আজ চুপচাপ থাকা মানুষদের দিন: বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবস
প্রতীকী ছবি
আপনি কি স্বভাবতই কিছুটা চুপচাপ? সামাজিক আড্ডা, অফিস মিটিং কিংবা কোনো উৎসবে সবার সঙ্গে মিশে যেতে না পেরে নিজের মতো থাকতে ভালোবাসেন? অথবা আপনার মতামত প্রকাশের চেয়ে বেশি মনোযোগ দেন শোনায়? তাহলে আজকের দিনটি আপনার জন্যই। অন্তর্মুখী মানুষেরা সাধারণত কম কথা বলেন, কিন্তু মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তাঁদের এই বৈশিষ্ট্যকে অনেক সময় ভুল বোঝা হয়। অথচ অন্তর্মুখী হওয়ার মাঝেও লুকিয়ে থাকে অসাধারণ এক সৌন্দর্য।
অন্তর্মুখী শব্দের ইতিহাস:
১৯০৯ সালে সুইস মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কার্ল জাং তাঁর এক বক্তৃতায় প্রথম ব্যবহার করেন "ইন্ট্রোভার্টেড" শব্দটি। এর মাধ্যমে তিনি এমন এক ব্যক্তিত্বকে নির্দেশ করেছিলেন, যারা নিজের ভাবনার জগতে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে "বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবস" পালনের উদ্যোগ শুরু হয় অনেক পরে, ২০১২ সালে।
জার্মান মনোবিজ্ঞানী ফেলিসিটাস হেইন ২ জানুয়ারিকে অন্তর্মুখী দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন। বড়দিন ও নতুন বছরের উৎসবের ব্যস্ততা শেষে এই দিনটি অন্তর্মুখীদের নিরিবিলি কাটানোর জন্য আদর্শ।
অন্তর্মুখী মানুষের বৈশিষ্ট্য:
অন্তর্মুখীরা একা থাকতে ভালোবাসেন এবং একাকিত্ব তাঁদের মানসিক শান্তি দেয়। তারা খুব ভেবে-চিন্তে প্রতিক্রিয়া দেখান, যা তাঁদের ধৈর্যশীল করে তোলে। যদিও তাঁরা হট্টগোল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ কম করেন, তাঁদের রয়েছে একটি গভীর এবং সৃজনশীল অভ্যন্তরীণ জগত। তাঁদের এই নিরবতাকে অনেক সময় দুর্বলতা হিসেবে দেখা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি তাঁদের শক্তি।
এই দিনটি কেমন করে উদযাপন করবেন?
যদি আপনিও অন্তর্মুখী হন, আজ নিজেকে সময় দিন। যেকোনো সামাজিক ব্যস্ততা থেকে বিরতি নিন এবং নিজের পছন্দমতো কিছু করুন। একা বই পড়ুন, গান শুনুন বা নিজের চিন্তার গভীরে ডুব দিন। আজকের দিনটি শুধু আপনার জন্য—নিজের জগতের ছোট্ট শান্তিময় কোণটুকু উপভোগ করুন।
বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবসে আসুন অন্তর্মুখী মানুষের গুরুত্ব এবং তাঁদের আলাদা বৈশিষ্ট্যগুলো উপলব্ধি করি। তাঁদের জন্য এটি উদযাপনের পাশাপাশি সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করাও আমাদের দায়িত্ব।