শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

৬২ শতাংশ তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সতর্কবাণী থাকে না

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের হার গত বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ শতাংশে। তবে তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এটা যথেষ্ঠ নয় বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই সতর্কবাণী ৬২ শতাংশ মোড়কের উভয়পাশেই মুদ্রণ করা হয় না। সচিত্র সতর্কবাণীর হার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ জায়গা জুড়ে মুদ্রণের দাবি জানান তারা।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) হোটেল গোল্ডেন ইন-এ টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভির্সিটি ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)-এর আয়োজনে ‘তামাকজাত দ্রব্যের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন- বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক এক গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তারা এসব দাবি জানান ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ড. সোহেল রেজা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম আব্দুল্লাহ, আর্ন্তজাতিক সংস্থা দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর কান্ট্রি ম্যানেজার নাসির উদ্দিন শেখ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপচার্য অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র সাহা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি)-এর সদস্য সচিব ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান। গবেষণার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি)-এর সহকারী গবেষক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা। এছাড়া অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা।

মূল প্রবন্ধে ফারহানা জামান লিজা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের নানা পদ্ধতির মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান অন্যতম। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধনী ২০১৩) এর ধারা ১০ অনুযায়ী সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের উভয়পাশের মূল প্রদর্শনী তলের উপরিভাগের ৫০ শতাংশ এলাকা জুড়ে তামাকের স্বাস্থ্য ক্ষতি সম্পকিৃত সচিত্র সতকর্বার্তা প্রদান করতে হবে। টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে গত সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগের ২৪ টি জেলার ১৫৫২টি তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।

টিসিআরসির গবেষণায় বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে, তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ৮২% তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পাওয়া গেছে; ৬২% মোড়কের উভয়পাশে এই সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হয়নি; ৫৮% মোড়কেই পঞ্চাশ শতাংশ এলাকা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হয়েছে; ২৮% মোড়কের উপরের দিকে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রিত হয়েছে; ৪% মোড়কে ছবির সাথে লিখিত বার্তা প্রদান করেনি; ৪% মোড়কে আইনে প্রদত্ত ছবি না দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের ছবি মুদ্রণ করতে দেখা গেছে; ১৮% মোড়কের লিখিত সতর্কবাণী কালো জমিনে সাদা অক্ষরে মুদ্রিত হয়নি; ৭১% বিড়ির মোড়কের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ব্যান্ডরোল দিয়ে ঢেকে থাকতে দেখা গেছে; এবং ৫১% মোড়কেই “শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত” মর্মে কোন বাণী প্রদান করা হয়নি; কোনো সিগারেটের কার্টনেই সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পাওয়া যায়নি।

অধ্যাপক ড. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, নীতি পরিবর্তনের জন্য অ্যাডভোকেসি আরো জোরদার করতে হবে। যদিও গবেষণায় ফাইন্ডিং এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারপরও নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় ফলোআপ জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিসহ কিছু নীতি প্রণয়নের কাজ চলছে। যা আরো জোরদার করতে হবে।

সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, গবেষণা করে অ্যাডভোকেসিতে ব্যবহার করতে হবে। একইসঙ্গে অ্যাকাডেমিক জার্নালে প্রকাশ করতে হবে। যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় কোম্পানির অনেক বায়াস রিসার্চ ফলাও করে প্রকাশ হয় কিন্তু আমাদের মানসম্মত রিসার্চ গুলোও সেভাবে প্রচার হয় না। ফলে আমাদেরকে প্রচারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। একইসঙ্গে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গবেষণা পরিচালিত এলাকার ডিসি ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য অনুরোধ জানাতে হবে।

এস এম আব্দুল্লাহ বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেজিংয়ের আইন ও নীতি বাস্তবায়ন করা জরুরি। যে তামাক কোম্পানিগুলো এগুলো মানছে না তাদের উৎপাদিত পণ্য অবৈধ বলতে পারি। পাশাপাশি কর ফাঁকি রোধে তামাক পণ্যের স্টান্ডার্ড প্যাকেজিংয়ের দিকে যেতে হবে উন্নত দেশের সাথে মিল রেখে। বাংলাদেশ এফসিটিসি স্বাক্ষরকারী দেশ। সুতরাং এর প্রতিপালনের বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে। এনটিসিসি, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

