মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কীটনাশক প্রয়োগে পুড়ল ৫ লাখ টাকার পেঁয়াজ বীজ

 

নওগাঁর মহাদেবপুরে কীটনাশক প্রয়োগের মাত্র তিন দিনের মধ্যেই পুড়ে গেছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার পেঁয়াজ বীজ। স্বপ্ন ভেঙে এখন মাথায় হাত এ পেঁয়াজ বীজ চাষির। কীটনাশকের ডিলার বলছেন, ভালো কোম্পানির ভালো ওষুধ দিয়েছেন। আর কৃষি বিভাগ বলছে ওই কীটনাশক পেঁয়াজের জন্য নয়।

ভূমিহীন দিনমজুর চাষি দুলাল হোসেন। নিজের জমি নেই। তাই ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আলম বাচ্চুর ১৭ কাঠা জমিতে লাগিয়েছেন পেঁয়াজ বীজ। গত বছর ৫ জাতের পেঁয়াজ লাগিয়ে সফলতা পেয়েছিলেন। তাই এবার স্ত্রীর মাধ্যমে দুটি এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে এ জমিতে ১০ মণ পেঁয়াজ লাগিয়েছেন। খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকার পুরোটাই। তার উপর নিজেদের শ্রম তো রয়েছেই।

গত কার্তিক মাসে লাগিয়ে পাঁচ মাস ধরে তিল তিল করে শ্রম ঘামে সময় দিয়েছেন এ জমিতে। সোনালী স্বপ্ন বুনেছেন ঘাম ঝরানো চিক চিক করা চোখে। আর মাত্র দুসপ্তাহ পরেই ঘরে উঠত পেঁয়াজের বীজ। বাজারে পেঁয়াজের বীজের দাম অনেক। গত বছর বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। এবার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকায়। ১৭ কাঠা জমি থেকে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার পেঁয়াজ বীজ উঠত।

সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে গ্রামীণ সড়কের পাশেই এ পুড়ে যাওয়া পেঁয়াজ বীজের ক্ষেত দেখে খোঁজ নিতে গেলে কৃষক দুলাল দোকানের কয়েকটি রশিদ দেখিয়ে জানালেন, প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের সার আর কীটনাশক কিনতেন সফাপুর ইউনিয়ন সদরের পাহাড়পুর বাজারের কীটনাশকের ডিলার নাহিদের দোকান থেকে। তারই পরামর্শে এ খেতে যাতে কোনো পোকা না লাগে, আর পঁচামিনা রোগে যেন আক্রান্ত না হয়, সেজন্য গত ১৬ মার্চ তার দোকান থেকে পেঁয়াজের বীজের ক্ষেতে প্রয়োগের জন্য কিনে আনেন বায়ার কোম্পানির নাটিভো-১০ গ্রাম ১২০ টাকায় ও সলোমন-১০০ মিলিগ্রাম ২৪০ টাকায়।

তিনি জানান, কয়েক দিন আগে সেগুলো ডিলারের পরামর্শ মতো পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রয়োগ করেছেন পেঁয়াজের বীজের জমিতে। কিন্তু তিন দিন পরেই সব শেষ। সাদা সাদা বীজগুলো পুড়ে কালো বর্ণ ধারণ করেছে। দুএকটি গাছে সাদা সাদা বীজ এখনও থাকলেও পুড়ে ছাঁই হয়েছে কৃষক দুলাল-আসমা দম্পতির সব স্বপ্ন।

কৃষক দুলালের স্ত্রী আসমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানালেন, ক্ষেতের ফসল হারিয়ে তার স্বামী একেবারে ভেঙে পড়েছেন। দুই সমিতির কিস্তির টাকা কোত্থেকে দেবেন তা নিয়েও দিশেহারা। নিরুপায় হয়ে প্রায়ই দুলাল আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছেন।

জমির পাশেই চোখে পড়ল গ্রামের একটি ঢোকের দোকান। দোকানি মহির উদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন জানালেন, এ বিষ ছাড়া পেঁয়াজের বীজ পুড়ে যাবার আর কোনোই কারণ নেই। অন্য গ্রামবাসীরও একই মত। তারা দরিদ্র কৃষক দুলালের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

