শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সময় ও পর্যটনের খেলা

পর্যটনকে তিনটি সময়ে ভাগ করা যায়। বর্তমান সময়ের পর্যটন, অতীতের পর্যটন ও ভবিষ্যতের পর্যটন। পর্যটনের উপাদানগুলো একমাত্রিক, দ্বিমাত্রিক কিংবা ত্রিমাত্রিক যা-ই হোক না কেন, সময় আরেকটি মাত্রা হিসেবে যোগ হয়েছে পর্যটনের সঙ্গে।

পদার্থবিজ্ঞানীরা বলেছেন, সময় সরলরৈখিক নয়, বরং সময় স্থান দখল করে থাকে। পর্যটনের সঙ্গে সময় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বলেই সময়ের সঙ্গে পর্যটন উপাদানের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।

পর্যটনের উপর সময়ের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। তাই পর্যটনে পিক সিজন ও অফ পিক সিজন কথাগুলি প্রযোজ্য। সময়ের জন্য পর্যটন পণ্য সংরক্ষণ করা যায় না। পর্যটকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটন পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে অবিলম্বে তা হস্তান্তর করতে হয়। পর্যটকরাও একে সংরক্ষণ করতে পারেন না। এদের চাহিদা সৃষ্টির অব্যবহৃত পরেই উপভোগও করতে চান। তা না হলে এইসব পণ্য ও সেবা নষ্ট হয়ে যায়। এ থেকে পরিষ্কার যে, পর্যটনের উপদান ও উৎপাদিত পণ্য ও সেবার সঙ্গে সময় নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত।

আবার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পর্যটনের সঙ্গে সময় একইভাবে সম্পৃক্ত থাকে না। তবে সময়যন্ত্রে চেপে এই তিন সময়ের পর্যটনের অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যায়। বর্তমানের পর্যটন দেখতে হলে প্রচলিত যানবাহনের ব্যবহারই যথেষ্ট। তবে অতীতে কিংবা ভবিষ্যতে যেতে হলে পর্যটনের সময়যন্ত্র লাগবে। অতীতে যাওয়ার সময়যন্ত্র এবং ভবিষ্যতে যাওয়ার সময়যন্ত্র এক নয়, ভিন্ন। কারণ, এই দুই সময়যন্ত্রের চালক ও আরোহী আলাদা। অতীতে গমনকারী পর্যটনের সময়যন্ত্রের চালক হলো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং আরোহী হলো পর্যটক। অন্যদিকে ভবিষ্যতে গমনকারী পর্যটনের সময়যন্ত্রের চালক পর্যটন গবেষক এবং আরোহী হলো নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারী। আবার তাদের গতি, অনুসন্ধানরীতি ও পর্যবেক্ষণের কৌশলও এক নয়। উভয় ধরনের সময়যন্ত্রের নির্মাণ, পরিচালনা ও ব্যবহারের উদ্দেশ্য আলাদা হয়ে থাকে।

পর্যটনের সময়যন্ত্রে চেপে অতীতকালের পর্যটনকে অবলোকন করতে না পারলে বর্তমান সময়ের পর্যটকরা পর্যটনের রসাস্বাদন করে তা থেকে বহুমাত্রিক উপকার লাভ করতে পারবেন না। একইভাবে ভবিষ্যৎ সময়ে যেতে না পারলে পর্যটনের ভবিষ্যতের গতি প্রকৃতি নির্ধারণ করাও কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে পর্যটনের গতিময়তা কমে যাবে এবং স্থবিরতা চলে আসবে।

দুই
এবার পর্যটনের সঙ্গে বর্তমান সময়ের অন্তঃপ্রবেশ রীতি ও ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা যাক। একথা সত্য যে, সময় পর্যটনের ভেতর দিয়ে চলে এবং একইভাবে পর্যটনও সময়ের ভেতর দিয়ে চলে। বিষয়টি পরিষ্কার করা যাক।

সময় পর্যটনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হলে সে পর্যটনকে তীরবেগে ভেঙে দিয়ে যায়। সময়ের তোড়ে পর্যটনের আকৃতি, অবয়ব ও উপযোগিতার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। ফলে তা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কিংবা চাহিদা মোতাবেক সেবাদানে ব্যর্থ হতে পারে। তবে রিয়েলিটি পর্যটনের বিষয় বিবেচনা করলে তা ভিন্ন কোনো ধনাত্মক ঘটনাও সৃষ্টি করতে পারে। পর্যটনের ভেতর দিয়ে সময়ের এই প্রবাহকাল, গতি ও বেগ বিবেচনা করতে হবে। সময়ের প্রবাহকাল দীর্ঘ এবং গতি ও বেগ উচ্চ হলে পর্যটনের আকৃতি, অবয়ব ও উপযোগিতার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। সেই ক্ষেত্রে সময়ের ঘাত মোকাবিলা ও নিয়মিতভাবে পর্যটনের উপাদানগুলির ব্যবহারের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল হতে হবে। একইভাবে সময়ের ভেতর দিয়ে পর্যটন গমন করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটন তার নিজস্ব অবয়ব পরিবর্তন করতে পারবে। সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটনের অবয়ব ও উপযোগিতা সক্ষম হবে। পর্যটন পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করবে। ক্ষেত্রমতে পর্যটনে নতুন নতুন উদ্ভাবন দেখতে পাওয়া যাবে। গবেষক ও পর্যটন স্টেকহোল্ডারগণ যৌথভাবে চাহিদা নিরূপণ ও বহুমুখী উপায়ে তা পূরণের নতুন পথ খুঁজে বের করবেন। এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য বাস্তবে পর্যটনের মাত্রাগত ও গুণগত উন্নয়ন সাধিত হয়।

পর্যটন ও সময়ের অনুপ্রবেশ অনিবার্য। এ থেকে পর্যটনের মুক্তি নেই। ফলে একটি সমস্বত্ত্ব বিন্দু (Equilibrium Point) নির্ণয় করা দরকার। অর্থাৎ পর্যটনের ভেতর দিয়ে সময়ের প্রবাহ ও সময়ের ভেতর দিয়ে পর্যটনের প্রবাহ এমন একটি বিন্দুতে এসে মিলিত হবে, যা হবে এই ২ প্রবাহরেখার মিলিত বিন্দু। এই সমস্বত্ত্ব বিন্দুতে পর্যটনের সবচেয়ে কম পরিবর্তনকে চিহ্নিত করা যাবে একইভাবে সংঘটিত ঋণাত্মক বিষয়গুলিকে মোকাবিলা করা সহজ হবে। এই বিন্দু বিশ্লেষণ করে পর্যটন গবেষকরা পর্যটন পরিবর্তনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয়গুলি তুলে ধরতে পারেন। একইভাবে উদ্ভুত সংকট মোকাবিলায় তারা সঠিক পথকে আগাম ধরিয়ে দিতে পারবেন। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নীতি-নির্ধারকমহল ও পর্যটন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের করণীয়গুলি জেনে যাবেন। পর্যটনের সম্পদ ব্যবস্থাপনা, মানবসম্পদ সৃজন পরিকল্পনা, বিনিয়োগ ক্ষেত্র ইত্যাদি সমস্বত্ত্ব বিন্দু থেকে নির্ণয় করা সম্ভব।

সময় ও পর্যটনের এই নিরন্তর খেলা আমাদের জীবনের সব উপাদান নিয়ে প্রস্তুতির জন্য বড় ইঙ্গিত দেয়। পর্যটনের মাধ্যমে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সম্পদের সর্বোচ্চ ও টেকসই ব্যবহার কীভাবে নিশ্চিত করা যায় এবং সম্পদ ব্যবহারের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়- তার সব বিষয় এখান থেকে অনুসন্ধান করা যায়।

লেখক: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা।

এসএন

Header Ad
Header Ad

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

শেখ হাসিনা ছাড়া আরও যাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, আদালত, প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) অথবা তদন্ত সংস্থার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে থাকে।

পুলিশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাসহ যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা ও বেনজীর আহমেদ ছাড়া অন্য ১০ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে এনসিবি থেকে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয় ১০ এপ্রিল। এর আগে তাঁদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে নথিপত্রসহ চিঠি পাঠায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারির জন্য ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করতে গত বছরের নভেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরকে অনুরোধ করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
অন্যদিকে বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার একটি আদালত বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

তবে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদনের বাইরে ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, সে চুক্তির আওতায় বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের ফেরানোর চেষ্টাও রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে। তবে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরানো সহজ হবে না বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এখনো সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় তাঁকে ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে আবেদন করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি। এ ছাড়া ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতনের ঘটনায় একটি এবং বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা রয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরসহ একাধিক প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আগামীকাল রোববার এ মামলায় ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের চকবাজারের হিজলা খালে পড়ে যাওয়া ছয় মাস বয়সী শিশু সেহরিসকে নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কাপাসগোলার নবাব হোটেলের পাশের নালায় ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়।

স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম মহানগরের চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় মা ও ছয় মাস বয়সী শিশুসহ একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা নালায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় মাকে উদ্ধার করা গেলেও শিশুটি পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। এরপর শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর রিকশাচালক পালিয়ে যায়। দ্রুত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।

শিশুটির মামা মারূফ জানান, আসাদগঞ্জ থেকে চেহরিসকে নিয়ে তার মা ও দাদি তার (মারূফ) বাসায় বেড়াতে আসছিল। বাড়ির কাছে এসে রাস্তায় পানি থাকায় রিকশা নেয় তারা। কিন্তু নালার পাশে থাকা বাঁশের বেষ্টনী খুলে ফেলার কারণে তারা রিকশা নিয়ে নালায় পড়ে যায়। পরে চেহরিসের মা সালমা ও দাদি আয়েশাকে উদ্ধার করা গেলেও চেহরিস হারিয়ে যায়।

Header Ad
Header Ad

আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আরাকানকে নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা মতে, আগামী ঈদের আগেই যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রেং—১৩৮৭ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. খলিলুর রহমান আরো বলেন, ‘আমি আজকেও (শুক্রবার) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছি। তাদেরকে বলছি যে, আন্তর্জাতিক ফোরামে তারা যেন প্রত্যাবাসন বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।’

ড. খলিলুর রহমান রাখাইনদের উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশ সকল ধর্মের, সকল নৃ—গোষ্ঠীর এবং সকল সংস্কৃতির একটি দেশ। আমাদের দেশের এই সময়টা উৎসবের সময়। তিনি বর্ষবরণের চমৎকার অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রতি অভিনন্দন জানান।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন।

এর আগে, গত রমজান মাসে জাতিসংঘের মহাসচিবকে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি, আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের জোর প্রচেষ্টায় থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলন চলাকালে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় মিয়ানমার সরকার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া