মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পঙ্কজ ভট্টাচার্য, গণমানুষের প্রজ্জলিত মশাল

প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তি, ঐক্যন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন অসুস্থ। বাঙালির রাজনৈতিক জীবনের এক আদর্শ প্রতিচ্ছবি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। নির্লোভ, ব্যক্তিস্বার্থের তাড়নাহীন এক মানুষ। একজন আদর্শ বাঙালির জীবন কতটা সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন তা এক ঝলকে জানা যায় তার অবয়ব দেখে, মুখের কথা শুনে। গত শতকে বাঙালির জীবন সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত তিনি। মাস্টার দা সূর্য সেনের রাজনৈতিক আদর্শ এখনো তার চেতনার গভীরে। এখনো তার দিনরাত্রি গণমানুষের ভাবনায়।

দুই বছর আগে সহসংগ্রামী ও জীবনসঙ্গী রাখীদাশ পুরকায়স্থ প্রয়াত হয়েছেন। সেই শোকের সঙ্গে শারিরীক নানা জটিলতায় পঙ্কজ দার বিপুল কর্মব্যস্ত জীবনে কিছুটা ছন্দপতন এসেছে। আশি পেরিয়েছে বেশ আগে, সেটি নিছক সংখ্যায়। জীবনের গতি সবসময় থেকেছে একই রকম। শরীর বেকে বসতে চাইলেও মনের জোরের কাছে হেরেছে বারবার। টানা ছয় মাস হাসপাতাল বাসা চলছে। এই ভালো এই খারাপ। আমরা (আমি ও আমার স্ত্রী লাইলা খালেদা) পঙ্কজ দার জন্য বেশ উদ্বিগ্ন থাকি। শরীরের খোঁজ জানতে ব্যাকুল থাকি। শ্বাসযন্ত্রজনিত সংকটের কারণে তার সঙ্গে হুটহাট দেখা করা বারণ। ফোনে কথা বলা বারণ। করোনা কঠিন সময় পেরোনোর পর এখন মানুষের জীবন অন্যরকম হয়ে গেছে। অনেক কিছুতেই উদ্বেগ যেমন বেড়েছে, একইভাবে অনেক কিছুই সহ্য হয়ে গেছে মানুষের।

লাইলা খালেদা সরাসরি পঙ্কজ দার রাজনৈতিক কর্মী। গণফোরামের সময় থেকে বিভিন্ন দায়িত্বে মাঠে ময়দানে রাজপথে পঙ্কজ দার সঙ্গে। ঐক্যন্যাপ প্রতিষ্ঠিত হলে সে প্রথম কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দয়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আমি সেই সুবাদে পঙ্কজ দার দারুণ সাহচর্য পেয়েছি। পঙ্কজ দার সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমারও একটি পৃথক জায়গা তৈরি হয়েছে গত দেড় দশকে। অনেক বিষয়েই বোঝার জন্য জানার জন্য পঙ্কজ দার কাছে ফোন করি। বাসাই যাই। বলা যায় আমাদের জীবনশিক্ষক তিনি। আমরা তার সন্তানের মতো। তিনি আমাদের পিতৃতুল্য। তিনি আমাদের মাথার ওপরের সবচেয়ে নিরাপদ ছায়া।

অনেকদিন আমরা আমেরিকায়। এসেই ভালোমন্দে নিয়মিত কথা হয়েছে দাদার সঙ্গে। কিন্তু বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কথা বন্ধ। এমনকি যোগাযোগও অনেকটা বন্ধ। অনেকের কাছে ফোন করে আংশিক খবর পাই। ‍তার শরীরের নানা পরিস্থিতি আর চিকিৎসার খবর অজানাই থাকে। উদ্বিগ্ন থাকি।

রবিবার সকালে হঠাৎ পঙ্কজ দার ফোন থেকে একটি মেসেজ এল। একটি ভিডিও মেসেজ। ভিডিওটি ন্যাপ সিপিবি ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনীর অস্ত্র সমর্পন অনুষ্ঠানের। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারির ভিডিও। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে অস্ত্র সমর্পন করছেন পঙ্কজ দা। এই অনুষ্ঠানের আলোকচিত্রটি আমাদের ঘরেও ছিল। পঙ্কজ দার ছবিটি দেখে বুকের ভেতর ধক করে উঠল। মেসেজের জবাব লিখলাম।

‘ধন্যবাদ দাদা। এটি সংগ্রহে থাকা প্রয়োজন। আপনার হোয়াটস অ্যাপ থেকে এই বার্তা আসায় খুব খুশি হলাম। আশা করি আপনার শরীর এখন অনেকটা ভালো। সতত শুভকামনা।’ সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও কল। পঙ্কজ দা নিজে কথা বলছেন। তার নাকে সরু অক্সিজেন পাইপ লাগানো। সেই তেজদীপ্ত কথাবার্তা। পাল্টে গেল আমাদের দিন। অনেক কথা হলো। তার কিছুটা শেয়ার করতে চাই।

