শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই নির্বাচনকে ঘিরে দুই প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।

মার্কিন নির্বাচনের পদ্ধতি অন্য অনেক দেশের চেয়ে আলাদা। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’। ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামের এই ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন। তারাই নির্ধারণ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ইলেকটোরাল কলেজে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেকটরদের সংখ্যা।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার ওপর। অপরদিকে সিনেটে প্রতি রাজ্যের দুটি করে আসন থাকে। সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ এবং সেই সঙ্গে ১০০ জন সিনেটর। এ ছাড়া ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার তিনজন ইলেকটর। সব মিলিয়ে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সংখ্যা ৫৩৮টি।

জনসংখ্যার দিক থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বেশি ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। অপরদিকে ভারমন্টের সর্বসাকুল্য তিনটি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।

নির্বাচনে জিততে হলে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে।

মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনি সেই রাজ্যের সব কজন ইলেকটরের সমর্থন পাবেন।

প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে সংবিধান অনুযায়ী তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রার্থীকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হয়, বয়স হতে হয় অন্তত ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হয়। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য শেষ শর্তটির ব্যতিক্রম রয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো নাগরিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরও প্রার্থী হতে বাধা নেই৷ রাজনৈতিক বন্দীরা যাতে প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে আলাদা বিধান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে রাজনৈতিক পদে থাকা ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না।

প্রাইমারি ও ককাস কী?

নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দান উন্মুক্ত থাকলেও প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে দলগুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করে। নির্বাচনী বছরের বসন্তের শুরুর দিকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাধীনভাবে কেউ প্রার্থী না হলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে তাকে নিজ অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধন করতে হয়।

প্রাইমারিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ককাস প্রক্রিয়াটি আরও জটিল। এ জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একত্রিত হন। সেখানে তারা ভোটাভুটির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করেন।

অঙ্গরাজ্য ও দলভেদে প্রাইমারি ও ককাসের ভিন্নতা থাকলেও মূল লক্ষ্য একই। প্রার্থীর সমর্থন নির্ধারণ ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী বাছাই করা।

জাতীয় কনভেনশনের ভূমিকা:

অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি ও ককাস শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কনভেনশনের (সম্মেলন) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে।

কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকে আসা ডেলিগেটরা (প্রতিনিধি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেন। একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হয়।

ডেলিগেটদের মধ্যেও দুটি ভাগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ক্ষেত্রে বলা হয় প্লেজড বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আনপ্লেজড বা অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে বাউন্ড বা বাধ্যতামূলক এবং আনবাউন্ড বা বাধ্যতামূলক নন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক ডেলিগেটরা অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারিতে জিতে আসা প্রার্থীদেরই শুধু ভোট দিতে পারেন।

অন্যদিকে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক নন এমন ডেলিগেটরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। ডেমোক্র্যাট কনভেনশনে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডেলিগেটরা দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই শুধু ভোট দিতে পারেন৷

নির্বাচনে কী হয়?

জাতীয় কনভেনশনের পরই নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়। নির্বাচনের দিনে দেশজুড়ে কয়েক হাজার শহরে ভোটগ্রহণ চলে। নিবন্ধিত যেকোনো মার্কিন নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ

নেতৃত্ব দিয়েছেন এনসিপি যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বই ছাপার জন্য কাগজ কেনাকে ঘিরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এই দুর্নীতির পেছনে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর। অভিযোগ রয়েছে, এনসিটিবি ও সচিবালয়ের একাধিক জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে তদবির ও বাণিজ্য করেছেন তিনি।

সূত্র বলছে, পাঠ্যবই পরিমার্জনের নামে সময়ক্ষেপণের সুযোগে তানভীর ও তার ঘনিষ্ঠ একটি চক্র এনসিটিবিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কয়েক হাজার টন কাগজ আমদানি করায় এবং শুল্ক মওকুফ করিয়ে নেয়। এই আমদানিকৃত কাগজ প্রেস মালিকদের বাজারমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য করা হয়। এতে প্রতি টনে ৫০ হাজার টাকা করে বেশি আদায় করা হয়, যার মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুধু আমদানিকৃত কাগজ নয়, দেশীয় কাগজ সরবরাহের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট প্রেস মালিকদের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে তানভীরের বিরুদ্ধে। এভাবে পুরো প্রক্রিয়ায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে।

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এনসিটিবির চেয়ারম্যানের নাম ব্যবহার করে একপ্রকার অলিখিতভাবে বোর্ডের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এনসিটিবির কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় মুদ্রণপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কেনায় বাধ্য করা হয়।

এই অভিযোগ সামনে আসার পর এনসিপি গত ২১ এপ্রিল এক চিঠির মাধ্যমে গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়। চিঠিতে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধ প্রভাব এবং এনসিটিবির কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নেমেছে। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, গোপন তথ্য যাচাই শেষে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।

তানভীরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতিপত্র না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়মিত সেখানে প্রবেশ করতেন এবং বিভিন্ন বদলির তদবিরে জড়িত ছিলেন।

তবে সংবাদ সম্মেলন করে তানভীর তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ১৩ মার্চ কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যদি এক পয়সা দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, আমি নিজেই দল থেকে পদত্যাগ করব।’

তিনি দাবি করেন, ‘১০০ কোটি টাকার কাগজ কেনা হয়েছে, অথচ বলা হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এসব তথ্য বিভ্রান্তিকর।’

তবে রাজনৈতিক মহল ও সংশ্লিষ্ট মহলে তানভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। একটি টক শোতে তাঁকে ডিসি নিয়োগে তিন কোটি টাকার চেক গ্রহণে সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়।

এনসিটিবির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্য দুর্নীতির অভিযোগ ও তাতে রাজনৈতিক দলের নেতার সম্পৃক্ততা প্রশাসনিক ও নীতিগত প্রশ্নও তুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!

