প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে চলমান সংলাপের সপ্তম দিনে আজ বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে তিন দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)।
সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান। বিএনএফ এর প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেয়। বিএনএফের নেতৃবৃন্দ সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন।
তারা নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির মাধ্যমে গঠনের প্রস্তাব করেন। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী ওই কমিটিতে অনধিক পাঁচজনকে নিয়োগের প্রস্তাব করেন। সেই সঙ্গে দেন পাঁচজনের নামও।
এ সময় নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদও জানান বিএনএফ প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধি দলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন যাতে গঠন করা যায় সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সুচিন্তিত মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজনীতিতে আর্থিক বিষয়কে প্রাধান্য না দিয়ে নেতাকর্মীদের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং দলের নীতি-আদর্শকে মূল্যায়ন করতে হবে। গণতন্ত্রকে কেবল নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিনে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ পর্যন্ত মোট সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। চলমান সংলাপের আগামী ২ জানুয়ারি বৈঠক হবে গণফোরামের সঙ্গে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাথে সন্ধ্যা সাতটায়, আগামী ৩ জানুয়ারি সংলাপ হবে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সন্ধ্যা ৭ টায় এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সন্ধ্যা সাতটায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি 'সার্চ কমিটি'র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
এসএম/এসআইএইচ
