শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দায়িত্বশীল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন লাইমলাইটে

গত ২১ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তৌহিদুল ইসলামের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাকে তিনি ‘ভেরি গুড অফিসার’ ও ‘তুখোড় ছেলে’ বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘একটি দল তৌহিদুলের বিপক্ষে লেগেছে। তবে তিনি যতদিন (মন্ত্রী হিসেবে) আছেন, ততদিন তৌহিদুলকে ডিফেন্ড করে (আগলে রেখে) যাবেন।’

এই কথা বলার মধ্য দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের একজন ভালো অফিসারের কাজকে যেমন সমর্থন করেছেন তেমনি দায়িত্বশীল মন্ত্রীর পরিচয় দিয়েছেন। মন্ত্রী কেবল দল কিংবা সরকারের প্রতিনিধি নন তিনি তার মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তার সহকর্মী- এই দৃষ্টিভঙ্গি নিঃসন্দেহে অগ্রগামী চিন্তা লালনকারীর দৃষ্টান্ত। এজন্য তার এ কথাগুলোও গুরুত্ববহ- ‘বর্তমানে সে (তৌহিদুল) আমাদের অ্যাম্বাসেডর ইন সিঙ্গাপুর। তাকে আমরা ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে মাল্টি ন্যাচারাল কাজ আছে আমাদের ধারণা। সারা দেশেই বোধ হয় এই ক্যারেক্টার, আমরা খালি (কেবল) মানুষকে নিচে নামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগি। আর মিডিয়াও ওই লাইনেই আছে। উপরে উঠানোর চেষ্টা করে না, খালি নামানোর জন্য। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনেক ডিপ্লোম্যাট আছে, আমাদের একজন ডিপ্লোম্যাট, হি (তৌহিদুল) ইজ সাকসেসফুল।’ একজন মেধাবী অফিসারের পক্ষ নেওয়ার এই দৃষ্টান্ত বিরল। এদেশে কারও সম্পর্কে মিডিয়া কোনো নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করলেই মানুষ তাকে খারাপ ভাবতে শুরু করে। এজন্য মন্ত্রী মিডিয়া নিয়ে যৌক্তিক কথাই বলেছেন।

উল্লেখ্য, কূটনীতিক তৌহিদুল ইসলাম মেডিকেল ডাক্তার। তিনি ঢাকা থেকে এমবিবিএস পাস করেন ফার্স্ট ক্লাশ পেয়ে, তারপর যখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষা দেন সেখানেও সারা দেশে ফার্স্ট, তার ব্যাচের ফার্স্ট বয় তিনি। অত্যন্ত ভালো, তুখোড় এই অফিসারকে এখন টেনে কীভাবে নামানো যায় সেই চেষ্টা করছে তার মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তারই বন্ধুবান্ধবরা। এমনকি তার বিরুদ্ধে আগে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত বলতে হয় দেশ-বিদেশের মানুষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে স্পষ্টভাষী ও সত্যবাদী হিসেবে ভালো করেই জানেন এবং চিনেন। এজন্য তিনি যখন কারও পক্ষে কথা বলেন তখন ধরে নিতে হবে সেই বিষয়ে জেনে, শুনে ও বুঝেই বলেছেন। এজন্য তার উপর আস্থা তৈরি হয়েছে। তিনি এখন লাইমলাইটে। তার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত অনেক রাষ্ট্রদূতকেই আমরা জানি ও চিনি। যেমন- কলকাতায় নিযুক্ত উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসও একজন সুযোগ্য ডিপ্লোম্যাট। আন্দালিব ইলিয়াসের সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যাবে তিনি বিদেশে বসে দেশের জন্য কতটা আন্তরিক ও দেশের ইতিবাচক কাজের ধারা বাইরের দেশে তুলে ধরার জন্য কতটা নিবেদিত ও শ্রমনিষ্ঠ। তাকে নিয়োগ দেওয়ার কৃতিত্ব দিতে হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেই।

২.

জানুয়ারিজুড়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তৎপরতা সত্যিই প্রসংশার দাবি রাখে। আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের অতি উৎসাহ এবং এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা যখন উচ্চে তখন তিনি ১৪ জানুয়ারি বলেছেন, ‘আমরা একটা স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। অন্যদের আমাদের গণতন্ত্র শেখানোর প্রয়োজন নেই। আমাদের গণতন্ত্র আছে, মানবাধিকার আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মতামতের প্রয়োজন নেই। এ দেশের নির্বাচন ভালো কী মন্দ হবে সেটা ঠিক করবে এ দেশের জনগণ। অন্য কেউ না। অন্য কেউ এটা নিয়ে কিছুই করতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ এটা ঠিক করবে। তিনি একথাও স্মরণ করিয়ে দেন যে, আওয়ামী লীগ সরকার বুলেটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। বরং সব সময় স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে ব্যালটের মাধ্যমে। এজন্য যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ এমন দল না যে, কোনো বড় দলকে নির্বাচন করতে দেবে না। সবাইকে নিয়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ মন্ত্রীর এই কথাগুলো যে বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের তা লেখাবাহুল্য।

