শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ইসলামের প্রচার-প্রসারে শেখ হাসিনার অবদান

মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর ও মুসলিমদের প্রাণকেন্দ্র এবং তা প্রত্যেক মুসলমানের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। ইসলামে মসজিদ নির্মাণ এবং মসজিদ সংরক্ষণের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন কথাও বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর নির্মাণ করে দেবেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তথা মসজিদ স্থাপন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব পরিকল্পনায় এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন।

আর মডেল মসজিদগুলোর সুযোগ-সুবিধা দেখলে সহজে বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী একটি বিশুদ্ধ ও মানবিক জাতি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করছেন, অটিজমের শিকার মানুষদের জন্য এ সব মডেল মসজিদে বিশেষ সুবিধা থাকছে। অতিথিশালা থাকছে, বিদেশি পর্যটকদের জন্য আবাসনও থাকছে। এ যে কত বড় উদারতা ও মহানুভবতা তা ইতিহাসই সাক্ষ্য দেবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ইসলামের খেদমতে সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে যান। টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জন্য সুবিশাল প্রান্তর বরাদ্দ করেন বঙ্গবন্ধুই। আজকের বাংলাদেশের মুসলমানদের তাবলিগ জামাতের যে মূল কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ, সেটিও জাতির জনকের অবদান। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে প্রকৃত ইসলামি মূল্যবোধ থেকে সরে গিয়ে এ দেশের মাথার ওপর উগ্রবাদ জেঁকে বসে।

২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এরপর নানামুখী ষড়যন্ত্র তাকে কিছু সময়ের জন্য দেশসেবা থেকে দূরে রাখলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তিনি পুনরায় সরকার গঠন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশের চেয়েও এখন বাংলাদেশের জিডিপি ও এসডিজির অগ্রগতি ভালো।

বিভিন্ন অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের পাশাপাশি শেখ হাসিনা ধর্মীয় ও নৈতিক উন্নয়নের দিকেও নজর দিয়েছেন। পিতার দেখানো পথ ধরে তিনি জাতিগত সংস্কার ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। আর এই জন্যই দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর ইবাদতের জায়গার নির্মাণ শুধু নয়, সেটিকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

সারাদেশে তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এগুলো নির্মাণাধীন রয়েছে ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায়। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার। ১৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার আয়তনের ‘বি’ ক্যাটারির মসজিদ হবে ৪৭৫টি। এগুলো নির্মিত হচ্ছে সকল উপজেলায়। আর ২০৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার আয়তনের ‘সি’ ক্যাটাগরির মসজিদ হবে ১৬টি উপকূলীয় এলাকায়। জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন মসজিদগুলোতে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অপরদিকে উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। এ সব মসজিদে সারাদেশে প্রতিদিন চার লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। একসঙ্গে প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবেন। ৬ হাজার ৮০০ জন ইসলামিক বিষয়ে গবেষণা করতে পারবেন। ৫৬ হাজার মানুষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিতে পারবেন। প্রতিবছর এখান থেকে ১৪ হাজার কোরআনে হাফেজ হবেন।

বর্তমানে নির্মাণকাজ চলছে আরও ২৮৬টির। এরমধ্যে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হবে। ক্রমান্বয়ে সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করার কথা রয়েছে। এ সব মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। এর আগে, ২০২১ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ একযোগে উদ্বোধন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন ।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা-সংবলিত সুবিশাল এ সব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও অটিজম সেন্টার, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়াও ইমাম-মুয়াজ্জিনের প্রশিক্ষণ-আবাসন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং-সুবিধা রাখা হয়েছে।

মডেল মসজিদগুলোতে দ্বিনি দাওয়াত কার্যক্রম ও ইসলামি সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো যেসব এলাকায় রয়েছে— ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা, গাজীপুরের কাপাসিয়া, গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলা, কটিয়াদী, মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া, নরসিংদীর সদর উপজেলা, মনোহরদি, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা, জেলা সদর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা, বগুড়ার ধুনট উপজেলা, নন্দীগ্রাম, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলা, পাবনার ভাঙ্গুরা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলা, শেরপুরের সদর উপজেলা, পিরোজপুরে সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর ও কসবা, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলা ও মানিকছড়ি, কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম, খুলনার রূপসা, কুষ্টিয়ার খোকশা ও ভেড়ামারা, মেহেরপুর জেলা সদর ও গাংনী, সাতক্ষীরার দেবহাটা, সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ জেলা সদর এবং জগন্নাথপুর, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা।

মডেল মসজিদগুলোর সুযোগ-সুবিধা দেখলে সহজে বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী একটি বিশুদ্ধ ও মানবিক জাতি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করছেন, অটিজমের শিকার মানুষদের জন্য এ সব মডেল মসজিদে বিশেষ সুবিধা থাকছে। অতিথিশালা থাকছে, বিদেশি পর্যটকদের জন্য আবাসনও থাকছে। এ যে কত বড় উদারতা ও মহানুভবতা তা ইতিহাসই সাক্ষ্য দেবে।

