শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০
Dhaka Prokash

বইমেলা শুধুই বই বিপণন নয়, সাহিত্য সংস্কৃতির উৎসবও

বইমেলা সারা পৃথিবীতে আজ শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির উৎসব হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বই বিপণনে বইমেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সারা বছরব্যাপী পৃথিবীতে যে সকল বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেগুলোকে তিনটি ধরনে ভাগ করা যায়। ক. প্রফেশনাল'স বুক ফেয়ার, খ. পাবলিক বুক ফেয়ার, গ. প্রফেশনাল অ্যান্ড পাবলিক বুক ফেয়ার।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বইমেলা ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা। পাঁচ দিনব্যাপী এই বইমেলার প্রথম তিনদিন শুধুমাত্র প্রফেশনালরা অর্থাৎ প্রকাশক, রাইট এজেন্ট, লেখক, সাংবাদিক, কপিরাইট এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য মেলা সংরক্ষিত থাকে। মেলার শেষের দুইদিন জনসাধারণ প্রবেশ করতে পারেন, বইও কিনতে পারেন। লন্ডন বইমেলায় প্রথম দিন থেকেই প্রফেশনাল এবং পাবলিকের প্রবেশ অবাধ থাকে। রাইট বিক্রি এবং বই বিক্রি দুটোই প্রথম থেকে শেষদিন অবধি চলে। বোলোগনা, বুক এক্সপো আমেরিকা মূলত রাইট বিক্রির বইমেলা।

চীনের বাজারের জন্য বেইজিং, হংকং এবং তাইপেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রফেশনাল বুক ফেয়ার। মধ্যপ্রাচ্য, আবুধাবি, শারজাহ এবং দুবাই ক্রমশ রাইট বিক্রির বইমেলার কেন্দ্র হয়ে উঠছে সাম্প্রতিককালে। অর্থাৎ সারা পৃথিবীতেই বইমেলার ইভেন্ট বই বিপণনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বই বিপণন ছাড়াও বইমেলা বর্তমান পৃথিবীতে 'শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির উৎসব' হিসেবে স্বীকৃত। বইমেলায় বই বিক্রির পাশাপাশি প্রকাশনার সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সেমিনার, প্যানেল ডিসকাশন, লেখক-প্রকাশক মিটস-আপ ইভেন্ট, নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশগ্রহণকারী সব মানুষকে অন্যরকম একটি মননশীল আকর্ষণের জগতে নিয়ে যায়, যার প্রয়োজন বেশ গুরুত্বপূর্ণ, অনস্বীকার্য।

বাংলাদেশে ভাষার মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ছাড়াও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে বছরব্যাপী সীমিত সংখ্যক বিভাগীয় ও জেলা শহরে বইমেলার আয়োজন করা হয়। তবে ইদানীং সমিতির উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি বেশি বইমেলার আয়োজন বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রকাশকরা সমিতি এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং কোলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায় অংশগ্রহণ করছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহযোগিতায় কলকাতায় সিঙ্গেল কান্ট্রি বুক ফেয়ার 'বাংলাদেশ বইমেলা' হচ্ছে। এ সবকিছুই অত্যন্ত ইতিবাচক দিক বাংলাদেশের বইয়ের বাজার সম্প্রসারণের জন্য। এখনো বাংলাদেশে বইয়ের যতটুকু জনপ্রিয়তা দেখছি, তা এ সব কার্যক্রমেরই ফসল। তবে বাংলাদেশ এবং কলকাতাসহ অন্যান্য দেশে আমাদের আয়োজিত সকল বইমেলাই পাবলিক বইমেলা। বইয়ের রাইট বিক্রির বিষয়টি এখানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের বইয়ের রাইট বিক্রির বিশাল সম্ভাবনা সংকুচিত হয়ে রয়েছে। এজন্য বেশি বেশি আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশগ্রহণ এবং দেশে একটি আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন প্রয়োজন।

