বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৭ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আশ্রয় দেওয়ার কারণ জানালেন সেনাপ্রধান

সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছি। তাদের প্রতি যদি কোনো অভিযোগ থাকে, মামলা হয় তাহলে তারা শাস্তির আওতায় যাবেন। কিন্তু অবশ্যই আমরা চাইব না যে বিচারবহির্ভূত কোনো কাজ বা হামলা হোক। তাদের জীবনের যে হুমকি আছে, সেটার জন্য আমরা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছি। যে দলেরই হোক, যে মতেরই হোক, যে ধর্মের হোক, সেটা (নিরাপত্তা) আমরা দেখব।’

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী সেনানিবাসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আনসার, র‌্যাব, বিজিবিসহ সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়ে এসেছে। আমি বলব যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণভাবেই আমাদের নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ কিছুটা ট্রমার মধ্যে আছে। ট্রমাটা কাটিয়ে উঠলে পুলিশ তাদের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। পুলিশ বিভিন্ন থানায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমরা পুলিশকে প্রটেকশান দিয়ে যাচ্ছি। তারা সম্পূর্ণভাবে যখন কাজকর্ম শুরু করে দেবে, তখন পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন আমরা সেনানিবাসে ফেরত যাব। সেই পর্যন্ত আমরা থাকব এবং কাজ করে যাব।’

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘সংখ্যালঘু যে ইস্যুটা আছে, দেখলাম যে এখানে একেবারেই ওরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি—এই আটটা জেলায় (রাজশাহী বিভাগের আট জেলায়)। এটা অত্যন্ত ভালো দিক এবং এই যে একটা সুন্দর পরিবেশ, সেটা বজায় রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে কাজ করব এবং দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাব। আমরা সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে যেতে চাই। সুন্দর একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এই দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুর কোনো ইস্যু নেই। বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। রাষ্ট্রের সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনে সেনাবাহিনী বর্তমান সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ, জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা।

Header Ad

এবার শেখ হাসিনাসহ জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে মাহমুদুল হাসান জয় নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দায়ী করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে নিহত কিশোরের পূর্বপরিচিত দাবিকারী রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ হাউজিংয়ের বাসিন্দা মো. রবিউল আউয়াল এই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি যাত্রাবাড়ী থানাকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, পুলিশের সাবেক যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. হাসান মাহমুদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হামিম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী এনামুল হক শামীম, জিএম কাদের স্ত্রী শেরিফা কাদের, সুজন হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আতিকুল রহমান ভুঁইয়া, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, তারেক খালদুন বিন আরিফ, তাজরিন হোসেন, ইঞ্জি. রবিউল আলম, হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ওরফে হাবু, রফিকুল ইসলাম শান্ত, সাইদুর রহমান বাবুল, আবু বকর, মমিন, শাহজালাল, আবুল কালাম আজাদ, আকবর হোসেন, চিত্তরঞ্জন দাস, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রফিক ও মো. আফজাল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪ বছরের কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সে ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগ দেয়। ওই দিন সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ও গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এবার মাশরাফী ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এবার ক্রিকেটার ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডের মতো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শর্টগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে। সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্রা নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্ততৃ ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ও নিরীহ শান্তিকামী জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখে আসছিল।

রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল।

এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন।

গুলিতে নিহত শ্রী জয়ন্ত'র মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতালা ইউনিয়নের কান্তি ভিটা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শ্রী জয়ন্ত কুমার সিংহের (১৫) মরদেহ ৪৮ ঘণ্টা পর ফেরত দিয়েছে ভারত।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।

পরে বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি নিহতের চাচা শ্রী বাবুল চন্দ্র সিংহের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে ধনতালা বিজিবি সীমান্তের মেইন পিলার ৩৯৩-এর পাশ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকালে ভারতীয় ডিংগাপাড়া বিএসএফ বাহিনী গুলি চালালে শ্রী জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) ভারতের অভ্যন্তরে গুলি বৃদ্ধ হয়ে নিহত হয়। সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফকির ভিঠা গ্রামের শ্রী মহাদেব কুমার সিংহের ছেলে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন ৫০ বিজিবির ধনতলা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রাত ১টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ আমাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে আমরা তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করি।

এর আগে, গত ১ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী নিহত হয়। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায়।

সর্বশেষ সংবাদ

এবার শেখ হাসিনাসহ জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
এবার মাশরাফী ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা
গুলিতে নিহত শ্রী জয়ন্ত'র মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
দিল্লি হয়ে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক
টেন্ডার ছাড়াই ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার কাজ দেন পলক
সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩৪ জন
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস
৩ বছরে ৫৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিতাসের সাবেক এমডি হারুন!
চট্টগ্রামে নতুন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম
সালমান এফ রহমান ও এস আলমের শেয়ার কারসাজি তদন্তে কমিটি গঠন
আইডিয়ালের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা
পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন গৌতম আদানি
ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা
জেনে নিন ফেসবুক পোস্টের রিচ কমার কারণ ও তা বাড়ানোর কৌশল
মণিপুরে কারফিউ জারি, ৫ দিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ
২৫ জন ডিসির সবাই ছিল ছাত্রলীগের: রিজভী
শিবলী রুবাইয়াত ও তার সহযোগী ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