উপচার্য অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র সাহা বলেন, তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর কাজে সমন্বয় প্রয়োজন। কারণ আমাদের প্রতিপক্ষ তামাক কোম্পানি অনেক শক্তিশালী। ফলে তাদের বিপক্ষে কাজ করতে তামাক বিরোধী ফোরামগুলোকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করা জরুরি। তামাক বিরোধী আন্দোলনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। একইসঙ্গে গবেষণা ফলাফলগুলো উন্মুক্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে হেলাল আহমেদ বলেন, টিসিআরসি বাংলাদেশে প্রথম কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা সেল। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও এটা অনুসরণ করতে পারে। টিসিআরসির প্রস্তাবিত স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং মডেলটি ইতিমধ্যেই জন হপকিংস বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করেছে। বিশ্বের অনেক দেশ এ মডেল বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমাদের দেশ থেকে এই ধারণাটি উন্নত বিশ্বে গ্রহণ করা সত্ত্বেও আমরা এখনও এটি বাস্তবায়নের দিকে যেতে পারিনি। আমাদেরকে  দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যে স্টান্ডার্ড প্যাকেজিংয়ের মডেল বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

 

এসএম/

Header Ad
Header Ad

দুই দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতা প্রদান এবং ব্লকপদ বিলুপ্ত করে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। দাবি না মানলে আগামী ৫ মে থেকে সারা দেশে কর্মবিরতির কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর বিচারকদের জন্য পৃথক পে-স্কেল এবং নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও সহায়ক কর্মচারীদের সেই স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ তারা একই দপ্তরে বিচারকদের সঙ্গে কাজ করেন, কিন্তু বেতন-ভাতাদি পান জনপ্রশাসনের স্কেল অনুযায়ী।

তিনি অভিযোগ করেন, অনেক কর্মচারী ৩৮ থেকে ৪০ বছর ধরে একই পদে কর্মরত থাকলেও কোনো পদোন্নতি পাননি। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক ও বৈষম্যমূলক। সচিবালয়ের একজন অফিস সহায়ক যেমন পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হতে পারেন, তেমনি সুপ্রিম কোর্টে অফিস সহকারী ডেপুটি রেজিস্ট্রার পর্যন্ত পদোন্নতি পান, পুলিশের কনস্টেবলও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পারেন। অথচ অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা শতভাগ বৈষম্যের শিকার।

রেজোয়ান খন্দকার বলেন, প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা ও আইন সচিবের কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরা হয়েছে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন দাবি যৌক্তিক বলে স্বীকার করলেও তাদের প্রতিবেদনে আমাদের বিষয়ে কোনো সুপারিশ রাখা হয়নি।

দাবি বাস্তবায়নে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিদ্যমান জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম থেকে ১২তম গ্রেডভুক্ত করে সব ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, আগামী ৫ মের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে সারা দেশের অধস্তন বিচার বিভাগের কর্মচারীরা ওই দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দুই ঘণ্টার সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে। এরপরও দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. ছালাউদ্দিন, সহসভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক আহাম্মেদ রিংকু এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তৃতীয় সাধারণ সভায় দলের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি, সাংগঠনিক নীতিমালা ও কাঠামো সংস্কার নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলা ও উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শৃঙ্খলাবিরোধী অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত ও শৃঙ্খলা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিকেল ৩টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টাব্যাপী এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

সভা শেষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অঞ্চলভিত্তিক সাংগঠনিক কাঠামো চূড়ান্তকরণ, সংস্কার প্রস্তাবনা প্রণয়ন, গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার দাবি এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি হামলা এবং ভারতের ওয়াকফ বিলবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের প্রতিবাদ ও দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে সরকারের প্রতি কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানায় দলটি।

দলের সাংগঠনিক গতিশীলতা বাড়াতে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রয়োজনীয় নীতিমালা উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত কাঠামোয় দেশের ৬৪ জেলাকে ১৯টি জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা কমিটিতে ৩১ থেকে ৫১ জন এবং উপজেলা কমিটিতে ২১ থেকে ৪১ জন সদস্য থাকবে। উভয় পর্যায়ের আহ্বায়ক পদের জন্য বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ন্যূনতম ৪০ বছর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপরিসরে কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণের অভিযোগ ওঠায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি তদন্ত ও শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার ঘোষণা আসছে আগামী রবিবার।

এছাড়া বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখা চলতি সপ্তাহেই একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

"শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি"—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউস ডে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিরামপুর থানা চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফত হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক, বিএনপির বিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মিঞা শফিকুল ইসলাম মামুন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু, উপজেলা আমির হাফিজুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শিরণ আলম, ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুর ইসলামসহ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, স্থানীয় শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

পুলিশ সুপার মারুফত হুসাইন তার বক্তব্যে বলেন, “প্রথমে আমি আমার পুলিশকে ঠিক করেছি। এখন আমাদের সামনের দিনগুলো ভালো প্রত্যাশা চাই। আমরা আমাদের সমাজে আর কোনো অপরাধ করতে দেব না এবং এই জেলাকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকমুক্ত করব ইনশাল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতাই পারে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে। তাই সবাইকে আরও সচেতন ও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন
ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার