বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পদায়নে সৃষ্টি হবে জটিলতার

আমরা এরই মধ্যে জানতে পেরেছি যে, ২০২৩ সাল থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত নতুন পাঠ্যপুস্তক ও শিখন সামগ্রীর বাস্তবায়ন শুরু হতে যাচ্ছে আগামী জানুয়ারিতে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষকদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি এবং গুরুত্বপূর্ণ। এ কারিকুলাম অনুযায়ী বেশিরভাগ বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বরের জন্য পরীক্ষা ও বাকি ৫০ শতাংশের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে শ্রেণিকক্ষে। অর্থাৎ এখানেও শিক্ষকদেরই বিশাল ভূমিকা।

নতুন শিক্ষাক্রমে চারটি ধর্ম শিক্ষাসহ মোট ১০টি বিষয় রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান পদগুলোতে যারা শিক্ষক হিসেবে বর্তমানে কর্মরত, তারা বাস্তবিক কারণেই বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নন। যেমন গণিতের শিক্ষকই যে মাধ্যমিক পর্যায়ে গণিত পড়াচ্ছেন আর ইংরেজির শিক্ষকই যে ইংরেজি পড়াচ্ছেন এমনটি নয়। দেখা যাচ্ছে সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষকরা ইংরেজি পড়াচ্ছেন, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক গণিত কিংবা বিজ্ঞান পড়াচ্ছেন। এটি একটি বাস্তবতা। কিন্তু নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় পড়ানোর জন্য একটি বিষয়ে একাধিক শিক্ষক এবং কোনো বিষয়ে শিক্ষক নেই এভাবে বণ্টন করা যাবে না।

হিন্দুধর্ম শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম শিক্ষা ও বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয়ে না থাকলে ওই বিষয়ে আগ্রহী সংশ্লিষ্ট ধর্মানুসারে শিক্ষককে তার নিজ বিষয়ের দায়িত্ব বণ্টনের পর অতিরিক্ত হিসেবে এ বিষয়গুলোর দায়িত্ব বণ্টন করা যেতে পারে। চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষক না থাকলে শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহী বা এ বিষয়ে দক্ষতা আছে এ ধরনের শিক্ষককে ওই বিষয়ের দায়িত্ব বণ্টন করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে কে কোন বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন তা বিন্যাস্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এই তালিকা অনুসরণ করে তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জন্য বিষয় বণ্টন করবেন। তালিকা অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের শিক্ষকদের জন্য বিষয় বণ্টন করে অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের ডাটা এন্ট্রি দেবেন। অনলাইনে বিদ্যামন সব বিষয়ের শিক্ষককে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নির্বাচিত বিষয়গুলোর কোনো না কোনো বিষয়ের নাম এন্ট্রি দিতে হবে।

কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ১০ জন হলে ১০ জন শিক্ষককে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের ১০টি বিষয়ে বণ্টন করে দিতে হবে। একটি বিষয়ে একাধিক শিক্ষক এবং কোনো বিষয়ে শিক্ষক নেই এভাবে বণ্টন করা যাবে না। শিক্ষক সংখ্যা ১০ জনের বেশি হলে ম্যাচিং তালিকা অনুযায়ী নতুন শিক্ষাক্রমের ১০টি বিষয়ে ১০ জনকে দায়িত্ব বণ্টনের পর অন্য শিক্ষকদের জন্য তালিকা অনুযায়ী বিষয় বণ্টন করতে হবে। শিক্ষক সংখ্যা ১০ জনের কম হলে ম্যাচিং তালিকা অনুযায়ী তাদের বিষয় বণ্টন করে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে অন্য বিষয়গুলো তাদের নিজ বিষয়, আগ্রহ ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বণ্টন করে দিতে হবে।

