শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অগ্নিগর্ভ মণিপুর, দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ

‘আমার রাজ্য মণিপুর জ্বলছে! পরিস্থিতি খুব খারাপ। দয়া করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন…’, বুধবার (৩ মে) কাতর আবেদন রেখেছিলেন মণিপুর তথা ভারতের গর্ব, বক্সিং তারকা মেরি কম। উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য, দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে, আগুন জ্বলছে, মোকাবিলায় রাস্তায় নেমেছে সেনা এবং আধাসেনা। কিন্তু তার পরেও সামলাতে গিয়ে নাকানিচোবানি খাচ্ছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যের বিজেপি সরকার। শেষমেশ বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাজ্য প্রশাসন হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, চরম পরিস্থিতিতে দেখা মাত্রই গুলি করা হবে।

মণিপুরের পরিস্থিতি যেন প্রতি মুহূর্তে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে । রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এবার খাস ইম্ফলের রাস্তায় উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়লেন রাজ্যের এক বিজেপি বিধায়ক । মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য সচিবালয় থেকে ফেরার পথে ভিংযাগিন ভালতে নামে এক বিধায়ক আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।

মণিপুরে সংঘাতের সূত্রপাত বুধবার থেকে। সেখানকার হাইকোর্ট সরকারের উদ্দেশে নির্দেশ দিয়েছে, মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি তালিকাভুক্ত করা যায় কি না তা বিবেচনা করতে। তারপরেই জনজাতি ছাত্রদের উত্তাল আন্দোলন মণিপুরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এমনই পরিস্থিতি যে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে মণিপুরের বিজেপি সরকার দেখা মাত্রই গুলি অর্থাৎ শ্যুট অ্যাট সাইট অর্ডার জারি করেছে।

বুধবার বিকালেই মণিপুরের বিজেপি সরকার অধিকাংশ জেলায় কার্ফু জারি করেছিল। কিছু জায়গায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল আগেই। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই বিষ্ণুপুর ও চুরাচাঁদপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে এন বীরেন সিংয়ের সরকার। তারমধ্যেই বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হলেন ভালতে। গতবারের বিজেপি সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তিনি। তার গাড়ির ওপরই এদিন চড়াও হন আন্দোলনকারীরা। বিধায়ক ও তার গাড়ির চালক আহত হন। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, মণিপুরের তিন পড়শি রাজ্য মিজোরাম, অসম ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শাহ।

মণিপুরে রাজনৈতিক বা জাতিগত উত্তেজনা নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক এই উত্তেজনাকে জানতে পিছিয়ে যেতে হবে কয়েকটা বছর, খানিকটা মণিপুরের ভূগোলেও চোখ বোলাতে হবে।

ভারতের উত্তর-পূর্বের অন্যতম বৈচিত্র্যময় পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। এর ঠিক মাঝখানে রয়েছে প্রায় দুই হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এক উপবৃত্তাকার উপত্যকা, তাকে ঘিরে রয়েছে সুউচ্চ হরিৎ পাহাড়। এই উপবৃত্তাকার উপত্যকা আয়তনের দিক থেকে মোট রাজ্যের ১০ শতাংশ। কিন্তু জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ বসবাস করেন এখানে। যার বেশিরভাগই মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই জনজাতি। মণিপুর প্রায় ৩৪টি ছোট বড় নানা জনগোষ্ঠীর বাসভূমি। মেইতেইরা তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড়, মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ। তাদের অধিকাংশই এই উপত্যকা অঞ্চলে থাকেন। বাকি রাজ্যের ৯০ শতাংশ পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বাকি জনগোষ্ঠীর বসবাস। তাতে বসবাসকারী ৩৪টি জনগোষ্ঠীদের ‘নাগা’ অথবা ‘কুকি’— এই দুই ‘চিহ্নিত উপজাতি’-তে বিভক্ত করা হয়েছে। এই চিহ্নিত বা স্বীকৃত উপজাতিরা অত্যন্ত পরিশ্রমী, স্বাধীনচেতা এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ফলশ্রুতিতে ধর্মে অধিকাংশই খ্রিস্টধর্মাবলম্বী।

এবারের সমস্যার শেকড়ে রয়েছে মেইতেই জনজাতির সঙ্গে কুকিসহ বিভিন্ন স্বীকৃত উপজাতিদের এক আইনি লড়াই। অকুস্থল— একেবারে মণিপুর হাইকোর্ট।

