শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩০ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রিপন সাঘাটা-ফুলছড়িতে বহিরাগত: বুবলী

বাবার আসনে নৌকার হাল ধরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলী। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার কন্যা বুবলী। তবে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে সরব রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারজানা রাব্বী বুবলী বলেছেন, রিপনকে ‘ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষ বহিরাগত মনে করে। আসলে ফুলছড়ি-সাঘাটার লোকজন রিপনকে কখনই আপন মনে করে না। তাকে মহিমাগঞ্জের লোক মনে করে। সুতরাং সে যদি এমপি হতে চায়, গোবিন্দগঞ্জে রাজনীতি করেও এমপি হওয়ার সুযোগ আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি কতদিন ধরে রাজনীতিতে আছেন?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: দেখুন, বুঝ হওয়ার পর থেকেই দেখে আসছি যে, আমাদের গ্রামের বাড়িতে ও শহরের বাড়িতে শত-শত মানুষর আনা-গোনা। বাবা-মা শিখিয়েছেন, কীভাবে সেসব মানুষকে সম্মান দিতে হয়, আপ্যায়ন করতে হয় বা তাদের কীভাবে সাহায্য করতে হয়। সুতরাং, আপনি বলতে পারেন যে, আমি ১২-১৩ বছর বয়স থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

ঢাকাপ্রকাশ: তার মানে ছোটবেলা থেকেই আপনি একধরনের ইনফরমাল রাজনীতিতে ছিলেন?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমি জানি না, আপনি ফরমাল বা ইনফরমাল রাজনীতি বলতে কী বুঝাতে চাচ্ছেন। আমার সাধারণ জ্ঞানে রাজনীতি মানে হচ্ছে- মানুষের সেবা করা। যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সারাজীবন করে গেছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন করে যাচ্ছেন এবং আমার প্রয়াত বাবা ফজলে রাব্বী সাহেব করেছেন। আমি তাদের অনুসারী হয়ে সেই কাজটিই দীর্ঘদিন ধরে করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আমি জানতে চাচ্ছিলাম রাজনীতিতে আপনার অতীত ও বর্তমান পদ-পদবির বিষয়ে...

ফারজানা রাব্বী বুবলী: দেখুন, আমার প্রয়াত বাবা কর্মীবান্ধব রাজনীতিক ছিলেন। তিনি মনে করতেন যে, তার কর্মীরাই মূল সংগঠন ও অঙ্গসংগঠন সমূহের পদ-পদবি। তিনি ইচ্ছা করলে অনেক আগে থেকেই আমাকে পদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারতেন। আমার বাবাও বলতেন, জেলা-উপজেলায় যেন ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলার কমিটিতে স্থান পায়।

ঢাকাপ্রকাশ: আমি জানতে চাচ্ছি আপনি পদ-পদবিসহ রাজনীতিতে কবে আসলেন?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: দেখুন, মানুষের জন্য রাজনীতি করতে চাইলে পদ-পদবি দরকার হয় না। আপনার আশপাশের নেতা-কর্মীরা যদি আপনাকে অন্তর থেকে নেতা বলে মনে না করে, অর্থাৎ মানসিকভাবে আপনাকে যদি নেতা হিসেবে গ্রহণ না করে, আপনি কোনো জেলা-উপজেলার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক হয়ে হয়তো সংগঠনের জন্য কিছু অবদান রাখতে পারবেন না। আপনারা লক্ষ্য করছেন যে, জাতির পিতার ছোট কন্যা শেখ রেহানা আন্টি, জয় ভাই, ববি ভাই ও পুতুল আপা কোনো পদবিতে নেই। কিন্তু তারা দিন-রাত বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা-ভাবনা করেন এবং তাদের জন্য কাজ করেন। আর সেজন্যই, বাংলাদেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের সবাইকে মন থেকে নেতার আসনে বসিয়ে রেখেছেন। এবার আপনার প্রশ্নের যদি সরাসরি উত্তর দেই তাহলে বলতে হয়, আমি ২০১৬ সাল থেকে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে ছিলাম এবং পরে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ থেকে সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করে আসছি।



ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে এ কথা বলা যায় যে, আপনি পদবিসহ ও পদবি ছাড়া দুইভাবেই রাজনীতিতে সময় দিয়ে আসছেন?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমি আবারও বলব পদবি রাজনীতিতে মুখ্য বিষয় নয়। মানুষ আপনাকে আপনার কর্মের জন্য অন্তর থেকে নেতা ভাবে কি-না সেটাই মুখ্য। যখন আপনি পদ-পদবি পেয়েও কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন না, তখন বুঝতে হবে আপনি সত্যিকার অর্থে রাজনীতি করছেন না।

ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন সাঘাটা ফুলছড়ির নেতা-কর্মীরা অন্তর থেকে আপনাকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করেছে?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: এই প্রশ্নটা সাঘাটা-ফুলছড়ির নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞেস করুন, উপযুক্ত উত্তরটা পেয়ে যাবেন। আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি সাঘাটা-ফুলছড়ির নেতা-কর্মীদের আমি নিজের পরিবারের সদস্যদের মতো ভাবি। তারাও আমাকে তাদের খুব কাছের আপনজন মনে করে। আমার বাড়িতে এমন কোনো দিন নেই যেখানে ৪০০-৫০০ লোকের আনাগোনা হয় না।

ঢাকাপ্রকাশ: ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে কে কে এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের নমিনেশন তুলবেন?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: এটাতো আপনারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় দেখার কথা। আমার সঙ্গে দুই উপজেলার দুইজন সভাপতির খোলামেলা কথা হয়েছে। আমি মনে করি যে, তারা আওয়ামী লীগ থেকে নমিনেশন চাওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন এবং তাদের কাউকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিলে আমি অবশ্যই তাদের জন্য কাজ করব। তারা আমাকে খোলামেলা বলেছেন যে, আমি নমিনেশন পেলে তারা দুইজনসহ দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীরা ভীষণ খুশী হবেন। দুই উপজেলার সব নেতা-কর্মীরা আমার জন্য দিন-রাত উৎসবমুখর পরিবেশ কাজ করে যাচ্ছেন।



ঢাকাপ্রকাশ: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, দুই উপজেলার নেতারা নমিনেশন ফরম তুললেও নির্বাচনের সময় আপনাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং থাকবে না?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: মোটেই না। আমি তো ফুলছড়ি উপজেলার সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ কাকাকে এবং সাঘাটা উপজেলার সভাপতি টিটু ভাইকে খোলামেলাভাবেই বলেছি, চলেন এক সঙ্গে আওয়ামী লীগের অফিস থেকে নমিনেশন কিনব, আবার এক সঙ্গে জমা দেব। আমাদের মধ্য যেই নমিনেশন পাবে, আমরা একজন আরেকজনের জন্য একশভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করব। এটা কোনো কথার কথা নয়। এটা আমাদের সবার অন্তরের কথা।

ঢাকাপ্রকাশ: কিন্তু আপনি তো আপনার সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ হাসান রিপনের বিরুদ্ধে এক ধরনের গ্রুপিংয়ের রাজনীতি....

ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমি ও আমার প্রয়াত বাবা আমরা কখনো কোনো গ্রুপিং সৃষ্টি করিনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর শেখানো রাজনীতি করি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতি করি, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ করি। আমাদের সঙ্গে কোনো নেতার কোনো কথায় ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে, আমরা সেটা কখনো মনে ধরে রাখি না। পরবর্তীতে কখনো দেখা হলে আমরা আবার হাসি মুখেই কথা বলি। আমি ও আমার বাবা, আমরা কখনোই কোনো নেতা-কর্মীকে দূরে ঠেলে দিইনি এবং ভবিষ্যতেও দেব না। আর রিপন সাহেব এর উল্টোটা করেন। মোট কথা আমাদের সঙ্গে কারো কোনো গ্রুপিং নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: মাহমুদ হাসান রিপন যেহেতু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন, তিনি তো এলাকায় একটা নিজস্ব বলয় তৈরি করতেই পারেন।