`অবস্থার একটু উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন চলছে। আমি একটি অনুরোধ করব তোমাদের। জার্মানির একটি পোর্টেবল শ্বাসযন্ত্র আছে, কোনো ডাক্তার পরিচিত থাকলে জেনে, আমাকে বিস্তারিত জানাবে। তোমরা বাচ্চাদের নিয়ে সুখী থাকলে আমি অনেক আনন্দ পাব। তোমাদের কথা আমার খুব মনে পড়ে। বিশেষ করে যখন আইসিইউতে অচেতন অবস্থায় কাটিয়েছি অপারেশন টেবিলে যখন ভয়ংকর মুহূর্তগুলো কাটিয়েছি আমি হাসিঠাট্টা করেছি বটে, ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছি। যাতে হেরে না যাই, এখন ছয় মাস পরে কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। গতকাল প্রেসিডিয়াম মিটিং করেছি বাসায়। তোমার (লাইলা খালেদা) কথা বলেছি। বলেছি তুমি থাকলে, তোমাকেও ডাকতাম। পত্রিকার কাটিংগুলো তোমাদের কাছে পাঠাতে পারি। তোমরা ভালো থেক লেখালেখি কোরো।’

‘রাখী (রাখীদাশ পুরকায়স্থ) তো চলে গেল। এখন বহ্নিশিখা, আমার শালিকা, ছয় বছর বয়স থেকে আমার কাছে, কন্যাতুল্য, সে ও তার স্বামী প্রফেসর ড. মানস বসু অষ্টপ্রহর আমার জন্য কাজ করে। এমনকি মৌসুমীও (আমার আরেক শালিকা) হাসপাতালে আমার জন্য অনেক করেছে। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান হাসপাতালে আমার অপারেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বসে থেকেছে। আমার সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে দেখা করতে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সরওয়ার আলী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম নিয়মিত আমাকে দেখতে আসে। অন্যান্য নেতারাও দেখতে আসেন।’

“এখন বাসায় আছি। বেশি কথা বলা এখনো বারণ। আজ একটু সুযোগে তোমাদের খবর নিলাম। আর আমি কিছু বিবৃতি ও নিউজ তোমাদের কাছে পাঠাব হোয়াটস অ্যাপ এ। শোনো আমার পুত্রকন্যার অভাব নেই। একটি কবিতা আছে রবীন্দ্রনাথের। ‘পিতা কর নাই বলে করিয়াছ পিতামহ, হে বিধাতা’ আমার ডজন ডজন ছেলেমেয়ে আছে। জিন্দাপার্কের লোকজন একদিন বিশেষ প্রার্থনা করেছে আমার উদ্দেশ্যে। আমার রোগমুক্তির জন্য রোজা করেছে। আমি তো এই ভালোবাসাতেই সুস্থ হয়ে আছি। আমার একটি বই বের হবে ফেব্রুয়ারিতে। প্রকাশিত হলে কারো মাধ্যমে তোমাদের কাছে পৌঁছাব।”

‘আমি তো তোমাদের দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকি। তোমাদের মাথায় হাত দিয়ে আশির্বাদ করব। বাচ্চাদের কোলে নেব। আমি আরও কিছুদিন সচল থাকতে চাই। সক্রিয় থাকতে চাই। কিছু মানুষের উপকার করতে চাই। আমার নিজের কিছু দরকার নেই। তোমরা ভালো থাকলে আমি খুব খুশি হব। তোমরা ভালো থেক। বাচ্চাদের ভালো রেখ।’

‘বাচ্চাদের শিক্ষাটা যেন ভালো হয়। বাংলাটা যাতে ভুলে না যায়, এইদিকে খেয়াল রেখ। বাংলা ভুলে গেলে মনটা খুব খারাপ হয়ে যাবে। অনেক বাচ্চা দেখেছি, বাপ মা বাংলা সিলোটি, কিন্তু বাচ্চারা বাংলা ভাষা জানে না। রবীন্দ্রনাথের গান করছে, ইংরেজি ফোনেটিকে লিখে তা উচ্চারণ করছে। এইটা আমার কাছে খুব মর্মস্পর্শী। বাংলাটা পড়াবে। কবিতা আবৃত্তি শেখাবে। গান শেখাবে। রবীন্দ্রসংগীত শেখাবে। তারা মানুষের মতো মানুষ হোক, এটা চাই। আমি আরও কিছুদিন আছি রে। মনের শক্তি আমার অনেক বেশি। আমি যেকোনো অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারি।’

‘আমি চলে গিয়েছিলাম ডিলেরিয়ামে। সেখানে ভূত-প্রেত খামছে ধরছে আমাকে। সেই ছবিগুলি চোখে ভাসছে। আমি কী কী বলেছি না বলেছি আমার তা মনে নেই। সেই অবস্থা থেকে আমি ফেরত এসেছি মনের জোরে। চারটা অপারেশন শেষ করে এখনো আমি তিরাশি বছর বয়সে নিজেকে মনে করি আটের সঙ্গে তিন যোগ করলে এগারো হয়। আমি এগারোতে আছি।”

পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। শুভকামনায় মনে রাখুন এই মহান রাজনীতিককে।

লেখক: সাংবাদিক

এসএন

 

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