বর্তমানে বাংলার শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে বিষয় হবে বাংলা, ইংরেজি শিক্ষকদের ইংরেজি, গণিত শিক্ষকদের গণিত, ভৌতবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের শিক্ষকদের বিষয় হবে বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও ভূগোল শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে বিষয় হবে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান বা আইসিটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বা আইসিটিতে দক্ষ যেকোনো বিষয়ের শিক্ষকদের বিষয় নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ডিজিটাল প্রযুক্তি।

কৃষি শিক্ষা ও ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে বিষয় হবে কৃষি শিক্ষা ও ব্যবসায় শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি। এ ছাড়া জীববিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকদের বিষয় নতুন শিক্ষাক্রমে হবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিষয় হবে ধর্ম শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষকদের বিষয় নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী হবে শিল্প ও সংস্কৃতি।

বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক মাধ্যমিকে সব বিষয়ে না থাকা একটি বাস্তবতা। এটির জন্য এককভাবে কেউ দায়ী নয়। তবে, বেশিরভাগ শিক্ষকই ইংরেজি, গণিত বিষয়ে পাঠদান করতে চান প্রাইভেট বা টিউশনির জন্য। আর এজন্য কর্তৃপক্ষের আনুকূল্য পেতে হয়। আর একটি সমস্যা হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের এমনিতেই ঘাটতি রয়েছে। তারপর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক থাকার তো প্রশ্নই আসে না।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে অন্য ধরনের সমস্যা। ঢাকা শহরসহ দেশের বড় বড় শহরে এবং অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অঞ্চলে অবস্থিত সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আর গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে রয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম সংখ্যক শিক্ষক। তারপরেও খোদ রাজধানীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক ধরন অনুসারে শিক্ষক পদায়ন করা নেই। এসব বিদ্যালয়ে এক বিষয়ের শিক্ষক আরেক বিষয়ের ক্লাস নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এখানে নতুন কারিকুলাম কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সন্দিহান খোদ শিক্ষকরাই।

নতুন কারিকুলামে প্রশিক্ষণবিহীন কোনো শিক্ষক আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর আর ক্লাস নিতে পারবেন না। ডিসেম্বরের আগেই ঢাকার স্কুলগুলোর শিক্ষকদের বিষয় সমন্বয় করে ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিদ্যমান শিক্ষকদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে সমন্বয় করাতে প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে মোট ১০টি বিষয় থাকছে। এর আলোকে বর্তমানে বিষয়ভিত্তিক পদে কর্মরত শিক্ষকদের বিষয় নির্ধারণ করে সেপ্টেম্বর ১০ এর মধ্যে ইএমআইএস ডাটাবেজ হালনাগাদ করতে বলা হয়েছিল। এই তারিখ আবার বর্ধিত করা হয়েছে।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ এর আলোকে প্রণীত শিক্ষাক্রম ও পাঠপুস্তকের সাহায্যে শিখন কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের আগে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানরত শিক্ষকদের বিষয় নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার আলোকে মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানরত শিক্ষকদের বিষয় নির্ধারণ করে শিক্ষকদের ডাটাবেজ হালনাগাদ করার জন্য ইএমআইএস ওয়েবসাইটে একটি মডিউল করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান যাদের ইআইআইএন নম্বর আছে তারা ইএমআইএস ওয়েবসাইটে লগইন করে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিষয় নির্ধরণ করতে পারবেন।

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার কারগিল সাকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫টি শিক্ষক পদ থাকলেও আছেন মাত্র চারজন। কক্সবাজারের মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জন শিক্ষকের মধ্যে এখন মাত্র চারজন পাঠদান করছেন। ফলে এ দুটি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়াই দুরূহ হয়ে পড়ছে।

রাঙামাটির জুরাইছড়ি উপজেলার ভুবন জয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫টি শিক্ষক পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র সাতজন। একই জেলার রাজস্থলী উপজেলার তাইতংপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষকের মধ্যে এখন আছেন চারজন।

রাজধানী ঢাকায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক পদায়ন দিয়ে রাখলেও মফস্বলের এসব বিদ্যালয় এখন শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে। বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের মোট পদ ৪৯টি; আছেন মাত্র ২০ জন, ২৯ জনই নেই। বরগুনা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৯ জনের মধ্যে আছেন ৩১ জন। পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৯টি পদের মধ্যে কর্মরত ৩২ জন। ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৯ টি পদের মধ্যে আছেন ২৯ জন।

সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী একজন শিক্ষক একই এলাকায় সর্বোচ্চ তিন বছর থাকতে পারেন। তবে সুবিধাভোগীদের কেউ কেউ রাজধানীতে আছেন ২৬-২৭ বছর পর্যন্ত। ঢাকা শহরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বিষয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক একই বিদ্যালয়ে কিংবা ঘুরে ফিরে ঢাকার সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে বছরের পর বছর পার করছেন।

ঢাকায় মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ৩৮টি। এগুলোতে বর্তমানে ২১৯ জন শিক্ষক অতিরিক্ত আছেন। শুধু সামাজিক বিজ্ঞানেই অতিরিক্ত আছেন ৯৯ জন। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক পদ ১ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষক ৭৯০ জন এবং সিনিয়র শিক্ষক ৭৯০ জন। অতিরিক্ত শিক্ষকের মধ্যে ৮৭ শতাংশই সিনিয়র শিক্ষক। বাকিরা সহকারী শিক্ষক। এটি আর এক ধরনের ক্ষতিকর বাস্তবতা।

সবাই ঢাকায় থাকতে চান, চাওয়াটাই স্বাভাবিক। সবাই ঢাকায় থাকলে অন্যান্য এলাকার শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষার কী হবে? এই অসম অবস্থা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। কারণ শিক্ষক স্বল্পতা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে আমাদের শিক্ষার্থীদের। যাদের জন্য এই বিশাল ব্যবস্থা, তারাই যদি উপকৃত না হয় বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে রাষ্ট্র পরিচালিত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন কী? কোথাও এক চতুর্থাংশ শিক্ষক কাজ করবেন আবার ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপচে পড়া শিক্ষক! এ কেমন বৈষম্য? শিক্ষক স্বল্পতা ও অতিরিক্ত শিক্ষক, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকা বা তার ধারে কাছেও না যাওয়া বিষয়গুলো শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাদানকে নিরুৎসাহিত করে প্রাইভেট কোচিং, কোচিং সেন্টার ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে। কাজেই এ বিষয়ে সমতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে আসা সময়ের দাবি।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও বাউবির সাবেক শিক্ষক।

এসএন 

 

আজকের ইফতারের সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা

শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাসে নাম লেখালেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বার্ষিক মূল্যায়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সৈকতকে এই সম্মাননা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

২০০৬ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন সৈকত। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে মিরপুরে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা শুরু করেন এই আম্পায়ার।

ছেলেদের ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ১০টি টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে আর ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন সৈকত। নারী ক্রিকেটেও অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে হয়েছে ১৩ ওয়ানডে এবং ২৮টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনার অভিজ্ঞতা।

বিস্তারিত আসছে...

পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক দীপক কুমার (৩৫) কে পরিবারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শুন্য রেখায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মানসিক ভারসাম্যহীন দীপক বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিল প্রায় ৫ বছর। দীপকের কুমারের বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের সামস্তীপুর জেলার মনিহারপুর গ্রামে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে পিরোজপুর জেলা পুলিশের হাতে আটক হয় দীপক।  ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতের মাধ্যমে তাকে পিরোজপুর জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয় । সাজার মেয়াদ শেষ হলে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর প্রত্যাবসনের জন্য সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা কারাগারে প্রেরন করা হয়। এরপর ১৯ অক্টোবর দর্শনা বন্দরের চেকপোস্টে তাকে হস্তান্তরের জন্য নেয়া হয়। কিন্তু দীপকের পরিবারের কেউ উপস্থিত না থাকার কারনে তাকে হস্তান্তর করা সম্ভব হয় না।