প্রায় এক দশক ধরে নানাভাবে মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইরা আইনিভাবে তফশিলি উপজাতি বা ‘শিডিউলড ট্রাইব’ (এসটি) তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের বক্তব্য, স্বাধীনতার আগে স্বাধীন মণিপুর রাজ্যে তাদের ‘উপজাতি’ হিসেবেই স্বীকৃতি ছিল। স্বাধীনতা ও তারপর ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে মণিপুরের অন্তর্ভুক্তির পর তাদের এই তকমা চলে যায়। ফলে জমি থেকে ঐতিহ্য, ভাষা, পোশাক সবখানে স্বকীয়তা বজায় রাখার যে সুবিধাগুলি তফসিলি উপজাতিরা পেয়ে থাকেন, তারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এই মর্মে তারা আবেদন রেখেছিলেন মণিপুর হাইকোর্টে। হাইকোর্ট সব আবেদন শুনে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীদের দাবিদাওয়া যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে রাজ্যের অবস্থান জানাতে। কিন্তু এতেই বেজায় চটেছেন মণিপুরের বাকি উপজাতিরা। তাদের বক্তব্য, এতে অন্যায়ভাবে সুবিধে পেয়ে যাবেন মেইতেইরা এবং তাতে আখেরে ক্ষতি হবে নাগা, কুকিসহ বাকি উপজাতিদের। এমনিতেই মেইতেইরা যথেষ্ট অগ্রসর। রাজ্যের বেশিরভাগ বসতি যেহেতু উপত্যকায়, বিধানসভার আসনও বেশিরভাগ ওখানেই। মেইতেইরাও বিধানসভায় প্রবলভাবে গরিষ্ঠ। মেইতেই ভাষাকে সংবিধানের বাইশটি সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া মেইতেইরা বেশিরভাগ হিন্দু হওয়ায় এমনিতেই তফশিলি জাতি (এসসি) বা অন্যান্য অনগ্রসর জাতি (ওবিসি) সংরক্ষণের সুযোগ পান। তারা তফশিলি উপজাতি-ভুক্ত হলে বাকি উপজাতিদের কাজের ক্ষেত্রে বা পড়াশোনায় বা চাকরিবাকরিতে যেটুকু যা সুযোগ-সুবিধে ছিল, তাও থাকবে না।

কুকি উপজাতিদের মুখপাত্ররা জানিয়েছেন, রাজ্যে কুকি-সহ বিভিন্ন উপজাতিদের দাবিদাওয়া মেইতেইদের দাপটে চাপা পড়ে গেছে। সংখ্যালঘু হিসেবে যেটুকু যা তাদের ন্যায্য পাওনা, এবার তা থেকেও তাদের বঞ্চিত করতে চায় মেইতেইরা। ফলে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে মিছিলের ডাক দিয়েছিল উপজাতি ছাত্রদের সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ মণিপুর’। যেখান থেকে সংঘাত তথা গৃহযুদ্ধের শুরু। এই হিংসার ঘটনায় তীব্র চাপের মুখে মণিপুরের বীরেন সিংহের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার।

আরএ/

গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চলতে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দুর্বিসহ হয়ে ওঠেছে জনজীবন। দেশব্যাপী তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) দেশজুড়ে খুলছে সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

তবে স্কুল খুললেও প্রচণ্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে আপাতত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও সাতদিন বন্ধের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শিক্ষকরাও গরমে স্কুল বন্ধ রাখার পক্ষে। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষাপ্রশাসন।

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও কিছুদিন বন্ধ হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন, তারা এক দফা আলোচনা করেছেন। আবার বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্যদিকে লম্বা ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যে সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তখন দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা (হিট অ্যালার্ট) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী- শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খুলনা বিভাগের সবগুলো জেলাতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে, অর্থাৎ তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যা জানালেন বেনজীর আহমেদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার কথা জানিয়েছিলেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা।

সবাইকে ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, আপনারা জানেন যে আমি প্রায় দুই বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। এই অবসরকালীন সময়ে আমি নিরিবিলি জীবন কাটাচ্ছি। চাকরিকালীন সময় বিগত ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী কর্তৃক অবিরত এবং ক্রমাগত অপপ্রচার এবং ব্যক্তিগত চরিত্রহননের অপচেষ্টার শিকার হয়েছি।

তিনি জানান, সম্প্রতি পত্রিকায় আমি এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কিছু খুবই আপত্তিজনক, মানহানিকর, অসত্য এবং বিকৃত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেই সংবাদের সূত্র ধরে অন্যান্য কতিপয় আউটলেট একই রকমের সংবাদ পুনরাবৃত্তি ক্রমে পরিবেশন করেছে। তবে দেশের মূলধারার প্রিন্ট এবং মিডিয়া এই অসত্য, মানহানিকর এবং বিকৃত সংবাদ পরিবেশনে কোন আগ্রহ দেখায়নি। এজন্য মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর সাংবাদিক বন্ধুগণের প্রতি আমি এবং আমার পরিবারের অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

বিস্তারিত আসছে...

স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বাবা দিবস, মা দিবস সহ বছরে কতশত দিবস আমাদের পালন করতে হয়। এসব দিবস কেন্দ্রিক আমাদের আবেগেরও কমতি থাকে না। এত দিবসের ভিড়ে স্বামীর প্রশংসা দিবস কী করে বাদ যায়!

‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’- কথাটি যত সত্যই হোক না কেন, সুখের সংসারে স্বামীরও আছে যথেষ্ট অবদান। সে কথাটি স্মরণ করিয়ে দিতেই আজ পালিত হচ্ছে ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামীর প্রশংসা দিবস। যেসব স্ত্রী স্বামীর প্রশংসা করার সময়-সুযোগ পান না- আজ অন্তত স্বামীর প্রশংসা করুন।

স্বামীর সময় এবং কাজকে মূল্যায়ন করার ভাবনা থেকেই এই দিবসটি পালন করা হয়। স্বামীর কাজের মূল্যায়নের এই দিবস ঠিক কবে, কোথায় পালন শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল মাসের তৃতীয় শনিবার এটি পালিত হয়।

স্বামী প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য এ দিনটি পালিত হয়। স্বামীর প্রশংসার এই দিবসে সমাদর পেতে স্বামীর ভেতর বেশ কিছু গুণ থাকা জরুরি। যেমন: স্বামী অত্যন্ত পরিশ্রমী হবেন, তিনি একজন নিঃস্বার্থ প্রেমিক ও বন্ধু হবেন, স্ত্রীকে খুশি রাখতে পারবেন, হাসাতে পারবেন এবং স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে হবেন যথেষ্ট সহায়ক ও আন্তরিক। এই পর্যায়ে স্বামীদের বলছি, কতগুলো বিষয় আছে, যা স্ত্রীদের বিরক্তির উদ্রেক করে। সেগুলো এড়িয়ে চলুন।

দিবসের ইতিহাস:

যদিও ‘স্বামী প্রশংসা’র দিবসের উৎস অস্পষ্ট। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই ছুটির সূচনা ফাদার্স ডে-এর প্রতিরূপ হিসেবে হয়েছিল। যা জুনের তৃতীয় রোববার পড়ে- যাতে কোনো সন্তানহীন স্বামীরাও স্বীকৃতি বোধ করতে পারে। ‘স্বামী সমাদর’ দিবস হলো যাই হোক না কেন সব স্বামীর প্রশংসা করার দিন।

যেভাবে স্বামীর প্রশংসা করতে পারেন:

স্বামীর প্রশংসা করতে পছন্দের কোনো উপহার দিতে পারেন। পছন্দের কোনো খাবার রান্না করে খাওয়াতে পারেন। স্বামীর সঙ্গে কোনো কারণে দূরত্ব তৈরি হয়ে থাকলে তা ঘোচাতে খোলাখুলি কথা বলতে পারেন। সংসারে তার উপস্থিতি কতটা প্রয়োজনীয় তা বলতে পারেন এ দিনটিতে। এ ছাড়া খুব সহজ একটি উপায় হলো, তাকে প্রশংসা করে কিছু লিখে উপহার দিন। দেখবেন এটুকুতেই আপনার সঙ্গী অনেক খুশি হয়ে যাবেন। তথ্যসূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার

সর্বশেষ সংবাদ

গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ
ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যা জানালেন বেনজীর আহমেদ
স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ
টাঙ্গাইলে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন ছাত্রলীগ নেতা
চিন্তাও করিনি মাত্র ১৬ ভোটে হারবো: নিপুণ
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে মিশা-ডিপজল
২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০
পালিয়ে আসা ২৮৫ সেনা সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত নেবে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস, প্রকৌশলী নিহত
১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক লুৎফুলকে শোকজ করল আওয়ামী লীগ