পরিশেষে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দর্শন ও দূরদর্শিতা ফুটে উঠেছে এ সব মডেল মসজিদে। তিনি যতদিন আছেন, ততদিন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ ‘দাবায়ে’ রাখতে পারবে না। সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য এতগুলো মডেল মসজিদ এক বিরল ঘটনা। ইতিহাস হয়ে থাকবে শেখ হাসিনার এই কৃতিত্ব ও মুসলমানদের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার কথা। শুধু এই মসজিদ নির্মাণই শেষ নয়। এর আগেও মুসলমানদের প্রতি ভালোবাসা এবং ইসলামের শান্তির বার্তা চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে তিনি নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি, দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, আলিয়া মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা অন্যতম। মুসলমানদের জন্য এই যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করার পর সর্বশেষ বর্তমান সরকার সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের যে উদ্যোগ নিয়েছে তাহা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ধর্মীয় দিক থেকে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যেখানে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এটি সম্পন্ন করছেন। তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।

বাংলাদেশ একদিন বিশ্বের বুকে মডেল রাষ্ট্র হবে। আর যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে তাদের মাঝেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকবেন চিরকাল। বঙ্গবন্ধু তার সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত শাসনামলে ইসলামের প্রচার-প্রসারে বিপুল অবদান রেখেছেন। ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আর তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ইসলামের প্রচার-প্রসারে বিপুল অবদান রেখে যাচ্ছেন। ইসলামের এই বিশাল খেদমতের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সব সদস্যদের জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন!

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ: কলাম লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রতিষ্ঠাতা— জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

আরএ/

Header Ad
Header Ad

দুই দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতা প্রদান এবং ব্লকপদ বিলুপ্ত করে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। দাবি না মানলে আগামী ৫ মে থেকে সারা দেশে কর্মবিরতির কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর বিচারকদের জন্য পৃথক পে-স্কেল এবং নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও সহায়ক কর্মচারীদের সেই স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ তারা একই দপ্তরে বিচারকদের সঙ্গে কাজ করেন, কিন্তু বেতন-ভাতাদি পান জনপ্রশাসনের স্কেল অনুযায়ী।

তিনি অভিযোগ করেন, অনেক কর্মচারী ৩৮ থেকে ৪০ বছর ধরে একই পদে কর্মরত থাকলেও কোনো পদোন্নতি পাননি। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক ও বৈষম্যমূলক। সচিবালয়ের একজন অফিস সহায়ক যেমন পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হতে পারেন, তেমনি সুপ্রিম কোর্টে অফিস সহকারী ডেপুটি রেজিস্ট্রার পর্যন্ত পদোন্নতি পান, পুলিশের কনস্টেবলও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পারেন। অথচ অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা শতভাগ বৈষম্যের শিকার।

রেজোয়ান খন্দকার বলেন, প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা ও আইন সচিবের কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরা হয়েছে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন দাবি যৌক্তিক বলে স্বীকার করলেও তাদের প্রতিবেদনে আমাদের বিষয়ে কোনো সুপারিশ রাখা হয়নি।

দাবি বাস্তবায়নে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিদ্যমান জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম থেকে ১২তম গ্রেডভুক্ত করে সব ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, আগামী ৫ মের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে সারা দেশের অধস্তন বিচার বিভাগের কর্মচারীরা ওই দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দুই ঘণ্টার সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে। এরপরও দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. ছালাউদ্দিন, সহসভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক আহাম্মেদ রিংকু এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তৃতীয় সাধারণ সভায় দলের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি, সাংগঠনিক নীতিমালা ও কাঠামো সংস্কার নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলা ও উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শৃঙ্খলাবিরোধী অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত ও শৃঙ্খলা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিকেল ৩টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টাব্যাপী এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

সভা শেষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অঞ্চলভিত্তিক সাংগঠনিক কাঠামো চূড়ান্তকরণ, সংস্কার প্রস্তাবনা প্রণয়ন, গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার দাবি এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি হামলা এবং ভারতের ওয়াকফ বিলবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের প্রতিবাদ ও দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে সরকারের প্রতি কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানায় দলটি।

দলের সাংগঠনিক গতিশীলতা বাড়াতে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রয়োজনীয় নীতিমালা উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত কাঠামোয় দেশের ৬৪ জেলাকে ১৯টি জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা কমিটিতে ৩১ থেকে ৫১ জন এবং উপজেলা কমিটিতে ২১ থেকে ৪১ জন সদস্য থাকবে। উভয় পর্যায়ের আহ্বায়ক পদের জন্য বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ন্যূনতম ৪০ বছর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপরিসরে কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণের অভিযোগ ওঠায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি তদন্ত ও শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার ঘোষণা আসছে আগামী রবিবার।

এছাড়া বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখা চলতি সপ্তাহেই একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

"শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি"—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউস ডে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিরামপুর থানা চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফত হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, ড. মুহাদ্দিস এনামুল হক, বিএনপির বিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মিঞা শফিকুল ইসলাম মামুন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজু, উপজেলা আমির হাফিজুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শিরণ আলম, ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুর ইসলামসহ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, স্থানীয় শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

পুলিশ সুপার মারুফত হুসাইন তার বক্তব্যে বলেন, “প্রথমে আমি আমার পুলিশকে ঠিক করেছি। এখন আমাদের সামনের দিনগুলো ভালো প্রত্যাশা চাই। আমরা আমাদের সমাজে আর কোনো অপরাধ করতে দেব না এবং এই জেলাকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকমুক্ত করব ইনশাল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতাই পারে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে। তাই সবাইকে আরও সচেতন ও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন
ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার