
সাংবাদিক আতঙ্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:১২ পিএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২২ পিএম

অতি গোপনীয় রাষ্ট্রীয় চিঠি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এতে বড় ধরনের চাপে পড়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গোপনীয় চিঠি ফাঁসের ঘটনাটি দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এরফলে আন্ত:দেশীয় সম্পর্ক বিনষ্ট হতে পারে। কীভাবে রাষ্ট্রীয় চিঠি গণমাধ্যমে ফাঁস হলো এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি অস্ট্রিয়াতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের জন্য এগ্রিমো পাঠানো হয় অস্ট্রিয়া সরকারের কাছে। এটি সরকারের অতি গোপনীয় চিঠি। এগ্রিমো অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত তা কোনোভাবেই প্রকাশ করা যায় না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এগ্রিমো না পাওয়া পর্যন্ত তা প্রকাশ করতে পারে না। রাষ্ট্রদূত একটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। যে দেশে রাষ্ট্রদূতকে পাঠানো হবে সেই দেশের সরকারের অনুমতি চেয়ে এগ্রিমো পাঠানো হয়। এগ্রিমো অনুমোদন করা না করা সেই দেশের এখতিয়ার। এগ্রিমো অনুমোদন না দেওয়ার ঘটনা অতীতেও ঘটেছে।
শুধু যে অন্য দেশের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেছে তা নয়। বাংলাদেশেও কোনো কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতের এগ্রিমোতে অনুমোদন না দেওয়ার নজীর রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ থেকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় চিঠি বাইরে গেল কীভাবে? তাহলে কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো নিরাপত্তা নেই! না কি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে!
বিশ্বের প্রতিটি দেশেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকে। সেখানে কর্মকর্তারা ছাড়া অন্য কারো প্রবেশাধিকার থাকে না। বাংলাদেশও সেই নীতি অনুসরণ করে। এরপরও নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে কীভাবে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় চিঠি সাংবাদিকদের হাতে গেল? এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সাইফার বার্তার মতো রাষ্ট্রীয় গোপনীয় বার্তাও ফাঁস হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপনীয় শাখা থেকে চিঠি চুরি করে সাংবাদিকদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। অনেকে বলছেন, রাষ্ট্রীয় গোপনীয় চিঠি ফাঁসের ঘটনায় বড় ধরনের লেনদেন হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে অসাধু কর্মকর্তা-সাংবাদিকদের একটি চক্র জড়িত। এরাই বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রের গোপন তথ্যাদি ফাঁস করে থাকে। কিছু কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে সাংবাদিকদের ব্যবহার করে থাকেন। এমনও অভিযোগ আছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনৈক সাংবাদিককে মন্ত্রণালয়ের ক্যালেন্ডার, ডায়েরি ও অন্যান্য ছাপা সংক্রান্ত কাজ দিয়ে সহায়তা করেন। কাউকে কাউকে দেওয়া হয় মাসোহারা। আর তার বিনিময়ে ওই ‘অসাধু সাংবাদিকদের’ দিয়ে নিজের মনমতো রিপোর্ট করান। এই অসাধু চক্রটি বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকজন মেধাবী কর্মকর্তার চরিত্র হনন করে পত্রিকায় রিপোর্ট করিয়েছেন। এদের টার্গেটে পড়ে বেশ কয়েকজন মেধাবী কর্মকর্তার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অতি গোপনীয় রাষ্ট্রীয় চিঠি ফাঁসের ঘটনায় তোলপাড় চলছে মন্ত্রণালয়ে। কর্মকর্তারা রীতিমত সাংবাদিক আতঙ্কে ভুগছেন। প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারি বিশেষ নজরদারিতে আছেন। তাদের চলাফেরা ও গতিবিধি ফলো করা হচ্ছে। কাদের হাত দিয়ে চিঠি ফাঁস হয়েছে? কাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সম্পর্ক অতি সখ্য তা খোঁজা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিপদে ফেলতেই চিঠি ফাঁসের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কয়েকজন সচিব ও রাষ্ট্রদূত বলেন, রাষ্ট্রীয় চিঠি ফাঁসের ঘটনাটি নজিরবিহীন। এর পুরো দায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এরফলে শুধু আন্ত:দেশীয় সম্পর্কই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না; দেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়ে। সরকারের উচিত অতি দ্রুত ঘটনাটি সত্যনিষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওয়ায় আনা। তা নাহলে আরও বড় কোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে। তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন।
আরএ/

এবার দেশের সকল ইউএনওকে বদলির নির্দেশ
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ এএম

দেশের সকল ওসিকে বদলির নির্দেশের পর এবার দেশের সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) বদলির নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এ নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
গতকাল ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে নির্দেশনাটি পাঠান।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্ত সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বর্তমান কর্মস্থলে ১ বছরের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
এর আগে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলি করতে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে এ নির্দেশনা দেয় সাংবিধানিক সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায়/অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

ঢাকাপ্রকাশ-এর ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৬ এএম

‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগান ধারণ করে ঢাকাপ্রকাশ-এর এবারের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উদযাপিত হয়েছে। রাজধানীর ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার-এর নিজ কার্যালয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই ঢাকাপ্রকাশ-এর ভবনে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি উৎসবে আগতদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।

শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কেক কেটে ঢাকাপ্রকাশ-এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শাহাদৎ জামান সাইফ। এ সময় অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকাপ্রকাশ-এর সাংবাদিক ও কলাকুশলীরা।

কেক কাটার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাহাদৎ জামান সাইফ বলেন, ঢাকাপ্রকাশ তার দ্বিতীয় বছর অতিক্রম করল। দুইটি বছর গণমাধ্যমের জন্য বড় কিছু নয়। কিন্তু এই দুই বছরে বোঝা যায়; এই মাধ্যমটির সম্ভাবনা কতটুকু। এই অল্প সময়েই ঢাকাপ্রকাশকে পাঠকরা যতটা গ্রহণ করেছে তা সত্যি অভাবনীয়। ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যম পাঠকদের ভালোবাসায় সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
এসময় ঢাকাপ্রকাশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশের জন্মদিন। সাফল্যের দুই বছর অতিক্রম করে ৩য় বর্ষে পা রাখল তারুণ্য নির্ভর এই গণমাধ্যমটি। মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টালটি বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাঠকদের মাঝে ইতিধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। তারুণ্যের অদম্য শক্তিতে ঢাকাপ্রকাশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, দুই বছর সময়টি কম হলেও আমরা পাঠকদের কাছে এই অল্প সময়ের মধ্যে যে জায়গা করে নিয়েছি তা সত্যিই অনেক বড় অর্জন। আমাদের এই অর্জনের পেছনে পাঠকদের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তাদের গ্রহণযোগ্যতাই আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ। তারাই আমাদের শক্তি, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। পাঠকদের এই ভালোবাসাই ঢাকাপ্রকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে।

বর্ষপূর্তিতে ঢাকাপ্রকাশের মফস্বল বিভাগের জাহিদুল ইসলাম তার অনুভতি ব্যক্ত করে জানান, নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। ঢাকাপ্রকাশ তরুণ নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে সাজানো হয়েছে এই পরিবার। ঢাকাপ্রকাশ অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় স্থান দখল করে নিয়েছে। এর জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও কাঠামোগুলোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
স্পোর্টস বিভাগের আশিক মোহাম্মদ রিয়াদ বলেন, সাফল্যের দুটি বছর শেষ করলাম আমরা। এবার সামনে এসেছে নতুন সম্ভাবনার দিন। ঢাকাপ্রকাশ পরিবার আরও সামনে এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

কথা হয় ঢাকাপ্রকাশের ক্যাম্পাস বিভাগের একরামুজ্জামানের সাথে। তিনি বলেন, আজ ঢাকাপ্রকাশ তার ২ বছরের সাফল্যমাখা সময় অতিক্রম করে তৃতীয় বর্ষে পা রাখল। গণমাধ্যমে সত্যতা ও সচ্ছ্বতা বিদ্যমান রাখা সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকাপ্রকাশ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ‘পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা’ এই স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে তার নিজস্ব গতিতে। পাঠকদের ভালোবাসায় পুরাতনকে ভুলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে চাই আমরা।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাকাপ্রকাশের বিনোদন বিভাগের আরিফ হাসান বলেন, ঢাকা প্রকাশ এগিয়ে যাক অদম্য গতিতে। ছুটে চলুক সত্যের সন্ধানে। শুভ জন্মদিন ঢাকাপ্রকাশ।

ঢাকাপ্রকাশের ওয়েব ডেভেলপার পার্থদেব জানান, প্রতিদিনই আমরা পাঠকদের মন্তব্য বিশ্লেষণ করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের ওয়েবসাইটকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাঠকদের বিভিন্ন মতামতের উপর ভিত্তি করে ঢাকাপ্রকাশকে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে।
এদিকে সারাদেশ থেকে প্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শোবিজ অঙ্গণের অনেকের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা এসে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-কে।
বিভাগ : গণমাধ্যম
বিষয় : ঢাকাপ্রকাশ , তয়-বর্ষে-ঢাকাপ্রকাশ , বর্ষপূর্তি , উদযাপিত , উদযাপন , পুরাতনকে-ভুলে-নতুন-উদ্যমে-এগিয়ে-যাচ্ছি-আমরা , জন্মদিন

ইসি’র শোকজের জবাব দিলেন সাকিব
০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৬ এএম

মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার বিরুদ্ধে করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা শোকজের জবাব দিয়েছেন । শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে শোকজের ব্যাখ্যা দেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাকিব আল হাসান বলেন, সব কিছু সব সময় ক্যামেরাতে বলা সম্ভব না। দেখুন আমি তো গতকালই বললাম প্রথমবার আমি ইলেকশনে অংশগ্রহণ করতেছি। স্বাভাবিকভাবেই ভুলত্রুটি আমার হতে পারে, আমার অজান্তে। সেগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। যখন আমি সব নিয়ম কানুন জানব, পড়ব, বুঝব, তারপর যদি হয় তখন আমার দোষ হতে পারে। কিন্তু এখন যেটা হয়েছে এটা নিতান্তই অনাকাঙ্ক্ষিত একটা বিষয়। নেক্সট টাইম যাতে এমন না হয় সে বিষয়ে আমি খেয়াল রাখব।
সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম জানান, ২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় লোকজন জমা হয়। সেখানে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি রাখেননি। সুতরাং এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে তলব করেন। তাকে আজ শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।