শক্তিশালী রিডিং সোসাইটি গড়ার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত কর্মপরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে।
ক. মান সম্মত পান্ডুলিপি নির্বাচন করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে বইয়ের প্রকাশনা ও বিপণন নিশ্চিত করা।
খ. দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক ক্যালেন্ডারে বছরে কমপক্ষে একবার সপ্তাহব্যাপী বইমেলার আয়োজন নিশ্চিত করা। দেশে-বিদেশে বইমেলার আয়জনের চর্চা বাড়াতে হবে।
গ. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক পাঠাগার ব্যবস্থাপনা এবং সক্রিয় ও কার্যকর কার্যক্রম নিশ্চিত করা। প্রতি শ্রেণিকক্ষে বয়সভিত্তিক বই কর্নারের ব্যবস্থা করা।
ঘ. দেশের সরকারি-বেসরকারি পাঠাগারের প্রসার ও বিদ্যমান পাঠাগারের কার্যক্রম যুগোপযোগী ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে এগুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ।
ঙ. দেশে পাঠ্যাভ্যাস আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে সুচিন্তিত গবেষণা, কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

বাংলাদেশে জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় পাঠ্যাভ্যাস আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এই সামাজিক আন্দোলনটিকে বেগবান করে লক্ষ্য অভিমুখে পৌঁছানোর বহুমাত্রিক কর্মসূচির একটি অন্যতম প্রধান হচ্ছে বইমেলা। বইমেলার আয়োজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক আরও অনেক বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাৎসরিক সপ্তাহব্যাপী বইমেলা আয়োজন বাধ্যতামূলকভাবে করা উচিত। প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পাশাপাশি সব শ্রেণিকক্ষে বয়সভিত্তিক ছোট বুক কর্নার থাকতে পারে। বছরে সপ্তাহব্যাপী বইমেলার আয়োজন থাকলে শিক্ষার্থীর উপর এর প্রভাব পড়বে সুদূরপ্রসারী। শিক্ষার্থী প্রতিবছর নতুন নতুন বইয়ের সঙ্গে খুব সহজে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে। তাদের প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, ক্লাসের বুক কর্নার এমনকি বাসায় ব্যক্তিগত লাইব্রেরিও প্রতিবছর প্রয়োজনীয় নতুন নতুন বইয়ে সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ লাভ করবে। সর্বোপরি বই সংগ্রহ ও পাঠের একটি প্রগতিমুখী সাংস্কৃতিক আবহ প্রজন্মের মননে গড়ে উঠতে থাকবে যা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে একটি সোনালী প্রজন্মের জন্ম দেবে। এই সোনালী প্রজন্মই মূলত বাঙালিকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ উপহার দেবে। তাই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে বইমেলা আয়োজনের চর্চা বেগবান করা আজ জরুরি।

লেখক: লেখক ও প্রকাশক

আরএ/

আজকের সেহরির শেষ সময় (ঢাকা)

0

ঘণ্টা

0

মিনিট

0

সেকেন্ড

ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ছয় মাস ধরে চলছে দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন। আর এতে অঞ্চলটিতে নিহতের মোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩২ হাজার ৫৫২ জনে। সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এই অঞ্চলে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ইসরায়েলকে নির্দেশও দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত।

তবে ইসরায়েলি সেনারা মত্ত অন্য কাজে। তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে পাওয়া নারীদের অন্তর্বাসের সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে খেলা করছে। আর সেই কাজের ছবি এবং ভিডিও অনলাইনে পোস্টও করছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে পাওয়া নারীদের অন্তর্বাসের সাথে অশ্লীলভাবে নিজেদের খেলা করার ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করছে।

একটি ভিডিওতে, একজন ইসরায়েলি সৈন্যকে গাজার একটি ঘরে আর্মচেয়ারে বসে হাসতে দেখা যায়। তার এক হাতে বন্দুক এবং অন্য হাতে সাদা সাটিনের অন্তর্বাস ঝুলছে। তিনি মূলত পাশের সোফায় শুয়ে থাকা আরেক সেনার খোলা মুখের ওপর সেই অন্তর্বাস নাড়াচাড়া করছেন।

অন্য এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি এক সেনা ট্যাংকের ওপর বসে আছে। এসময় নারীদের একটি ম্যানিকুইনকে (পোশাকের দোকানের পুতুল) কালো ব্রা এবং হেলমেট পরিয়ে ধরে রেখে সেই সেনা বলছে, ‘আমি সুন্দর স্ত্রী পেয়েছি। গাজায় সম্পর্কে জড়িয়ে গেছি, সুন্দরী নারী।’

রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলি সৈন্যদের ধারণ করা অনেকগুলো ভিডিও ও ছবির মধ্যে এ দুটি ভিডিও রয়েছে। এ রকম বহু পোস্ট রয়েছে যেখানে ইসরায়েলি সৈন্যদের ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস, ম্যানিকুইনকে এবং কিছু ক্ষেত্রে দুটোই প্রদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে। অন্তর্বাসের এসব ছবি অনলাইনে দেখা হয়েছে কয়েক হাজারবার।

ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামে এ রকম আটটি পোস্টের সত্যতা যাচাই করেছে রয়টার্স। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, ‘এই ধরনের ছবি পোস্ট করা ফিলিস্তিনি নারীদের এবং সমস্ত নারীদের জন্য অবমাননাকর।’

যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আমরা যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, তার মধ্যে একজনও মাদরাসার ছাত্র নন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে এক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার জঙ্গিদের একজনও মাদরাসার ছাত্র নন। তারা সম্ভ্রান্ত পরিবারের ও অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ। সে সময় আমরা সব ধর্মের ধর্মগুরুদের নিয়ে প্রতি বিভাগে সভা করলাম। খুব অল্প দিনের মধ্যে আমরা দেশকে সে জায়গা থেকে বাঁচিয়ে এনেছি। এখন পৃথিবীর যেখানে যাই, সবাই বলে তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছ।

তিনি বলেন, দেশে জঙ্গি উত্থান হয়েছিল। আমরা দেখলাম অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। সবারই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাওয়ার অবস্থা। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলাম।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সে সময় আপনাদের নিয়ে কাজ করেন। ইসলামে যে মানুষ হত্যার স্থান নেই, এ বিষয়ে তিনি আপনাদের দিয়ে জায়গায় জায়গায় সভা করেছেন। তখন আমরা সবাই এক হয়ে গিয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, মুসলিমদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আছে। এতে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে মুসলিমরা ছিলেন অনন্য। আর আজ আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করি। আপনারা এখন বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন, যাতে আমরা আবার সেই জায়গাটাতে পৌঁছাতে পারি। আমরা সবাই যদি একত্রে থাকি, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারব।

ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) আদর্শ সমাজ গঠনে সামাজিক সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন। মুফতি মুহাম্মাদ আবুল বাশার নোমানির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করায় রাশিয়ার এক সাংবাদিককে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। রাশিয়া-ইউক্রেনের দন্দ্বে পূর্ণ-মাত্রার রুশ সামরিক আক্রমণের নিন্দা করেছিলেন তিনি। এই অপরাধেই বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাশিয়ার একটি আদালত তাকে এই কারাদণ্ড দেয়।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি রাশিয়ান আদালত ইউক্রেনে মস্কোর পূর্ণ-মাত্রার সামরিক আক্রমণের নিন্দা করার জন্য একজন সাংবাদিককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। অন্যদিকে মস্কোর পুলিশ ২৪ ঘণ্টা সময়কালে আরও পাঁচজন সাংবাদিককে আটক করেছে।

দুই বছরেরও বেশি সময় আগে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠিয়ে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে রাশিয়া অন-দ্য গ্রাউন্ড রিপোর্টিংকে ক্রমবর্ধমানভাবে বিপজ্জনক এবং অবৈধ করে তুলেছে এবং এই অপরাধে ক্রেমলিনের সুরের সঙ্গে সুর মেলাতে ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও জরিমানাও করা হয়েছে।

এএফপি বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রুশ ওই সাংবাদিকের নাম মিখাইল ফেল্ডম্যান। পশ্চিমাঞ্চলীয় কালিনিনগ্রাদের একটি আদালত বলেছে, এই সাংবাদিক ভিকন্টাক্টে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে একাধিক পোস্টে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মান করেছেন।

