখান থেকে সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান আলোনসো।

তবে অতিরিক্ত সময়ে মাঠে পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে রিয়াল। ৯৮ মিনিটে এন্দ্রিকের দারুণ শটে রিয়াল এগিয়ে যায়। এরপর ১১২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তীব্র গতির শটে দুর্দান্ত গোল করেন ভালভার্দে। ম্যাচের ১১৯তম মিনিটে আবারও গোল করে নিজের দ্বিতীয় গোলের মাধ্যমে স্কোরলাইন ৫-২ করেন এন্দ্রিক, নিশ্চিত করেন রিয়ালের জয়।

এই জয়ে শুধু পয়েন্টই অর্জন করেনি রিয়াল, বরং হারের চাপের মধ্যেও কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তার এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর এই ম্যাচ ছিল রিয়াল সমর্থকদের জন্য এক অবিস্মরণীয় রাত।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়ল শতাধিক ঘরবাড়ি, শিশুর মৃত্যু

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পের পি-৩ ব্লকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার জানান, একটি বসতঘরে আকস্মিকভাবে আগুন লাগার পর তা দ্রুত আশপাশের ঘরবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় রোহিঙ্গা বাসিন্দাদের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

নিহত শিশুর নাম-পরিচয় ও আহতদের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে একটি ঘুমন্ত শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব জব্দ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদসহ তাদের ৫ প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এসব হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা রয়েছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। 

এ সময় দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল এসব হিসাব অবরুদ্ধের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে হাছান মাহমুদের নামে ৮টি, নুরান ফাতেমার ১৪টি, নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ৬টি, হাসান মাহমুদ ও স্ত্রীর জয়েন্ট একাউন্ট ৩টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের ৩৪টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড হোল্ডিংস ৬টি, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের ৩টি, সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের ২টি ও বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেডের ১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটিড, একাডেমি অব মেরিন এডুকেশন অ্যান্য টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জে.এ.এস. লিমিটেড, এম/এস বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড এবং সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনগুলো সন্দেহজনক লেনদেন। এই লেনদেনগুলো মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সংগঠিত হয়েছে। যেখানে মানিলন্ডারিং উপাদান থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এছাড়া বর্তমানে হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকার স্থিতি (জমা) আছে।

দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে হাছান মাহমুদসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৭ ধারা মতে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে উত্তোলন, হস্তান্তর বা মালিকানাস্বত্ব বদল রোধে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

সূত্র : বাসস।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৭ গোলের রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়ালের নাটকীয় জয়
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়ল শতাধিক ঘরবাড়ি, শিশুর মৃত্যু
হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব জব্দ
ভোটাভুটি বিলম্বিত করলো ইসরায়েল, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কা
শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি না জানা নেই: মুখপাত্র
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করে প্রজ্ঞাপন জারি
শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়লো
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত: আসিফ নজরুল
টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনের পাশে আছি, থাকব: এরদোগান
ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, আইসিইউতে ভর্তি
অল্প খরচে দেখা যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টিকিটের মূল্য প্রকাশ
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
বাম চোখের বদলে ডান চোখে অপারেশন করা সেই চিকিৎসক গ্রেফতার
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা, সময়সূচি প্রকাশ
বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলবে না ট্রেন, বছরে আয় কমবে কোটি টাকা
কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’: সীমান্ত হত্যার বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার দাবি
শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর শতকোটি টাকার সম্পদের পাহাড়