ফারজানা রাব্বী বুবলী: তার সৌভাগ্য যে, তিনি স্কুল-কলেজে কোনোদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি না করেই, বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে সরাসরি সভাপতি হয়েছেন। তার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগ করত না। যখন বগুড়া আজিজুল হক কলেজে পড়ে, তখন তার আপন বড় ভাইয়ের সঙ্গে যে মেসে থাকত, সেটি ছিল ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের আস্তানা। তার বড় তাই সে সময় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। যেহেতু তিনি ওই ধারার কিছু লোকজন নিয়ে চলাফেরা করেন, তাই একটা গ্রুপ লালন পালন করেন। আর আপনারা অনেকেই জানেন না যে, তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা আমাদের পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে। তার তথাকথিত গ্রুপের ৯০ ভাগ লোকজন আসে ওইসব এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে। যাদের ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষ বহিরাগত মনে করে। আসলে ফুলছড়ি-সাঘাটার লোকজন রিপনকে কখনই আপন মনে করে না। তাকে মহিমাগঞ্জের লোক মনে করে। সুতরাং সে যদি এমপি হতে চায়, গোবিন্দগঞ্জে রাজনীতি করেও এমপি হওয়ার সুযোগ আছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে কতখানি আশাবাদী?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: একশত ভাগ আশাবাদী। আমি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাজনীতি করি। আমি মাসে প্রায় ২০ দিন গ্রামে থাকি। দুইটা উপজেলার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ আমার বাড়িতে যখন-তখন আসতে পারে। তাদের সুখ-দুঃখ সবকিছুই আমার সঙ্গে শেয়ার করে। তারা আমাকে তাদের আপনজন মনে করতে শুরু করেছে আমি যখন বুঝতে শিখেছি। এখানে একটা বিষয় না বললেই নয়, আমার বাবা-মাসহ পুরো পরিবার যদিও ঢাকায় থাকত। কিন্তু আমার বাবা আমাকে আমার গ্রামের বাড়ি আমার দাদির কাছে রেখে আমাকে এসএসসি পর্যন্ত পড়িয়েছেন। তারপর আমি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শহীদ আনোয়ারা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পর্যন্ত পড়া লেখা করলেও আমার বাবার সঙ্গে আমি ঘন-ঘন গ্রামে যেতাম।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি যেহেতু আপনার স্কুল-কলেজের প্রসঙ্গ এনেছেন, তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স ও আপনার স্বামী সন্তান নিয়ে কথা বলাটা মনে হয় অসমীচীন হবে না?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পরপরই আমি বিয়ে করি ২০০১ সালে। বর্তমানে আমি এলএলবি সমাপ্ত করার পথে আছি। বয়স আমার ৪১ চলছে। এখানে উল্লেখ্য যে, আমার বাবাও প্রথম এমপি হয়ছিলেন ৪০ বছর বয়সে। দুই ছেলে, স্বামী ও শাশুড়ি নিয়ে আমার সংসার। আমার স্বামী ব্যারিস্টার হিসেবে প্র্যাকটিস করার পর একজন বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে প্রায় ১১ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশে তো কোনো বিচারপতির স্ত্রী সরাসরি রাজনীতিতে নেই। এটা একটু বেমানান হলো কী?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: আমার জন্ম রাজনৈতিক পরিবারে এবং আমার বুঝ হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমার সৌভাগ্য যে, আমার বিয়ে হয়েছে একজন মনে-প্রাণে রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বিচারপতি হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলন এবং পাশাপাশি ফুলছড়ি-সাঘাটা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতা-কর্মীদের সুখ-দুঃখের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমি বাংলাদেশের একজন স্বাধীন নাগরিক হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো কাজ রাজনীতিকে সেবা হিসেবে গ্রহণ করছি, যেটি আমাদের সংবিধান আমাদের বিশেষ করে নারীদের রাজনীতিতে আসার জন্য উৎসাহিত করছে।

ঢাকাপ্রকাশ: কী কারণে আপনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করেন? একইভাবে কী কারণে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ হাসান রিপন মনোনয়ন পাবেন না বলে মনে করেন?