মূলত রুশ ওই সাংবাদিকের আইনজীবীর বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থা ওভিডি-ইনফো। সংস্থাটি বলেছে, ‘প্রসিকিউশন তার বিরুদ্ধে ঠিক এই শাস্তিই চেয়েছিল। কারাবাসের পাশাপাশি ফেল্ডম্যানকে দুই বছরের জন্য ওয়েবসাইট পরিচালনা থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

বার্তাসংস্থা বলছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযানের বিরোধিতাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় শত শত ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সামরিক সেন্সরশিপ আইনের অধীনে, রাশিয়ানদের যারা অনলাইনে আক্রমণাত্মক সমালোচনা করেন বা যে সাংবাদিকরা রাশিয়ান কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য ব্যতীত অন্য কোনও তথ্য ব্যবহার করেন তাদের বছরের পর বছর জেল হতে পারে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে, মস্কোর পুলিশ গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন সাংবাদিককে আটক করেছে। যাদের মধ্যে একজন বলেছেন, তাকে মারধরও করা হয়েছে।

এএফপি বলছে, রাশিয়ায় আটককৃত পাঁচজন সাংবাদিকের একজন হচ্ছেন আন্তোনিনা ফাভরস্কায়া। প্রয়াত বিরোধী রুশ রাজনীতিক আলেক্সি নাভালনির সমাধিতে ফুল দেওয়ার জন্য তিনি সম্প্রতি ১০ দিনের জন্য জেল খাটেন। বুধবার গভীর রাতে এই সোটাভিশন (SOTAvision) সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোটাভিশন জানিয়েছে, ফাভরস্কায়ার সহকর্মী আলেকজান্দ্রা আস্তাখোভা এবং আনাস্তাসিয়া মুসাতোভা আটক কেন্দ্রে তার সাথে দেখা করতে আসলে তাদেরও পুলিশ আটক করে।

এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ সোটাভিশন থেকে সাংবাদিক একেতেরিনা অ্যানিকিয়েভিচ এবং রুসনিউজ থেকে কনস্ট্যান্টিন ঝারভকে গ্রেপ্তার করে। তারা ফাভরস্কায়ার বাড়ির কাছে চিত্রগ্রহণ করেছিলেন।

কনস্ট্যান্টিন ঝারভ বলেন, ‘তারা আমাকে লাথি মেরেছে, আমার মাথায় পা রেখেছে, আমার আঙ্গুলগুলোকে পেঁচিয়ে রেখেছিল এবং আমি যখন উঠার চেষ্টা করি তখন আমাকে উপহাসও করেছিল। পরে তারা আমার ব্যাগও দেখতে চেয়েছিল, যেন এতে বিস্ফোরক থাকতে পারে।’

এএফপি বলছে, ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দেশে পরিচালিত প্রায় সমস্ত স্বাধীন মিডিয়া সংস্থাকে নিষিদ্ধ না হয় অবরুদ্ধ বা সেন্সর করার চেষ্টা করেছে রাশিয়া। আর এই দমনপীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক স্বাধীন সাংবাদিক রাশিয়া ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

আর যারা এখনও দেশটিতে রয়ে গেছের তারা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন।

এছাড়া মার্কিন সাংবাদিক ইভান গারশকোভিচ এবং আলসু কুরমাশেভা বর্তমানে বিচারের অপেক্ষায় রাশিয়ার কারাগারে রয়েছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ফিলিস্তিনি নারীদের অন্তর্বাস নিয়ে অশ্লীল খেলায় মেতেছে ইসরায়েলি সেনারা
যত জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি, একজনও মাদরাসার ছাত্র নন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরোধিতা করায় সাংবাদিকের কারাদণ্ড
বাতিঘরের শ্যুটিংয়ে হিমাচলে শিরোনামহীন ব্যান্ড
যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখুন এ সব
গাজায় নিহত আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি
৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু আজ
ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, গ্রেপ্তার ৫
দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু: বিশ্বব্যাংক
বরিশালে নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ
নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
গুলি করে মারা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেই সাপটিকে
দুঃসময় অতিক্রম করছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল
মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক কারাগারে
বাংলাদেশ থেকে আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার ইউনিটে প্রথম হলেন যারা
বাংলাদেশে আসছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম
চট্টগ্রামে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ৪ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৮৯ শতাংশই ফেল
ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!