
উচ্চশিক্ষায় সংকট: প্রসঙ্গ বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজ
২৭ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৬ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৪ পিএম

দেশের প্রান্তিক মানুষের উচ্চশিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার অল্পদিনের মধ্যে চরম অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে সবার নজরে চলে আসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। ক্যাম্পাসের সংখ্যাধিক্য ও শিক্ষার্থী আয়তনে বিশ্বের অদ্বিতীয় এই প্রতিষ্ঠানটি নানাদিক দিয়ে আজও প্রথম। লুটপাট দুর্নীতি আর চরম অব্যস্থাপনায়ও বিশ্ববিদ্যালয়টি অদ্বিতীয়, এই তকমাটিও এখন মাঝে মাঝেই সামনে আসে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই প্রতিষ্ঠানটি শায়ত্বশাসন ভোগ করার কথা থাকলেও সূচনা লগ্ন থেকেই সরকারি হস্তক্ষেপ ও সরকারের অনুগত ভিসি নিয়োগের ভিতর দিয়ে স্বেচ্ছারিতা ও দুর্নীতির ষোলোকলা পূরণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ করে বেসরকারি অনার্স কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নানা অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, নবায়নের নামে অধিভুক্ত কলেজের নিকট থেকে অর্থ আদায়, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতনের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, অধ্যক্ষদের লুটপাটে ইন্ধন, মিনিস্ট্রি অডিটের নামে অর্থ আদায় সহ নানা অনিয়ম সেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজ এখন একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম। শিক্ষাকে নিয়ে ব্যবসা পৃথিবীর আর কোথাও হয় বলে বোধগম্য নয়।
দেশের সর্বত্র উচ্চশিক্ষা বিস্তারের যে মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এটি যাত্রা শুরু করে আজ অনেকটাই দূরে চলে এসেছে তার লক্ষ্য থেকে। তেমনি সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজগুলোর শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে যে নতুন দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতার পাঁয়তারা করছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকদের স্ব স্ব কলেজগুলো বেতন দেবে বলে তাদের কলেজ নিয়োগ দেয়। অনেক কলেজ সে শর্ত আমলে নেয় না। নামমাত্র বেতন দিয়ে কলেজগুলোর বেশির ভাগ শিক্ষককে শ্রমদাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
অনার্স কলেজের আয়ের সম্পূর্ণ অংশ শিক্ষকদের বেতন হিসেবে দেওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ কলেজ সেটি দেয়নি কিন্তু অভিভাবক প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই সমস্যার কোনো আশু সমাধান করেনি। উল্টো অধ্যক্ষদের লুটপাটে উসকে দিয়েছেন। বলা বাহুল্য অধিভুক্ত এই বেসরকরি অনার্স মাস্টার্স কলেজগুলো জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের লুটপাটের এজেন্ট। তাদের লুটপাটে সহযোগী হিসেবে কাজ করে এসব প্রতিষ্ঠান। করোনাকালে শিক্ষকদের এসব কলেজ কোনো বেতন দেয়নি। আর তখনই এই সংকট আবারও নতুন করে সবার সামনে চলে আসে। এই নিয়ে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকগণ গত ১৬ ই মে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের মূল ফটকে মানব বন্ধন করে।
গত ১৬ মে শিক্ষকগণ যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ভিসিসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান রাখার শপথ করে। উপায় না দেখে ভিসি প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী দেশে আসলে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধান দেবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ গুলোতে কোনো শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে এসএসসি ৩.৫০ও এইচএসসিতে ৩.০০ সবমিলিয়ে ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। আর এই শর্ত বহাল থাকলে গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী এমনকি শহরের শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ মতো কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা ও অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকরা। আর এতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ আছে বলেই মনে হচ্ছে।
সরকার শিক্ষকদের এই আন্দোলনকে সমাধানের দৃষ্টিতে বিবেচনা না করে উল্টো কৌশলে দমননীতি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা আমাদের সমগ্র শিক্ষাবৗবস্থার জন্য সুখকর কোনো সংবাদ নয়। শিক্ষকরা আন্দোলনের মাঝপথে বাড়ি ফিরে যান আর তখনই আসে এমন সিদ্ধান্ত। মূলত এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে শর্তের বেড়াজালে অধিভূক্ত কলেজ গুলোকে শিক্ষার্থী শূন্য করাই এর মূল উদ্দেশ্য যা বুঝতে কারও বাকি নেই। শিক্ষামন্ত্রীর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় নিয়ে করা এক বছরের মন্তব্য বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখি তিনি শিক্ষামন্ত্রক এর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বরত অবস্থায় সবসময় এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলে আসছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এমন তালবাহানার সময়সীমা আরও বাড়বে বৈ কমার কোনো সম্ভাবনা শিক্ষকনেতারা দেখছেন না। মন্ত্রী একবার বলেন শর্টকোর্স খুলে শিক্ষকদের পুর্নবাসন করা হবে একবার বলেন লংকোর্স খোলা হবে ইত্যাদি কথা চরম অব্যস্থাপনার লক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে, সেইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে এই সময়ে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করা হচ্ছে। মূলত বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স কলেজকে অকার্যকর করতেই সরকারের এই চক্রান্ত। আধুনিক গণতান্ত্রিক কল্যাণকর রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য শিক্ষাকে সেবা হিসেবে বিবেচনা করে এর প্রসারেরর লক্ষে কাজ করা কিন্তু আমাদের দেশে সরকারের এই শিক্ষা সংকোচন নীতি বলে অন্যকথা। শিক্ষায় সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের এমন নজির বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
সরকারের নেতিবাচক এমন সিদ্ধান্তে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয় চূড়ান্ত বিচারে শিক্ষার্থীরাও হবে ভুক্তভোগী।। শিক্ষার্থীদের কোনো কথা না ভেবে শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্য শিক্ষক সমাজ মেনে নিতে পারেনি। শিক্ষার্থী ভর্তির এমন প্রক্রিয়া আবারও ভাবিয়ে তুলেছে শিক্ষকসমাজকে। এভাবে সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে অনার্স কলেজগুলো কোনো শিক্ষার্থী পাবে না। অনেক শিক্ষার্থীর বন্ধ হবে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একনায়কতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার জন্য ফলপ্রসু, টেকসই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছে শিক্ষকসমাজ সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা। উচ্চ শিক্ষার সম্প্রসারণকে সরকার বেকারত্ব সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে অপব্যাখা করে, যদি সত্যিকার অর্থেই তেমনটি হয় তাহলে সে দায় কি সরকারের নয়? আর আমরা জানি শুধু কর্মসংস্থান নয় আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য তাহলে শুধু বেকারত্ব তৈরির দোহাই দিয়ে উচ্চশিক্ষাকে কোনঠাসা করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করে দেশের সুশীল সমাজ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপিত হচ্ছে এটা কম সময় নয়। এর চাইতে কম সময়ের মধ্যে প্রতিবেশী অনেক দেশ শিক্ষায় ঈর্ষাণীয় উন্নতি সাধন করতে পেরেছে। নেপাল, ভুটান এমনকি পাকিস্থানও শিক্ষায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে এগিয়ে। শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে প্রত্যাশিত মান অর্জনে এগিয়ে আছে এসব দেশ। মানসম্মত শিক্ষক সরবরাহ, শিক্ষকদের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদানে প্রতিবেশী সকল দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান তলানিতে। শিক্ষায় যথার্থ বিনিয়োগ বার্ষিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিউ এস যারা সারা বিশ্বের উচ্চশিক্ষার মান বিশ্লেষণ করে ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি জানাচ্ছে যে বিশ্বের এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এটা আমাদের জন্যে সত্যি লজ্জার। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। যেখানে আফগানিস্থান, পাকিস্থান নেপালের মত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকে সেখানে আমরা সবার পিছনে। কারণ, হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ, গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরিতে সরকারের অনীহা, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, সরকারের পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ইত্যাদি কারণে স্বাধীনাত্তোর বাংলাদেশে শিক্ষার মান কেবল পিছিয়েছে।
আর যদি সত্যিকার ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেতে চাই দেশকে যথার্থভাবে উৎপাদন ও উন্নয়নের কাছাকাছি নিয়ে যেত চাই তাহলে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের এখনই সময়। দেশের প্রকৃত উন্নয়ন পেতে হলে পদ্মা সেতুর মত শিক্ষাখাতকেও গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় এনে শিক্ষকদের স্বার্থ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করাটা এখন বৈশ্বিক উন্নয়নের সহায়ক বলে মনে করেন দেশের আপামর জনগণ।
লেখক:গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষা গবেষক এ্যাসিসন্ট্যান্ট ম্যানেজার, সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ঝঊউচ) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলামোটর ঢাকা

