শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

অনেক হয়েছে ‘বিদায় হও’, সরকারকে ফখরুল

শুধুমাত্র সভা করে, কথা বলে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পাব না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে।’

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদের আয়োজিত ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের অধিকার আপনারা কেড়ে নিয়েছেন। আমাদের দুইবার ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। আমার জনগণের বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। মানুষের পকেট কেটে আপনি বড়লোক হচ্ছেন। আর সেই টাকা বিদেশে পাচার করছেন।’

তিনি বলেন, ‘মূল কথা হচ্ছে অনেক হয়েছে এবার বিদায় হও। জনগণের রক্ত শোষণ করে খেয়েছ এবার বিদায় হও। পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করে সংসদকে বিলুপ্ত করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যেই তত্ত্ববোধক সরকার নতুন কমিশন গঠন করবে, সেই নির্বাচনের জনগণ তাদের প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি স্বাধীনচেতা। বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক। ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে তারা যুদ্ধ শুরু করে ছিল। পরবর্তীকালে ৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকে গণতন্ত্র রক্ষা করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।’

আজকে আবার ফ্যাসিবাদকে হটানোর জন্য সামগ্রিক লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াই শুধু বিএনপি’র লড়াই নয়, এটা বিরোধী দলের নয়, এটা জনগণের লড়াই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকের জনগণের সমস্ত অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীন দেশের নাগরিকত্ব থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা শুরু হয়েছে বিএনপির' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, অদ্ভুত, এ ধরনের কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এগুলো জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা গণতন্ত্র হারিয়ে ফেলেছি। গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে আমরা দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর ধরে লড়াই করছি। আসলে গণতন্ত্র শুধুমাত্র একদিনের নির্বাচন তা নয়। গণতন্ত্র হচ্ছে রাষ্ট্রের সামগ্রিক একটা সিস্টেম। একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক যে ব্যবস্থা এবং সেটা রাষ্ট্রের জনগণের কাজে লাগানোর জন্য; জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা সামগ্রিকভাবে বৃহত্তর জনগোষ্টির মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। সবচেয়ে বৃহত্তর অংশের মানুষ যা বলবে সেভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা চলবে।’

দুর্ভাগ্যক্রমে ১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, যে স্বপ্ন আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছিলাম। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা দেখেছি স্বাধীনতার পরপরেই আসজের যে আওয়ামী লীগ তারা সেদিন ক্ষমতায় ছিল। তারা দাবি করে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তারও পূর্বে স্বাধিকার আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭১ সালের পূর্বে এবং ৭১ পরবর্তী ছিল ভিন্ন। আমরা দেখেছি গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ে যারা লড়াই সংগ্রাম করছেন পরবর্তীকালে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে ক্ষমতা ধরে রাখতে জনগণের অধিকারগুলোকে হরণ করে জনগণকে বঞ্চিত করে তারা নিজেদের কর্তৃত্ব এবং শাসনকার্যকে পাকাপোক্ত করতে সব কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অনেকে আছেন যারা এখনো বলেন আওয়ামী লীগেই হচ্ছে মোটামুটি একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এটা বলার কোনো অবকাশ নাই, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ৫০-৫১ বছরে প্রমাণ করেছে তারা কোনো দিন কনো মতেই গণতান্ত্রিক দল নয়। ১৯৭১ সালের পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল এবং তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্যে একে একে বিরোধীদল কে দমন করেছে, নির্যাতন করেছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পর তারা নতুন বাহিনী তৈরি করেছিল রক্ষীবাহিনী। আর যুদ্ধের সময় বিরোধী দল ও মতকে দমন করতে তৈরি করেছিল মুজিব বাহিনী। এখন আওয়ামী লীগ আবরও রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে বিরোধীদল মত দমনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৬ শত নেতা০কর্মীকে গুম করেছে। এখন পর্যন্ত তাদের চিহৃ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না।’

হাজারের উপর নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। বিরোধী দলের ৪০ লক্ষ নেতা-কর্মী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। কোথাও কিছু ঘটেনি আওয়ামী লীগ নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়। আজকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে আওয়ামী লীগের অত্যাচার নির্যাতন, যোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র কখনো এক সঙ্গে যায় না। আওয়ামী লীগের দুটি জিনিস আছে। একটি হচ্ছে সন্ত্রাস তারা ভয় দেখিয়ে সবকিছু করে নিতে চায়।আরেকটি হচ্ছে সুযোগ পেলেই লুট করা। যাকে আমরা বলি লুণ্ঠন। এ দুটো তাদের মজ্জাগত।

৭১ সাল আর এখনকার সময় এক নয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৯০ এর সময়ের সঙ্গেও এখনকার সময় এক নয়। তখনকার ফ্যাসিবাদী সরকারের চেহারা আর এখনকার ফ্যাসীবাদী সরকারের চেহারাও এক নয়।

এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বেপারি, সাম্যবাদি দলের চেয়ারম্যান কমরেড নুরুল ইসলাম, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, মাইনরিটি পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি মন্ডল, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী, এনপিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য বেলাল হোসেন, নবী চৌধুরী, মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

এমএইচ/এমএমএ/

১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

আরিফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে আব্দুল কাদের (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছেন তার ছেলে আরিফ হোসেন (২০)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ছয় ছেলের জনক। আরিফ হোসেন সবার ছোট ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফ প্রায়ই টাকার জন্য বাবাকে চাপ দিতেন ও নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কেনেন আরিফ। আরিফ মাঝে মাঝে নেশা করতেন। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে আরিফ হঠাৎ করে ১০ হাজার টাকার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করেন। টাকা না দিলে বাড়িঘর ভাঙচুর করবেন বলে জানায়। এতে ভয়ে বাবা আব্দুল কাদের বড় ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

এদিকে বড় ছেলেকে বিষয়টি জানালে বাবাকে অভয় দিয়ে বাড়িতে দিয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর বাবা আব্দুল কাদের আবারও ভয়ে তার বড় ছেলের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে লুকিয়ে থাকা আরিফ পেছন থেকে বাবার পেটে-পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আব্দুল কাদের চিৎকার দিলে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাগনে রিয়াদুল ইসলাম শাহীন বলেন, আরিফ নেশার টাকার জন্য প্রতিনিয়তই তার বাবা-মাকে হেনস্তা করতো। বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে, চুরি করে, জিম্মি করে নেশার টাকা ছিনিয়ে নিত। বাবা-মা ও বড় ভাইয়েরা শাসন করেও টিকতে পারছিলেন না।

ফুলপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। পলাতক আরিফকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

পলকের শ্যালক লুৎফুলকে শোকজ করল আওয়ামী লীগ

মো. লুৎফুল হাবীব। ছবি: সংগৃহীত

এবার নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফুল হাবীবকে শোকজ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে শোকজ করা হয়।

লুৎফুল হাবীব‌ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।

শোকজ নোটিশে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার (লুৎফুল হাবীব‌) সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থীর শামিল। এমতবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী তিন দিনের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণের নিকট লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার পলকের শ্যালকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় নাটোর জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রথমে দেলোয়ার হোসেনের ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ করে জিম্মি করা হয়। পরে বিকেলে দেলোয়ারকে অপহরণ করে তার ভাইকে ছেড়ে দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় ফেলে দেয়া হয় দেলোয়ারকে। এরপর তাকে নাটোর হাসপাতাল থেকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক রাত আইসিইউতে রাখা হয়।

এ ঘটনার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবার প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীব ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় লুৎফুল হাবীবকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান

আইআরজিসি টিমের প্রধান জেনারেল আহমেদ হাকতালাব। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবিটি নাকচ করে দিয়েছে ইরান। তেহরানের জানিয়েছে, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হয়নি, তিনটি ড্রোন এসেছিল সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। খবর প্রকাশ হবার কয়েক ঘণ্টা পর একজন জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, 'ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রতিশোধ নেয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই ইরানের।'

এদিকে পারমাণবিক স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইআরজিসি টিমের প্রধান জেনারেল আহমেদ হাকতালাব এক বার্তায় বলেছেন, ‘যদি জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী আমাদের পরমাণু স্থাপনা ও কেন্দ্রগুলোতে কোনো প্রকার ক্ষতি সাধনের পদক্ষেপ নেয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমরা তার প্রতিক্রিয়া জানাব এবং সেই প্রতিক্রিয়া হবে ভয়াবহ।’

ইসরায়েল যদি সত্যিই পরমাণু স্থাপনায় হামলা করে, তাহলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন জেনারেল হাকতালাব। ‘ইসরায়েলের ভুয়া জায়নবাদী গোষ্ঠী যদি ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য পারমাণবিক স্থাপনা ও প্রকল্প কার্যালয়ে হামলা করে, তাহলে ইরানও তার পারমাণবিক ডকট্রিন ও নীতি সংশোধন করবে এবং পূর্বঘোষিত বিবেচন্য বিষয়গুলো থেকে সরে আসবে।’

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদী এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিও ছিলেন।

হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে,তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল— তা পরিষ্কার। গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন— এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

তারপর শনিবার রাত ও রোববার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান ও আঞ্চলিক মিত্রদের সহায়তায় বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে ইরান।

আকস্মিক এই হামলার পর ইরানকে পাল্টা জবাব দেওয় হবে বলে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও দ্ব্যর্থহীনভাবে আইডিএফের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে।

তারপর আজ শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় দুপুর সাড়ে ১২ টার (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬ টা) দিকে ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী ইসফাহানে ড্রোন হামলা চালায় আইডিএফ। তবে হামলায় ব্যবহৃত ৩টি ড্রোনই ধ্বংস করে দিয়েছে ইরানের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা।

রাজধানী তেহরান থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইসফাহানে ইরানি সেনাবাহিনীর বেশ বড় একটি বিমান ঘাঁটি ও বেশ কয়েকটি পরমাণু স্থাপনা রয়েছে। সূত্র: তেহরান টাইমস

সর্বশেষ সংবাদ

১০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
পলকের শ্যালক লুৎফুলকে শোকজ করল আওয়ামী লীগ
হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান
আওয়ামী লীগ দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
স্বচ্ছতার সাথে অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তীব্র গরমের মধ্যেই ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহত
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর অস্বীকার ইরানের, তেহরানে বিমান চলাচল স্বাভাবিক
নওগাঁয় ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে: প্রধানমন্ত্রী
দাঁড়িয়ে থাকা বাসকে পিকআপের ধাক্কা, ১০ পোশাককর্মী আহত
নতুন রেকর্ড গড়ে ইউরোপা লিগের সেমিতে লেভারকুসেন
ইরানে ইসরাইলের হামলা: লাফিয়ে বাড়ছে তেল ও স্বর্ণের দাম
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১৩ বিজিপি সদস্য
চুয়াডাঙ্গায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার লক্ষ্যে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে সেমিনার
ইরানে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, ডিপজলকে শোকজ