বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ | ৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতায় রাজি নন নিউ ক্যালেডোনিয়াবাসী

নিউ ক্যালেডোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থীরা চাইলেও, ফরাসি উপনিবেশ থেকে মুক্তি চান না অধিবাসীরা। তাই ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতার প্রশ্নে আয়োজিত গণভোটে ‘না’-এর পক্ষে বেশি ভোট দিয়েছেন নিউ ক্যালেডোনিয়াবাসী।

প্রশান্ত মহাসাগরের কয়েকটি ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত নিউ ক্যালেডোনিয়া। অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের পাশের ছোট এ ভূখণ্ড শাসন করে ফ্রান্স।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববারের গণভোটের ৯০ দশমিক ২৩ শতাংশ ব্যালটের গণনা শেষ হয়েছে। এতে ৯৬ দশমিক ৩২ শতাংশ স্বাধীনতার প্রশ্নে ‘না’ ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ নিউ ক্যালেডোনিয়ার বেশির ভাগ মানুষ স্বাধীনতা চান না। ফ্রান্সের অধীনে থাকতে চান।

গণভোটের প্রাথমিক ফল জানার পর রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘গণভোটে নিউ ক্যালেডোনিয়ার অধিবাসীরা ফ্রান্সের অধীনে থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তারা অবাধ ও মুক্ত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা এমন সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করতে পারব না। এর মধ্য দিয়ে ওই ভূখণ্ডে কয়েক বছর ধরে চলা বিভক্তির অবসান হবে। সেখানে পরিবর্তনের সূচনা ঘটবে।’

তবে রোববারের গণভোটে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৪২ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোটার। তাই ভোটের এ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাধীনতাপন্থীরা শেষ মুহূর্তে গণভোট বর্জন করেছিলেন।

আঠারো শতক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের এ ছোট ভূখণ্ড ফ্রান্সের অধীনে রয়েছে। এর আগে আরও দুটি গণভোটে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। ১৯৮৮ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে সই হওয়া এক চুক্তিতে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট আয়োজনের অধিকার পায় নিউ ক্যালেডোনিয়ার অধিবাসীরা। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম গণভোটে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার ফ্রান্সের সঙ্গে থাকার পক্ষে মত দেন। পরে গত বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় গণভোটে ৫৩ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেন। এবার এ হার আরও বেড়েছে।

করোনা মহামারির কারণে গণভোটের আগে কার্যকর প্রচার চালানো যায়নি, এমন যুক্তিতে ১২ ডিসেম্বরের গণভোট স্থগিতের দাবি তুলেছিলেন নিউ ক্যালেডোনিয়ার স্বাধীনতাপন্থীরা। দাবি না মানায় গণভোট বর্জন করেছেন তারা। নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর গণভোট স্থগিতের পক্ষে জোরালো দাবি তুলেছিল স্থানীয় কানাক।

তাদের সংগঠন কানাক সোশালিস্ট ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এফএলএনকেএস) বলছে, সরকার গণভোট আয়োজনের পক্ষে অনড় ছিল। রীতিমতো যুদ্ধের ঘোষণার মতো গণভোট আয়োজন করা হয়েছে। তবে এতে জনগণের সাড়া পাওয়া যায়নি।

রাজধানী নউমেয়ার বই বিক্রেতা ক্যাথি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গণভোটের এই রায় বড় কিছু নয়। কেননা, এতে অর্ধেক জনসংখ্যার মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি।’

লন্ডনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক গ্লোবাল পলিসি ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো জ্যাকুইস রিল্যান্ড আলজাজিরাকে বলেন, বেশির ভাগ ভোটার স্বাধীনতার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। যদিও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ। আগের দুটি গণভোটে ৮০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। সেখানে ৫৬ শতাংশ ভোটার স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন।

এ বিষয়ে জ্যাকুইস রিল্যান্ড আরও বলেন, কিছু মানুষ আবেগের জায়গা থেকে ভোট দিয়েছেন। তবে বেশির ভাগ ভোট দিয়েছেন চিন্তাভাবনা করে। বিশেষত, করোনা মহামারির পর ফরাসি সরকার যেভাবে টিকা সহায়তা নিয়ে নিউ ক্যালেডোনিয়াবাসীর পাশে ছিল, ভোটের ফলে সেটার প্রতিফলন দেখা গেছে। অনেকে মহামারি পরবর্তী সময়ে আর্থসামাজিক ধাক্কা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে ফ্রান্সের সঙ্গে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমেই প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন। এ অঞ্চলে চীনের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোও সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ভূরাজনৈতিক ও সামরিক স্বার্থের এমন পরিস্থিতিতে ফরাসি সরকারের জন্য নিউ ক্যালেডোনিয়ায় প্রভাব ধরে রাখার গুরুত্ব অনেক।

এসএন

Header Ad
Header Ad

১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর

লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে বাবরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। ওই দিন বাবরের গুলশানের বাসার শোবার ঘর থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার অভিযোগে একই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা হয়।

বিচার শেষে একই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর নয় নম্বর বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালত বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে ২০০৭ সালেই আপিল করেন। সেই আপিলের শুনানি শেষে আজ বুধবার রায়ের জন্য দিন রাখা হয়।

এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। সেই সব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। তিনি প্রায় ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

বগুড়ার সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ

ছবিঃ সংগৃহীত

শ্রমিক নেতাদের মারধরের ঘটনায় বগুড়া থেকে সারা দেশের সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। মটরস ইউনিক ইউনিয়নের দুই নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দূরপাল্লার যান চলাচল করে দেয় সংগঠনটি।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে বগুড়ার জিরো পয়েন্ট, সাতমাথা, চারমাথা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড ও ঠনঠনিয়া অবস্থিত ঢাকা বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের স্টেশন রোডে মিতালী পাম্পের সামনে দুই মোটর শ্রমিক নেতাকে মারধর করে আহত করা হয়। তারা হলেন- বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা এবং নির্বাহী সদস্য হযরত আলী। তারা বর্তমানে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

জানা গেছে, মিতালী পাম্পের সামনে নারিকেল ব্যবসায়ীদের দোকান রয়েছে। এসব দোকানের সামনে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকরা তাদের অটোরিকশা স্ট্যান্ড করে যাত্রী ওঠানো-নামানো করেন। এ নিয়ে বিকেলে চালকদের সঙ্গে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।

Header Ad
Header Ad

‘কেবল শুরু’ বলে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞের সতর্কবার্তা দিলেন নেতানিয়াহু  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল ‘পূর্ণশক্তিতে আবার যুদ্ধ শুরু করেছে।’

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতভর চালানো ইসরাইলের দফায় দফায় বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত অসংখ্য।

এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছেন, শুধুমাত্র আক্রমণের মুখেই আলোচনা চলবে এবং ‘এটি কেবল শুরু’।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, মঙ্গলবার রাতভর ইসরাইলের তীব্র বিমান হামলায় ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং শত শত আহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরাইল জানায়, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ‘বিস্তৃত’ হামলা শুরু করেছে।

১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এটিই ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা।

মঙ্গলবার বেইত লাহিয়া, রাফাহ, নুসাইরাত এবং আল-মাওয়াসিতে ইসরাইল বিমান হামলা চালায়। যেখানে শত শত মানুষ নিহত হন। যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও রয়েছে।

এছাড়া মঙ্গলবারের বিমান হামলায় হামাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা নিহত হন। যাদের মধ্যে গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং হামাসের সর্বোচ্চ পদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছেন।

এদিকে নেতানিয়াহু তার ভাষণে বলেন, গাজায় এখনও আটক থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার জন্য ইসরাইল হামাসের সাথে আলোচনার চেষ্টা করেছে। তিনি হামাসকে প্রতিবারই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ করেন।

মার্চের গোড়ার দিকে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে এই চুক্তি কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরাইল তার সমস্ত যুদ্ধ লক্ষ্য অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে - ‘জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, হামাসকে নিষ্ক্রিয় করা এবং নিশ্চিত করা যে হামাস ইসরাইলের জন্য হুমকি নয়।’

এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেই ইসরাইল হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ।a

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
বগুড়ার সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ
‘কেবল শুরু’ বলে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞের সতর্কবার্তা দিলেন নেতানিয়াহু  
২২ ছক্কার সঙ্গে ৫০ চারে একাই ৪০৪ রান করলেন মুস্তাকিম  
পঞ্চগড়ে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে  
ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রধানমন্ত্রী নিহত    
তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করলো ডাকাতদল  
খিলক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণকে গণপিটুনি, পুলিশের ওপর হামলা
সোনার দাম ফের বাড়ল
চুয়াডাঙ্গায় শিশু খাদ্য, কাপড় ও কসমেটিক্সের দোকান মালিককে ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ৬ সদস্য নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার
আমরা চাই না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক: ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম
গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি
ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টায় আটক ১৫ বাংলাদেশি
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বলিউড ইনফ্লুয়েন্সার ওরি আটক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার, আলোচনায় থাকছে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাব
গ্রামের মানুষকে নিজ হাতে ঈদ উপহার দিলেন হামজা
ছাত্রদের নতুন দলের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই: মাসুদ সাঈদী
সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবির বহিষ্কৃত ১২৮ ছাত্রলীগ নেতার নাম-পরিচয় প্রকাশ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এক রাতে নিহত ৪০০ ছাড়াল, আহতের সংখ্যা ৬৬০