ফারজানা রাব্বী বুবলী: ইতোপূর্বে আমি বলছি যে,তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও দিতে থাকব। দুই উপজেলাতেও আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পারব। কারণ সব বয়সী নেতা-কর্মীই আমার সঙ্গে উঠা-বসা করতে স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করে। যদি আমি এমপি হতে পারি তাহলে ফুলছড়ি-সাঘাটায় চিরতরে গ্রুপিংয়ের রাজনীতি বিদায় নেবে। আমার ৪১ বছর জীবন আমি আমার বাবার পদবির কারণে বা স্বামীর পদবির কারণে একদিকে যেমন নিজেকে কখনো ভিআইপি মনে করিনি, অন্যদিকে বাংলাদেশের কেউ কোনোদিন প্রশ্ন তুলতে পারবে না যে, আমি কারো কাছ থেকে কোনো সুবিধা নিয়েছি।

কিন্তু মাহমুদ হাসান রিপন সাহেব আমার পুরো উল্টো চরিত্রের মানুষ। তার সঙ্গে দেখা করতে হলেও মানুষকে অনেক কষ্ট করতে হয়। অন্যদিকে দুদক তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য ২০১২ সালে মামলা করে, যা এখনো চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। তার শশুর ও চাচা শ্বশুর দুবাইতে দুইশত কোটি টাকা পাচার মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুর দুইজন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কুলাঙ্গার তারেক রহমানের বড় অর্থের যোগানদাতা। মাহমুদ হাসান রিপন মাঝে মধ্যেই দুবাই যাতায়াত করে থাকেন।

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ফারজানা রাব্বী বুবলী: আপনাকে ও ঢাকাপ্রকাশ পরিবারকেও ধন্যবাদ।

এনএইচবি/এসএন 

Header Ad

বিতর্কিত প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য পলাতক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে গিয়ে বিতর্কিত ভূমিকায় ছিলেন পুলিশের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা। আন্দোলনকারীদের হয়রানি, সমন্বয়কদের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ নির্বিচারে গুলি করে শতশত ছাত্র-জনতা হত্যার নির্দেশদাতা বিতর্কিত এসব কর্মকর্তা এখন লাপাত্তা। খোঁজ নেয় প্রায় আটশ পুলিশ সদস্যের। তাদের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। খোদ পুলিশের মধ্যেই আছে নানা আলোচনা।

কেউ বলছেন, তারা একটি বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে আছেন। কারও দাবি, তারা প্রশাসনের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন।

পলাতক এসব কর্মকর্তার মধ্যে আছেন সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা জেলার সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রকৃত পক্ষে তারা কোথায় আছেন, কেন আইনের আওতায় আসছেন না, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকর্তাসহ পুলিশের শীর্ষ অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি অপারেশনস মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘যাদের খুঁজে পাচ্ছি, তাদের গ্রেপ্তার করছি বা তাদের হেফাজতে নিচ্ছি। বাকিদের (পলাতকদের) অবস্থানের বিষয়ে জানলে তো ধরে ফেলতাম।’

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য শীর্ষ কর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় আট শ পুলিশ সদস্য এখনো কাজে যোগদান করেননি। কয়েক দফায় তাদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো হদিস নেই এসব সদস্যের। তারা কোথায় আছেন, সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুলিশে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামের। বিসিএস ১৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুরে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় পুলিশে অঘোষিত ডন ছিলেন তিনি। তার কথার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না তৎকালীন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অভিযোগ আছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে পুলিশে কট্টর আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের (কথিত পুলিশ লীগ) নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক ও দিকনির্দেশনা দিতেন মনিরুল ইসলাম। ৫ আগস্ট বিকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে শীর্ষ যে কর্মকর্তাদের হেলিকপ্টারে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়, সেখানে ছিলেন মনিরুল ইসলামও। পরবর্তী সময়ে চাকরিচ্যুত হন তিনি। মনিরুলের বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি হত্যা মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনো তাকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুঞ্জন রয়েছে, তিনি একটি বাহিনীর নজরদারিতেই আছেন। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, তিনি দেশ ছেড়েছেন। তবে ঘটনার মাস পেরোলেও তার প্রকৃত অবস্থান জানা যায়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ। বিসিএস ২০তম ব্যাচের কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের বাসিন্দা হারুন নিজেকে সাবেক রাষ্ট্রপতির নাতি পরিচয় দিতেন। হারুনের ভাতের হোটেল দেশব্যাপী বহুল সমালোচিত। এ কর্মকর্তা আন্দোলন দমাতে সমন্বয়কদের হেফাজতে নেওয়া, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-নির্যাতনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।

সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়াল টপকে বের হয়ে লাপাত্তা হন তিনি। তার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা গুঞ্জন রটেছে। তিনি হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বাহিনীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন-এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। আবার তিনি সীমান্ত পারি দিয়ে দেশ ছেড়েছে-এমন তথ্যও ফেসবুকে ছড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫০টি হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ঢাকা মহানগরে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তৎকালীন কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশেই ডিএমপির আটটি বিভাগের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছেন। বিসিএস ১৭ ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরে। ৫ আগস্ট বিকালে তিনিও একটি বাহিনীর হেলিকপ্টারে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নিরাপদ স্থানে যান। এরপর থেকে তারও কোনো হদিস নেই।

এরই মধ্যে অর্ধশত হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন তিনি। কিন্তু তাকে এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ডিএমপির যুগ্মকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারও ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে কঠোর অবস্থান নেন। ২১ ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরে। তিনি ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তিনি মাঠ পুলিশকে ব্যাপক চাপ দেন বলে অভিযোগ আছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তাও ৫ আগস্টের পর থেকে লাপাত্তা। তবে তিনি এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৫টি হত্যা মামলা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সাবেক সিটিটিসি প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান জঙ্গি দমনে আলোচিত কর্মকর্তা। বিসিএস ১৮ ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনিতে। আওয়ামী লীগের শেষদিকে জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীকে আটক করে জঙ্গি বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে সিটিটিসির একাধিক দল অভিযান চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫টি হত্যা মামলা রয়েছে। তবে তিনি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমন বিতর্কিত অন্তত ২৫ কর্মকর্তা এখনো লাপাত্তা।

ডিএমপির ২৭ সদস্য পলাতক: আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন পর্যন্ত ডিএমপির ২৭ সদস্য পলাতক। তাদের মধ্যে আটজন এএসপি থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে আছেন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ; যুগ্মকমিশনার বিপ্লব সরকার, মেহেদী হাসান, খন্দকার নুরুন্নবী ও সঞ্জিত কুমার রায়সহ দুই সহকারী কমিশনার ও এক অতিরিক্ত উপকমিশনার। অন্যরা কনস্টেবল থেকে ইনস্পেকটর পর্যন্ত। ডিএমপির পলাতক এসব কর্মকর্তার তালিকা হয়েছে সপ্তাহখানেক আগেই। তবে তাদের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে কোনো উদ্যোগ নেই ডিএমপির। সূত্র : যুগান্তর

নিজেদের ভুল বুঝতে পারলে সুযোগ আ.লীগ পেতে পারে: মঈন খান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কারে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে। পাশাপাশি অন্তর থেকে নিজেদের ভুল বুঝতে পারলে এই সুযোগ পেতে পারে সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ।

শনিবার বিকালে নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত চারজনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও আহত-নিহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতা অর্জনকারীরা বর্তমান সরকারকে দায়িত্বে নিয়োজিত করেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়।পাশাপাশি নিহত আরিফুল ইসলাম রাব্বী, আব্দুর রহমান, আরমান মোল্লা এবং নাহিদের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার অর্থ তুলে দেওয়া হয়।