পাহাড়পুর বাজারে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গেটের সামনেই দেখা গেল ওই ডিলার রায়হান কবির নাহিদের কীটনাশকের দোকান ‘মাস্টার কৃষি ক্লিনিক’। তার পিতা আব্দুল জলিল মাস্টারের নামে এ দোকান। কিন্তু সেটি বন্ধ। সাইন বোর্ডে লেখা মোবাইলফোনে রিং দিলে নাহিদ কৃষক দুলালকে ওই কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘কেন পুড়ে গেল সেটার জন্য কোম্পানিকে বলেন।’

পরামর্শ দেওয়ার জন্য তিনি কোনো ট্রেনিং নিয়েছেন কি না সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় জানান, নাহিদ একজন লাইসেন্সধারী কীটনাশক বিক্রেতা। কিন্তু ওই দুটি কীটনাশক পেঁয়াজ বীজের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেগুলো শুধু ধানের ক্ষেতে প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়া পেঁয়াজ বীজ এখন ওঠার সময়। এসময় কোনো কীটনাশকের প্রয়োজনই পড়ে না। ওই বিক্রেতা বিক্রি বাড়াতে না জেনেই ওই কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে ওই এলাকায় পাঠাচ্ছেন। ভুল পরামর্শ দিয়ে কৃষকের ক্ষতি হওয়ায় ওই কীটনাশক বিক্রেতার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থার কথা জানান তিনি।

এসএন

 

পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পদ্মা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

নিহতরা হলো- পবা উপজেলার কাটাখালির বাখরা বাঁশ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১২), নুর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১৪), লিটনের ছেলে আরিফ (১৪)। তারা সবাই স্কুলশিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত কিশোর একসঙ্গে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমেছিল। এক পর্যায়ে তিনজন পানিতে তলিয়ে যায়। বাকি চারজন চেষ্টা করলেও কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাড়তে পারে তাপমাত্রা

আবহাওয়া ভবন। ছবি সংগৃহীত

বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সেইসঙ্গে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি কিংবা গরম কমারও কোনো সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) আরও তিন দিনের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।’

চলতি মৌসুমে গত শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র গরমের কারণে স্কুল-কলেজে সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের

গোলাপি চাঁদ। ছবি: সংগৃহীত

বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতের আকাশে চাঁদের রঙ গোলাপী দেখা যাবে। মহাজাগতিক এই ঘটনাকে গোলাপী চাঁদ বা পূর্ণিমা বলা হয়। এদিন চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে পূর্ণ গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে। অন্যদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার অঞ্চলগুলোতে এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।

গোলাপি চাঁদ। ছবি: সংগৃহীত

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝবরাবর অবস্থান করে, তখনই পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়। তবে নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যেতে পারে। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করবে। এছাড়া ধোঁয়াসহ আবহাওয়াগত নানা কারণে এই চাঁদ চোখে গোলাপি রঙে দেখা দেবে না। সাধারণত সোনালি রঙেই তা দেখা যাবে।

প্রতিবছর এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকেই এই নাম দেওয়া হয়। আর এই বিশেষ পূর্ণিমাটি মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণের ঠিক এক মাস পরে ঘটে। গোলাপি পূর্ণিমা পিঙ্ক মুন, সুপার মুন এবং প্যাসকেল মুনসহ অনেক নামে পরিচিত। এটি এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। যার কারণে এই সময় চাঁদের আকার বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।

সর্বশেষ সংবাদ

পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে ভারতীয় নারী দল
"বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, আছে সন্তানও"
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
রাজধানীতে তীব্র গরমে এক পথচারীর মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সেই দেলোয়ার
দেশের বাজারে দাম কমলো স্বর্ণের
থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে
বৃষ্টির জন্য রাজধানীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার পেলেন ১৪ হাজার ৫৫০ জন কৃষক
কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় সড়ক ও পার্কের নামকরণ
ইসলাম গ্রহণ করেছেন বিখ্যাত ডাচ অভিনেতা ডনি রোয়েলভিঙ্ক
আপাতত বিয়ের প্ল্যান নেই, এনজয় করছি : জয়া আহসান
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়