শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া। এটি দিয়েই শুরু করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত রচনা করা হলে তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ভারতের উচিত পোস্ট-৭৫ প্লেবুক পাল্টে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা। এটা ৭৫-পরবর্তী পরিস্থিতি নয়। জুলাই বিপ্লব ছিল একটি গণতান্ত্রিক, প্রজন্মভিত্তিক ও দায়িত্বশীল সংগ্রাম। আর এই সংগ্রাম চলবে দীর্ঘ সময় ধরে।

তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশি জনগণ আগের মতো নেই, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদাবান। তারা মরার আগ পর্যন্ত তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করবে। বাংলার এই অংশে ভারতপ্রেমী বা ভারতীয় মিত্ররা ভাবছে যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই বিপ্লব এবং ফ্যাসিবাদীদের নৃশংসতাকে এড়িয়ে গেলে তাদের কিছুই হবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। মানুষ সব দেখছে!

ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দু-বিরোধী, এবং ইসলামপন্থীদের ক্ষমতা দখল হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লেখেন, দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা! স্বদেশ না, শাহাদাত!—এই স্লোগানগুলো বাংলাদেশকে একক অঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এদেশের প্রতিটি কোণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

তিনি সতর্ক করে লেখেন, আর ভারত যেন এই ঐক্যবদ্ধ, মর্যাদাবান ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার শত্রু না করে।

দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশের জনগণ বিনা বাধায় গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে-উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্য এসেছে... মিথ্যা ধ্বংস হবে। চিরকাল!

উপদেষ্টা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে লেখেন, ৭১-এর পর রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার নয়! আল্লাহ ভরসা!

Header Ad
Header Ad

তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং ১৫ জন পলাতক রয়েছেন।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান অভিযোগপত্রটি জমা দেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথি কক্ষে তোফাজ্জল হোসেনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তোফাজ্জলের পরিবারের কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা ক্রিকেট স্টাম্প ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তার কাঁধ, পিঠ, পা এবং উরুতে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কারাগারে থাকা ছয় আসামির মধ্যে রয়েছেন: ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ এবং ওয়াজিবুল আলম। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

পলাতক ১৫ আসামির মধ্যে রয়েছেন: ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, সাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী গাইন, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন এবং আব্দুল্লাহিল কাফি।

অভিযোগপত্রে আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, তোফাজ্জলের ওপর চালানো নির্যাতনের প্রধান কারণ ছিল মোবাইল চুরির মিথ্যা অভিযোগ। মামলাটি প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হলেও তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

Header Ad
Header Ad

৭ গোলের রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়ালের নাটকীয় জয়

ছবি: সংগৃহীত

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় পরাজয়ের ক্ষত এখনও তাজা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে সেলতা ভিগোর বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে তিন গোল করে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে সেলতা ভিগোকে ৫-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে, যা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।

ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে প্রতি-আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে অসাধারণ স্কিলের প্রদর্শনী শেষে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ৪৮তম মিনিটে দিয়াসের নিখুঁত পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

তবে ৮৩তম মিনিটে কামাভিঙ্গার একটি ভুল রিয়ালকে বিপদে ফেলে দেয়। ডি-বক্সের পাশে তার ব্যর্থ পাস থেকে বল পেয়ে যান পাবলো দুরান। এরপর তার পাস থেকে গোল করেন সেলতার ফরোয়ার্ড বাম্বা।

ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রাউল আসেন্সিওর ফাউলের কারণে পেনাল্টি পায় সেলতা ভিগো। সেখান থেকে সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান আলোনসো।

তবে অতিরিক্ত সময়ে মাঠে পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে রিয়াল। ৯৮ মিনিটে এন্দ্রিকের দারুণ শটে রিয়াল এগিয়ে যায়। এরপর ১১২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তীব্র গতির শটে দুর্দান্ত গোল করেন ভালভার্দে। ম্যাচের ১১৯তম মিনিটে আবারও গোল করে নিজের দ্বিতীয় গোলের মাধ্যমে স্কোরলাইন ৫-২ করেন এন্দ্রিক, নিশ্চিত করেন রিয়ালের জয়।

এই জয়ে শুধু পয়েন্টই অর্জন করেনি রিয়াল, বরং হারের চাপের মধ্যেও কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তার এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর এই ম্যাচ ছিল রিয়াল সমর্থকদের জন্য এক অবিস্মরণীয় রাত।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়ল শতাধিক ঘরবাড়ি, শিশুর মৃত্যু

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পের পি-৩ ব্লকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার জানান, একটি বসতঘরে আকস্মিকভাবে আগুন লাগার পর তা দ্রুত আশপাশের ঘরবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় রোহিঙ্গা বাসিন্দাদের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

নিহত শিশুর নাম-পরিচয় ও আহতদের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে একটি ঘুমন্ত শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
৭ গোলের রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়ালের নাটকীয় জয়
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়ল শতাধিক ঘরবাড়ি, শিশুর মৃত্যু
হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব জব্দ
ভোটাভুটি বিলম্বিত করলো ইসরায়েল, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কা
শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি না জানা নেই: মুখপাত্র
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করে প্রজ্ঞাপন জারি
শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়লো
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত: আসিফ নজরুল
টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনের পাশে আছি, থাকব: এরদোগান
ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, আইসিইউতে ভর্তি
অল্প খরচে দেখা যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টিকিটের মূল্য প্রকাশ
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
বাম চোখের বদলে ডান চোখে অপারেশন করা সেই চিকিৎসক গ্রেফতার
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা, সময়সূচি প্রকাশ
বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলবে না ট্রেন, বছরে আয় কমবে কোটি টাকা
কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’: সীমান্ত হত্যার বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার দাবি