সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:১৫ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম


সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

খুব দ্রুত বংশবিস্তার করা ক্ষতিকর সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃনাল কান্তি এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

এর আগে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ক্ষতিকর মাছটি নিষিদ্ধ করতে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০-এর ১৮ নম্বর ধারা সংশোধন প্রস্তাব প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, এ বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে তা লিখিতভাবে প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে অনধিক দুই মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃনাল কান্তি দেকে জানানোর জন্য বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি বা পরামর্শ না পাওয়া গেলে তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

১১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু, উক্ত প্রাক-প্রকাশনায় উল্লিখিত ২ (দুই) মাস সময় ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনের উপর প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে সরকার উক্ত নিয়মের অধিকতর সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এরপর প্রজ্ঞাপনে ১৯৫০-এর ১৮ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, কোনো ব্যক্তি সাকার মাছ আমদানি, চাষ, প্রজনন, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ বা প্রদান, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ করতে পারবেন না।

সাকার মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ইপসতোমুস প্লেকসতোমুস’। মূলত এটি অ্যাকুরিয়াম পালন করা হয়। প্রধান খাবার জলজ পোকামাকড় ও জলজ শ্যাওলা। তবে ছোট মাছ, পোনা ও মাছের রেনুও খেয়ে থাকে তারা। ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতির প্রভাব ফেলে সাকার সাকার মাছ। এ ছাড়া সাকার মাছের শরীর খুব শক্ত ও পাখনা খুব ধারালো। এ মাছের আঘাতে অন্য মাছের শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হয় ও এর বিষে মাছগুলোতে পচন ধরে মরে যায়।

সাকার মাছ দেশীয় মাছের জন্য বড় হুমকি বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার করে আসছিল মৎস্য অধিদপ্তর। তুলে ধরা হয় সাকার মাছের ক্ষতিকর দিক।

এসজি


বিভাগ : জাতীয়



ঢাকায় রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির মশাল মিছিল

০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম


ঢাকায় রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির মশাল মিছিল
ছবি: সংগৃহীত

সরকার পতনের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার সারাদেশে সর্বাত্মক ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ সফল করতে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি।

শনিবার আগারগাঁওয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ড. খন্দকার বাবলু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন, রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন নিলু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহসভাপতি তারেকুর জামান তারেক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি রাফিজুল হাই রাফিজ, এ বি এম মাহমুদ সর্দার, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. আউয়াল প্রমুখ।


যেভাবে ভাগ হলো অমিতাভ বচ্চনের সম্পদ

০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম


যেভাবে ভাগ হলো অমিতাভ বচ্চনের সম্পদ
ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক মাস ধরেই ক্রমাগত আলোচনায় রয়েছে বচ্চন পরিবার। তাদের অন্দরমহলের সমীকরণ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। ‘বচ্চন বহু’ ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে চিঁড় ধরেছে বচ্চন পরিবারের। বিগত কয়েক মাস ধরেই নাকি শ্বশুরবাড়ির থেকে ছাড়াছাড়া ঐশ্বরিয়া রায়। এর মাঝেই মেয়ে শ্বেতা বচ্চনের নামে নিজের প্রথম বাংলো ‘প্রতীক্ষা’ লিখে দিয়েছেন অমিতাভ। এ বার সম্পত্তির ভাগ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। প্রায় ২৮০০ কোটি রুপীর সম্পত্তির ভাগ কী ভাবে হবে জানালেন অমিতাভ বচ্চন।

 

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তারকা জানান তার সম্পত্তি দুই সন্তানের মধ্যে সমান ভাগ করে দিয়েছেন। প্রথম থেকে ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোনও তফাত করেননি অমিতাভ। তাই সম্পত্তির ক্ষেত্রেও দুই সন্তান সমান ভাগ পেয়েছেন। সদ্য দীপাবলির উপহার হিসাবে অমিতাভ ‘প্রতীক্ষা’ বাংলোটি মেয়ের নামে লিখে দেন। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫০ কোটি।

মুম্বাইয়ের জুহুতে অমিতাভ বচ্চনের পাঁচটি বাংলো রয়েছে। প্রতীক্ষা, জনক, জলসা, বৎসা এবং জলসার পেছনে থাকা আরেকটি বাংলো।

 

ছবি: সংগৃহীত

অমিতাভের সম্পত্তি ছাড়া এই মুহূর্তে অভিষেক বচ্চনের সম্পত্তির পরিমাণ ২৮০ কোটি। এর সাথে যদি বাবার অংশ যোগ হয় তাহলে মোট সম্পত্তির পরিমাণ হবে ১৮৬০ কোটি রুপি। অর্থাৎ বাবার সম্পত্তির ভাগ পেলে অভিষেকের সম্পত্তি বেড়ে যাবে প্রায় ৫৬৪ শতাংশ।

শ্বেতা বচ্চন ১১০ কোটি রুপির মালিক। ১৬০০ কোটি রুপি পেলে তার সম্পত্তি বেড়ে হবে ১৬৯০ কোটি রুপি। অর্থাৎ মোট সম্পত্তি বাড়বে ১৪৩৬ শতাংশ। সাথে আছে ‘প্রতীক্ষা’ বাংলো।

অন্যদিকে কারও সম্পত্তি না পেয়েই এই মুহূর্তে প্রায় ৭৭৬ কোটি রুপির মালিক ঐশ্বরিয়া। ঐশ্বরিয়ার চেয়ে অভিষেকের সম্পত্তি অনেক কম। তবে বাবার সম্পত্তির ভাগ পেলে সম্পত্তির দিক থেকে ঐশ্বরিয়ার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন তিনি।


ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম


ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম নির্বাচনের নামে তামাশা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এর প্রতিবাদে ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।

তিনি বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ইসির বক্তব্য দলদাস প্রমাণিত। কোনো প্রকার টালবাহানা দেশবাসী দেখতে চায় না। দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। বিস্ফোরণের দায় সরকারকেই নিতে হবে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া দেশ ও বিদেশে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। একতরফা পাতানো নির্বাচন দেশে নতুন সংকট তৈরি হবে।

আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত থানা ও নগর যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. শহীদুল ইসলাম, মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম খোকন, মাওলানা নজরুল ইসলাম, কামাল হোসাইন, এইচএম রফিকুল ইসলাম, মুফতি আবদুল আহাদ, মুফতি আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম আরও বলেন, সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার নামে অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও অপ্রয়োজনীয় সিলেবাসের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস করে দিয়েছে। এই শিক্ষাব্যবস্থা চলতে থাকলে দেশ নতুন করে সংকটে পতিত হবে। দেশ নেতৃত্বশূন্য হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিপথগামী হবে। সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। বাঙালিয়ানা সমাজ বিনষ্ট হবে।

তিনি আগামী ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

অনুসরণ করুন