মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঢাকাপ্রকাশ-এর দর্পণে প্রকাশিত হোক প্রতিটি মুখ

এরশাদুল আলম প্রিন্স

গণমাধ্যম আধুনিক রাষ্ট্রের এক অপরিহার্য অংশ। গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ ও একই সঙ্গে এটি সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, স্বপ্ন দেখায় আদর্শিক সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব বিনির্মাণের।

একুশ শতকের পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে পরিবর্তন হচ্ছে গণমাধ্যমেরও। গণমাধ্যমের এই পরিবর্তন বহুমাত্রিক। ক্রমে এর বিকাশ ঘটছে। আমাদের দেশেও গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটছে এবং তা বহুমাত্রিক। দেশের আজ থেকে তিন দশক আগের গণমাধ্যম আর আজকের গণমাধ্যম এক নয়। এ শতাব্দীর শুরুতে আমাদের এখানে পুরোপুরি অনলাইন ভিত্তিক সংবাদপত্রের সূচনা। যদিও তারও আগে থেকেই কয়েকটি কাগজের পত্রিকার অনলাইন ভার্সন চালু ছিল। পাঠক তখনও পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর হয়ে ওঠেনি।ফলে,কাগজেরপত্রিকাগুলোও তখন পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর হয়ে ওঠেনি। ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। সব পত্রিকা অনলাইন ভার্সন চালু করে এবং পাঠকও অনলাইন নির্ভর হয়ে ওঠে। এছাড়া কাগজের পত্রিকা গুলোর কিছু করারও ছিল না। আত্মরক্ষার প্রয়োজনেই নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ।

এক সময়ে বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবার মানেই সংবাদপত্রের গ্রাহক। ঘরে সংবাদপত্র না থাকলে ওই পরিবারকে আধুনিক ও প্রাগ্রসর নয় বলে সন্দেহের চোখে দেখা হতো। কিন্তু আজকে অবস্থা অনেকটাই ভিন্ন। এখন সংবাদপত্র বাসায় থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই মনে করা হয় বুঝিবা পরিবারটি এখনও পুরোপুরি ডিজিটাল হয়ে ওঠেনি।

কাজেই, গণমাধ্যমের ডিজিটালাইজেশনই আজকের বাস্তবতা। সব ধরনের গণমাধ্যমের মূল প্লাটফর্মই আজ অনলাইনে। যেকোনো গণমাধ্যমের অনলাইন ভার্সনই পাঠক পড়ে। কাগজের পত্রিকার সঙ্গে কালে-ভদ্রে তার সাক্ষাৎ হয়। টেলিভিশনের অনুষ্ঠানও দর্শক এখন অনলাইনেই দেখে নেয়। সময় করে টিভির সামনে বসে অনুষ্ঠান দেখার দিন প্রায় শেষ। টিভিগুলোও তাদের সব অনুষ্ঠান অনলাইনে প্রচার করছে। গণমাধ্যম যে শুধু অনলাইন নির্ভর হয়েছে তা নয়, সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে পারাটাই মূল কথা।

হাতের মুঠোতেই আজ বিশ্ব। হাতের মুঠোতেই আজ গণমাধ্যম। যেভাবেই হোক পাঠকের হাতের মুঠোর মধ্যে থাকতে পারাটাই আজকের গণমাধ্যমের টিকে থাকার মূল লড়াই। টিআরপি বলি অথবা অ্যালেক্সা র‌্যাংকিং-সবই নির্ধারিত হয় পাঠকের হাতের মুঠোয়। টেক্সট, ভিডিও, ইউটিউব বা অডিও-যে মাধ্যমই হোক না কেন ফেসবুকে গণমাধ্যমের কন্টেন্ট রয়েছে কিনা সেটাই আসল কথা। একুশ শতকের পাঠক কারো ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে অনুষ্ঠান দেখবে সেরকম নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গণমাধ্যমকেই তার কন্টেন্ট নিয়ে হাজির থাকতে হবে প্রতিনিয়ত।

একুশ শতকে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের পাঠক কম, শ্রোতাও কম, কিন্তু দর্শক বেশি-তাই মাল্টিমিডিয়া গণমাধ্যমই ভোক্তাবান্ধব। গণমাধ্যমের এ বহুমাত্রিক শাখাবিস্তার কঠিনই বটে। বিশ্বাস করি, এই কঠিনেরে ভালোবেসেই ঢাকাপ্রকাশ আত্মপ্রকাশ করলো। তবে, এ বাস্তবতা কঠিন হলেও একই সঙ্গে যথেষ্ট সম্ভাবনাময়ও। অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার কল্যাণেই গণমাধ্যমের জন্য খুলে গেছে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার। বাংলাদেশ তথা বিশ্ব গণমাধ্যমের বিকাশ অথবা অস্তিত্ব দুটোর জন্যই দায়ী এই অনলাইন। গত এক দশকে বিশ্বের নামি-দামি ও ঐতিহাসিক অনেক সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে গেছে। অনলাইন ভার্সনেই হয়তো কেউ কেউ এখনও টিকে আছে। টিকে থাকা ও বিকাশের এটাই পথ।

বিশ্বে অর্থনীতির বর্ধনশীল একটি খাত হিসেবে দাঁড়িয়েছে গণমাধ্যম শিল্প। গণমাধ্যমকে গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরা শিল্প হিসেবে বিবেচনা করতেই ভালোবাসেন। বাংলা ভাষায় শিল্প শব্দটির দুটি দিক রয়েছে। সুকুমার শিল্পও একটি শিল্প আবার উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কর্মযজ্ঞও একটি শিল্প। গণমাধ্যমকে যখন শিল্প বলি তখন আশ্চর্যজনকভাবে এখানে শিল্পের দুটি বিষয়ের এক মেলবন্ধন দেখতে পাই। মূলত এই মেলবন্ধন না ঘটলে গণমাধ্যমকে শিল্প বলাই অর্থহীন। পুঁজিবাদী বিশ্বে গণমাধ্যমকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিল্প বলতে অনেকে পছন্দ করেন। কাজেই, সংবাদ এখানে একটি পণ্য। এমনকি পাঠকের কাছেও পুরো পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টালটিই একটি পণ্য। পাঠকের কাছে এই পণ্যের মান, গুণ ও রূপ তিনটিই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে এই পাঠক বা গ্রাহকের হাতে সময়ও খুবই কম আবার তার হাতে পন্যের (গণমাধ্যমের) সরবরাহও অনেক বেশি। উপরন্তু এই বাজারে নিত্য নতুন সরবরাহকারীরা ঢুকে পড়ছেন। প্রকৃত গণমাধ্যমের সঙ্গে সঙ্গে ঢুকে পড়ছেন কিছু ফড়িয়া ও ফটকা ব্যবসায়ীরাও। ফলে, অনলাইন মাল্টিমিডিয়া গণমাধ্যমের বাজার কিছুটা অস্থিরই বলা যায়। এমন একটি অস্থির বাজারে ‘সততাই শক্তি, সুসাংবাদিকতায় মুক্তি’ এই ব্রত নিয়ে গুণ ও মানসম্পন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বাজারে নিজের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার কাজটি সহজ কিছু নয়।

এই পাথর সময়ে ঢাকাপ্রকাশের আত্মপ্রকাশ সততার শক্তিকে ভালোবাসারই নামান্তর। সততার শক্তিকে ভালো না বাসলে প্রকৃত গণমাধ্যমের জন্মই হয় না। পুঁজি খাটিয়ে সংবাদপণ্য উৎপাদন, সংগ্রহ ও সরবরাহ বাণিজ্যের মাধ্যমে যা তৈরি হয় তা প্রকৃত অর্থে গণমাধ্যম হয়ে উঠতে পারে না। এগুলো হয়ে ওঠে পুঁজিপতিদের কাছে যেমন বাণিজ্যিক পণ্য, তেমনি পাঠকের কাছে শেষমেষ স্ক্রাপ আইটেম। ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টালগুলো কিছুদিনের জন্য বাজার তোলপাড় করে তোলে, কিন্তু সময়ের কাছে হেরে যায়। পাঠক দীর্ঘ মেয়াদে এদেরকে বর্জন করে।

বর্তমান বিশ্বে সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জের চেয়েও বেশি। কর্তৃত্ববাদীতার বাহ্যিক চ্যালেঞ্জতো এখানে আছেই। কিন্তু সমাজের আর দশটি ক্ষেত্রে মান-গুণ-রুচি ইত্যাদির যে নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সাংবাদিকতাও তার থেকে বাদ যায়নি। অতীতে সাংবাদিকতা থেকে সততাকে আলাদা করা যায়নি। এখন সততার সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক থাকলে ভালো, না থাকলে যেন আরও ভালো। এমন একটি বিরহ সময়ে ঢাকাপ্রকাশ সততার সঙ্গে গণমাধ্যমের সেই পুরনো,শাশ্বত ও অবিনশ্বর প্রেমের কথাটি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিল। ঢাকাপ্রকাশ বলছে, সততাই শক্তি। হ্যা, সততাই গণমাধ্যমকে ভেতর থেকে শক্তি যোগায় বাইরের প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, ঠিক যেমন প্রেম মানুষকে বেঁচে থাকার অণুপ্রেরণা জোগায়। সততায় ঋদ্ধ যে পেশা তার নাম সাংবাদিকতা।

সততার সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্কের চিড় ধরায় শিল্প বা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুধু যে গণমাধ্যমই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নয়, পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকারান্তরে প্রকৃত গণমাধ্যম শ্রমিক বা শিল্পীরা হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত।

সাংবাদিকরা সমাজের চিকিৎসক। দমবদ্ধ সমাজে অক্সিজেন সরবরাহ করেন সাংবাদিক, মড়ক লাগা সমাজে মলম সরবরাহ করেন সাংবাদিক। সততাই তাদের শক্তি। কিন্তু সাংবাদিকরাই যদি মহামারিতে আক্রান্ত হন তবে সমাজের ব্যাধি সাড়াবে কে?

সততা বিচ্যুতির ফলে সাংবাদিকতা হয় অবরুদ্ধ। কুসাংবাদিকতার শুরু এখান থেকেই। সুসাংবাদিকতা প্রশ্নটির অবতারণা হয় কুসাংবাদিকতার অস্তিত্ব থেকে। সমাজে কুসাংবাদিকতা আছে বলেই সুসাংবাদিকতার অবকাশ রয়েছে। কুসাংবাদিকতার হাত থেকে গণমাধ্যমকে বাঁচাতে সুসাংবাদিকতার পুনঃবিকাশ জরুরি। সুসাংবাদিকতায় সবারই মুক্তি। এই মুক্তি সাংবাদিকতার, গণমাধ্যম তথা গণমানুষের। ঢাকাপ্রকাশ সুসাংবাদিকতায় মুক্তি- এ কথা বিশ্বাস করে।

সুসাংবাদিকতাই এদেশে গণমানুষের মুক্তির আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছিল। এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গণমাধ্যমের ভূমিকা আমরা ভুলি কী করে? আমাদের সংবাদপত্রের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অতীত। সততার শক্তির ওপর ভর করেই সুসাংবাদিকতার মাধ্যমে তারা একটি জাতিকে পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করেছেন। সততার শক্তি থাকলে মানুষের মুক্তি কথা বলা যায়, এমনকি মানুষের মুক্তির জন্য জীবনও দেওয়া যায়। শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, খোন্দকার আবু তালেব, নিজামুদ্দীন আহমদ,এস এ মান্নান (লাডু ভাই), আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, শহীদ সাবের, আবুল বাশার, শিবসাধন চক্রবর্তী, চিশতী শাহ্ হেলালুর রহমান, মুহাম্মদ আখতার, সেলিনা পারভিন-এরা সবাই দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছেন, নির্যাতন ভোগ করেছেন, তাদের সেই আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের মাস। এ মাস সেই সততার শক্তির চুড়ান্ত বিজয়ের মাস।
ঢাকা আমাদের রাজধানী, প্রাণের শহর। মান-অভিমান, পাওয়া-না পাওয়া,অভাব-স্বপ্ন ও সম্ভাবনার শহর। ঢাকাই দেশের দর্পন। ঢাকাপ্রকাশের দর্পনে প্রকাশিত হোক এদেশের প্রতিটি মুখ।

 

এরশাদুল আলম প্রিন্স: আইনজীবী ও কলাম লেখক

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