মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় নির্বাচনের প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার যেকোনো নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়াও সরকারের কাছে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার বলেও জানানো হয়েছে প্রস্তাবনায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা:

(ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।
(খ) নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা ।

(গ) কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়লে পুন:নির্বাচন করা।

(ঘ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোটের’ বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুন:নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:

(ক) ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(খ) কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(গ) বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত আরপিওর ধারা বাতিল করা।

(ঘ) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(ঙ) আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) শাস্তি প্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(চ) গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের/মানবাধিকারকর্মী ওপর হামলা, ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদেরকে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। (সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া দরকার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রানজিশান্যার জাস্টিসের’ যুক্তিও উত্থাপন করা যেতে পারে।)

(ছ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(জ) তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান করা।

(ঝ) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১% শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা।

(ঞ) একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা।

(ট) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপটে আপিল প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ১২৫(গ) বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না ।

(ঠ) হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।

মনোনয়নপত্র:

(ক) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সব প্রার্থীর সশরীরে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা।

(খ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

(গ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা।

(ঘ) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা।

(ঙ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

২.৩ হলফনামা:

(ক) প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তি কর্তৃক হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।

(খ) পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করা।

নির্বাচনী ব্যয়:

(ক) সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা।

(খ) সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা।

(গ) নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারিত্ব করা।

(ঘ) প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য শাস্তির বিধান করা।

২.৬ নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা:

(ক) বিদ্যমান ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি'কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদানের পাশাপাশি বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে’ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা/বডি গঠন করা।’

(খ) নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির আওতায় প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কমিটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা মতে বিচারার্থে অপরাধ আমলে নেওয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করা।

(গ) সংসদ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলোর কার্যাবলি তদারকি করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটি’ একজন নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠন করা।

(ঘ) কার্যকালীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলো প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটির আওতায় আনা। বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোকে স্বাধীন করা।

(ঙ) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনি মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনি বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।

Header Ad
Header Ad

অল্প বয়সেই চুল পাকছে? জেনে নিন কার্যকর সমাধান

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে অনেকেই অল্প বয়সেই চুল পাকার সমস্যায় ভুগছেন। এটি শুধুমাত্র বয়স বৃদ্ধির কারণে ঘটে না, বরং খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশগত কারণও এর জন্য দায়ী হতে পারে। তবে কিছু কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

চুল পাকার অন্যতম কারণ হলো মেলানিন উৎপাদন কমে যাওয়া। মেলানোসাইট নামক কোষ চুলের গোড়ায় মেলানিন উৎপন্ন করে এবং চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখে। কিন্তু এই কোষ নষ্ট হয়ে গেলে বা মেলানিন উৎপাদন কমে গেলে চুল ধূসর বা সাদা হয়ে যেতে পারে। এছাড়া জিনগত প্রভাবও অনেক ক্ষেত্রে দায়ী। যদি পরিবারে কারও অল্প বয়সে চুল পাকার ইতিহাস থাকে, তবে আপনাকেও একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হতে পারে।

অপুষ্টি চুল পাকার আরেকটি বড় কারণ। বিশেষ করে, ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে চুল তার স্বাভাবিক রং হারিয়ে ফেলে। মানসিক চাপও চুল পাকার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যা চুলের মেলানিন উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

খাদ্যাভ্যাসেরও একটি বড় ভূমিকা রয়েছে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড ও পুষ্টিহীন খাবার চুলের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া, অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার চুলের স্বাভাবিক রং নষ্ট করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে লিভারের অসুখ, ধূমপান ও মদ্যপানের কারণেও চুল পেকে যেতে পারে।

চুল পাকা প্রতিরোধে কিছু কার্যকর সমাধান গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রথমত, লুটিওলিন সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খাওয়া দরকার। লুটিওলিন এক বিশেষ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা চুলের রং ধরে রাখতে সহায়তা করে। গাজর, ব্রকলি, লেটুস, পালংশাক, বিট, বাঁধাকপি, ফুলকপি, আঙুর, আপেল, চেরি, পেয়ারা, স্ট্রবেরি ও পিচ প্রভৃতি ফল ও সবজিতে লুটিওলিন পাওয়া যায়। এটি মেলানোসাইট কোষের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, প্রদাহ হ্রাস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

 

ছবি: সংগৃহীত

সঠিক পুষ্টি গ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২, আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার যেমন নারিকেল তেল, আমলকি তেল ও মেথি তেল চুল পাকা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

মানসিক চাপ কমানোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ও পর্যাপ্ত ঘুম চুল পাকার হার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা উচিত।

ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে আমলকি, মেথি বীজ ও কারি পাতার পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগালে প্রাকৃতিকভাবে চুল পাকার সমস্যা দূর করা সম্ভব। অল্প বয়সে চুল পাকা অনেকের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক জীবনযাত্রা ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিয়মিত যত্ন নিলে আপনার চুলও দীর্ঘদিন কালো ও সুন্দর থাকবে।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করবে বাংলাদেশ : সিমন্স

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হবে আট দলের এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। সেই লক্ষ্যে মিরপুরে চলছে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি। অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিমন্স জানান, বাংলাদেশ দলের সামর্থ্য নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী এবং ট্রফি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে দল।

সিমন্স বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা আছে। আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। ট্রফি জেতার ব্যাপারে বিশ্বাস না থাকলে এখানে থাকতাম না।’

তবে তিনি স্বীকার করেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি যথেষ্ট ভালো হয়নি। তার ভাষায়, ‘আমি একমত যে সেরা প্রস্তুতি হচ্ছে না। তবে আমরা সাদা বলের ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলাম। এখন আমাদের হাতে ছয় দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প আছে, সেখানে পরিকল্পনা মতো অনুশীলন করব।’

গত অক্টোবরে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বরখাস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন ফিল সিমন্স। আপাতত তার চুক্তি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্তই। এরপর তার ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি এখনো অনিশ্চিত। সিমন্স বলেন, ‘আমি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত আছি। এরপর কী হবে, এখনই বলতে পারছি না।’

Header Ad
Header Ad

সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার আটক

সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, একাধিক মামলার আসামি সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। রাজধানীর সোবহানবাগে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অল্প বয়সেই চুল পাকছে? জেনে নিন কার্যকর সমাধান
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভালো করবে বাংলাদেশ : সিমন্স
সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার আটক
এই মুহুর্তে কোন স্থানীয় নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আহমেদ আযম খান
৪৭ বছরের ইতিহাস ভেঙে অভিষেকেই ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ড
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার
ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ১২
বেনজীরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ
টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ইকবাল গ্রেফতার
ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন বিষয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে প্রত্যাহার
স্বামীর টাকায় ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েই ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী
গাজীপুরে হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক, ফাঁকা বাড়িঘর ঝুলছে তালা
রাঘববোয়াল থেকে চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অবহেলার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে দায় এজেন্সিকেই নিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আমরা অফিশিয়ালি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করিনি: জামায়াত আমির
আন্দোলনে শহীদদের পরিবার প্রতি মাসে পাবে ভাতা
কুড়িগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায় বিএসএফের সিসি ক্যামেরা, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ
সালমান, আনিসুল, পলক ও শমসের মবিনের ফের রিমান্ড মঞ্জুর
গোবিন্দগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু