বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই নির্বাচনকে ঘিরে দুই প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।

মার্কিন নির্বাচনের পদ্ধতি অন্য অনেক দেশের চেয়ে আলাদা। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’। ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামের এই ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন। তারাই নির্ধারণ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ইলেকটোরাল কলেজে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেকটরদের সংখ্যা।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার ওপর। অপরদিকে সিনেটে প্রতি রাজ্যের দুটি করে আসন থাকে। সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ এবং সেই সঙ্গে ১০০ জন সিনেটর। এ ছাড়া ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার তিনজন ইলেকটর। সব মিলিয়ে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সংখ্যা ৫৩৮টি।

জনসংখ্যার দিক থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বেশি ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। অপরদিকে ভারমন্টের সর্বসাকুল্য তিনটি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।

নির্বাচনে জিততে হলে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে।

মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনি সেই রাজ্যের সব কজন ইলেকটরের সমর্থন পাবেন।

প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে সংবিধান অনুযায়ী তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রার্থীকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হয়, বয়স হতে হয় অন্তত ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হয়। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য শেষ শর্তটির ব্যতিক্রম রয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো নাগরিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরও প্রার্থী হতে বাধা নেই৷ রাজনৈতিক বন্দীরা যাতে প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে আলাদা বিধান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে রাজনৈতিক পদে থাকা ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না।

প্রাইমারি ও ককাস কী?

নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দান উন্মুক্ত থাকলেও প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে দলগুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করে। নির্বাচনী বছরের বসন্তের শুরুর দিকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাধীনভাবে কেউ প্রার্থী না হলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে তাকে নিজ অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধন করতে হয়।

প্রাইমারিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ককাস প্রক্রিয়াটি আরও জটিল। এ জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একত্রিত হন। সেখানে তারা ভোটাভুটির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করেন।

অঙ্গরাজ্য ও দলভেদে প্রাইমারি ও ককাসের ভিন্নতা থাকলেও মূল লক্ষ্য একই। প্রার্থীর সমর্থন নির্ধারণ ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী বাছাই করা।

জাতীয় কনভেনশনের ভূমিকা:

অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি ও ককাস শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কনভেনশনের (সম্মেলন) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে।

কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকে আসা ডেলিগেটরা (প্রতিনিধি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেন। একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হয়।

ডেলিগেটদের মধ্যেও দুটি ভাগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ক্ষেত্রে বলা হয় প্লেজড বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আনপ্লেজড বা অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে বাউন্ড বা বাধ্যতামূলক এবং আনবাউন্ড বা বাধ্যতামূলক নন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক ডেলিগেটরা অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারিতে জিতে আসা প্রার্থীদেরই শুধু ভোট দিতে পারেন।

অন্যদিকে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক নন এমন ডেলিগেটরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। ডেমোক্র্যাট কনভেনশনে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডেলিগেটরা দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই শুধু ভোট দিতে পারেন৷

নির্বাচনে কী হয়?

জাতীয় কনভেনশনের পরই নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়। নির্বাচনের দিনে দেশজুড়ে কয়েক হাজার শহরে ভোটগ্রহণ চলে। নিবন্ধিত যেকোনো মার্কিন নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

এক দশক পর চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে শাই হোপের নেতৃত্বাধীন দলটি। প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ লড়াই করে বাংলাদেশ, তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের বিপক্ষে কোন প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন দল।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজ জয়ের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপের নেতৃত্বে মাত্র ৩৬.৫ ওভারেই বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়ায় সফল হয়েছে। ম্যাচের শুরুতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ ওভার ৫ বলে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩ ওভার ১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ক্যারিবীয়দের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। আরেক ওপেনার এভিন লুইস ৪৯ ও কেসি কার্টি ৪৫ রান করেন। বিপরীতে বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা ও আফিফ হোসেন।

সেন্ট কিটসের একই ভেন্যুতে প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৪ রান করেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু আজ টাইগাররা ২৩০–ও পেরোতে পারেনি। তবে অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব রেকর্ডগড়া জুটি না বাধলে ততদূরও যাওয়া হতো না সফরকারীদের। দ্বিতীয় ইনিংসে লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই সঠিক কক্ষপথে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে কিং ও লুইস মিলে ১০৯ রান তোলেন। মূলত এই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

তবে দুজনই ফিরেছেন ব্যক্তিগত দুটি মাইলফলক অপূর্ণ রেখে। এর মাঝে অবশ্য সৌম্য সরকার ক্যাচ ছেড়ে লুইসের ইনিংস বড় করার সুযোগ করে দেন। ব্যক্তিগত ২৮ রানে ব্যাট করা অবস্থায় মিরাজের বলে লং অনে ক্যাচ তুলেছিলেন লুইস। কিন্তু সহজ ক্যাচ হাত থেকে ফেলেছেন সৌম্য। ফলে ৭৯ রানে উইকেট নেওয়ার সুযোগও হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।

পরে ক্যারিবীয়দের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২১তম ওভারে। আগের ওভারেই রানার বলে আঘাত পেয়ে বেশ ভুগছিলেন লুইস। তখনই তিনি কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিলেন। ঠিকঠাক দাঁড়াতেও কষ্ট হচ্ছিল তার। খানিক বাদেই টাইগার লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন আক্রমণে আসতে তার হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন লুইস। ৬২ বলে তিনি ফিরলেন ৪৯ রান করে। কোনো চাপই আসতে দেননি কিং। তিনে নামা কেসি কার্টিকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তিনি।

নাহিদ রানার বলে আউট হওয়ার আগে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেরেন কিং। ৭৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৮২ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দলীয় ১৭৫ রানে তিনি টাইগার পেসার নাহিদ রানার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন। তখন অবশ্য উইন্ডিজদের জয় পেতে কেবল কিছু সময়েরই অপেক্ষা। কেসি কার্টিকে ফেরান আফিফ হোসেন।

ফিফটি থেকে পাঁচ রান দূরে থাকতে আউট হন কার্টি। অনিয়মিত বোলার আফিফের বলে ব্যাক-কভারে থাকা রানার হাতে তালুবন্দী হন কার্টি। এর আগে ৪৭ বলে তিনি ৪৫ রান করেন। তবে চতুর্থ উইকেটে শেরফান রাদারফোর্ড এবং শাই হোপ মিলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দ্রুতই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। হোপ অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে। রাদারফোর্ডের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিতভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে খেই হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে মাত্র ২ রান করে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। পরের দুই ব্যাটার লিটন দাস এবং মেহেদী মিরাজও অনুসরণ করেছেন সৌম্যকে। লিটন করেছেন ১৯ বলে ৪ রান আর ৫ বলে ১ রান করেছেন অধিনায়ক মিরাজ। শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তানজিদ তামিম। ৩৩ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে জেইডন সিলসের বলে আউট হন তিনি।

এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে দলের খাতায় ১০০ রান যোগ হওয়ার পর ভুল শট খেলে দলকে আবার চাপে ফেলেন আফিফ। ২৯ বলে ২৪ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর ৮ বল খেললেও রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন রিশাদ। ১১৫ রান তুলতেই তারা ৭ উইকেট খরচ করে ফেলে। ক্রিজে তখন একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শঙ্কা জেগেছিল, ১২৫ কিংবা ১৩০ রানের মধ্যে ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার। সেখান থেকে রিয়াদ-তানজিমের ৯২ রানের জুটি সফরকারীদের মান বাঁচানো ২২৭ রানের পুঁজি এনে দিয়েছে।

ওয়ানডেতে অষ্টম উইকেটে এতদিন বাংলাদেশের রেকর্ড রানের জুটি ছিল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোহাম্মদ মিঠুনের। ২০১৯ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। তবে আজ ওয়েস্ট ইন্ডজের বিপক্ষে রিয়াদ-তানজিমের দারুণ ইনিংস খেললেও তানজিমের আক্ষেপ থেকে যাবে ফিফটি না পাওয়ার। ৬২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রান করে রস্টন চেজকে স্ট্রেইট তুলে মারতে গিয়ে তারই হাতে ধরা পড়েন।

ক্রিজে স্থায়ী হননি মাহমুদউল্লাহও। অবশ্য ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৯২ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৬২ রান করে আউট হন তিনি। শেষদিকে শরিফুল ইসলামের ৮ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ২২৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে রিয়াদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬২, তানজিদ তামিমের ৪৬ এবং তানজিম সাকিবের ৪৫ রানের ইনিংস ছাড়া বাকি ব্যাটাররা পুরোদমে ব্যর্থ। ফলে ৪৫.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

উইন্ডিজদের হয়ে মাত্র ২২ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার জেইডেন সিলস। গুদাকেশ মোতি নেন ২ উইকেট।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দুই দল আগামী ১২ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

আগরতলা অভিমুখে বিএনপির ৩ অঙ্গসংগঠনের লং মার্চ আজ

ফাইল ছবি

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ করবে বিএনপির তিন সংগঠন।

দুপুর ২টায় আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্য রেখার কাছাকাছি এসে থামবে লং মার্চ। এরপর স্থলবন্দর এলাকায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক সমাগমের ধারণা করা হচ্ছে।

সেই অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান, বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। লং মার্চকে কেন্দ্র করে আধাবেলা নাগাদ পণ্য রপ্তানির কথা জানিয়েছেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে দুপুর ১২টা নাগাদ মাছ রপ্তানির চিন্তা করছেন তারা।

তবে ওই সময়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। লং মার্চ থেকে প্রভুত্ব নয়, বন্ধুত্বের বার্তা দিতে চান আয়োজকরা।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৭৮৬ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৬ হাজার ১৮৮ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ২৮ জন নিহত এবং আরও ৫৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারল বাংলাদেশ
আগরতলা অভিমুখে বিএনপির ৩ অঙ্গসংগঠনের লং মার্চ আজ
গাজায় ইসরায়েলি হামলা: আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ
‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত শ্যামল চন্দ্র গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের 'খবরদারি' চলবে না: গয়েশ্বর
আওয়ামী লীগ পুলিশকে টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করেছে: সারজিস আলম
নওগাঁয় ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ ট্যুরের উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
দেশের মানুষ এখন বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে: তারেক রহমান
শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী- দাবি শুভেন্দুর (ভিডিও)
আমি প্রেমে পড়ি না, প্রেম আমার ওপর পড়ে: পরীমণি
ভারতীয় বিছানার চাদর পোড়ালেন রিজভী, বিক্রি করলেন দেশি কাপড়
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি
মাশরাফি ও তার বাবাসহ ২৯৫ জনের নামে মামলা
রাহাত ফাতেহ আলীর কনসার্টের টিকিট বিক্রি শুরু, সর্বোচ্চ মূল্য ১০ হাজার
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ: ৬৫৮ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনা, কে হবেন প্রধান?
নেচার সাময়িকীর সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস
৪ জাহাজে ৫২ হাজার টন তেল আমদানি, দাবি সংকট কাটবে