ছবি: সংগৃহীত

এক সপ্তাহের স্থগিতাবস্থা কাটিয়ে আইপিএল ২০২৫ মৌসুম শুরু হচ্ছে আবারও ১৭ মে থেকে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জেরে টুর্নামেন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। তবে আইপিএল ফের শুরুর আগে এক সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও বিসিসিআই।

বিতর্কের মূল কারণ, বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে দিল্লির দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে। ১৪ মে দিল্লি ঘোষণা করে, অস্ট্রেলিয়ান তরুণ ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের বদলে মুস্তাফিজকে নেওয়া হয়েছে। জ্যাক ভারতে ফিরে আসতে রাজি হননি, তাই বিসিসিআইয়ের বিশেষ নিয়ম মেনে দিল্লি বদলি ক্রিকেটারকে হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে নেয়।

তবে এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি অনেক ভারতীয় ক্রিকেট ভক্ত। তারা বিসিসিআই ও দিল্লি ক্যাপিটালসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন এবং দিল্লির ম্যাচ বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এমনটায় জানায় ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে বলছেন, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে।

বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হওয়া হামলার প্রেক্ষিতে অনেকেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ভারতে খেলার বিরোধিতা করছেন। বিসিসিআই এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বদলি খেলোয়াড় নেওয়ার অনুমতি দিলেও, ভক্তদের একাংশ মনে করছেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশের ক্রিকেটারকে এখনই নেওয়া উচিত হয়নি।

দিল্লি ক্যাপিটালসের এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

জাপান থেকে আরও বেশি সহজ শর্তের ঋণ এবং বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) আলোচনায় বাংলাদেশের তরফে এসব অনুরোধ করা হয়।

বৈঠকে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাপান থেকে আরও অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণ, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো এবং বাজেট সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এর সংস্কার উদ্যোগগুলোর প্রতি জোরাল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান। বলেছে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। রাজনৈতিক আস্থা গভীর করা, উন্নয়ন কৌশলকে অগ্রাধিকার এবং ‘কৌশলগত অংশীদারত্বের’ পুরোপুরি অর্জনে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এলডিসি-উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার অনুরোধও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে জাপান। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ফল ও সবজির প্রবেশাধিকার নিয়েও একযোগে কাজ করার কথা বলেছে। রোহিঙ্গা পুর্নবাসন নিয়েও কাজ করার বলেছে দেশটি।

অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির (ইপিএ) অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চলতি বছরই তা স্বাক্ষরের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে উভয় দেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাপান বলেছে, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভসের (বিগ-বি) আওতায় বাংলাদেশের জন্য উচ্চ মানসম্পন্ন অবকাঠামো নিশ্চিতের জন্য আরও জোরালভাবে সম্পৃক্ত হবে দেশটি। একইসঙ্গে জাপানি উদ্যোক্তাদের কারখানা ও সরবরাহ চেইন বাংলাদেশে স্থানান্তরের কথাও বলেছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন জাপান সফর নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বই ছাপার কাগজ কেনায় ৪০০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ
আইপিএলে মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবি ভারতীয়দের!
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইল বাংলাদেশ
নির্বাচনের নাম শুনলে সরকারের গা জ্বলে: মির্জা আব্বাস
ডিসি পরিবর্তন করতে এনসিপি সংগঠক নাহিদের বিরুদ্ধে তদবিরের অভিযোগ!
রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি ‘সুন্দর মহলে’ হামলা-ভাঙচুর
প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ ৯ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
মাহফুজ জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলার মাস্টারমাইন্ড : রাশেদ খাঁন
তদবির বাণিজ্য: এনসিপির সাবেক নেতা তানভীরসহ ৪ জনকে দুদকে তলব
বাংলাদেশের জন্য পুনরায় উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মুফতি স্বামীর বিরুদ্ধে হ্যাপির মামলা, ৯ বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ
সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে: রিজভী
মেট্রোরেলে ২৪ পদে ১২০ জনের চাকরির সুযোগ
৫ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি ভিক্ষুককে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলো ডিএসসিসি
চুরির টাকায় ফ্রিজ-আলমারি কিনে ধরা খেল কেয়ারটেকার
সাকিবকে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করল বিএসইসি
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক বিডিআরের ২৭ জওয়ান
বেনাপোল কাস্টমসে দ্বিতীয় দিনের মতো কলম বিরতি, স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি
ইন্টারনেট সেবায় বিভ্রাট, গ্রামীণফোনের কাছে ব্যাখ্যা চাইল বিটিআরসি