মঈন খান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার ১৫ বছর ধরে স্বাধীনতার ওপর নির্যাতনের পাশাপাশি মানুষের মুখের ভাষা এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, দেশের মানুষ সেটি ফিরিয়ে এনেছে।’

সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লে­খ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু সময়ই সরকারের নেওয়া উচিত।

কুয়াকাটায় হোটেলে ঝুলছিল তরুণীর মরদেহ, পালানোর সময় স্বামীসহ আটক ২

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের একটি আবাসিক হোটেল থেকে আফরোজা আক্তার রিতু (১৯) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পর্যটন পুলিশের সহায়তায় হোটেলের দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ এবং হোটেল সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেলে দুই যুবক ও এক তরুণীর সঙ্গে আফরোজা আক্তার রিতু কুয়াকাটায় বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যায় তারা কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হোটেল নিউ সি-বিচ হোটেলের ৫০১ নম্বর স্যুট (একসঙ্গে কয়েকটি কক্ষ) ভাড়া নেন।

আজ হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। যে কক্ষে ওই তরুণী অবস্থান করছিলেন সেটি বন্ধ ছিল। তারা ওই কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন এবং ওই তরুণীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকা অবস্থায় দেখেন।

আফরোজা আক্তার রিতুর বাড়ি যশোরের বেজপাড়া গ্রামে। হোটেলের রেকর্ড বইয়ে তার স্বামীর নাম লেখা ছিল ইছা মীর। ঘটনার সময় তার অপর সঙ্গীরা অন্য রুমে ছিলেন বলে দাবি তাদের। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এ বিষয়ে হোটেল নিউ সি-বিচ ইনের ম্যানেজার রুমান মৃধা বলেন, হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী ডায়েরি করে তাদের কাছে রুম ভাড়া দেওয়া হয়। গতকাল থেকে তাদের কোনো আচার-আচরণও খারাপ দেখিনি। আজ হঠাৎ চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি একটি রুমের দরজা বন্ধ এবং সামনে তিনজন বসে আছেন। পুলিশে খবর দিলে তারা এসে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, নিহত আফরোজা আক্তার রিতুর সঙ্গে থাকা বাকিরা এক ফাঁকে পালানোর চেষ্টা করেন। হোটেল কর্মচারীরা তাদের আটকে রাখেন।

এ বিষয়ে মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় ওই তরুণী যে কক্ষে ছিলেন, সেটির দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। দরজা ভেঙে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত করতে মরদেহটি মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য পলাতক
নিজেদের ভুল বুঝতে পারলে সুযোগ আ.লীগ পেতে পারে: মঈন খান
কুয়াকাটায় হোটেলে ঝুলছিল তরুণীর মরদেহ, পালানোর সময় স্বামীসহ আটক ২
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি ৪ দিনের রিমান্ডে
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ৫ মরদেহ উদ্ধার
হাসিনার দোসরদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে: নিজামীপুত্র মোমেন
বাড়ির ভেতরে বাছুরের সঙ্গে আনন্দে মেতেছেন নরেন্দ্র মোদি
এই আঁধার কেটে যাবে খুব শিগগিরই: নানক
গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতা নিহত
পলকের জন্য ৯ বছরের প্রেম ও বাগদান ভাঙেন নুসরাত ফারিয়া...!
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার ভারতের
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ: গভর্নর
বৌভাতের দিন অতিথিদের জন্য দই কিনে বাড়ি ফেরা হলো না বরের
শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি: মামুনুল হক
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলের বিছানাজুড়ে টাকার বান্ডিল!
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে দুই ম্যুরালেই ব্যয় ১১৭ কোটি টাকা!
‌পরিস্থিতির কারণে নাহিদের বোন পরিচয় দিয়েছিলাম, সেই ফাতিমার স্বীকারোক্তি
সরকারি অর্থের অপচয় কমাতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে জ্যোতি গ্রেপ্তার
সাগরে নিম্নচাপ, চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত