অমর একুশে বইমেলার ১৬তম দিন বুধবার (২ মার্চ) নতুন বই এসেছে ১১৪টি।
নতুন বইয়ের মধ্যে রয়েছে গল্প ১৩টি, উপন্যাস ১৯টি, প্রবন্ধ ৮টি, কবিতা ৪৯টি, গবেষণা ৪টি, ছড়া ১টি, শিশুসাহিত্য ৩টি, জীবনীগ্রন্থ ৪টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১টি, বিজ্ঞান ১টি, ভ্রমণ ১টি ও বঙ্গবন্ধুবিষয়ক ৪টি রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে- আগামী প্রকাশনী এনেছে মঞ্জু সরকার-এর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘যুদ্ধে যাওয়ার সময়’। দেবপ্রিয় চাকমা’র ‘চাকমা জাতি : সংগ্রাম, সংঘর্ষ ও বিজয় ১৭১১-২০২১’ প্রকাশ করেছে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ। খায়রুল বাবুই’র শিশুতোষ গল্পের বই ‘দুড়ুম’ প্রকাশ করেছে বাবুই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা যেভাবেই হোক তুলবো। এতটুকু অনিয়ম করবো। এরপর আর করবো না- এমন মন্তব্য করেছেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) লালপুর উপজেলা পরিষদের এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। পরদিন বুধবার তার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সচেতন মহলে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এমপি আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে বলেন, এই নির্বাচনে জয়লাভ করতে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে। এই টাকা আমি তুলব তা যেভাবেই হোক। একটু অন্যায় আমি করবোই। তার বেশি করব না। এ সময় এমপি আবুল কালাম আজাদ তার আরও টাকা জমা ও খরচের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরা।
এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বক্তব্য দেওয়ার সময় মজা করে আমি কথাটা বলেছি। এমন অনেক কথায় বলতে হয় আমাদের। এসব সিরিয়ার কোনো বক্তব্য নয়। আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাটোর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে একজন সংসদ সদস্যের এমন বক্তব্য খুব দুর্ভাগ্যজনক। তার (সংসদ সদস্যের) এমন বক্তব্যে তার সহকারী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা দুর্নীতিতে উৎসাহিত হবেন। এটা একদিকে যেমন, পরিষ্কারভাবে শপথের লংঘন, অন্যদিকে নির্বাচনী বিধিরও লংঘন। নির্বাচনী ব্যয় অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন না। এছাড়া সংসদ সদস্যের কাছে গঠনমূলক বক্তব্যেরও প্রত্যাশা জানান তিনি।
ইতিহাসে নাম লেখালেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বার্ষিক মূল্যায়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সৈকতকে এই সম্মাননা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
২০০৬ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন সৈকত। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে মিরপুরে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা শুরু করেন এই আম্পায়ার।
ছেলেদের ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ১০টি টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে আর ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন সৈকত। নারী ক্রিকেটেও অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে হয়েছে ১৩ ওয়ানডে এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনার অভিজ্ঞতা।
পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক দীপক কুমার (৩৫) কে পরিবারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শুন্য রেখায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মানসিক ভারসাম্যহীন দীপক বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিল প্রায় ৫ বছর। দীপকের কুমারের বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের সামস্তীপুর জেলার মনিহারপুর গ্রামে।
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে পিরোজপুর জেলা পুলিশের হাতে আটক হয় দীপক। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতের মাধ্যমে তাকে পিরোজপুর জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয় । সাজার মেয়াদ শেষ হলে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর প্রত্যাবসনের জন্য সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা কারাগারে প্রেরন করা হয়। এরপর ১৯ অক্টোবর দর্শনা বন্দরের চেকপোস্টে তাকে হস্তান্তরের জন্য নেয়া হয়। কিন্তু দীপকের পরিবারের কেউ উপস্থিত না থাকার কারনে তাকে হস্তান্তর করা সম্ভব হয় না।
পরবর্তীতে একাত্তর টিভির জেষ্ঠ্য চিত্রসাংবাদিক ও অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের সাংগঠনিক স¤পাদক মো: শামসুল হুদার প্রচেষ্টায় দীপক কুমারের পরিবারের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে দীপক কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়।
দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চিত্রসাংবাদিক মো: শামসুল হুদা , দীপক কুমারের বাবা রাম নরেশ ঠাকুর এবং দুলাভাই গৌরব কুমার উপস্থিত ছিলেন।
দীপক কুমারের বাবা রাম নরেশ ঠাকুর বলেন, আমি গরীব মানুষ। র্দীঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার পাগল ছেলেকে খুঁজে পেলাম। সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’
চিত্রসাংবাদিক মো: শামসুল হুদা বলেন, ‘মাত্র ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় গুগুলের সাহায্যে দীপক কুমারে ঠিকানা খুঁেজ পায়। আর ১১ দিন পর দীপককে ফেরত দিতে পারলাম। তবে দু’দেশের বন্দিদের সাজাভোগ শেষে নিজ দেশে পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্বল্প সময়ে সহজতর করা দরকার।’
হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার এনামুল কবির, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, কাস্টমস কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুজ্জামান, শরীফ উদ্দিন, দর্শনা থানার এস আই ফাহিম হোসেন, চেকপোস্টের এএসআই মোমিন প্রমুখ।