শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডাউন সিনড্রোম কেন হয়? কিভাবে বাঁচা যায়?

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি : নুরুল ইসলাম রুদ্র
‘একীভূত সমাজব্যবস্থা, অংশগ্রহণে বাড়ায় আস্থা’-প্রতিপাদ্যটিতে সিলেটের ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)’তে ‘বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে। বায়োকেমেস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি’র উদ্যোগে তাদের ‘ডাউন সিনড্রোম রিচার্স গ্রুপ’র আয়োজনে ও ‘টিটুয়ান্টিওয়ানআরএস (T21RS, https://www.t21rs.org)’র সাহায্যে ‘২১ মার্চ’ দিবসটি উদযাপন করা হয়।

গতকাল ছিল এই দিন, সোমবার। ক্লাস শেষে, দুপুর ১টায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাকাডেমিক ভবন-এ’র সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। অর্জুনতলা হয়ে গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর পেরিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন ঘুরে অর্জুনতলায় ফিরেছে। শাবিপ্রবি ছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ডাউন সিনড্রোমাক্রান্ত শিশুরাও অংশ নিয়েছে।


এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বায়োকেমেস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি)’র সহকারী অধ্যাপক ড. শেখ মির্জা নুরুন্নবী বিশেষ সভাটি উপস্থাপনা করেছেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়রুল ইসলাম। বক্তব্য দিয়েছেন লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম, বিএমবি’র প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ-আল-শোয়েব এবং এম. এ. জি. ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কলেজের পিডিয়াট্রিশিয়ান বা অন্যতম শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জিয়াউল রহমান।


ডা. জিয়াউল রহমান বলেছেন, ‘এই রোগটি কিন্তু বংশ পরস্পরায় সঞ্চারিত হয় না। বাবা ও মায়ের শুক্রানু ও ডিম্বানু এবং জাইগোট বেড়ে ওঠার সময়ে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে রোগাক্রান্ত শিশু জন্ম নিতে পারে।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘পরীক্ষালব্ধ গবেষণার ফলাফলে জানা যায়, সাধারণত গর্ভবতী মায়ের শরীরে ফলিক এসিডের পরিমাণ কম থাকলে বা তার খাদ্য পরিপাক ক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হলে ডাউন সিনড্রোম রোগটি তার সন্তানের হওয়ার প্রবণতা ৯০ শতাংশ পযন্ত বেড়ে যায়। এর মধ্যে গর্ভবতী মায়ের বয়স ৩০ বছর বা বেশি হলে ক্রটিপূর্ণ মিয়োসিস কোষ বিভাজনের হার বাড়ে। এসব কারণেই শিশুটি রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে মায়ের খাবার-দাবার ও চলাফেরার খুব মনোযোগ দিতে হবে। কেননা, এই কারণগুলোই ত্রুটিপূর্ণ মিয়োসিস কোষ বিভাজনের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। কোনো, কোনো ক্ষেত্রে বাবার বয়স ৩০’র বেশি হলে ত্রুটিপূর্ণ মিয়োসিস কোষ বিভাজনের হার ১০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ে। ফলে আমি ছাত্র, ছাত্রীদের অনুরোধ করব, ক্যারিয়ারে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ৩০ বছরের মধ্যে বিবাহ করতে হবে। স্ত্রীর সঙ্গে অবশ্যই ভালো ব্যবহার করতে হবে। তাকে ভালোবাসতে হবে। তার যত্ন নিতে হবে।’

তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘ডাউন সিনড্রোম রোগের উপসর্গগুলো হলো-শিশুর মুখমন্ডল ও নাকের সংযোগ চ্যাপ্টা হয়, মাথা-নাক-মুখ-কান ও গলা খাটো হয়, চক্ষু উপরে উঠানো থাকে, জিহ্বা বের হয়ে থাকে, শুষ্ক ত্বক থাকে, শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে যায় ও কনজেনিটাল হার্ট ডিফেক্ট ঘটে।’


বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমেস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি’র প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল শোয়েব বলেছেন, “মানব শরীরে সাধারণত ২১ নম্বর ক্রোমোজমটির দুটি করে থাকে। তবে ডাউন সিনড্রোমে রোগে আক্রান্ত মানুষের তিনটি থাকে। ফলে রোগটিকে ‘২১ ট্রাইজমি বা ৩ কপি’ বলা হয়।”


লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের ব্রেন খুব সচেতন। তারা কিন্তু যেকোনো কাজে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারে ও সেভাবে কাজ করে। ফলে অন্যান্যদের মতো তাদেরও সমাজে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের একটি অঞ্চলে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে এ রোগাক্রান্ত মানুষরাও ভালো কিছু করতে পারবে।’


প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডাউন সিনড্রোমাক্রান্তরা পরিবারের ও সমাজের বোঝা নয়। চিকিৎসা ও সচেতনতায় অবশ্যই রোগটি প্রতিরোধযোগ্য। সচেতনতা বাড়িয়ে অন্যান্য রোগের মতো এই রোগটিরও বিস্তার কমানো সম্ভব হয়। জন্ম থেকে রোগে আক্রান্তদের সাধারণ মানুষের ভিন্ন ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আমাদেরকে বাংলাদেশের সব মানুষকে দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে যেমন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তেমনি এই রোগের শিশুরা তাদের অংশ হয়ে সফল হবে বলে আমি তাদের সাফল্য কামনা করি।’


ওএস।

 

তীব্র তাপপ্রবাহ: সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। চলমান দাবদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় শুক্রবার তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল।

তবে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান তাপদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার দাবি করেন অনেকেই। তবে গরমে শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা ভেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

এক গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ ‘বংশমর্যাদা’

কোটি টাকার গরু ‘রোজু’। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পুরোনো বাণিজ্যমেলা মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় দুদিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ মেলা। এতে নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয় সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা।

১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ ‘রোজু’ নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

কোটি টাকার গরু ‘রোজু’। ছবি: সংগৃহীত

 

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণী নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণী আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণীগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।

ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরেছে ৪০৭ প্রাণ

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ফাইল ছবি

এবারের ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে দেশের সড়ক ও মহাসড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৩৯৮ জন। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত এ তথ্য উঠে এসেছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, পাঁচজন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

আর বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭. দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ মানুষের বেশি যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকায় যানবাহনে গতি বেড়েছে। দেশের সবকটি সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি পদ্মাসেতুতে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচলের কারণে মোট যাত্রীর সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে।

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত

সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও পথে পথে যাত্রী হয়রানি চরমে উঠেছিল। গণপরিবহনগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দরিদ্র লোকজনদের ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে।

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত, ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ প্রায়।

সড়ক ‍দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮৭ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪০ জন পথচারী, ৭৫ জন নারী, ৪৭ জন শিশু, ২৭ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, চারজন শিক্ষক, একজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুজন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।

সর্বশেষ সংবাদ

তীব্র তাপপ্রবাহ: সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা
এক গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ ‘বংশমর্যাদা’
ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরেছে ৪০৭ প্রাণ
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কে কত ভোট পেলেন?
সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি
চাঁদপুরে চলন্ত লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের
গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করার নির্দেশ
ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যা জানালেন বেনজীর আহমেদ
স্বামীর প্রশংসা করার দিন আজ
টাঙ্গাইলে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন ছাত্রলীগ নেতা
চিন্তাও করিনি মাত্র ১৬ ভোটে হারবো: নিপুণ
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে মিশা-ডিপজল
২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হিট অ্যালার্ট জারি
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
শহরে কৃষক লীগের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না: ওবায়দুল কাদের
রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০