
ইন্দোনেশিয়া-সিঙ্গাপুর সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৫৬ এএম

১৩ দিনের ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর সফর শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৬টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স লিমিটেডের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-৫৮৫) সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় অবতরণ করেন। উড়োজাহাজটি সিঙ্গাপুরের সময় আজ বিকাল ৪টা ২২ মিনিটে চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি ৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে সিঙ্গাপুরে যান। গত ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে তিনি জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।
রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী ও সফর সঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময়ে বিমানবন্দরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত, তিন বাহিনী প্রধান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
ইন্দোনেশিয়ায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে তিন দিনব্যাপী ৪৩তম ‘আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন’, ১৮তম ‘পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন’ এবং সাইডলাইনে অন্যান্য কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট- আসিয়ান ২০২৩ এর সভাপতি জোকো উইডোডোর (জোকোই) আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাকার্তায় যান। সেখানে ৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন অবস্থান করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে সস্ত্রীক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসময় অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।
৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসিয়ান দেশগুলোর ১০টি সাংগঠনিক নেতা এবং কিছু রাষ্ট্রীয় নেতা, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ অংশীদার দেশগুলোও এতে অংশ নিয়েছে। আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা আসিয়ান সম্মেলনের জন্য ২৭ জন বিশ্বনেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের আমন্ত্রণ জানায়।
রাষ্ট্রপতি ৬ সেপ্টেম্বর তার ইন্দোনেশিয়ান সমকক্ষ জোকো উইডোডো এবং ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মহাসচিব ড. সালমান আল ফারিসির সঙ্গে আলাদা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন। রাষ্ট্রপতি ১৮তম ‘পূর্ব এশিয়া’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন এবং ৭ সেপ্টেম্বর আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন।
এদিকে, অনুষ্ঠানের ফাঁকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তারা হলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও ম্যানুয়েল ডি অলিভেরা গুতেরেস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন এবং লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক পার্টির প্রধানমন্ত্রী সোনেক্সে সিফানডোন প্রমুখ। খবর বাসস।

রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী
০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২২ পিএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৪০ এএম

২০২৩ সালের জন্য রসায়নে নোবেল বিজয়ী হয়েছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী। বুধবার (৪ অক্টোবর) এই পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। বিজয়ীরা হলেন, মুঙ্গি জি বাওয়েন্দি, লুইস ই ব্রুস এবং অ্যালেক্সি আই একিমোভ।
নোবেল কমিটি ঘোষণায় বলেছে, কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার, উন্নয়ন এবং ন্যানো ক্রিস্টাল প্রযুক্তি বা ন্যানোপার্টিকলের আকার ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে ভূমিকা রাখায় এই সম্মানজনক পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়েছে তিন গবেষককে। তারা তিন জনই মার্কিন নাগরিক।
তবে নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ফাঁস হয়ে যায়। এ নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। কিন্তু বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু পৌনে ৪টায় ঘোষিত বিজয়ীদের নামের তালিকার সঙ্গে ফাঁস হওয়া তালিকা মিলে যায়। এ বিষয়ে নোবেল কমিটির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সোমবার থেকে এই বছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে চিকিৎসা ও পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম।
মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও সুইডেনের তিন বিজ্ঞানী। ইলেকট্রন গতিবিদ্যার গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাদেরকে এই পুরস্কার দিয়েছে নোবেল কমিটি।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারজয়ী তিন বিজ্ঞানী হলেন- পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি (যুক্তরাষ্ট্র), ফেরেঙ্ক ক্রাউস (জার্মানি) এবং অ্যান ল'হুইলিয়ার (সুইডেন)।
এর আগে সোমবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এবারে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। করোনার টিকা তৈরিতে অবদানের জন্য হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী যৌথভাবে এবারের চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল জিতে নিয়েছেন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তারা।
আগামীকাল ৬ অক্টোবর সাহিত্যে অবদান রাখায় ঘোষণা করা হবে নোবেলজয়ীর নাম। ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

কবি রাধাপদের ওপর হামলার মূল আসামি গ্রেপ্তার
০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৫ পিএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:২৭ এএম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পূর্বশত্রুতার জেরে রাধাপদ রায় (৮২) নামের চারণকবিকে হামলার ঘটনায় মামলার মূল আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পৌর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এবং পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে কবি রাধাপদকে মারধরের ঘটনায় প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। অপর আসামি কদুর আলীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এই বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত। আপনারা সবাই জানেন, এটি পারিবারিক ঘটনা। কেউ কেউ এটিকে অন্যভাবে প্রচারণাও চালিয়েছে। ভুয়া তথ্য না ছড়ানোর জন্য সবাইকে বিনতি অনুরোধ করছি। আমরা কবির খোঁজ রাখছি সবসময়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে রাধাপদ রায়ের নিজ গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রাধাপদ রায় নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের গোড্ডারপাড় বটতলা গ্রামের বাসিন্দা। ওইদিন চিকিৎসার জন্য কবিকে নেওয়া হয় নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ ঘটনায় রাধাপদ রায়ের ছেলে শ্রী জুগল রায় পরদিন রোববার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী থানায় মামলা দায়ের করেন।

রাষ্ট্রপতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনের সুযোগ আছে: আইনমন্ত্রী
০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৩৮ এএম

রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেই কেবল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্থায়ী জামিন পেতে পারেন বা বিদেশে যেতে পারেন বলে মন্তব্য করছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘যে কেউ সাংবিধানিকভাবে এই আবেদন করতে পারবেন।’
আজ বুধবার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত যে কোনো আসামি তাঁর দণ্ড মওকুফের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন।
নির্বাহী আদেশের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী শর্ত যুক্তভাবে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, সেটি দ্বিতীয়বার আর করার কোনো সুযোগ নেই।’
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তুলনা করেছেন। শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নিঃশর্ত জামিনে ছিলেন বলেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে পেরেছিলেন। তাকে শর্ত দিয়ে জামিন দেওয়া হয়নি। বেগম খালেদা জিয়া শর্ত সাপেক্ষে জামিনে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শর্ত সাপেক্ষেই তার দণ্ড স্থগিত করে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটা পুনরায় বিবেচনায় রাখার সুযোগ রাখা হয়নি। ফখরুলকে অসত্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। বেগম জিয়ার রাজনৈতিক কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি।’