পরবর্তীতে একাত্তর টিভির জেষ্ঠ্য চিত্রসাংবাদিক ও অ্যামেচার রেডিও সোসাইটি বাংলাদেশের সাংগঠনিক স¤পাদক মো: শামসুল হুদার প্রচেষ্টায় দীপক কুমারের পরিবারের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে দীপক কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়।

দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চিত্রসাংবাদিক মো: শামসুল হুদা , দীপক কুমারের বাবা রাম নরেশ ঠাকুর এবং দুলাভাই গৌরব কুমার উপস্থিত ছিলেন।

দীপক কুমারের বাবা রাম নরেশ ঠাকুর বলেন, আমি গরীব মানুষ। র্দীঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার পাগল ছেলেকে খুঁজে পেলাম। সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

চিত্রসাংবাদিক মো: শামসুল হুদা বলেন, ‘মাত্র ৩০ মিনিটের প্রচেষ্টায় গুগুলের সাহায্যে দীপক কুমারে ঠিকানা খুঁেজ পায়। আর ১১ দিন পর দীপককে ফেরত দিতে পারলাম। তবে দু’দেশের বন্দিদের সাজাভোগ শেষে নিজ দেশে পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্বল্প সময়ে সহজতর করা দরকার।’

হস্তান্তর অনুষ্ঠানের  বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার এনামুল কবির,  দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, কাস্টমস কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুজ্জামান, শরীফ উদ্দিন, দর্শনা থানার এস আই ফাহিম হোসেন, চেকপোস্টের এএসআই মোমিন প্রমুখ।

ভারতের পক্ষে ছিলেন ১৩২ বিএসএফ সীমানগর ব্যাটালিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর পি নাগা রঞ্জন, গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জিসি দে, কাস্টমস কর্মকর্তা রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এএসআই তন্ময় দাস, ডিআইবি সাধন মন্ডল ও নব কুমার চক্রবর্তী, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন ন্থা প্রমুখ।

কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক

কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজা ওয়াংচুক। ছবি: সংগৃহীত

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব পাশে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ১৪ সদস্যের সফরসঙ্গী নিয়ে তিনি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সড়কপথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।

এর আগে ভুটানের রাজা সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতন করেন। পরে সড়কপথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছান। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা।

ধরলা পাড়ের পাপ্পু মিয়াজি বলেন, আমাদের তো কুড়িগ্রামে কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। কাজ করতে হলে যেতে হয় ঢাকা, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে। এখন যদি এখানে কাজের সুযোগ হয় তাহলে তো শত শত মানুষ কাজের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি এখানকার বাসিন্দাদের অভাব-অনটন অনেকটাই কমে যাবে।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা
পাঁচ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর
কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা ওয়াংচুক
শিগগিরই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়িতে কাঁথাও বানায় না: রিজভী
ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিশ্বকাপ না জিতলে আমি হয়তো জাতীয় দল ছেড়ে দিতাম: মেসি
জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরপ্রক্রিয়া শুরু
বিরামপুরে জমজ সন্তানের একজন জন্ম নিলো এক পা নিয়ে
দায়িত্ব নিয়েই বিএসএমএমইউ উপাচার্য বললেন ‘দুর্নীতি করবো না, প্রশ্রয়ও দেব না’
ময়মনসিংহে বাসচাপায় শিশুসহ নিহত ৩
এপ্রিলে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির
টাকার বিছানায় ঘুমিয়ে ভাইরাল নেতা
অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা
দ্রুত ভিসা দিতে নতুন যেসব নির্দেশনা দিলো ইতা‌লি দূতাবাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উপেক্ষা ইসরায়েলের, গাজায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ৩২৫০০
কুড়িগ্রামের পথে ভুটানের রাজা