ইসির মিথ্যা তথ্য পরিবেশনে নিন্দা বাসদের
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৯ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ পিএম

নির্বাচন কমিশনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলমের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মই মার্কারও একজন প্রার্থী রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি এমনিতেই দেশবাসীর কোনো আস্থা নেই। সরকারের অনুগত কমিশনের ঘোষিত প্রহসনের নির্বাচনে বেশি সংখ্যক নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে তা দেখানোর জন্যই বাসদের মই মার্কারও ১ জন প্রার্থী রয়েছে বলে মিথ্যা-ভিত্তিহীন তথ্য গণমাধ্যমে পাঠানোর মধ্য দিয়ে কমিশনের দেউলিয়াত্ব ও জালিয়াতির নমুনা আবারও জনসম্মুখে উন্মোচিত হলো।
তিনি বলেন, বাসদ দেশের রাজনীতিতে একটি ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক দল হিসেবে শুরু থেকেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এবং নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর তা প্রত্যাখ্যান করে হরতাল পালন করে আন্দোলন বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
নির্বাচন কমিশনের এহেন প্রতারণামূলক কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে সংশোধনী প্রেরণ ও দায়িত্বহীন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ফিরোজ।

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ পিএম

বিএনপি ও সমমনা দলের অবরোধ কর্মসূচির আগের রাতে রাজধানীতে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ফার্মগেটের ফার্মভিউ সুপারমার্কেটের সামনে পরপর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসময় দুই মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার আলম খান বলেন, ফার্মগেট এলাকায় সবসময় জনসমাগম বেশি থাকে।
এই সুযোগে কে বা কারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এসময় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী বলে জানা গেছে। আহত একজনের মাথা থেকে রক্তপাত হতে দেখা যায়। অন্যজন পেটে আঘাত পেয়েছেন। তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার আলম খান বলেছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

বিয়ের আসর থেকে বর উঠে যাওয়ায় কনের আত্মহত্যা
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৩১ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ পিএম

খুলনার পাইকগাছায় লগ্ন পেরিয়ে গেলে বিয়ে না করে বর চলে যাওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন মিতু মণ্ডল (১৯) নামের এক তরুণী। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার লতা ইউনিয়নের মুনকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় মিতুর বাবা তাকে নামিয়ে পাইকগাছা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিতু মণ্ডল মারা যান। এ ঘটনায় মৃত্যুর প্ররোচনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মিতু মণ্ডলের বাবা ঠাকুরদাশ মণ্ডল বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে বটিয়াঘাটা উপজেলার কায়ুমখালীর কৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে সুদিপ্ত মণ্ডলের (২২) গত সোমবার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বিয়েতে সঠিক সময়ে ছেলেপক্ষ না আসায় লগ্ন পেরিয়ে যায়। পরের লগ্নে বিয়ে দিতে চাইলে ছেলের বাবা রাজি হননি। পরে ছেলের বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায় ছেলে বিয়ের আসর থেকে চলে যায়। মেয়ে এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এ কারণে গত শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ায় ঝুলে পড়ে। তাকে নামিয়ে পাইকগাছা হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সে মারা যায়।
পাইকগাছা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গলায় রশি পেঁচিয়ে একটি মেয়ে আত্মহত্যা করে। তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত্যুর প্ররোচণায় থানায় বরের বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল ও বর সুদিপ্ত মণ্ডলের নামে মামলা হয়েছে।