এ ছাড়া তিনি বিদেশে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের দেশের স্বার্থে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পহেলা জানুয়ারিতে। বিশেষত দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বানোয়াট তথ্য দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বিদেশে দায়িত্বরত বাংলাদেশের কূটনীতিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, ‘মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচাররোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এটা নিয়ে কাজ করবে। প্রকৃত তথ্য ও ঘটনা তুলে ধরবে।’

নিজের দেশের মর্যাদা ও সার্বভৌম রক্ষায় ড. মোমেন সব সময় সোচ্চার। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো দেশের মাথা ঘামানোর দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো কোনো প্রস্তাব দিলে গুরুত্বসহকারে দেখা হবে বলে জানান তিনি। তার মতে, ‘আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো পরামর্শ বা মাতব্বরি করার সুযোগ নেই। কারণ ১৯৭১ সালে এসবের জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন।’ দেশের বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আমেরিকা-রাশিয়া কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে। আমরা চাই প্রতিটা দেশ জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী চলবে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ নাক গলাক সেটা আমরা চাই না।’

জানুয়ারিতেই ‘লাইমলাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী’ এই শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল লিখেছে, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের গঠিত ২০১৯ সালের মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যর্থ মনে করা হতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে। এর অন্যতম কারণ হলো ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‌্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ। অভিযোগ রয়েছে কতগুলো ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ ছিল না বলেই অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যথাযথ তৎপরতা না থাকার কারণে কোনো একটি গোষ্ঠী লবিস্ট নিয়োগ করে র‌্যাবের উপর এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে। র‌্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করা হতো। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য নানাভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। যেমন- ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি’, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’ এ ধরনের মন্তব্যের জন্য তিনি সারা বছরজুড়ে সমালোচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালের শুরুতে তিনি পাশার দান উল্টে দিলেন এবং এখন সফল মন্ত্রীদের তালিকা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর নামই প্রথমে আসে।’

এই ভূমিকা দেওয়ার পর নিউজ পোর্টালটি দেশপ্রেমিক এই মন্ত্রীর বিভিন্ন অবদানকে তুলে ধরে। যেমন- সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা সফরে করে গেছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। তার এই সফরের আগে নানা জল্পনা-কল্পনার কথা শোনা গিয়েছিল। বিশেষ করে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এরপর ১৪ ডিসেম্বর শাহীনবাগে মার্কিন দূতাবাস পিটার ডি হাস এর যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। ফলে ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের আগে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনার গুঞ্জন উঠে। গুঞ্জন উঠেছিল ঢাকার উপর আবার নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার। কিন্তু ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে তেমন কোনো কিছুই হয়নি। বরং তিনি ঢাকা সফরে এসে বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে।’ লু আরও বলেন, ‘র‌্যাব নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। আপনারা যদি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সবশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্বীকৃতি দিয়েছে, আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। খুব চমৎকার কাজ হয়েছে। তারা ল’ এনফোর্সমেন্ট এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছে। সন্ত্রাস প্রতিরোধে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।’ জিএসপি সুবিধার বিষয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘জিএসপি সুবিধার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কিছু দেশ অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছি। জিএসপি সুবিধা চালু হলে প্রথমে বাংলাদেশ এই সুবিধা পাবে।’

অর্থাৎ ডোনাল্ড লু’র সফরের আগে নানা ধরনের গুঞ্জন শোনা গেলেও সেগুলোর কোনোটাই হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তার মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় ভূমিকার জন্যই বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা পাল্টেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এর পেছনে কৃতিত্ব রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের।

৩.

মূলত পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ড. এ কে আব্দুল মোমেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথে চলে নিজের মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজিয়েছেন। নিজের দেশকে নিয়ে সর্বদা কেবল গর্ব করেন না, বরং তিনি কাজ দিয়ে মানুষের মূল্যায়ন করে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলেন ও তার নিজের অফিসারদের নির্দেশনা দিয়ে সুরক্ষা করেন। ড. মোমেনের মতো মন্ত্রী আছেন বলেই এদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ববাসীর কাছে আরও বেশি উজ্জ্বল হচ্ছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করার পেছনে যেমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য অবদান রয়েছে তেমনি দেশের এই সাফল্যকে ধরে রাখা ও এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এই কাজটি সুচারুভাবে সম্পাদিত হচ্ছে কেবল একজন যোগ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন বলেই।

ড. মিল্টন বিশ্বাস: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু গবেষক। 

এসজি

Header Ad
Header Ad

বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত বাংলাদেশের, বাদ পড়লো ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দল

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে পাকিস্তানের কাছে হারের পর কিছুটা অনিশ্চয়তায় পড়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ ভাগ্য। তবে শেষ পর্যন্ত নাটকীয় এক সমীকরণে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের টিকিট, আর বাদ পড়েছে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

শনিবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬৭ রানের লক্ষ্য ১০.১ ওভারে পূরণ করতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলকে। তারা জিতলেও লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজনীয় রানরেট না থাকায় শেষ পর্যন্ত বাদ পড়ে যায়। ১০.৫ ওভারে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেলেও নেট রান রেটে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকে।

বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারতসহ সরাসরি খেলবে আরও পাঁচ দল—অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। বাকি দুটি দল নির্ধারিত হয় বাছাইপর্ব থেকে—পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ নারী দল বাছাইপর্বে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জয় পায়—থাইল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। শেষ দুটি ম্যাচে হেরে গেলেও ৬ পয়েন্ট ও +০.৬৩৯ নেট রান রেট নিয়ে এগিয়ে ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজও সমান ৬ পয়েন্ট পেলেও তাদের নেট রান রেট ছিল +০.৬২৬—একটুখানি কম।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিংয়ে থাইল্যান্ড অলআউট হয় ১৬৬ রানে। জবাবে হ্যালি ম্যাথিউস ঝড় তোলেন ২৯ বলে ৭০ রান করে। সঙ্গ দেন কিয়ানা জোসেপ (১২ বলে ২৬) ও চিন্নেল্লা হেনরি (১৭ বলে ৪৮)। তবুও ধীর গতির প্রথম ওভারে ৯ রান তোলাই কাল হয় তাদের জন্য।

এই ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের বিশ্বকাপে খেলার আশাও শেষ হয়ে গেল। আর নাটকীয় সেই শেষ মুহূর্তে হাসল ভাগ্য বাংলাদেশের—নিগার সুলতানাদের দেখা হবে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য নারী বিশ্বকাপে।

Header Ad
Header Ad

দুই দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতা প্রদান এবং ব্লকপদ বিলুপ্ত করে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। দাবি না মানলে আগামী ৫ মে থেকে সারা দেশে কর্মবিরতির কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি মো. রেজোয়ান খন্দকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর বিচারকদের জন্য পৃথক পে-স্কেল এবং নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও সহায়ক কর্মচারীদের সেই স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ তারা একই দপ্তরে বিচারকদের সঙ্গে কাজ করেন, কিন্তু বেতন-ভাতাদি পান জনপ্রশাসনের স্কেল অনুযায়ী।

তিনি অভিযোগ করেন, অনেক কর্মচারী ৩৮ থেকে ৪০ বছর ধরে একই পদে কর্মরত থাকলেও কোনো পদোন্নতি পাননি। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক ও বৈষম্যমূলক। সচিবালয়ের একজন অফিস সহায়ক যেমন পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হতে পারেন, তেমনি সুপ্রিম কোর্টে অফিস সহকারী ডেপুটি রেজিস্ট্রার পর্যন্ত পদোন্নতি পান, পুলিশের কনস্টেবলও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পারেন। অথচ অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা শতভাগ বৈষম্যের শিকার।

রেজোয়ান খন্দকার বলেন, প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা ও আইন সচিবের কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরা হয়েছে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন দাবি যৌক্তিক বলে স্বীকার করলেও তাদের প্রতিবেদনে আমাদের বিষয়ে কোনো সুপারিশ রাখা হয়নি।

দাবি বাস্তবায়নে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিদ্যমান জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম থেকে ১২তম গ্রেডভুক্ত করে সব ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, আগামী ৫ মের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে সারা দেশের অধস্তন বিচার বিভাগের কর্মচারীরা ওই দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দুই ঘণ্টার সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে। এরপরও দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. ছালাউদ্দিন, সহসভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক আহাম্মেদ রিংকু এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তৃতীয় সাধারণ সভায় দলের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি, সাংগঠনিক নীতিমালা ও কাঠামো সংস্কার নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলা ও উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শৃঙ্খলাবিরোধী অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত ও শৃঙ্খলা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিকেল ৩টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টাব্যাপী এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

সভা শেষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অঞ্চলভিত্তিক সাংগঠনিক কাঠামো চূড়ান্তকরণ, সংস্কার প্রস্তাবনা প্রণয়ন, গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার দাবি এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি হামলা এবং ভারতের ওয়াকফ বিলবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের প্রতিবাদ ও দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে সরকারের প্রতি কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানায় দলটি।

দলের সাংগঠনিক গতিশীলতা বাড়াতে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রয়োজনীয় নীতিমালা উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত কাঠামোয় দেশের ৬৪ জেলাকে ১৯টি জোনে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা কমিটিতে ৩১ থেকে ৫১ জন এবং উপজেলা কমিটিতে ২১ থেকে ৪১ জন সদস্য থাকবে। উভয় পর্যায়ের আহ্বায়ক পদের জন্য বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ন্যূনতম ৪০ বছর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপরিসরে কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণের অভিযোগ ওঠায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি তদন্ত ও শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার ঘোষণা আসছে আগামী রবিবার।

এছাড়া বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখা চলতি সপ্তাহেই একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত বাংলাদেশের, বাদ পড়লো ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দল
দুই দফা দাবি না মানলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত
পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হার, শঙ্কায় বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ স্বপ্ন
ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ জানানো যাবে দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি, তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
বাফুফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সরফরাজের পদত্যাগ
ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি বাজারের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
দেশের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন সর্বোত্তম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত: রিজভী
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার